জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ২ হাজার ৮২৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ হাজার ৯১৯ জন।
অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১৩ হাজার ৮০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র নিউইয়র্ক রাজ্যেই মারা গেছেন ৩০ হাজার ৫৮০ জন।
করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৩৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই ইতালিতে ৩৪ হাজার ১৬৭ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৩৪৯ জন এবং স্পেনে ২৭ হাজার ১৩৬ জন মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি:
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনার নিয়মিত আপডেটে জানায়, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ১৮৭ জন এবং ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭ জন।
এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২ জন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪৯ জনের।
এছাড়া কোভিড-১৯ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৪৭ জন।