শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করাসহ এর পরিকল্পনা ও ধরণ-প্রকৃতি নিয়ে শ্রীলঙ্কার স্থানীয় গোষ্ঠী ও আইএসের মধ্যে যোগসূত্র ছিল। গত রবিবার তিনটি গির্জায় প্রার্থনারত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ ও বিদেশি নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয় তিনটি বিলাসবহুল হোটেলে নৃশংস হামলায় অন্তত ২৫৩ জন নিহত হন।
মরিসন বলেন, এই হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি নতুন দিক প্রদর্শন করেছে। সিরিয়া ও ইরাকে যুদ্ধরত জঙ্গিরা একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করছে। তারা অর্থ, প্রশিক্ষণ প্রদান এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে বিভিন্ন দেশের স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহায়তা করতে পারে।
এদিকে শ্রীলঙ্কার বোমা হামলায় অন্তত আড়াইশ’ মানুষ নিহত হওয়ার পর আবারও দেশটিতে হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী। এজন্য রাজধানীসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবারের হামলার শিকার সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় শুক্রবার আগের চেয়ে আরও বেশি সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আশপাশের দোকানপাট এখনও বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আবারও হামলার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার জনগণ। গির্জায় যাওয়ার মতো কোনো নিরাপত্তা নেই। তারা গির্জায় যেতে ভয় পাচ্ছেন।
এদিকে মুসলমানদের শুক্রবারের জুমার নামাজ মসজিদের পরিবর্তে বাড়িতে আদায়ের পরামর্শ দিয়েছে লঙ্কান কর্তৃপক্ষ।