বোমা হামলা
গাজার জনাকীর্ণ ক্যাফেতে ইসরায়েলের ৫০০ পাউন্ডের বোমা হামলা
গাজা উপত্যকায় সাগরতীরের একটি জনাকীর্ণ ক্যাফেতে ৫০০ পাউন্ড ওজনের একটি বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।
এ ধরনের শক্তিশালী ও নির্বিচার ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের ব্যবহারে একদিকে ব্যাপক বিস্ফোরণ তৈরি করতে পারে, অন্যদিকে বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে ধাতব টুকরা (শ্র্যাপনেল) ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইনের বরাতে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, নারী-শিশু ও বয়স্কহ বহু অরক্ষিত বেসামরিক মানুষের উপস্থিতি জেনেও এ ধরনের গোলাবারুদের ব্যবহার নিশ্চিতভাবেই বেআইনি ও এ ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
আল-বাকা নামের ওই ক্যাফের ধ্বংসস্তূপ থেকে বোমাটির খণ্ডাংশের ছবি তুলেছে গার্ডিয়ান। গোলাবারুদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমকে-৮২ বোমা। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিভিন্ন সামরিক অভিযানে ৫০০ পাউন্ড ওজনের এই বোমাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিস্ফোরণে যে বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে, সেটিই বলে দিচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমকে-৮২ এর মতো শক্তিশালী বোমা।
কাফেতে হামলার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলিক সশস্ত্র বাহিনীর (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘হামলার আগে বিমানের নজরদারির মাধ্যমে বেসামরিক মানুষের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: ত্রাণকেন্দ্র থেকে ক্যাফে, কোথাও নেই ফিলিস্তিনিদের প্রাণের নিরাপত্তা
চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেন, ‘ওই হামলায় ২৪ থেকে ৩৬ জনের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন। নিহতদের মধ্যে একজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা, একজন শিল্পী, ৩৫ বছর বয়সী এক গৃহিনী ও চার বছরের একটি শিশু রয়েছে।’
জেনেভা কনভেনশনভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, ‘বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি ঘটতে পারে বা সামরিক লক্ষ্যের চেয়েও অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, এমন কোনো সামরিক হামলা করা নিষিদ্ধ।’
চার দশক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পারিবারিকভাবে পরিচালিত আল-বাকা ক্যাফে। বিনোদনের জন্য তরুণ ও গাজার পরিবারগুলোর মধ্যে এটির বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। কোমল পানীয়, চা ও বিস্কুটের জন্য লোকজন এই ক্যাফেতে ভিড় করতেন।
দোতলা ক্যাফের উপরের ডেক ছিল খোলা। নিচের তলায় সৈকত কিংবা সাগরের দিকে বড় জানালা ছিল। যে কারণে এটির ভেতরের চলাচল উপর থেকেই সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ছিল।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গ্যারি সিম্পসন বলেন, ‘কাদের নিশানা করা করা হামলা করা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী তা সুস্পষ্ট করে বলেনি। কিন্তু তারা বলছে যে বেসামরিক হতাহত কমিয়ে আনতে আকাশ থেকে নজরদারি করেছে। এর অর্থ হচ্ছে, তারা জানত যে ওই ক্যাফেটিতে প্রচুর গ্রাহক ছিল।’
আরও পড়ুন: জাপানি দ্বীপপুঞ্জে দুই সপ্তাহে ৯ শতাধিক ভূমিকম্প
‘আইডিএফ অবশ্য জানত যে, আকাশ থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে এ ধরনের বড় বোমা হামলা চালালে বহু বেসামরিক লোকজন হতাহত হবেন। কাজেই এমন একটি ভিড়ে ঠাসা ক্যাফেতে এই হামলা ছিল অতিরিক্ত মাত্রায় ও নির্বিচার। যুদ্ধাপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’
১৫৫ দিন আগে
যশোরে বিএনপি নেতার ওপর বোমা হামলা
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন ভূঁইয়ার উপর বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান তিনি।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে রোহিতা বাজার সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মমিন রাত ১০টার দিকে রোহিতা ভান্ডারী মোড়ে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (ভাই ভাই সমিল) বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় রোহিতা বাজার পার হয়ে গ্রাম্য ডাক্তার বিল্লাল হোসেনের বাড়ির সামনে পৌঁছালে ওঁৎ পেতে থাকা ৭ থেকে ৮ জন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। তবে বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান তিনি।
বিএনপি নেতা আব্দুল মমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি দোকান থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ ৭ থেকে ৮ জন আমাকে লক্ষ্য করে দুইটি বোমা মারে। আমি দ্রুত মোটরসাইকেল ফেলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করি। একটি বোমা আমার মোটরসাইকেলের কাছে বিস্ফোরিত হয়। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে তাড়া করে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ
‘পরে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনকে আমি চিনতে পেরেছি। বাকিদের মুখে কাপড় বাঁধা থাকায় শনাক্ত করতে পারিনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।’
খেঁদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে একটি বিস্ফোরিত বোমার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’
তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
২৩৫ দিন আগে
পাকিস্তানের কুয়েটা রেল স্টেশনে বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে শক্তিশালী বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। হামলায় আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
শনিবার বেলুচিস্তানের রাজধানী কুয়েটার রেল স্টেশনে এ বোমা হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলুচ জানিয়েছেন, কুয়েটা থেকে রাওয়ালপিন্ডি শহরের উদ্দেশ্যে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। এ সময় বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে বিবৃতি দিয়ে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি।
আরও পড়ুন: গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত
বিবৃতিতে তারা জানায়, আত্মঘাতী বোম্বাররা রেল স্টেশনে অবস্থানরত সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করেছে।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির এ দাবির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
টিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের লাগেজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
কুয়েটা পুলিশের কর্মকর্তা আয়েশা ফয়েজ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কয়েকজন যাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
এর আগে, সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ বলেছিলেন, হামলায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন মারা গেছেন।
তেল ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় কিন্তু সবচেয়ে কম জনবহুল প্রদেশ। এটি দেশটির জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু বেলুচদের একটি কেন্দ্রও। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য ও শোষণের শিকার হচ্ছেন বলে অনেকদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি, প্রদেশটিতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলোও সক্রিয় রয়েছে।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনী এবং পাকিস্তানে বেইজিংয়ের বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অবকাঠামোগত প্রকল্প নির্মাণের কাজে নিয়োজিত চীনা নাগরিকসহ বিদেশিদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
৩৯২ দিন আগে
জাপানের ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমা হামলা, গ্রেপ্তার ১
জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির টোকিওর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেশ কয়েকটি আগুনবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি এবং সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকেসহ দেশটির অন্যান্য গণমাধ্যম এই খবর প্রচার করেছে।
টোকিও পুলিশ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
খবরে বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তি তার গাড়ি চালিয়ে পাশের বেড়ার ভিতরে ঢুকে পড়েন। তবে হামলার উদ্দেশ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: জাপান সফরে গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান
সন্দেহজনক তহবিল এবং কর ফাঁকির সঙ্গে জড়িত একটি ঋণের কিস্তির অর্থ কেলেঙ্কারির কারণে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জনগণের কাছে ক্রমেই অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
শনিবারের হামলার বিষয়ে দলটি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পুলিশের কাছে সব প্রশ্নের জবাব নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
আগামী ২৭ অক্টোবর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। কিছু কলঙ্কিত রাজনীতিবিদ ক্ষমতাসীন দলের আনুষ্ঠানিক সমর্থন হারালেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দলটি নতুন ভাবমূর্তি তুলে ধরার আশায় সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবাকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে। তবে জনমত জরিপে তাদের জনপ্রিয়তা কমতে দেখা যাচ্ছে। যদিও বিভক্ত বিরোধীদের কারণে আসন্ন নির্বাচনে তারা নিম্নকক্ষে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে কিনা তা এখনি বলা যাচ্ছে না।
কিছু প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে, যা জাপানি সংস্কৃতিতে তুলনামূলকভাবে বিরল।
লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা গত কয়েক দশক ধরে প্রায় অবিচ্ছিন্নভাবে জাপান শাসন করে আসছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে জাপান একটি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়ায় তাদের নেতৃত্বকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
২০২২ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন দলের এক প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
আবের হত্যাকারী একটি হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বলেছিল, তিনি আবের প্রতি বিরক্ত হয়েছেন। কারণ তার মা পরিবারের সমস্ত অর্থ ইউনিফিকেশন চার্চে দিয়েছেন। আবে সেই চার্চের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করেছিলেন ওই হত্যাকারী। ক্ষমতাসীন দলের কিছু রাজনীতিবিদের সঙ্গে অনেকের এ ধরনের সম্পর্ক এখনো অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টায় শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের নিহন হিদানকিও
৪১৩ দিন আগে
গাজায় মসজিদ ও স্কুলে বোমা হামলা, নিহত ২৪
মধ্য গাজায় একটি মসজিদ ও একটি স্কুলে ইসরায়েলের বোমা হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৯৩ জন আহত হয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল ও ইবনে রুশদ স্কুল সংলগ্ন আল-আকসা শহীদ মসজিদে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
রবিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, দেইর আল বালাহ এলাকায় 'ইবনে রুশদ' স্কুল নামে পরিচিত একটি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের ভেতরে থাকা হামাস জঙ্গিদের ওপর 'সুনির্দিষ্টভাবে হামলা' চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।
আরও পড়ুন: গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১২
এতে আরও বলা হয়, দেইর আল বালাহ এলাকায় 'শুহাদা আল-আকসা' মসজিদ নামে পরিচিত একটি কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের মধ্যে তৎপরতা চালানো হামাস জঙ্গিদের ওপর বিমান বাহিনী 'সুনির্দিষ্টভাবে হামলা' চালিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। ১২০০ জনের মৃত্যু হয়। ২৫০ জনকে জিম্মি করে নেয় হামাস। এ হামলার পরপরই গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজার ৮২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এই সংঘাতের বর্ষপূর্তির একদিন আগেই মসজিদ আর স্কুল লক্ষ্য করে হামলা চালালো ইসরায়েল।
আরও পড়ুন: গাজার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত ৮
৪২৬ দিন আগে
পাকিস্তানে পোলিও কর্মসূচির কর্মীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা, আহত ৯
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাকিস্তানি তালেবানের সাবেক শক্ত ঘাঁটিতে রাস্তার পাশে পুতে রাখা বোমা দিয়ে নিরপত্তাকর্মীদের গাড়িতে হামলায় ছয় কর্মকর্তা ও তিন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়িটি পোলিও টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনাকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বহন করছিল।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের জেলা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই হামলায় কোনো পোলিও কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী কর্মী আহত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা তাহরির সরফরাজ।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে ৪ আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিহত
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে পুলিশকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
পাকিস্তানে পোলিও রোধ প্রচারণা প্রতিনিয়ত সহিংসতার শিকার হয়ে আসছে। পোলিও টিকাদান কর্মসূচিকে শিশুদের বন্ধ্যাকরণের একটি পশ্চিমা ষড়যন্ত্র দাবি করে সন্ত্রাসীরা টিকাদানকারী দল এবং তাদের সুরক্ষার জন্য নিযুক্ত পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে।
পাকিস্তান ৩ কোটি শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়ার অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর সর্বশেষ এ হামলার ঘটনা ঘটল। জানুয়ারি থেকে পাকিস্তানে ১৭টি নতুন হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনা দেশটিতে পোলিও নির্মূলের কয়েক দশকের প্রচেষ্টাকে বিপন্ন করেছে।
পাকিস্তান ও প্রতিবেশী আফগানিস্তানই একমাত্র দেশ যেখানে পোলিওর বিস্তার কখনোই বন্ধ হয়নি।
সম্ভাব্য প্রাণঘাতী, পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগটি বেশিরভাগ ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের আক্রমণ করে এবং সাধারণত দূষিত পানির মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ
৪৫২ দিন আগে
সিরিয়ায় ট্রাক বোমা হামলায় নিহত ১০, আহত ১৩
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর আজাজে একটি ট্রাক বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছে।
বুধবার ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত চারজন তুরস্ক সমর্থিত 'সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি'র সদস্য।
এদিকে অন্যান্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পর কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) বিস্ফোরণস্থলে শেল নিক্ষেপ করেছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে এসডিএফ ও তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীরা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে অবস্থিত আজাজ শহরটি সিরীয় সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
৪৮৫ দিন আগে
রাফাহতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার পশ্চিমাঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ জুন) ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আল-মাওয়াসি এলাকায় তাঁবু লক্ষ্য করে কামানের গোলা ও গুলি ছোড়ে।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো সিনহুয়াকে জানিয়েছে, ওই এলাকার কাছে ইসরায়েলি ট্যাংক অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার রাতভর গোলাবর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: রাফাহর আরও গভীরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বোমা হামলার ফলে বাস্তুচ্যুত লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি হয়। তারা তাদের তাঁবু ছেড়ে খান ইউনিসের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে পালিয়ে যায়।
মেডিকেল সূত্রগুলো সিনহুয়াকে জানিয়েছে, বোমা হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। তাদের সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আল-মাওয়াসি সমুদ্র তীরে একটি বিস্তীর্ণ বালুকাময় এলাকা। এটি গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চল দেইর আল-বালাহ শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে পশ্চিম খান ইউনুস হয়ে রাফার পশ্চিমে বিস্তৃত।
এই অঞ্চলে অবকাঠামো, নিকাশী নেটওয়ার্ক, বিদ্যুতের লাইন, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সংযোগের অভাব রয়েছে। সংকটগুলো সেখানে বসবাসকারী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রার কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি আলোচনার মাঝেই রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েলের
৫২৫ দিন আগে
ইরানে কাসেম সোলাইমানির স্মরণসভায় বোমা হামলায় নিহত ১০৩
২০২০ সালে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১৪১ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটল। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই বিস্ফোরণকে 'সন্ত্রাসী' হামলা বলে অভিহিত করেছেন।তবে কারা এ হামলার পেছনে রয়েছেন সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
দেশটির জরুরি বিভাগের মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারস্তকে উদ্ধৃত করে হতাহতের এ সংখ্যা প্রকাশ করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক 'ঠিক দিকেই এগোচ্ছে': ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিপ্লবী গার্ডের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ হামলা চালানো হয়। যিনি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় মারা যান। রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৮২০ কিলোমিটার (৫১০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে কেরমানে তার সমাধিস্থলের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন আহত হয়েছ।
একটি ফুটেজে দেখা গেছে, প্রথম বিস্ফোরণের প্রায় ১৫ মিনিট পর দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। সাধারণত জরুরি অবস্থার সেবাদানকারী কর্মীদের লক্ষ্য করে এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়াতেই দ্বিতীয়বার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।
রাষ্ট্রীয় টিভি ফুটেজে লোকজনকে চিৎকার করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের সমাজকর্মী নার্গেস মোহাম্মদি
কেরমানের ডেপুটি গভর্নর রহমান জালালি এই হামলাকে 'সন্ত্রাসী' আখ্যায়িত করেছেন।
ইরানের একাধিক শত্রু রয়েছে যারা এই হামলার পেছনে থাকতে পারে। এরমধ্যে নির্বাসিত গোষ্ঠী, জঙ্গি সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় ভূমিকা রয়েছে। ইরান হামাসের পাশাপাশি লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছে।
সোলাইমানি ছিলেন ইরানের আঞ্চলিক সামরিক কার্যক্রমের স্থপতি এবং ইরানের ধর্মতন্ত্রের সমর্থকদের মধ্যে জাতীয় আইকন হিসেবে প্রশংসিত হন। তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের সরকারকে সুরক্ষিত রাখতেও সহায়তা করেছিলেন। ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এটি আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হয়েছিল যা আজও চলছে।
২০২০ সালে তার শেষকৃত্যের সময় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৫৬ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে ইরান, সৌদি আরব ও মিশরসহ ৬ দেশ
৭০২ দিন আগে
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৯জন সেনাসদস্য নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে।
সামরিক ও তিনজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, দেশে জঙ্গি সহিংসতা ক্রমে বাড়ছে এটা তার লক্ষণ।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নুতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় পাঁচ সেনা আহত হয়েছে।
তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, আহতদের সংখ্যা ২০।
কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দাবি করেনি।
তবে পাকিস্তানি তালেবানদের সন্দেহ করা হচ্ছে।
কারণ তারা ২০২২ সাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বারবার হামলা করছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আফগানিস্তানে তালেবান শাসন শুরুর পর থেকে এ অঞ্চল বিদ্রোহীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পিকআপে বাসের ধাক্কা, আগুন ধরে নিহত ২০
এমনকি তারা প্রকাশ্যে আফগানিস্তানে বসবাস করছে।
বান্নু উত্তর ওয়াজিরিস্তানের প্রাক্তন জঙ্গি ঘাঁটির কাছে অবস্থিত। কয়েক বছর আগ পর্যন্ত যেটি বিদ্রোহীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।
কয়েক বছর আগে দেশটির সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয়, এই অঞ্চলের সব জঙ্গিঘাটি নির্মূল করা হয়েছে।
তবে বর্তমানে ফের উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ ধারণা করা হচ্ছে, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান নামে পরিচিত স্থানীয় তালেবানরা এই এলাকায় ফের সংগঠিত হচ্ছে।
পাকিস্তানি তালেবান একটি পৃথক গোষ্ঠী হলেও আফগান তালেবানদের সহযোগী।
২০২১ সালে মার্কিন ও ন্যাটোবাহিনী তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের পর আফগান তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গির্জা ও খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২৯
পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
৮২৬ দিন আগে