ফরিদপুর, ০২ নভেম্বর (ইউএনবি)-জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে ফরিদপুর -২ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গন। এই আসনেই প্রতিযোগিতা করেছেন বর্তমান সংসদ উপনেতা আওয়ামী লীগের সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদেরা।
ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও বর্তমান এমপি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আসনে আওয়ামী লীগের যে কোনো প্রার্থীর কাছেই সর্বজন শ্রদ্বেয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বর্ষিয়ান এই নেতার অসুস্থতায় বেশ কিছু নতুন মুখ মনোনয়ন চেয়ে মাঠে নেমেছে।
অপরদিকে মামলা-হামলা ও অন্ত:কোন্দলে বিএনপির অবস্থা বেহাল হলেও নির্বাচন সামনে রেখে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে সংসদের বাইরে থাকা দলটি।
জানা যায়, সাজেদা চৌধুরীর দুই ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু ও শাহদাব আকবর চৌধুরী লাভুর রেষা-রেষিতে দলের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। ফলে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের সমীকরণও জটিল হয়ে উঠেছে।
তবে সাজেদার সমর্থকেরা বলছেন, দলের মনোনয়ন নির্ধারণ হয়ে গেলে আর কোনো গ্রুপিং থাকবে না। সকলেই এক হয়ে কাজ করবে নেত্রীর পক্ষে। অসুস্থতাজনিত কারণে সাজেদা চৌধুরী প্রার্থী হতে না পারলে তার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলেও জানান তারা।
এছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে দলের কাছে মনোনয়ন চাইছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মেজর (অব) আতম হালিম, মুক্তিযোদ্ধা এয়ার কমড়োর (অব) কাজী দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক ও কৃষক লীগ নেতা লায়েকুজ্জামান, নগরকান্দা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক অ্যাড. জামাল হোসেন মিয়া, সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল।
অপরদিকে এ আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দুই জনের নামই শোনা যাচ্ছে। একজন হলেন ফরিদপুর অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিঙ্কু এবং বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবুল।
রিঙ্কুর বাবা বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন রিঙ্কু। বাবার অনুসারীরা তার পাশে থাকায় অন্য প্রার্থীর চেয়ে এলাকায় ভালো অস্থান রয়েছে তার।
এ আসনে ইসলামী ঐক্যজোট, সিপিবি ও জাকের পার্টিরও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড রয়েছে। সিপিবি’র পক্ষে হাফিজুর রহমান, জাকের পার্টির পক্ষে ফরিদপুর জেলার সভাপতি মশিউর রহমান যাদু মিয়া দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসন নগরকান্দা, সালথা ও কৃষ্ণপুর নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ১০৩ ভোট। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ২৯০ জন এবং পুরুষ ভোটার রয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৮১৩ জন।