মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর আদালত এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেপ্তারের আগেই জামিন নিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিঞা বলেন, পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদালত ফটক থেকে সারোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে এ মামলায় আদালত থেকে নেয়া জামিনের কাগজ দেখালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
এর আগে সারোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে ও অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফেরদৌস হাসান।
এছাড়া, গত শনিবার তিনি সংশ্লিষ্ট ইন্টার্ন চিকিৎসকের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
প্রসঙ্গত, ৯ মে বিকালে ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী পেটের পীড়ায় ভোগা একজনকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় রোগীর সঙ্গে একজনকে রেখে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তখন সারোয়ার হোসেন চিকিৎসককে ছুরি দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠে।