গ্রেপ্তার
বিয়ানীবাজারে আ.লীগ নেতা আশরাফুল গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলার তিলপারা নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) মো. ছবেদ আলি জানান, শুক্রবার রাতে র্যাব- ৯ এর একটি দল বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপারা নামক স্থান থেকে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে, বিয়ানীবাজার থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এখন তাকে সিআইডিতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর বিকালে একদল লোক বিয়ানীবাজার থানায় হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এই হত্যা মামলা আশরাফুল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি মামলার বাদি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
২ দিন আগে
‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আজকের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি’
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আমাদের সর্বপ্রথম দাবি হলো, আজকের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করবেন না। কোনো অপরাধী ছাড় পাবেন না। আমরা তাদের এ আশ্বাসের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই।’
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক বৈঠক শেষে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব এ কথা জানান।
মামুনুল হক বলেন, আমরা একেবারে স্পষ্ট যে এটি কোনো সংঘর্ষ ছিল না, বরং এটি ছিল এক পক্ষীয় হামলা। সাদপন্থিরা এখানে হামলা চালিয়ে নিরীহ লোকদের হতাহত, খুন ও অসংখ্য মানুষকে জখম করেছে।
আরও পড়ুন: যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
তিনি আরও বলেন, আমরা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জোরদারভাবে জানিয়েছি— এই হামলার আগে থেকে কারা কারা জড়িত সেই প্রমাণ ইতোমধ্যে জনসমক্ষে চলে এসেছে। কারা সেখানে গেট, বাউন্ডারি ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে ঢুকছে সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিতেও সেগুলো রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিয়ে প্রথমে বেলা ১১টায় বৈঠকে বসেন। পরে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের সঙ্গে বসেন উপদেষ্টাদেরা।
৫ দিন আগে
মৌলভীবাজারে কুখ্যাত মানব পাচারকারীর মূলহোতা গ্রেপ্তার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কুখ্যাত মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা ওয়াসকুরনীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল।
গ্রেপ্তার ওয়াসকুরনী (৩৮) ওই ইউনিয়নের লালারচক গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: তাহেরিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ
র্যাব জানায়, ওয়াসকুরনী মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় মানবপাচার, পাসপোর্ট ও মাদকদ্রব্য আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর রবিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরীফপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৯ সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. মশিহুর রহমান সোহেল বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর ওয়াসকুরনীকে কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় মালামাল জব্দ, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
১ সপ্তাহ আগে
তাহেরিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আলোচিত ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে তার অনুসারীদের হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে চরইসলামপুর ইউনিয়নের নাজিরাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার এড়াতে তাহেরি একটি বাড়ির পেছনে থাকা বিলের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপ-পরিদর্শক ফারুক, সহকারী উপ-পরিদর্শক প্রদীপ দাস, কনস্টেবল ইউনুস মিয়া, নিজাম উদ্দিন, মহসিন কবীর ও মো. শওকত। তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আটকরা হলেন- ওমর আলী, শাহানুর, মোশারফ মিয়া, হাকিম মিয়া, সেলিম ও মিজান মিয়া। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার নাজিরাবাড়ি এলাকায়।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, বিনা অনুমতিতে তাহেরি একটি মাহফিলের আয়োজন করলে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে পুলিশকে বাধা দেয় তার অনুসারীরা। এরইমধ্যে গ্রেপ্তার এড়াতে একটি বাড়িতে ঢুকে ফটক বন্ধ করে দিয়ে বাড়িটির পেছনে অবস্থিত বিলের পানি সাঁতরে তিনি পালিয়ে যান।
১ সপ্তাহ আগে
বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় মালামাল জব্দ, ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে অবৈধভাবে আসা প্রায় লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় মালামালগুলো বহন করা ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ৬১ বিজিবি তিস্তা-২ ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী বিওপির টহল কমান্ডার সুবেদার আবুল কাশেম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় ট্রাকচালক ফিরোজ রহমান (৩৪) কুচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা থানার ১৫৪ নগর চ্যাংড়াবান্ধার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
বিজিবি জানায়, সীমান্তের ৮৪২/১ এস নম্বর মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বুড়িমারী আইসিপিতে মালামালসহ ভারতীয় ট্রাক ও ট্রাকচালক ফিরোজ রহমানকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে মদ এক বোতল, ত্বক ফর্সা করা ক্রিম ৩৯০টি, শীসা তেল ১৬টি, পোকো মোবাইল একটি, ভারতীয় সিম একটি, ভারতীয় মুদ্রা ১ হাজার ১৯০ রুপি, সৌদি মুদ্রা ৫ রিয়াল জব্দ করা হয়।
জব্দ মালামালের মূল্য প্রায় ১লাখ ৪৫ হাজার ২৩৫ টাকা হবে বলেও জানান তিনি।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, ‘এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিককে আদালতে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে দুইদিনে পৌনে ২ কোটি টাকার চোরাচালানের মালামাল জব্দ
১ সপ্তাহ আগে
নিখোঁজের ৪ দিন পর ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
ফেনীতে নিখোঁজের চার দিন পর আহনাফ আল মাইন নিশাত (১০) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে ফেনী মডেল থানার পুলিশ। এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনীর দেওয়ানগঞ্জ এলাকার একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশু নিশাত ফেনী একাডেমি এলাকার বাসিন্দা মাইন উদ্দিন সোহাগের ছেলে ও ফেনী গ্রামার স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আশরাফ হোসেন তুষার (২০), মো. মোবারক হোসেন ওয়াশিম (২০) ও ওমর ফারুক (২০)।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের এক দিন পর ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, গত সোমবার ফেনীর একাডেমি এলাকার আতিকুল আলম সড়ক থেকে প্রাইভেট পড়ে আর বাসায় ফিরেনি নিশাত। নিখোঁজের পর থেকে নিশাতের বাবা মাইন উদ্দিন সোহাগের কাছে একটি নম্বর থেকে ফোন করে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়।
মাইন উদ্দিন এ ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ আশরাফ হোসেন তুষার নামে একজনকে আটক করে।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর দেওয়ানগঞ্জ রেললাইনের পাশে একটি ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুল ব্যাগে পাথর ঢুকিয়ে শরীরের সঙ্গে বেঁধে লাশ ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকায় মো. মোবারক হোসেন ওয়াশিম ও ওমর ফারুক নামে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি জানান, শিশু আহনাফ নিশাতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ডোবায় শাপলা তুলতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু
১ সপ্তাহ আগে
গ্রেপ্তারের পর আত্মহত্যার চেষ্টা দ. কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধানের
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিতর্কিত সামরিক আইন ঘোষণায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর আটক অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
আটক কেন্দ্রের কর্মীরা তার আত্মহত্যাচেষ্টা প্রতিরোধ করেছেন এবং সাবেক এই মন্ত্রী এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং হিউনকে বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তি যাকে ৩ ডিসেম্বর জারি করা সামরিক আইন আদেশের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে আটক করা হয়।
এই ডিক্রি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ও অর্থনীতিকে সাময়িকভাবে অচল করে দিয়েছিল এবং সারা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ তাদের তদন্ত জোরদার করছে। পুলিশ ইয়ুনের অফিসে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়েছে। অন্যদিকে দেশটির বিরোধী আইনপ্রণেতারা গত শনিবার ব্যর্থ চেষ্টার পর প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের জন্য পুনরায় একটি প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভিযোগ করেছে, ইউনের সামরিক আইন জারি অসাংবিধানিক ছিল। তিনিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত করে দলটি।
সামরিক কমান্ডাররা সাক্ষ্য দিয়েছেন,আইনপ্রণেতারা যাতে আদেশ উল্টাতে না পারে সেজন্য তাদের বাধা দিতে সৈন্যদের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন ইউন। অন্যদিকে পাল্টা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সাংবিধানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের দায়ে গত ৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে বাতিল হওয়া এই আদেশ ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়ে।
অভিশংসন প্রক্রিয়া সফল হলে সাংবিধানিক আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত ইয়ুনের ক্ষমতা স্থগিত করা হবে। পদ থেকে বরখাস্ত হলে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দেবে।
এই অস্থিরতা আন্তর্জাতিকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অস্থিরতা সম্পর্কে প্রতিবেদন করেছে। এতে বলা হয়, এটি একটি বিরল পদক্ষেপ যা দক্ষিণ কোরিয়ার অস্থিতিশীলতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা।
এদিকে, সমালোচকরা যুক্তি দেখান, চলমান রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে ইউনের সামরিক আইন জারি একটি বাড়াবাড়ি ছিল, যা এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গণতন্ত্রের বিভক্তিকে আরও গভীর করেছিল।
১ সপ্তাহ আগে
পুলিশ সাদাপোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না: উপদেষ্টা
পুলিশ সাদাপোশাকে থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তিরা যেন পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার না হন, আবার দোষী ব্যক্তিরা যেন ছাড় না পায়।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মাঝে মব-জাস্টিসের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কেউ অপরাধী হলে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতিতে জড়াবেন না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টের পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে যে স্থবিরতা ছিল সেটার উন্নতি হয়েছে। তবে তা জনগণের চাহিদা অনুযায়ী হচ্ছে না। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এ থেকে উত্তরণ সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধারে অভিযান চললেও এ পর্যন্ত আশানুরূপ সংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
আরও পড়ুন: থার্টিফার্স্ট নাইট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা
এগুলো উদ্ধারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি বা অবনতি সম্পর্কিত থাকায় একাজে গতিবৃদ্ধি করা দরকার বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের বড় ব্যাধি হলো ঘুষ। এটি বন্ধ না হলে দেশের অবস্থার পরিবর্তন হওয়া কঠিন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীতে নিয়োগ ও বদলিতে আর্থিক লেনদেন বন্ধ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পাশের দেশের অনেক মিডিয়া মিথ্যা ঘটনা তৈরি করে প্রচার করছে। আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলোকে সত্য ঘটনা তুলে ধরতে হবে। তাহলেই তাদের অসত্য প্রচার সবার সামনে দৃশ্যমান হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশি। আইন সবার জন্য সমান।
তিনি আরও বলেন, বাজারে সয়াবিন, আলু ও পেঁয়াজের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। সয়াবিন আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। আলুর দাম বেশি থাকায় কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি লাভবান হচ্ছে।
আগামী রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের(বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০৫ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজহার সিদ্দিকী, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, ডিজিএফআই’র কর্ণেল সৈয়দ আসাদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. রেজাউল হক।
সভায় অংশ নেন- সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, খুলনা রেঞ্জ পুলিশ, রেঞ্জস্থ সকল জেলার পুলিশ ইউনিট, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সিভিল প্রশাসনের কর্মকর্তা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলের ছাত্র প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নয়, ভারতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ সপ্তাহ আগে
ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলা: গ্রেপ্তার ৭, বরখাস্ত ৩ পুলিশ সদস্য
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সঙ্গে চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে জানিয়েছেন, তিন উপপরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ 'ক্লোজড' করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স (এনসিসি) থানায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আগরতলা হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দলের 'সহিংস বিক্ষোভ ও হামলায়' 'গভীর ক্ষোভ' প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে এই 'জঘন্য হামলা' এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ২৮ নভেম্বরে কলকাতায় অনুরূপ সহিংস বিক্ষোভের মতই ছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আগরতলার এই বিশেষ কাজটি কূটনৈতিক মিশনের আইনের লঙ্ঘন। একইভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন, ১৯৬১- এর লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
ভারত সরকার পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং দেশে তাদের উপসহকারী হাইকমিশনগুলোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যেকোনো ধরণের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা স্বাগতিক সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এই ঘটনার সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
কূটনীতিক এবং অ-কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে আর কোনো সহিংসতা যাতে না ঘটে সে জন্য পদক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে।
গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামে ইসকন সমর্থকদের বিক্ষোভের মধ্যে সংঘর্ষের সময় নিহত হন সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩২)।
আরও পড়ুন: ভারত সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল-গঠনমূলক সম্পর্ক চায়: ভার্মা
২ সপ্তাহ আগে
মেঘনা নদী থেকে ৮ ড্রেজার জব্দ, গ্রেপ্তার ১৬
চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে আটটি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ড্রেজার পরিচালনায় থাকা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-ইমরান খানের নেতৃত্বে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সদস্যরা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- জামাল হোসেন, মো. রাসেল গাজী, আজিজুল হাওলাদার, ইকবাল হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম, আল-আমিন, মো. মোতালেব, মো. মামুন, তোফাজ্জল, জাহিদুল ইসলাম, আবদুল হান্নান, আমির হোসেন, ইসমাইল, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও নাজমুল। এদের সবার বাড়ি চাঁদপুরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে বলে জানা গেছে।
মো. আল-ইমরান খান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নৌ-পুলিশের সহযোগিতা সোমবার সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বালু উত্তোলনকালে আটটি ড্রেজার হাতেনাতে জব্দ করা হয় এবং ড্রেজার পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম এস ইকবাল জানান, ড্রেজার থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থপনা আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে। জব্দ হওয়া ড্রেজার চাঁদপুর নৌ থানা হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে