গ্রেপ্তার
বিএনপির ২ নেতাসহ ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ গ্রেপ্তার
বিএনপির দুই নেতা, বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিবৃতিতে তিনি আরও জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ব্যারিস্টার আন্দালিবকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে সরকার: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী গ্রেপ্তারের অংশ হিসেবে রাজধানীর পৃথক পৃথক স্থান থেকে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম তেনজিং, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে সানিয়াতকে (রাজনীতিতে জড়িত নয়) গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্প্রতি বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: ২০০০ বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: ফখরুল
কোটা আন্দোলন: ১০ মামলায় আসামি ১৬ হাজার, গ্রেপ্তার শতাধিক
কোটা সংস্কারের দাবিতে সিলেটে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব মামলার এজাহারে প্রায় ২৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৬ হাজার জনকে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটে আন্দোলন শুরুর পর ১৭ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মেট্রোপলিটন এলাকার কোতোয়ালি থানায় পাঁচটি, জালালাবাদ থানায় চারটি ও দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ১০টি মামলায় ২৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৬ হাজার ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে সোমবার (২২ জুলাই) রাত পর্যন্ত ১০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মোহম্মদ সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মামলাগুলো পুলিশ অ্যাসল্ট, সরকারি কাজে বাধা, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা হয়েছে। এসবের মধ্যে একটি মামলার বাদী কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) ও বাকিগুলোর বাদী পুলিশ।’
২০০০ বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: ফখরুল
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে অন্তত দুই হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৪ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
ফখরুল বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি, এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তবে সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রেপ্তার ও হতাহতের সঠিক তথ্য তাদের কাছে নেই বলেও জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি এবং সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযানের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তালাবদ্ধ করে রাখায় তারা এখনও তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করতে পারছেন না। আপনারা দেখেছেন কীভাবে আমাদের অফিসে অভিযান চালানো হয়েছে এবং সবকিছু তছনছ করা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার ও আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করাই আ. লীগের লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল
হতাহতের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার কতজন নিহত ও আহত হয়েছে, সেই তথ্য না দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
সরকার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হতাহতের বিষয়টি এড়িয়ে শুধু হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করছে এবং বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সরকার আন্দোলনের বিষয়টি পুরোপুরি বাদ দিতে চায় এবং হতাহতের ঘটনা বাদ দিয়ে কেবল সরকারি ভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাই সামনে আনতে চায়, কারণ তারা এর দায় বিএনপির ওপর চাপাতে চায়।
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে সরকারের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘তারা আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন, তার মানে এই নয় যে তারা নাশকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তারা (সরকার) সহিংসতায় উসকানি দিয়েছে এবং সমস্যাটিকে টেনে এনেছেন।’
তিনি দাবি করেন, দলের ৪০ বছরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ইতিহাসে বিএনপি কখনো রাষ্ট্রের ওপর হামলা চালায়নি।
আরও পড়ুন: খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে পরিণতি ভোগ করতে হবে: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্বাধীনতা হারাবে: মির্জা ফখরুল
সালিশে নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ২ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
চুরির অপবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শারমীন আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় শারমীন শনিবার রাতেই চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং রবিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা ও একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: যশোরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
মামলার সূত্রে জানা যায়, মোবাইল চুরির অপবাদে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তরা শারমীন আক্তারকে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামের হুমায়ুনের বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরই শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। এসময় ইসহাক মোল্লা তার নাক, মুখ ও চোখে গামছা বেঁধে শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম পানি ঢেলে দেন। লাঠি দিয়ে হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে জখম করেন।
শারমীন আক্তার বলেন, ‘ইউপি সদস্য ইসহাক মোল্লা ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন প্রায় সময়ই কুপ্রস্তাব দিতেন। চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার জন্য বলতেন। তাদের সঙ্গে দেখা না করায় চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। মামলা করার পর হুমকি দিচ্ছেন তারা। আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।’
বিজয়নগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বিষ্ণুপুরের এক চৌকিদারের স্ত্রীকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। পরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার নির্দেশে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন ওই নারীকে ব্যাপক মারধর করে। চৌকিদারের স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।’
অভিযুক্ত বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা বলেন, ‘একটি বাড়িতে স্বর্ণালংকার চুরি হয়। এই ঘটনায় সালিসি সভা হয়। সালিসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই নারীকে মারধর করা হয়েছে।’
অভিযুক্ত বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় ৯ হাজার ৮০০ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেটে পৃথক অভিযানে ৭৯৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ৪
ভোলায় ৯ হাজার ৮০০ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ভোলার বোরহানউদ্দিনে মাদক বহনের অভিযোগে আলাউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে ৯ হাজার ৮০০ ইয়াবা জব্দের দাবি করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে উপজেলার টবগী ইউনিয়নের হাকিমুদ্দিন বেড়ীবাঁধ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুনুর রশীদ জানান, বোরহানউদ্দিন মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা হাকিমুদ্দিন বেড়িবাঁধ এলাকার চৌরাস্তায় চেকপোস্টে একটি যাত্রীবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে তল্লাশি চালিয়ে ৯ হাজার ৮০০ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন মডেল থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। এই ইয়াবা ব্যবসা চক্রের মূল হোতাকে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে ২৩৮৯২ ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
সিলেটে ৫৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেট সদর উপজেলায় চিনি চোরাচালানের অভিযোগে মোরাদ হাসান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ৫৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে সদর উপজেলার সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের কেওয়াছড়া চা-বাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোরাদ হাসান (১৯) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর বহর গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যান গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর বহর গ্রামের বাসিন্দা মো. দিদারুল আলম রাফিসহ (২৮) দু'জন।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান-স্ত্রীর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুনু মিয়ার দিক-নির্দেশনায় বিমানবন্দর থানাধীন ধোপাগুলস্থ সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের কেওয়াছড়া চা-বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৬৪০ কেজি (৫৫ বস্তা) ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়।
যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা। এ সময় চিনি বহন কাজে ব্যবহৃত দুটি পিকআপ জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘রাফিসহ অজ্ঞাতনামা ২জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। উল্লেখিত দুজনসহ অজ্ঞাতনামারর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে। মোরাদকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চট্টগ্রাম থেকে পরোয়ানাভুক্ত সিলেটের দম্পতি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সিলেটের পলাতক এক দম্পতিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার অর্নিজম রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার মৃত ডা. আব্দুল ওয়াহিদ বড় ভূঁইয়ার ছেলে ডা. মো. রাহিদ নজরুল ইসলাম বড় ভূঁইয়া (৫০) ও তার স্ত্রী নূরজাহান মুনতাশা (৪৫)।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২৬৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের দিক-নির্দেশনায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার অর্নিজম রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ডা. মো. রাহিদ নজরুল ইসলাম বড় ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলায় সাজা ও ৩০টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। নূরজাহান মুনতাশার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ২০১৬ সালের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২৮ লক্ষাধিক টাকার মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সিলেটে ২৬৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
সিলেট, ৫ জুলাই (ইউএনবি)- সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভারতীয় ২৬৫ বস্তা চিনিবোঝাই ২টি নৌকা জব্দ করেছে পুলিশ। এসময় আবুল হায়াত (৩০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ২ নম্বর পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের উত্তর প্রতাপপুর গ্রাম থেকে ২৬৫ বস্তা চিনি ও দুটি নৌকা জব্দ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে টাস্কফোর্সের অভিযানে ২৫৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ
গ্রেপ্তার আবুল হায়াত (৩০) পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের লুনি হাওর গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধারকৃত ভারতীয় চিনির মূল্য আনুমানিক ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা বলে জানায় পুলিশ।
আবুল হায়াতকে প্রধান আসামি করে আরও ৫ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১৩০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ২
সিলেটে ২৮ লক্ষাধিক টাকার মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সিলেটের গোলাপগঞ্জে ২৮ লক্ষাধিক টাকার মাদক জব্দ করেছে পুলিশ। এসময় ৩ জন মাদক কারবারিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ১২টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের গোলাপগঞ্জ ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া এলাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো - দক্ষিণ সুরমার বলদি এলাকার মৃত নানু মিয়ার ছেলে এনাম আহমদ (৪৬), সহযোগী নগরীর কুমারপাড়া এলাকার মৃত ইয়াসির আলী উরফে আব্দুল হকের ছেলে সিরাতুল আম্বিয়া টিপু (৪০) ও ফজর আলী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রেস ব্রিফিংয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সজল কুমার সরকার।
পুলিশ জানায়, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে ট্রলি ব্যাগ ও স্কুল ব্যাগে থাকা ৮ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।
এছাড়াও নগদ ১ লাখ ২ হাজার ২০০ টাকা ও মাদক ব্যবসায়ের কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।
এসময় বিদেশগামী যাত্রীর ছদ্মবেশধারী মাদক কারবারি এনাম ও টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি ফজর আলীকে দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমীন জানান, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার বিকালে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদকাসক্ত স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
মেহেরপুরে ১৩২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, নানি-নাতি গ্রেপ্তার
মেহেরপুরে ১৩২ বোতল ফেনসিডিল জব্দসহ নানি-নাতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প।
পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়িতে মাদক রাখার অভিযোগে শুক্রবার (৫ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ১০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩
গ্রেপ্তাররা হলেন, সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের শামসুল হুদার স্ত্রী সুজান বেগম (৫৫) এবং মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে মো. লিজন মিয়া (১৯)। সম্পর্কে তারা নানি ও নাতি।
র্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মনিরুজ্জামান বলেন, পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়িতে ফেনসিডিলের চালান রয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নানি ও নাতি পালনোর চেষ্টার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের ঘর থেকে জব্দ করা হয় ১৩২ বোতল ফেনসিডিল। যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এএসপি মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩০৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
মেহেরপুরে ২০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৪