গ্রেপ্তার
অটোরিকশায় তরুণীকে উত্ত্যক্ত করা ভাইরাল বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
অটোরিকশায় যাওয়ার সময় এক তরুণীকে অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে উত্ত্যক্ত করা ভাইরাল ভিডিওর সেই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
এ আগে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক পেজে দুটি ভিডিও পোস্ট করেন সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি অটোরিকশায় তার মুখোমুখি বসা এক বয়স্ক ব্যক্তি বারবার অশোভন অঙ্গভঙ্গি করছেন। মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
আয়েশা সিদ্দিকা জানান, তিনি ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বড়ভাঙা যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠেছিলেন এবং সে সময় এ ঘটনা ঘটে। অটোরিকশা থেকে নামার পর তিনি ওই ব্যক্তিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আয়েশার ভিডিও দুটি পুলিশের নজরে এলে তারা বিষয়টি তদন্ত করে। এরপর ওই বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৩ ঘণ্টা আগে
অবশেষে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া সেই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশের হাকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর সিলেটের ওসমানীনগরের সেই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আকছার আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গত ৩১ মার্চ গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাতকড়াসহ তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তার আকছার আহমদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলার আসামি।
আকছার ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকছার আহমদকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।
পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২ এপ্রিল ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করলেও এতদিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ছাতক সীমান্তে ভারতীয় ৬৫ দুম্বা ও ছাগল জব্দ
পুলিশের উপর হামলার একটি ভিডিও গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করে। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
ওসমানীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিক আহমদ আকছার আহমদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাহমুদ খলিলকে বের করে দেওয়া যেতে পারে: বিচারক
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ করায় গ্রেপ্তার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া যেতে পারে বলে রায় দিয়েছেন লুইজিয়ানার অভিবাসন আদালতের বিচারক জেমি কোমান্স।
গ্রেপ্তারের প্রায় মাসখানেক পরে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মাহমুদের আইনজীবীরা। আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন বিচারক। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এমন খবর দিয়েছে।
গত বসন্তে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সংঘটিত বিক্ষোভে জড়িত থাকার কারণে এ বছরের ৮ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা। এরপর থেকে লুইজিয়ানার জেনা শহরে একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে ছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইহুদিবিদ্বেষী বিক্ষোভ বন্ধের অভিযানের প্রথম শিকার ৩০ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি যুবক। মাহমুদ খলিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের শিক্ষার্থী। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের গ্রিনকার্ড রয়েছে তার। গ্রেপ্তারের পরই তার গ্রিনকার্ড বাতিলের কথা জানায় ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন: আমি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বন্দি: মাহমুদ খলিল
শুক্রবারের এই রায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ফিলিস্তিন-সমর্থিত গ্রিনকার্ডধারী ও ভিসাধারীদের কণ্ঠরোধ ও দমনপীড়নের পথ প্রশস্ত করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাহমুদের আইনজীবী ও আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস-নিউ জার্সির নির্বাহী পরিচালক অমল সিনহা বলেছেন, ‘তাড়াহুড়ো করে দেওয়া আদালতের এই রায় পুরোপুরি ভিত্তিহীন। সরকার পক্ষ নিজেদের সমর্থনে তেমন কোনো প্রমাণই উপস্থাপন করতে পারেনি, আসলে তাদের কাছে কোনো প্রমাণই তো নেই মাহমুদের বিরুদ্ধে।’
এই রায়কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মতামতের লজ্জাজনক অনুসরণ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটসের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ডিয়ালা শামাস।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের উদাহরণ দিয়ে রুবিও বলেছিলেন, ‘মাহমুদের কার্যকলাপ মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এজন্য তাকে বিতাড়িত করা উচিত।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সেই যুবক এখন বিপাকে
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে অগ্রাহ্য করার এখতিয়ার তার নেই বলে জানিয়েছেন বিচারক কোমান্স। তাছাড়া মাহমুদকে বিতাড়িত করতে প্রশাসন তাদের যুক্তি প্রমাণ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
খলিলের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, লুইজিয়ানার যে আদালতে মাহমুদের মামলার শুনানি হয়েছে, সেখানকার বিচারকরা ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে এই রায় দিয়েছেন।
তারা জানান, ১৯৫২ সালের অভিবাসন আইনের অধীনে নেওয়া সিদ্ধান্তের ‘যুক্তিসংগত কারণ’ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে, মাহমুদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে এই রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য এই রায়কে উল্লেখযোগ্য বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কারণ গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে ফিরেই ট্রাম্প অঙ্গীকার করেছিলেন, গত বছর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থি প্রতিবাদী আন্দোলনে জড়িত কিছু বিদেশি শিক্ষার্থীকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেবেন। এই আন্দোলনকে তিনি ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যম জেটো নিউজের এক খবরে জানা যায়, রায় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে খলিল বলেন, ‘এই আদালত ঠিক সেটিই করেছেন, ঠিক যে উদ্দেশ্যে আমার পরিবার থেকে প্রায় এক হাজার মাইল দূরে আমাকে পাঠিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। আমি আশা করি যে দ্রুততার সঙ্গে আমার ঘটনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, একইরকম যেন মাসের পর মাস আটকে থাকা বন্দিদের বিষয়েও আদালত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি অ্যাক্টিভিস্ট আটক: যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গত বসন্তে বিক্ষোভ করায় খলিলের মতো আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছেন অভিবাসন কর্মকর্তারা। তাদেরও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মাহমুদকে গ্রেপ্তারের পর তার আইনজীবী কিংবা তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে না জানিয়েই তাকে লুইজিয়ানাতে স্থানান্তর করা হয়, যদিও তার মামলাটি নিউ জার্সির একটি আদালতে বিচারাধীন ছিল।
এর আগে তার গ্রেপ্তারের ঘটনাটি মার্কিন সংবিধানের প্রথম ও পঞ্চম সংশোধনীর আওতায় দেওয়া বাক্স্বাধীনতার সুরক্ষাকে লঙ্ঘন করছে কি না সে বিষয়ে হাবিয়েস পিটিশন করেছিল তার আইনজীবীরা।
শুক্রবারের রায় ঘোষণার পর মাহমুদ খলিলের আইনজীবীরা বলেন, ‘মাহমুদকে বিতাড়ন করা আটকাতে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। তার পরিবারের কাছে তাকে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’
৪ দিন আগে
জামালপুরে গাঁজাচাষিসহ ৪ মাদককারবারি গ্রেপ্তার
জামালপুরে এক গাঁজাচাষিসহ চার মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ এপ্রিল) জামালপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
এসময় ৪ গ্রাম হেরোইন ও দেড় কেজি ওজনের গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল বাজারের উত্তরপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় ডিবি। এসময় চার গ্রাম হেরোইন উদ্ধার ও গুঠাইল উত্তর পাড়া এলাকার মৃত মুসার পুত্র শাকিল মিয়া (৩৭), গিলাবাড়ী উত্তর পাড়া এলাকার মৃত মনসুর শেখ ওরফে ফকির আলীর ছেলে আছর উদ্দিন ওরফে আলম শেখ (২৯), একই এলাকার মৃত ফকির আলীর ছেলে চুন্নু মিয়াকে (৪০) আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সরাইলে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
অপরদিকে গত রাতে মেলান্দহ উপজেলার ভাঙ্গনীডাঙ্গা গ্রামের একটি ভুট্টার জমি হতে দেড় কেজি ওজনের ২টি গাঁজা গাছসহ সাইফুল ইসলাম (৪৮) নামে এক গাঁজাচাষিকে আটক করে ডিবি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি গাঁজা চাষ ও ক্রয়-বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেছে আটক ব্যক্তিরা।
জামালপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিব ২টি ঘটনায় ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
৭ দিন আগে
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯
সারা দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দেশের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে এসব ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এতে আরও বলা হয়, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেপ্তার
তদন্তে সহায়তা করতে পারে—এমন তথ্য যাদের কাছে আছে তাদের সহযোগিতাও কামনা করা হয় বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, এই ধরনের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর। যারা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে শয়তান সংঘের সভায় হাতাহাতি, গ্রেপ্তার ৩
৯ দিন আগে
যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে খুন, গ্রেপ্তার ২
যশোরের শার্শায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন পরিকল্পিতভাবে জামাল হোসেন (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ এপ্রিল) শার্শা থানার কনফারেন্স রুমে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের পরদিন মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকালে নিহত জামাল হোসেনের পিতা আয়ুব হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এএসপি নাহিয়ান বলেন, মাদক বাহন ও মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে জামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কয়েকজন মিলে কৌশলে পিটিয়ে হত্যা হয়েছে। পরবর্তীতে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে জামাল হোসেন সড়ক দুর্ঘটনার মারা গেছে—এমন নাটক সাজায় হত্যাকারীরা।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাতে শার্শা উপজেলার উত্তর বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানত উল্লাহ ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া উপজেলার কাদপুর গ্রামের আলী হোসেন খাঁর ছেলে জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যশোরে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ ২ শতাধিক, বিক্রেতা গ্রেপ্তার
নিশাত আল নাহিয়ান আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্তকালে আসামি আমানত উল্লাহ ও জাহিদ হোসেনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় জাহিদ হোসেন ভিকটিম মৃত জামাল হোসেনের বাড়িতে এসে মিন্টুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে রাত ১০টার দিকে জামাল হোসেন ও জাহিদ হোসেন জনৈক শফির ভাটা সংলগ্ন পাকা রাস্তায় পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক তাকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় উপজেলার শিবনাথপুর (বিলপাড়া) গ্রামের আনসার আলীর ছেলে জাহিদুল (৩৫) এবং উত্তর বারপোতা গ্রামের মৃত তবিবুর রহমান তবির ছেলে আলাউদ্দিন (২৫) মৃত গোলাম রসুলের ছেলে হাফিজুর (৪০) মৃত তবিবর রহমানের ছেলে আমানত উল্লাহ (২৫) মৃত গোলাম রসুলের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) ও খালেকের ছেলে জুম্মান (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন। জাহিদুল নামে এক যুবক বাশ দিয়ে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করেছিল। পরে অন্যরা তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ভিকটিমকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ রাত ১১টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের জৈনক শফির ভাটার পাশ থেকে পুলিশ জামাল হোসেনের (২৫) লাশ উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী জামাল সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার কাদপুর এলাকার আয়ুব হোসেনের ছেলে।
১১ দিন আগে
লিবিয়ায় ২৩ অপহৃত বাংলাদেশি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
লিবিয়ার মিসরাতা শহরে ২৩ অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিবিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, লিবিয়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ২৩ জন অপহৃত বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে এবং এ ঘটনায় জড়িত দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। মিসরাতার আল-গিরান থানায় বেশ কয়েকজন বিদেশিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি এই তদন্ত শুরু করে।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে পিটুনিতে শ্রমিকদল নেতার মৃত্যু, লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তার ৪
তদন্তের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান চিহ্নিত করে পুলিশ সফল অভিযান পরিচালনা করে জিম্মিদের মুক্ত করে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত ব্যক্তি ও গ্রেপ্তারকৃতদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আল-গিরান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাস মিসরাতার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
১৫ দিন আগে
চোর সন্দেহে পিটুনিতে শ্রমিকদল নেতার মৃত্যু, লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তার ৪
লক্ষ্মীপুরে চোর সন্দেহে শ্রমিকদল নেতা রাজু হোসেনকে সংঘবদ্ধ পিটুনির পর মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩১ মার্চ) সদর উপজেলার সবুজের গোঁজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর গতকাল (সোমবার) তার মৃত্যু হলে এদিন রাতেই নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
নিহত রাজু হোসেন চররুহিতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ঈদের আগের দিন (রবিবার) রাতে প্রতিবেশী কবির হোসেনের ঘরে মোবাইল চার্জ দিয়ে বেরিয়ে যান রাজু। এ সময় তাকে চোর সন্দেহে আটক করেন কবির হোসেন ও তার সহযোগিরা। একপর্যায়ে অটোরিকশা চোর সন্দেহে কাজল কোম্পানির ইটভাটার সামনের রাস্তায় গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে পিটুনি দেন তারা। রাতভর তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সোমবার সকালে রাজুকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানে অবস্থার আবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু, আহত ২
এ ঘটনার পর পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত কবির হোসেনসহ চারজনকে আটক করে। পরে মামলা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন— সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের কবির হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, লিটন হোসেন ও রেখা বেগম। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘রাজুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
১৫ দিন আগে
রাজধানীতে চাঞ্চল্যকর সুমন হত্যাকাণ্ডের হোতাসহ গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর গুলশান-১ পুলিশ প্লাজার সামনে ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের হোতাসহ এই অপরাধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তাররা হলেন— মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ (৫৯) ও বেলাল (৪২)। এর মধ্যে বড় সাঈদকে পটুয়াখালীর চৌরাস্তা এলাকা থেকে এবং বেলালকে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশান-বনানী এলাকায় ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী সুমনকে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
আরও পড়ুন: অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যাকাণ্ড: চট্টগ্রামের ৬৩ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর
মামলার পর হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব-১, সিপিসি-১-এর একটি আভিযানিক দল। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বড় সাঈদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেইসঙ্গে রাত পৌনে ৯টার দিকে গ্রেপ্তার হন তাদের দলের অপর সদস্য বেলাল।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে র্যাব জানিয়েছে, বড় সাঈদের মাধ্যমে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে গত কয়েক বছর ধরে গুলশান-বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন মেহেদী নামের এক ব্যক্তি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মেহেদী পালিয়ে যান। তবে পলাতক অবস্থায়ও বড় সাঈদের মাধ্যমে চাঁদা সংগ্রহ করতেন তিনি।
মেহেদী পালিয়ে গেলে অন্য একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের (রবিন গ্রুপ) হয়ে সুমন গুলশান-বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করেন। গুলশান এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে চাঁদাবাজি নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে সুমনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের কারণে গ্রুপের নেতা মেহেদীর নির্দেশে সাঈদ সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়।
ঘটনার ৮/১০ দিন আগে সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেলাল ও মামুনের নেতৃত্বে মেহেদী গ্রুপের ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দিয়ে একটি কিলার গ্রুপ গঠন করেন বড় সাঈদ। সে সময় থেকে সুমনের ওপর নজর রেখে আসছিল ওই গ্রুপটি।
ঘটনার দিন গুলশান এলাকায় গিয়ে সুমনকে গোপনে খুঁজতে থাকে তারা। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে পুলিশ প্লাজার সামনে ডাক্তার ফজলে রাব্বি পার্কের সামনে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে গুলি করে তারা। গুলি খেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সুমনকে প্রতিপক্ষ আরও কয়েকবার গুলি করে। এরপর তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জের অস্থায়ী আদালতে হবে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার
এই ঘটনার পর গা ঢাকা দেন বড় সাঈদ। তবে গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুর আড়াইটার দিকে র্যাব-১ এর দলটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঝালকাঠি সদর থানার বাসিন্দা সাঈদকে পটুয়াখালী চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বেলাল।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
২১ দিন আগে
দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৮ম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে আগামীকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে বিষয় করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে।’
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি, টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঈদ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হবে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বস্তিতে অভিযান বৃদ্ধি করা হবে।’
যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়
ঈদের সময় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অধিদপ্তর এবং প্রযোজ্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সব কন্ট্রোল রুম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট অপারেশন সেন্টার (01320001223) এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
ঈদের সময় ট্রাফিক ও যানজট নিয়ন্ত্রণে যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে যানজট নিরসনে ইটিসিসহ (ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ) দ্রুত টোল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন ব্যতীত স্থলবন্দর ও নৌবন্দরসহ যেকোনো জায়গা থেকে ছেড়ে আসা নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ও লম্বা যানবাহনগুলো ঈদের পূর্বের তিন দিন এবং পরের তিন দিন যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে বা নৌ-রুটে ফেরি পারাপার করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রী পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করা হয় ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয়, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দপ্তর, সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড তথা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, টাকা স্থানান্তরে মানি এস্কর্ট প্রদান, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঈদের ছুটির পূর্বেই গার্মেন্টস/শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা হবে। অন্যথায় গার্মেন্টস/কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গার্মেন্টস কারখানা, অন্যান্য শিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ও ইন্ধনদাতা মালিক, শ্রমিক এবং বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট—‘জিরো টলারেন্স’।
আরও পড়ুন: র্যাব ও এপিবিএন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ যাবৎ নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণ মামলার বিচার কেবল দ্রুতই নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত ও যথাযথ হয় ব্যবস্থা নিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কঠোর করা হচ্ছে। তাছাড়া সভায় মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
২২ দিন আগে