নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মোটা অংকের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে ফালতু কাজে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো মূলত মিডনাইট নির্বাচনে সহায়তা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের উপঢৌকন দেয়া।’
তিনি বলেন, ‘খিচুড়ি রান্না প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। ইতোপূর্বে পুকুর খননের প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ পাঠানো হয়েছিল। এছাড়াও পাবদা মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নিতে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে গিয়েছিলেন। এসব অভিনব ও হাস্যকর তামাশা কেবলমাত্র শেখ হাসিনার আমলেই সম্ভব।’
বিএনপি নেতার অভিযোগ, সরকার প্রয়োজন ছাড়াই জ্ঞান সংগ্রহের নামে বিদেশে প্রেরণ করে জনসাধারণের বিশাল অর্থ অপচয় করছে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ডিপিই সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোজন কর্মসূচির আওতায় ‘খিচুড়ি প্রশিক্ষণে’ যোগ দেয়ার জন্য এক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ‘এখানে বিদেশ ভ্রমণের জন্য ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে এবং প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা।’
রিজভী বলেন, যে সরকারের আমলে একটা বালিশের দাম সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং একজন রোগীকে আড়াল করতে সাড়ে সাঁইত্রিশ লাখ টাকার পর্দা লাগে সেই সরকার যে আগাগোড়াই ‘লুটপাটের চেতনায়’ অনুপ্রাণিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
করোনা বিষয়ে রিজভী বলেন, সরকার শুরু থেকেই করোনা রোগীর আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ করেছে। জাতির সামনে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে না। ‘সরকার করোনার টেস্ট কমিয়ে দিয়ে করোনা রোগী নেই বলে জনগণকে ধাপ্পা দিয়ে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। এই ধাপ্পাবাজির উদ্দেশ্য হচ্ছে করোনা থেকে জনদৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে রাখা।’
বিএনপি নেতা বলেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও মিথ্যাচারের যন্ত্র বানিয়েছে সরকার।