খালেদা জিয়া মনে করেন তিনি ন্যয়বিচার পাবেন না।
বুধবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিচার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ দুপুর সোয়া ১২টায় হুইল চেয়ারে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করে।
বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের অনুমতি নিয়ে বিএনপি প্রধান বলেন, ‘এখানে ন্যয়বিচার নেই। যতদিন ইচ্ছা আপনি আমাকে সাজা দিতে পারেন।’
নিজের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি বারবার আদালতে আসতে পারবেন না। দীর্ঘ সময় আদালতে উপস্থিতও থাকতে পারবেন না। ‘এখানে দীর্ঘ সময় বসে থাকলে (হুইল চেয়ারে) আমার পা ফুলে যাবে।’
পরে বিচারক আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন এবং ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে মঙ্গলবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত বসিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিচারকার্য পরিচালনার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা হওয়ার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিএনপি প্রধান সেখানে বন্দি আছেন।
আদালত ত্যাগ করার আগে খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের বলেন, তার কোনো সিনিয়র আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ‘আমি এটা জানলে এখানে আসতাম না।’
তিনি আরো প্রশ্ন রেখে বলেন, আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে এক সপ্তাহ আগে প্রজ্ঞাপন জারি না করে কেন গতকাল (মঙ্গলবার) করা হলো। ‘আমি আদালতকে বলেছি যে আমি অসুস্থ, বারবার আদালতে হাজির হতে পারবো না। আমি জানি আদালতে ন্যয়বিচার পাবো না।’
বিএনপি প্রধান আরো জানান, তার বাম পা এবং বাম হাতের অবস্থা খুবই খারাপ..প্রায় অবস হয়ে গেছে।