তিনি বলেছেন, ‘মানুষ এখন নিজের ছায়া দেখে ভয় পায়। কারণ, বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা কালাকানুন পাসের হিড়িক চলছে।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরো বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর এখন পর্যন্ত ২৩টি অধিবেশনে দুই শত আইন পাস করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে নিরঙ্কুশ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই এ গণবিরোধী খারাপ আইনগুলো পাস করিয়েছেন।’
তিনি বলেন, গত অধিবেশনেও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের কণ্ঠরোধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৮টি আইন পাস করা হয়েছে। ‘দেশের রাজনীতিসহ গোটাদেশকে কব্জায় নিতে অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এত কালো আইন পাস করে রেকর্ড গড়তে চলেছেন।’
এ বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা যত দিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন গণবিরোধী কাজের সমালোচনাও করা যাবে না। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না, ব্যাংক লুটের কথা বলা যাবে না, অপকর্মের কথা বলা যাবে না, গুম ও গুপ্ত হত্যার কথা বলা যাবে না,’ যোগ করেন তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলার হিড়িক চলছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো একজন খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধা, মানবধিকার কর্মীরাও আজ সরকারের সহিংস আচরণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। কতটা হিংসার আচরণ করা যায় তার সবটাই প্রয়োগ করা হচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষদের ওপর।’
‘যদি জনগণ ভোট দেয় আমরা আবার ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা হবে’ বুধবার জাতীয় সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘উনি রাষ্ট্রক্ষমতা আটকে রেখেছেন জনগণের কল্যাণে নয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার লক্ষ্যে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, আইনি ব্যবস্থায় প্রতারণামূলক নীতি কার্যকর আছে কেবলমাত্র ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে। সেজন্য তিনি যা ইচ্ছা তাই করার হুমকি দেন।’
এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তাদের মুক্তির দাবি জানান এই বিএনপি নেতা।