রুহুল কবির রিজভী
আ.লীগ আফ্রিকান মাগুর, সবই খেয়ে ফেলত: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছের মতো। যা পেত সবই খেয়ে ফেলত। এছাড়া ১৬ বছর আওয়ামী লীগ নিজেদের লোকজনকে লুটপাটের গণতন্ত্র দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ করেছিল। তাই দেশে এখন গণতন্ত্র আনতে অচিরেই নির্বাচন দরকার। এই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে শনিবার (১৬ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে আসা ১৮ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১৭ লাখ কোটিই পাচার করেছে আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: পরাজিত ফ্যাসিস্টরা ভূত-পেত্নির মতো আওয়াজ দিচ্ছে: রিজভী
শেখ হাসিনা রক্ত পিপাসু, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হাজার হাজার মানুষ খুন করেছেন বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে নিজের বাবার জমিদারি মনে করতেন। তাই তিনি নিজের ইচ্ছে মতো দেশ পরিচালনা করেছেন, ব্যাংক লুট করেছেন। বিরোধী দলের ওপর খুন, গুম, নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে পলাতক অবস্থায় থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বিএনপির দুই নেতাকে হত্যা করিয়েছেন।
ফ্যাসিবাদ পুনরায় যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, তাহলেই ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
আমরা বিএনপি পরিবার’র উদ্যোগে উপজেলার দুধল ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই সভা হয়।
এর আগে তিনি সুন্দরকাঠী গ্রামে শহীদ আরিফুর রহমান রাসেলের কবর জিয়ারত করেন।
আমরা বিএনপি পরিবারের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহাবুবুল হক নান্নু, বরিশাল নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাসির হাওলাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির জমাদ্দার ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন তালুকদার প্রমুখ।
সভার শুরুতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বরিশাল বিভাগের ৩১টি শহীদ পরিবারকে উপহার সামগ্রী তুলে দেন রিজভী।
দেশের ২৮টি জেলার ১৫০ শহীদ পরিবারকে সহায়তা করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
আরও পড়ুন: মুজিবের ছবি অপসারণ নিয়ে বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন রিজভী
শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: রিজভী
৫ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৭৩ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭৩ নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে দেশের ১৫২টি উপজেলায় ভোট হবে।
চার ধাপে মোট ৪৯২টি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপির শীর্ষনেতারা।
৬ মাস আগে
হাসিনা সরকারের অন্যায়-নৃশংসতা ফাঁস করে দিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন: রিজভী
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন-২০২৩ বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের 'অবিচার ও নৃশংসতার' ফাঁস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে গুম, গুপ্তহত্যা ও নির্যাতনসহ বাংলাদেশে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইলিয়াসসহ অন্যদের নিখোঁজের পেছনে রাষ্ট্রের হাত রয়েছে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার ও তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধাসহ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
অবিচার ও নিষ্ঠুরতার দৃশ্যমান ঘটনাগুলোর মাধ্যমে প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির আসল রূপ তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রবার্ট এস গিলক্রিস্ট মানবাধিকার প্রতিবেদনটি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, গিলক্রিস্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন কারসাজির মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল মাত্র ৪টি মামলা।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে 'মিথ্যা' মামলায় সাজা দিয়ে তড়িঘড়ি করে নিজের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা প্রত্যাহার করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা অনেকবার এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এবার তা মার্কিন রিপোর্টেই উঠে এসেছে। মানুষ বিশ্বাস করত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার খালেদা জিয়া। এবার গণতান্ত্রিক বিশ্ব তাদের বস্তুনিষ্ঠ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তা তুলে ধরেছে।’
সোমবার ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন (এইচআরআর) প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। একে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি ‘বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ’ রেকর্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মার্কিন দূতাবাস।
১৯৮টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি (এইচআরআর) তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অংশে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে আটক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অনেক খবর পাওয়া গেছে।
এতে দাবি করা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করতে ও শাস্তি দিতে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।
রিজভী বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের নিপীড়ন, নৃশংসতা, গুম, খুনসহ নানা অপকর্মের কথা বলে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর লুকানোর কিছু নেই। শেখ হাসিনার অবিচার, রক্তপাত ও নানা অপকর্মের ঘটনা ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক বিশ্বে বেরিয়ে আসছে। গোটা বিশ্ব এর নিন্দা করছে।’
আরও পড়ুন: হাসিনা সরকারের অন্যায়-নৃশংসতা ফাঁস করে দিয়েছে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ভয় পায়: রিজভী
৬ মাস আগে
ইলিয়াসসহ অন্যদের নিখোঁজের পেছনে রাষ্ট্রের হাত রয়েছে: রিজভী
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পেছনে রাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের ১২ বছর স্মরণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল বনানী ২ নম্বর রোডের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনছার আলী।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই: রিজভী
ইলিয়াস আলীর ব্যবহৃত গাড়িটি ওই দিনই ঢাকার মহাখালী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হলেও ১২ বছর পরও তাদের দুজনের সন্ধান মেলেনি।
রিজভী বলেন, দেশবাসীর কাছে এটা স্পষ্ট যে, এই ‘ফ্যাসিবাদী সরকার’ ইলিয়াস আলীকে গুম করে দিয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ ও সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সিলেট অঞ্চলে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনের মূল নেতা হিসেবে ইলিয়াস আলী ছিলেন রাষ্ট্র ও বিদেশি শক্তির মাথাব্যথার কারণ। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধেও তিনি সক্রিয় ছিলেন বলে জানান রিজভী।
ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর সরকার তাকে খুঁজে বের করার নামে বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করেছিল বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি বলেন, এসব নাটকের কাহিনী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়।
রিজভী বলেন, শুধু ইলিয়াস আলীই নন, সাইফুল ইসলাম হিরু, সাবেক কাউন্সিলর চৌধুরী আলম, জাহিদুল করিম তানভীর, মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আল আমিন, সাজেদুল ইসলাম সুমন, আবদুল কাদের ভূঁইয়া মাসুম, জাকির হোসেন মুন্না, মীর আহমেদ বিন কাসেম, আব্দুল্লাহিল আজমী, ইফতেখার আহমেদ দিনারসহ আরও অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
রিজভী বলেন, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের মতে ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৬২৩ জনকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৬ জন নিখোঁজ ও গুমের শিকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনেও দেখা গেছে গত ১৫ বছরে প্রায় ৬০০ মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
৭ মাস আগে
বাংলাদেশ শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনেরও সম্মুখীন: রিজভী
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সময় ‘রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে পোশাক পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতিসহ বাংলাদেশি পরিচয়ের মৌলিক দিকগুলো পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।
রিজভী আরও বলেন, ‘পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ইছামতি, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সৃষ্ট আমাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য- যা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রেখেছে, তা ভাঙতে পারবে না আওয়ামী লীগ।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে ঘিরে জাতির পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ সুরক্ষিত রয়েছে।
রিজভী বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসবের চেতনা ছেয়ে গেছে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতার জন্য লড়াইকারীদের সংগ্রামে। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী কারাবন্দি। মাত্র কয়েকজনকে মুক্তি দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদযাপনের আনন্দ নেই।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদ আনন্দ নেই: রিজভী
৭ মাস আগে
আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
আওয়ামী লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতার পাশাপাশি গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নাৎসিদের মতো চরম বর্বরতার সঙ্গে দেশ শাসন করছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে প্রতিবেশী দেশের 'যুদ্ধের করিডোরে' পরিণত করা হচ্ছে: রিজভী
রিজভী বলেন, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে সীমিত আয়ের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা এখন কঠিন। তাই তাদের মুখে আনন্দের চিহ্ন নেই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শাসক মহলের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দৈনন্দিন জীবন যাপনে কষ্টের মধ্যে ফেলেছে।’
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে গরিব মানুষ নিঃশব্দে কাঁদছে। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করে, সিন্ডিকেটের চক্র ধ্বংস না করে বিরোধী দলকে দমন করতে ব্যস্ত।’
বিদেশে চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ বছর ধরে কারাগারে আটকে রেখেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, প্রায় প্রতিদিনই বিএনপির কিছু নেতাকর্মী খুন বা গুমের শিকার হচ্ছে, কারারুদ্ধ হচ্ছে অথবা মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ওদের (বিএনপির নেতাকর্মীদের) সারাদিন আদালত প্রাঙ্গণে কাটাতে হয়। ফলে যাদের চাকরি ছিল তারা চাকরি হারিয়েছেন, ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকার দেড় লাখ মামলা দিয়েছে, যেখানে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’
বিএনপির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
৭ মাস আগে
উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কুইক রেন্টাল, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মতো উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগই নয়, যারা নির্লজ্জভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে, বিরোধী দল দমনে সহযোগিতা করেছে তারাও এই লুটপাটের অংশ।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিএনপির আন্দোলনের সময় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি (বেনজীর) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ জাতি জানতে পেরেছে যে তিনি (বেনজির) একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করেছেন যা আলিফ লায়লার গল্পকে হার মানায়।’
কীভাবে তিনি এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করলেন জানতে চেয়ে প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ ও মাংস কেনা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। লেবুর দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় রোজা ভাঙার জন্য পানীয়ের ব্যবস্থা করাও সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, প্রতি কেজি খেজুর ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা একজন দিনমজুর বা রিকশাচালকের পক্ষে কেনা একেবারেই অসম্ভব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
৭ মাস আগে
গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ সোমবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএনপি
৩১ ডিসেম্বর রাত ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কঠোর কোনো কর্মসূচি না দিয়ে চলমান গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি আরও দুই দিন বাড়িয়ে সোমবার পর্যন্ত করেছে বিএনপি।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলছে। আগামীকাল (রবিবার) বছরের শেষ দিন এবং পরের দিন আগামী বছরের প্রথম দিন...সাধারণত অনেকেই এই দুই দিনকে ভিন্নভাবে উদযাপন করেন।’
বাংলাদেশে জনগণের আনন্দের মেজাজে এই দিনগুলো উদযাপন করার মতো পরিস্থিতি না থাকলেও বিএনপি জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে তাদের জন্য গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি দুই দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান রিজভী।
তিনি বলেন, তাদের দলের সমমনা বিরোধী দলগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভিন্ন... জনগণের মনে আনন্দ নেই কারণ তারা দেশে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
রিজভী বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নজিরবিহীন কারচুপি এবং রাতের বেলা ব্যালট স্টাফিংয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল। ‘আমরা এর নিন্দা জানাই এবং তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা প্রকাশ করি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার চলমান গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শনিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে দলটি।
২৪ ডিসেম্বর দলটি ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় তিন ডজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির আন্দোলন গতি হারিয়ে ফেলে। কারণ এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন দেশব্যাপী অবরোধ এবং চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল পালন করেছে।
অবশেষে ২০ ডিসেম্বর বিরোধী দল অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
শনিবার পর্যন্ত চলবে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচি
১০ মাস আগে
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
সুস্পষ্টভাবে ভারতকে খোঁচা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচন করতে একটি দেশ বাংলাদেশে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে- বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারাই নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। একটি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে একটি ডামি নির্বাচন করতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।’
তিনি অবশ্য ভারতের নাম উল্লেখ করেননি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি দেশবাসীকে সাজানো নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।
সরকার শুধু ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশকে একটি দালাল রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের নীলনকশা সফল হতে দেবে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। ‘এটি আসন ভাগাভাগি ও বণ্টনের নির্বাচন। এটা একটা প্রহসনমূলক নির্বাচন।’
জনগণই দেশের মালিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জনমত উপেক্ষা করে ডামি নির্বাচন করে বিদেশিদের ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে। যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন সরকার সফল হবে না।
আরও পড়ুন: ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে সরকারের 'মরিয়া' চেষ্টায় সাড়া মিলছে না: রিজভী
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটারদের এই ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি... ভোটের দিন ঘরে থাকুন, ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এই অবৈধ নির্বাচনকে না বলুন।’
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রিজভী বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি-১৫-এর কাঁচা বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন ও আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা না করার আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন জোগাড় করতে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছে।
বৃহস্পতিবার দলটি গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির মেয়াদ শনিবার পর্যন্ত আরও দুই দিন বাড়িয়েছে।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় তিন ডজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির আন্দোলন গতি হারিয়ে ফেলে, কারণ এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন দেশব্যাপী অবরোধ এবং চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল দেয়।
অবশেষে ২০ ডিসেম্বর বিরোধী দল অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: ইসির আন্দোলন বন্ধ করতে চাওয়া নজিরবিহীন ও গণবিরোধী: রিজভী
ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
১০ মাস আগে
রবিবার ফের বিএনপির অবরোধ
১০ দিন বিরতির পর আগামী রবিবার ফের সারাদেশে দিনব্যাপী সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
৩১ অক্টোবর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর দ্বাদশ দফা অবরোধ কর্মসূচি এবং ২০ ডিসেম্বর সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণার পর প্রথম দফা।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
গত সোমবার এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
সংবাদপত্র পরিবহনকারী বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।
রিজভী বলেন, নতুন করে অবরোধ কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারকে পদত্যাগ করা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে চাপ সৃষ্টি করা।
আরও পড়ুন: আজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ঘোষণা বিএনপির
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপির পক্ষ থেকে রিজভী সেসব বিরোধী দলগুলোর নেতাদের ধন্যবাদ জানান, যারা ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দেশের জনগণকে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় 'একতরফা' নির্বাচন বর্জন করার এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনসমর্থন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালিয়েছেন।
এর আগে, বিরোধী দলগুলো সর্বশেষ ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ৩৬ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ কার্যকর করেছিল।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩৫ টির বেশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর থেকে ১১ দফায় ২২ দিন দেশব্যাপী অবরোধ এবং চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল দেয়।
অবশেষে বিরোধী দল ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: ২১-২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ এবং ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধের ঘোষণা বিএনপির
আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
১০ মাস আগে