রবিবার বেলা ১১টার দিকে ইউএনও সামিউল আমিনকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়িতে হাজির হয়ে বাবা-মায়ের মুচলেকা নিয়ে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকান ওই স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উত্তর ধুবনী গ্রামে।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর ধুবনী গ্রামের সাইরুদ্দিনের মেয়ে শাহিনা আক্তারকে শুক্রবার রাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তার বাবা-মা। উপায় না পেয়ে শাহিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
ওই বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে শুক্রবার রাতেই হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলমকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই ছাত্রী। তার কাছে তেমন সহযোগিতা না পেয়ে শনিবার রাতে হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিনকে ফোন করে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে সহযোগিতা কামনা করেন শাহিনা।
রবিবার সকালে ইউএনও সামিউল আমিন হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে সাথে নিয়ে প্রথমে শাহিনা আক্তারকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। পরে ইউএনও নিজ গাড়িতে করে শাহিনাকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হন।
এ সময় তার বাবা সাইরুদ্দিনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আইয়ুব আলীর জিম্মায় দেন।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বলেন, ‘রাতে খবর পাওয়া মাত্র আমি ওই স্কুলের শিক্ষকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সকালে মেয়েকে তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে শাহিনাকে তাদের কাছে দিয়ে এসেছি। শাহিনার বাবা-মা মুচলেকা দিয়েছেন ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দিদেবেন না।’