গত ১৫ নভেম্বর থেকে একযোগে জেলার চারটি উপজেলাতে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কর্মসূচি চলাকালে প্রতিদিন দিনভর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে আন্দোলনকারীরা অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ ও সমাবেশ চালিয়ে আসছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, উপজেলা ও ভূমি অফিসে কর্মরত ১৬-১১ গ্রেডের কর্মচারীদের পদ পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে ২০০১ সাল থেকে আন্দোলন চলে আসছে। ২০১১ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী পদবি পরিবর্তন সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ অনুমোদনও দিয়েছে। কিন্তু গত ৯ বছরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এতে করে তৃণমূলের কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর এ কারণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।’
কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘৯ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরও আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘একই গ্রেডের প্রাথমিক শিক্ষক, সমাজ সেবা, পুলিশ বিভাগ, পরিসংখ্যান, অডিট, কৃষি ও প্রাণি সম্পদসহ জেলা প্রশাসনের অধিনে তহশীলদার ও সহকারী তহশীলদারদের গ্রেড পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। ’
কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, ‘নিয়মিত সময়সূচির বাইরেও আমরা রাতদিন পরিশ্রম করি। আমরা চাই মাঠ প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে। কিন্তু আমাদের যৌক্তিক ও ন্যায় সংগত দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। এতে করে আমাদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘৩০ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে, জেলা প্রশাসনসহ জেলার চারটি উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা কর্মবিরতির কারণে সেবা নিতে এসে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকেই।