বিক্ষোভ
গাজীপুরে কারখানা বন্ধের ঘোষণায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। কারখানা খুলে দেওয়া এবং তাদের কিছু দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকার পি এন কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার এক শ্রমিক গত ৭ ডিসেম্বর জরুরি কাজে কারখানা থেকে বের হয়ে বাইরে যান। যখন তিনি কাজ শেষ করে ফিরে আসেন, তখন কারখানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন, অর্থাৎ গতকাল (সোমবার) শ্রমিকদের কয়েকজন ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সারা দিন শ্রমিকদের বুঝিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিকেলে শ্রমিকরা চলে গেলে কর্তৃপক্ষ রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধের নোটিশ কারখানার প্রধান ফটকে সেঁটে দেওয়া হয়।
নোটিশে লেখা রয়েছে, পি এন কম্পোজিট লিমিডেটের সংশিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ৭ ডিসেম্বর থেকে কারখানার শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি উত্থাপন করে, অবৈধভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে। চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে এবং অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়, যা আজও চলমান। এর ফলশ্রুতিতে কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। এ ছাড়াও কারখানার নির্ধারিত রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে কোম্পানি বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আহ্বান জানায় যে, যে কোনো প্রকার দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব এবং সবাইকে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা কাজে যোগদান করা থেকে বিরত থাকে। ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। শ্রমিকদের এই আচরণ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ এই কারখানার শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল। পরবর্তীতে কারখানা চালু করার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কোনাবাড়ি থানা পুলিশ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে কারখানার ব্যবস্থাপক তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর ডিউটি চলাকালীন একজন শ্রমিক কারখানার বাইরে যায়। পরে তার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করলেও তারা কথা না শুনে সোমবারও কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঘটনাস্থলে শিল্প ও থানা পুলিশ রয়েছে। শ্রমিক এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
৮ দিন আগে
নাটোরে সারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে কৃষকদের বিক্ষোভ
সারের দাবিতে নাটোরের নলডাঙ্গায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। আসন্ন বোরো মৌসুমের জন্য ডিলার পয়েন্টে গিয়ে সার না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে এ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলা মোড়ে কৃষকরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভে উপস্থিত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলা মোড়ে অবস্থিত সার ডিলার শ্যাম সুন্দর আগরওয়ালের দোকানে গিয়ে সারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তারা। সেখানে সার না থাকার খবর পেয়ে একপর্যায়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন তারা। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। সেখান থেকে ফিরে উপজেলা মোড়ে গিয়ে প্রধান সড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় কৃষকরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিশোয়ার হোসেনের অপসারণ দাবি করেন। পরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সার প্রপ্তি নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে প্রায় এক ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।
শ্যাম সুন্দরের ব্যবস্থাপক বকুল দাস জানান, বরাদ্দ অনুযায়ী সব সার তারা উত্তোলন করতে পারেননি। অনেক কৃষক চলতি রবি ও আসন্ন বোরো মৌসুমের একবারে সার সংগ্রহ করার কারণে চাপ তৈরি হয়েছে। বরাদ্দ অনুযায়ী সকল সার কৃষক-পর্যায়ে বিক্রি করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল এমরান খান বলেন, ডিলার পয়েন্টে সার পৌঁছলেও কৃষকরা কেন পাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১০ দিন আগে
গাজীপুরে ৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
নয় দফা দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন কাদের সিনথেটিক ফাইবার্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান করেন। কর্তৃপক্ষের কাছে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করার পরও কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা।ি
আরও পড়ুন: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একমাত্র বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ সমাবেশ
শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো
• বেতন ৭-১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে;
• মেডিকেল ছুটি পাস করালে হাজিরা বোনাস থাকতে হবে। এই ছুটি কোনো অফিসের কর্মকর্তা পাস করাতে পারবেন না;
• মেডিকেলে সব ধরনের ওষুধ থাকতে হবে;
• নাইট বিল সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা দিতে হবে;
• বার্ষিক ছুটির টাকা জানুয়ারি মাসে দিতে হবে;
• শ্রমিকের নিরাপত্তার জন্য ছোট বাটন ফোন সঙ্গে আনার অনুমতি দিতে হবে;
• যারা চাকরি ছাড়বেন তাদের সঙ্গে সঙ্গে টাকা পরিশোধ করতে হবে;
• বিনা কারণে কোনো শ্রমিককে বের করা যাবে না; এবং
• যদি কোনো কারণে শ্রমিককে বের করা হয়, তাহলে রানিং মাসের বেতন এবং তিন মাস ১৩ দিনের বেতনসহ রিজাইনের টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিক্ষোভ-অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
এ বিষয়ে জানতে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা অওরঙ্গজেব খান গণমাধ্যমকে বলেন, গত মাসের বেতন ১৬ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে পরিশোধ করা হবে। অন্যান্য যে দাবি-দাওয়া আছে তা পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়া হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ী জোনের পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ জামান জানান, শ্রমিকরা ৯ দফা দাবিতে কারখানার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়।
৬৫ দিন আগে
বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
নেপালে বিক্ষোভ ১৯ জনের মৃত্যুর পর পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রসাদ (কে পি) শর্মা অলি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)।
এর আগে, বিক্ষোভ ও সহিংসতার পর গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশটির অন্তত সাতটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়, বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই তরুণ বা জেন-জি প্রজন্মের।
কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে পুলিশের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। সে সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করে নেপালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে গুলিও চালানো হয়।
আরও পড়ুন: ১৯ মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল নেপাল সরকার
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে তরুণদের নেতৃত্বে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার।
গত সপ্তাহে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্সসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ও বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নেপাল সরকার। নতুন নিয়মনীতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার কারণ দেখিয়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে নিয়ম মানায় টিকটকসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বিধিনিষেধের আওতার বাইরে ছিল। এর প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
৯৯ দিন আগে
১৯ মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল নেপাল সরকার
নেপালে তরুণদের নেতৃত্বে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশটির অন্তত সাতটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়, বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগই তরুণ বা জেন-জি প্রজন্মের।
কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে পুলিশের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। সে সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করে নেপালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে গুলিও চালানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
সহিংসতার পর রাজধানীসহ আরও দুটি শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পুরনো বন্ধু’ পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ‘প্রিয় বন্ধু’ শি
এরপর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সামাজিক মাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির প্রশাসন।
এদিকে, বিক্ষোভ ও সহিংসতার পর গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রসাদ শর্মা অলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সহিংসতার ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।
বিক্ষোভের শুরু যেভাবে
গত সপ্তাহে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্সসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ও বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নেপাল সরকার। নতুন নিয়মনীতি মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার কারণ দেখিয়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে নিয়ম মানায় টিকটকসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বিধিনিষেধের আওতার বাইরে ছিল।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মূলত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, ভুয়া খবর ও অনলাইন অপরাধ দমনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর ওপর নতুন নিয়মনীতি কার্যকর করা হয়েছে।
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে নেপালের জনগণ। একে সেন্সরশিপের হাতিয়ার এবং অনলাইনে সরকারের সমালোচনা করা বিরোধীদের শাস্তি দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বন্দিশিবিরগুলোতে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ
এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইউটিউবের মালিক গুগল কিংবা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ও ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্মের মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে, এর আগে ২০২৩ সালে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে ৯ মাস টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। পরে টিকটক কর্তৃপক্ষ সরকারের নিয়ম মেনে নিবন্ধন নেওয়ার পর তাদের আবার কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হয়।
৯৯ দিন আগে
ঢাকায় শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা, প্রতিবাদে শাবিতে বিক্ষোভ
ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এ সমাবেশ করেন তারা। পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিন দফা দাবিতে প্রকৌশলের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। ঘটনাস্থলে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এসব হামলার তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত ও প্রকৌশলীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: শাবিতে নতুন ৭ সহকারী প্রক্টর নিয়োগ
সমাবেশে সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শাহিদুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেদিকে সরকার কর্ণপাত করছেন না। আজকে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যেভাবে পুলিশ হামলা করেছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, 'সব সময় কেন শুধু মুভমেন্ট করে দাবি আদায় করতে হবে। এটা তো কোনো অমূলক দাবি না। তাই দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
১১২ দিন আগে
তিন শিক্ষককে বহিষ্কার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো উত্তাল বরিশাল নার্সিং কলেজ
সহপাঠীদের ওপর হামলার অভিযোগে জড়িত তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা কালো কাপড়ে চোখ-মুখ ঢেকে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় অভিযুক্ত তিন শিক্ষক— আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগমকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে; পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ক্লাস রুটিন প্রণয়ন এবং বিদ্যমান প্রহসনমূলক রুটিন বাতিলের দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের অংশ হিসেবে চার দিন ধরে তারা ক্লিনিক্যাল ও ল্যাব প্র্যাকটিসসহ সব ধরনের ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আরও পড়ুন: শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০
আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। গত ৬ মে আমাদের আন্দোলনে বহিরাগতদের এনে হামলা চালানো হয়। আমরা হামলাকারী ও তাদের মদদদাতা কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলাম।
তারা বলেন, ঘটনার পর দীর্ঘ চার মাস হয়ে গেলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষক আলী আজগর, সাইদ হোসাইন রনি ও ফরিদা বেগম এখনো স্বপদে বহাল আছেন। আমাদের লাঞ্ছিত করেও যারা ক্যাম্পাসে আছেন তাদের অনতিবিলম্বে বদলি বা অপসারণ করতে হবে।
স্টুডেন্ট নার্সেস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন বরিশাল নার্সিং কলেজ শাখার দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমাদের দাবি না মানলে এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।’
১১২ দিন আগে
গাজীপুর বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ
বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বনলতা ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ৪০ মিনিট উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা জয়দেবপুর শিমুলতলী সড়কের পশ্চিম বুরুশিয়া এলাকায় বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের একপর্যায়ে তারা পাশেই রেললাইনে অবস্থান নেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেন। পরবর্তীতে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রেনটি ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: রেললাইনে বসে মাদক সেবন, ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ল যুবক
শিক্ষার্থীদের দাবি, গত ১৩ আগস্ট ও আগামীকাল ১৫ আগস্টের ঢাকা মেট্রোরেলের সেকশন ইঞ্জিনিয়ার পদের পরীক্ষায় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীরে রিট করায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে একপর্যায়ে বনলতা ট্রেনটি আটকে দেয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর তারা ট্রেনটি ছেড়ে দিলে রুট স্বাভাবিক হয়েছে।’
১২৫ দিন আগে
যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের’ সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৪৬৬
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনপন্থি সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে ব্রিটিশ সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার পর লন্ডনে সংগঠনটির সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। সেই বিক্ষোভ থেকে চার শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পার্লামেন্ট স্কয়ার এবং হোয়াইটহলে বিক্ষোভরতদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাত ৯টা পর্যন্ত প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থনের অভিযোগে ৪৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগে পাঁচজনসহ অন্যান্য অভিযোগে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে, গতকাল (শনিবার) বিকেলে পার্লামেন্ট স্কয়ারে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামের এক প্রচার সংগঠন এক বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে জড়ো হয় হাজারখানেক মানুষ।
ওই সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেন, গ্রেপ্তার ও সম্ভাব্য কারাবাসের ঝুঁকি নিয়েই বহুসংখ্যক মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে। (গাজায়) অব্যাহত গণহত্যায় (যুক্তরাজ্য) সরকার যেভাবে জড়িত, তাতে মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত— তারই প্রমাণ এই জনসমাগম।
আরও পড়ুন: তথ্য ফাঁসের পর গোপন প্রকল্পে যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরিত হাজারো আফগান
গতকাল দুপুর ১টা নাগাদ পার্লামেন্ট স্কয়ারের বাইরের সবুজ চত্বরের পাশে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থকরা পোস্টার হাতে জড়ো হতে থাকে। তাদের মধ্যে এক নারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবারই প্রিয়জন আছে, কিন্তু আপনারা ভুল মানুষকে গ্রেপ্তার করছেন।’
তিনি পার্লামেন্টের দিকে নির্দেশ করে বলেন, ‘ওখানে যান। যারা গণহত্যায় জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করুন।’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) বিমানে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সদস্যদের কর্মকাণ্ড ছিল একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি। তা মোটেও সন্ত্রাসবাদ নয়।
তার দাবি, ওই বিমানগুলোই আসল সন্ত্রাসী। বিমানগুলো গাজায় গিয়ে শিশুদের হত্যা করেছে।
ওই নারী আরও বলেন, ‘আমি কেবল একটা কাগজের টুকরো ধরে আছি। এ তো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে পারে না। বরং ইচ্ছা করে ২০ লাখ মানুষকে অনাহারে রাখা হলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’
১২৯ দিন আগে
গোপালগঞ্জে হামলা: সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ আজ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে বুধবার বিকালে হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় তিনি হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে পয়লা জুলাই থেকে আমাদের যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ছিল— “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা”— সেই কর্মসূচিতে আমরা দেশের প্রত্যেকটি জেলায় যাচ্ছি এবং সেখানে গিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিশ্রুতি এবং স্থানীয় মানুষের সমস্যার কথা শুনছি।’
‘তারই ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার) গোপালগঞ্জে আমাদের কর্মসূচি ছিল। আমাদের এই পদযাত্রার ঘোষণা অনেক আগে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা আমাদের গোপালগঞ্জের কর্মসূচিতে হামলা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে তারা জঙ্গি কায়দায় হামলা করে।’
আরও পড়ুন: এনসিপি নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে: নাহিদ
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে আমরা যখন মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা হই, তখন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের গাড়িবহরে হামলা করে। গোপালগঞ্জের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা, মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়, গুলিবর্ষণ করে।’
‘সেখানে যারা নিরাপত্তাবাহিনী ছিল—আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী, তাদের ওপরও হামলা চলায় এবং একপর্যায়ে তাদের সহায়তায় আমরা সেখান থেকে খুলনায় চলে আসি।’
১৫৩ দিন আগে