বিক্ষোভ
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা এবং ‘বাংলাদেশ বিরোধী উসকানির’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে এই বিক্ষোভ ও মিছিল করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
দলটির সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই। আমাদের ১৫ কোটি মানুষের শক্তিশালী ৩০ কোটি হাত সাম্যের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এই হামলার তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্যাতনের খবর পেয়েছি। তারা সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। আমরা ভারতের পক্ষ থেকে এই ধরনের আচরণ সহ্য করব না ‘
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইমতিয়াজ আলম বলেন, 'শুধু ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। ভারতীয় মন্ত্রীদের আত্মমূল্যায়ন করতে হবে। মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। তারা বাংলাদেশে সংঘাতকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও জানান তারা।
ভারত প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে ভারতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকা হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
২ সপ্তাহ আগে
জর্জিয়ায় ইইউ আলোচনা স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আহত ৪৪
জর্জিয়া সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা স্থগিতের ঘোষণার পর শনিবার তিবলিসিতে টানা তৃতীয় রাতের মতো বিক্ষোভ ছড়িয়ে করেন বাসিন্দারা। এ সময় ৪৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ২৭ জন বিক্ষোভকারী, ১৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন সাংবাদিক রয়েছেন।
হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জর্জিয়ার পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ করেন এবং আতশবাজি ফোটান। ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বিদজিনা ইভানিসভিলির কুশপুত্তলিকাও পোড়ান। এধিকে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে সরকারের প্রতিরক্ষা
প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে জর্জিয়ার ইউরোপীয় সংহতি প্রচেষ্টা পরিত্যাগের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রবিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যা প্রত্যাখ্যান করেছি, তা কেবল লজ্জাজনক ও অপমানজনক ছিল।’
এই বিক্ষোভের জন্য বিরোধী রাজনীতিবিদদের দায়ী করেন কোবাখিদজে এবং আইন লঙ্ঘনের জন্য কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
আরও পড়ুন: কপ২৯: স্বল্পোন্নত-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ২০০ মিলিয়ন বরাদ্দ দিতে ইইউ’র সমর্থন চাইল বাংলাদেশ
কোবাখিদজে জর্জিয়ার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্থগিত করার ঘোষণাকেও খাটো করে দেখেছেন। এটিকে বিদায়ী প্রশাসনের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন ইউএস নেতৃত্বের জন্য ট্রানজিশনকে জটিল করে তোলা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ সমালোচনা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন রবিবার একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেখানে পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা কাল্লাস এবং সম্প্রসারণ কমিশনার মার্তা কোস জর্জিয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন। তারা এই পদক্ষেপকে বেশিরভাগ জর্জিয়ানের ইউরোপীয় সমর্থনের আকাঙ্ক্ষা থেকে একটি বিচ্যুতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের করার অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্তের পর এসব বিক্ষোভ শুরু হয়। এর আগে বিতর্কিত "ফরেন ইনফ্লুয়েন্স" আইন পাসের পর জর্জিয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছিল এটি। সমালোচকরা দাবি করেন এটি গণতান্ত্রিক স্বাধীনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা স্থগিতের জন্যও সমালোচনা করেছে। তারা জর্জিয়ায় গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশের অধিকারকে সমর্থন জানিয়েছে।
বিরোধীদের নির্বাচনের আহ্বান
জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিরুদ্ধে ২৬ অক্টোবরের সংসদীয় নির্বাচনে রাশিয়ার সমর্থন এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন বিরোধী নেতারা। তাদের দাবি, এই নির্বাচন জর্জিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।এর ফলস্বরূপ ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংসদ বর্জন করেন বিরোধীরা।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জর্জিয়ার পশ্চিমা সমর্থক প্রেসিডেন্ট স্যালোমে জৌরাবিখভিলি সরকারের বিরুদ্ধে দেশের গতিপথ ‘আধা রুশ’ রাষ্ট্রে পরিণত করার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন নির্বাচন চাই, তবে সেখানে যেন মানুষের ইচ্ছাকে পুনরায় বিকৃত বা চুরি না করা হয়।’
ইউরোপীয় আকাঙ্ক্ষা ঝুঁকিতে
ব্লকের সুপারিশ মেনে চলার শর্তে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জর্জিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রার্থী দেশ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। তবে, এই বছর শুরুর দিকে গণতান্ত্রিক অবক্ষয়ের উদ্বেগের মধ্যে দেশটির সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা স্থগিত করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্যপদ এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রতি নতুন প্রতিশ্রুতির দাবি জানিয়েছেন।
উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় সংকট মোকাবিলা এবং গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় চাপের মুখোমুখি হচ্ছে জর্জিয়ার সরকার।
সূত্র: এজেন্সি
আরও পড়ুন: ২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ
২ সপ্তাহ আগে
লাইসেন্সের দাবিতে রবিবার বিক্ষোভের ডাক রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক শ্রমিকদের
ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টন মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আবুল হালিম মাইজভান্ডারী এসব কথা বলেন।
দাবি পূরণের বিষয়ে সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে ইউনিয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম বলেন, ব্যাটারিচালিত গাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের সাম্প্রতিক আদেশের ফলে ঢাকা শহরের ৮ থেকে ১২ লাখ মানুষ কর্ম হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রিকশা-ভ্যান-ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদের ৭ দফা দাবি পেশ
তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছে।
নাদিম উল্লেখ করেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানবাহন পরিচালনাকারী শ্রমিকরা সরকারকে রাজস্ব দিতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে লাইসেন্স ইস্যু করা হলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় করা সম্ভব।’
তাদের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) মাধ্যমে লাইসেন্স ও বৈধ রুটের অনুমতি প্রদান।
এর আগে সকালে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চ্যালেঞ্জ সমাধান ও জীবিকা নির্বাহের লক্ষ্যে সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে।
গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে তিন দিনের মধ্যে ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন।
৪ সপ্তাহ আগে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বঙ্গভবনের আশেপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিন-রাত আন্দোলনের পর বঙ্গভবনের সামনে বুধবার সকাল থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রাতে বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার পর আজ নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় বসানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। চার স্তরের বেষ্টনীর পাশাপাশি রাখা হয়েছে ব্যারিকেড ও তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়াও।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ
সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের তেমন কোনো জমায়েত দেখা যায়নি। তবে বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক এপিবিএন, বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এপিসি, জলকামানসহ রায়ট কারও।
রাষ্ট্রপতি কার্যালয় জানায়, বিক্ষোভ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপারে কোনো চিন্তাভাবনা নেই।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল থেকে নানা সংগঠন বঙ্গভবনের সামনে জড়ো হয়।
দিনভর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলেও গতকাল রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ার গ্যাস, গুলি বিনিময় হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৫২, ৫৩ ও ৫৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলা আছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সংসদ কার্যকর থাকতে হবে। সংসদ সদস্যরাই কেবল রাষ্ট্রপতি অপসারণ বা অভিসংশন করার ক্ষমতা রাখেন। রাষ্ট্রপতি দেশের একমাত্র নাগরিক যার নিয়ন্ত্রণে তিন বাহিনী (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহী)।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
১ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল আন্দোলনকারী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে স্বাধীনতা ও সুরক্ষা প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামে নার্সদের কর্মবিরতি
পরে হাইকোর্ট মাজার মোড়ের কাছে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। তবে বাধা অতিক্রম করে তারা বঙ্গভবন পর্যন্ত অগ্রসর হন।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবনের ভেতরে অবস্থান ধর্মঘটের চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সেখানে যেতে বাধা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের বাইরে আধা ঘণ্টা সমাবেশ করে বক্তব্য দেন।
দাবি মানা না হলে বুধবার বিকাল ৪টায় আবারও বঙ্গভবনের সামনে জড়ো হবেন বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা ‘রক্তিম জুলাই ২৪’ নামে আরেকটি গ্রুপ। রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি জানিয়ে কয়েকজন আহত ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে পৃথক অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করে তারা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের পর সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্টার শেয়ার করে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোহাঃ সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তবে পদত্যাগপত্রসহ এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।
তিনি বলেন, 'আমি অনেক চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জোগাড় করতে পারিনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’
রবিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'জনতার চোখ'-এ এই কথোপকথন প্রকাশিত হয়।
নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
২ মাস আগে
শেবাচিম হাসপাতালের ৩ কর্মীর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ
বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে রোস্টার বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগে ওয়ার্ড মাস্টারসহ তিনজনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারী।
অভিযুক্তরা হলেন-ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহায়ক রুহুল আমিন লিখন, তরিকুল ইসলাম সোহাগ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পরে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বরাবর লিখিত আবেদন দিয়ে অভিযুক্তদের অপসারণ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: হেযবুত তওহীদের ওপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন
এ সময় হাসপাতালটির পরিচালকের দায়িত্বে থাকা উপপরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা দেন, রাব্বি আল মামুন, মাহমুদুল হাসান, নূরনবী প্রমুখ।
হাসপাতালের বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা বলেন, ‘ওয়ার্ড মাস্টার রোস্টার বাণিজ্যের মাধ্যমে হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নিয়ে থাকে। তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় অভিযুক্তরা বাধা দিয়েছে। তাই তাদের অপসারণ জরুরি। তবে অভিযুক্তরা এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
২ মাস আগে
ভারতীয় ভিসা সেন্টারে বিক্ষোভ: নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ভারতের
ঢাকায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভিসা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে আকস্মিক বিক্ষোভের জেরে এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন।
হাইকমিশনের এক ভারতীয় কর্মকর্তা সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। আমরা কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। আমাদের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত নয়।’
আজকের ঘটনায় তারা কোনোভাবে আস্থাশীল নয় উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, তারা মূলত জনগণের অনুরোধে পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং লোকজনকে 'হুমকি দেওয়া হয় এবং আতঙ্কিত'।
ভারতীয় ভিসার দাবিতে হঠাৎ করেই ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভিএসি) বিক্ষোভ করেছেন ভিসাপ্রত্যাশীরা।
ভারতীয় হাইকমিশনের ওই কর্মকর্তা জানান, তারা তাদের আবেদনপত্র ঠিক রেখে সব পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছেন, যাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলে আবেদনকারীরা আবার তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে পারেন।
জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু অনেকে পাসপোর্ট ফেরত চাইছেন, তাই তাদের আবেদন বাতিল না করেই আমরা পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছি।’
মেডিক্যাল ভিসার যেসকল আবেদন এখনো নিষ্পত্তি হয়নি ভারতীয় হাইকমিশন ইতোমধ্যেই সেগুলোর ছাড়পত্র দিয়েছে।
কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, বেলা ১১টা থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ ভিসা প্রত্যাশী ওই কেন্দ্রে ভিড় করলেও কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। বিকাল ৩টার দিকে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষণিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে লোকজনকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
‘ভারতীয় দালালেরা, সাবধান ... এক দফা, এক দাবি- আমরা ভিসা চাই,’ স্লোগান দিতে শোনা যায় তাদের।
ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভিএসি) বাংলাদেশ এর আগে জানিয়েছিল, সীমিত কার্যক্রমের কারণে ভিসা প্রক্রিয়ায় বেশি সময় লাগতে পারে। ‘তাই আমরা এখন পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছি এবং কার্যক্রম পুনরায় শুরু হলে এটি পুনরায় প্রক্রিয়া করা হবে। আবেদনকারীকে এসএমএসের মাধ্যমে তার পাসপোর্ট পুনরায় জমা দেওয়ার জন্য অবহিত করা হবে।’
বাংলাদেশে ভারতের সবচেয়ে বড় ভিসা কার্যক্রম রয়েছে এবং গত বছর ১৬ লাখ মানুষ ভারত ভ্রমণ করেছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ পর্যটন উদ্দেশ্যে, ৩০ শতাংশ চিকিৎসার উদ্দেশ্যে এবং ১০ শতাংশ অন্যান্য উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশে ভারতীয় স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ভার্মা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
৩ মাস আগে
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকদের তিন মাসের ও কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিন্স লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
শ্রমিকেরা জানায়, শ্রমিকদের তিন মাসের ও কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে তার বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে তারা কারখানার পাশের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেয়। পরে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরানো হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল ব্যাহত
গাজীপুরে বেতন-ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
৩ মাস আগে
নিরাপত্তার দাবিতে দিনাজপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ, ৫ দফা দাবি
বাড়ি-ঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশসহ মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিক্ষোভকারী-আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫
এসময় দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লাকার্ড বহন করেন তারা। খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এদিকে পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায় সমাবেশে ৫ দফা দাবি পেশ করেছেন।
দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. অবিলম্বে সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন।
২. সংখ্যালঘুদের জন্য ১০ শতাংশ সংসদীয় আসন বরা্দ্দ।
৩. দ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন।
৪. সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হামলা প্রতিবোধে কঠোর আইন প্রনোয়ণসহ বাস্তবায়ন।
৫. হামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্তদের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দাবির পক্ষে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) প্রতিটি উপজেলায় ও বুধবার (১৪ আগস্ট) প্রেস ক্লাবের সামনে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ শফি রুবেলসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেদের দেশ না ছাড়তে আহ্বান জানান এবং তাদের জানমাল রক্ষাসহ নিরাপত্তার দাবিতে বক্তব্য দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
বিক্ষোভের মুখে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত
৪ মাস আগে
হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে
বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিক্ষোভ চলছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ
সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইউএনবির ফটো সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে জানান, শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
গতকাল শাহবাগে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশের পরে আজকের বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধি বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান তারা। মূল দাবি ছিল সংসদীয় আসনের ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে বরাদ্দ করা।
আরও পড়ুন: কারফিউ অমান্য করে শাহবাগ অভিমুখে হাজারো মানুষের মিছিল
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় ২০৫টি সহিংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
৪ মাস আগে