রবিবার দুপুর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রধান দুই হোতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লাও রয়েছেন।
আবু কাউসার মোল্লাকে রবিবার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বায়েক এলাকা এবং জিল্লুর রহমানকে সোমবার ভোরে ঢাকার কলাবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সাথে থানাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কাউসার মোল্লার বিরোধ ছিল। এর জেরে রবিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মোবারক মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে এক পক্ষ। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৪২ জনকে আটক করা হয়েছে।