সংঘর্ষ
ফরিদপুরে মোবাইল ছিনতাই নিয়ে কৃষকদলের দুপক্ষে সংঘর্ষ
মোবাইল ছিনতাইকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর মহানগর কৃষকদলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুরসহ গুলি ও বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
সংঘর্ষে জড়ানো নেতারা হলেন— মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির ও একই কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ বাঁধে।
এ বিষয়ে ফরিদ শেখ বলেন, ‘মহানগর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুলের সকর্থক জাফর শেখ আমার সমর্থক খসরুর একটি মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। মোবাইলটি বিদেশ থেকে আনা। এটি ফেরত পেতে হলে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে টাকা না দেওয়ায় জহিরুল আর জাফর মিলে ওদের মারধর করে।’
‘এ ঘটনায় বাহিরদিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে জাফরকে ফোন দিলে উচ্চবাচ্য হয়। এরপর জহিরুল ও ইমন স্বেচ্ছাসেবক লীগের লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে ও পিস্তল বের করে গুলি চালায়।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২
তবে ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জহির বলেন, ‘আমার সমর্থক জাফর শেখের মেয়েকে উত্যক্ত করায় ঝামেলা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাহিরদিয়া বাজার এলাকায় এলে আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে আমার তিন সমর্থক আহত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বোমা নিক্ষেপ করিনি। বরং ওরা আমাদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করলেও বোমাটি ফাটেনি।’
ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সামান্য ঘটনা নিয়ে ফরিদ ও জহিরুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কোনো ভাঙচুর, গুলি বা বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি। নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘গুলি-বোমার ঘটনা টোটালি বোগাজ। একটু উত্তেজনা হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
২ দিন আগে
ফরিদপুরে আ.লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৮
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। আহতদের ৩ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সদর উপজেরার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুসরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফুসরা গ্রামে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন আক্কাস মাতুব্বর। আক্কাস মাতুব্বর ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন হাশেম খান। তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
স্থানীয়রা জানায়, একটি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে আক্কাস ও হাশেমের সমর্থকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এর জেরে হাশেমের সমর্থকেরা আক্কাসের বাড়িঘরসহ তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর করেন। এ সময় ১০ লাখ টাকার গরু-ছাগল লুটপাট হয়। পরে আক্কাসের সমর্থকেরা হাশেমের খানের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২২
পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ, সেনাসদস্য ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন জানান, আক্কাস ও হাশেমের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে।
৩ দিন আগে
ফরিদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২২
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ১৪ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খাইরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্যের জেরে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও ঘারুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকদলের সভাপতি করিম মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলছিল।
গত ২৫ জানুয়ারি ঘারুয়া ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। সমাবেশে খারদিয়া গ্রাম থেকে কৃষক দলের একটি মিছিল বের করলে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা আনোয়ারের লোকজন বাধা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে এলাকায় উভয় দলের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে।
গতকাল (শনিবার) ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নয়ন খাঁ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইয়াদ আলী মীর, মন্নু ও ইউনিয়ন যুবলীগে যুগ্ম সম্পাদক চান মিয়াকে নিয়ে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করেন আনোয়ার।
পূর্বশত্রুতার জের ধরে আনোয়ার গ্রুপের লোকজন সঙ্গবদ্ধ হয়ে প্রথমে রবিবার সকালে শরিফাবাদ বাজারে মহড়া দেয়। তখন করিম মোল্লার লোকজন ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে চলে যায়। পরে তারা কৃষকদলের সভাপতি করিম মোল্লার বাড়ির দিকে হামলা করতে এগিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রদল-শিবিরের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
তখন করিম মোল্লা গ্রুপের লোকজন সঙ্গবদ্ধ হয়ে পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় উভয় দলে চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। পরে টেটা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এ সময় উভয় দলের নারীসহ অন্তত ২২ জন আহত হন। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘারুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকদলের সভাপতি করিম মোল্লা বলেন, ৫ আগস্টের পরে বিএনপি নেতা আনোয়ার আওয়ামী লীগের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের অত্যাচার করে। গত ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে দল ভারি করে আমার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে, তখন ইজ্জত বাঁচাতে তাদের ধাওয়া করা হয়।
বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, নিক্সন চৌধুরীর এক নম্বর সমর্থক নিরু খলিফার লোকজন আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনও কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩ দিন আগে
সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ২০
সিলেটের গোলাপগঞ্জে বিআরটিসি ও যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আহতদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোলাপগঞ্জের দাঁড়িপাতন নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস উল্টে নিহত ১
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে। এতে উভয় বাসের ২০ যাত্রী আহত হন। পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি হেফাজতে নিয়েছে।
৬ দিন আগে
সাতক্ষীরায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৬-৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা সাইক্লোন শেল্টার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পাশাপাশি বিএনপির দুপক্ষের সভা, সংর্ঘষ এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি
উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রফিকুজ্জামান জানান, সপ্তাহখানেক আগে বুধহাটা ইউনিয়নে বিএনপির ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণাকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ সংঘর্ষের স্থানে নতুন ঘোষিত কমিটির সভাপতি আব্দুর রব গ্রুপ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ ও সাবেক সভাপতি কবির ঢালী গ্রুপ কর্মী সম্মেলনের ডাক দেয়। এরপর উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নোমান হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষ্ণা রায় ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
দিনাজপুরে প্রমীলা ফুটবল আয়োজন বাধা, সংঘর্ষে আহত ২০
দিনাজপুরের হাকিমপুরে প্রমীলা ফুটবলের আয়োজনকে কেন্দ্র করে আয়োজক কমিটি ও তৌহিদি জনতার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার বাওনা মাঠে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে স্থানীয় বাওনা ছাত্রকল্যাণ সমবায় সমিতি বাওনা মাঠে প্রমীলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে। এতে দিনাজপুর জেলা নারী ফুটবল একাডেমি বনাম রংপুর বিভাগীয় নারী দলের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। ম্যাচ উপলক্ষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। নারী ফুটবলাররা খেলবেন শুনে ম্যাচ বন্ধে তৌহিদি জনতার নামে উপজেলার বাওনা গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে সকাল থেকে পাল্টা মাইকিং করা হয়।
আরও পড়ুন: হাফ ভাড়া না নেওয়ায় বরিশালে বাসশ্রমিক-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
পাল্টাপাল্টি মাইকিং হওয়ায় এলাকায় সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর বিকাল ৩টায় খেলা শুরু করতে গেলে তৌহিদি জনতার ব্যানারে কিছু লোক বাধা দিলে আয়োজক কমিটির সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন মিঞা জানান, ফুটবল খেলার আয়োজন নিয়ে আয়োজক কমিটি ও তৌহিদি জনতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কেউ মামলা করতে চাইলে আমরা নেব।
১ সপ্তাহ আগে
নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ৩
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
টেঁটা ও বন্দুক যুদ্ধে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আলী আহমদ (২৩), আলমগীর হোসেন আলম (১৯) এবং অজ্ঞাত আরেক জনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ট্রলার-স্পিডবোট সংঘর্ষে নিহত ৪
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাতুল ও সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জাকির হাসান রাতুল সমর্থিত দুইজন ও আশরাফুল ইসলামের সমর্থিত একজন নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, ‘দু’পক্ষ বাঁশগাড়িতে ঝগড়া শেষে এখন আবার মির্জাচর দিকে যাচ্ছে— এমনটা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।’
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ‘বাঁশগাড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’
আরও পড়ুন: ইজতেমায় সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৪, আহত ৪০
১ সপ্তাহ আগে
মাগুরায় দুদলের সংঘর্ষে আহত ২০, ভাঙচুর ও লুটপাট
আধিপত্য বিস্তারের বিরোধে মাগুরায় দুদলের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের ছোট উদাস গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- রমজান, হেলেনা খাতুন, সৌরভ, মোস্তফা, সবুজ, লুৎফর, রুবেল, পাভেল, মোসলেম, শুক্কুর, হারুন, হাসান, ফরিদ, রাজু, ইলাম চম্পা, ফরিদা, গলিজানসহ উভয় দলের ২০ জন।
এছাড়া সংঘর্ষে পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছোট উদাস গ্রামে দুদলের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকালে ছোট উদাস মাঠে দুদল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে উভয় দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ভাঙচুর, মারামারিতে হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ পণ্ড
শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী জানান, সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে থানায় আনা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে হামলা, আহত অনেকে
২০২৫ সালের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয়পত্র বইয়ের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দটি রাখা ও বাদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গত ১২ জানুয়ারি ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামের একটি সংগঠন এনসিটিবির কাছে বিক্ষোভ করলে গ্রাফিতিটি সরিয়ে ফেলা হয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যায় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে একটি দল।
অপরদিকে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে যায় স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উভয় গ্রুপ এনসিটিবি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে আলাদাভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে। তবে দুপুর ১টার দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয় এবং পরবর্তীতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুদল।
এ ঘটনায় দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে।
পাহাড়ি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি অলিক মৃ বলেন, স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি হামলা চালিয়ে আমাদের ১১ সদস্যকে আহত করেছে।
তার দাবি, এনসিটিবি পাঠ্যবইয়ে এবার ‘আদিবাসী’ লেখা গ্রাফিতি যুক্ত করেছিল। তার বিরুদ্ধে ‘মব’ তৈরি করা হয়। পরে আদিবাসী লেখা গ্রাফিতি বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রাফিতি পুনর্বহাল করতে হবে।
এদিকে স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির আহ্বায়ক জিয়াউল ইসলাম বলেন, আদিবাসী শব্দটি কোনো জাতিগত পরিচয় নয়। কাজেই আদিবাসী শব্দের বিরোধিতা করলে রেসিজম (বর্ণবাদ) হয় না।
তার অভিযোগ, আমরা তাদের ওপর হামলা চালাইনি। তারাই আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের অন্তত ১৪ জনকে আহত করেছে।
আহতদের মধ্যে ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন— রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা (২৫), ইসাবা শুহরাত (৩২), রেংইয়ং ম্র (২৭), ফুটন্ত চাকমা (২২), ধনজেতরা (২৮), অন্তত ধামাই (৩৫), ডিবিসি টিভির সাংবাদিক জুয়েল মারাক (৩৫), শৈলী (২৭) ও ডোনায়ই ম্রো (২৫)।
এ বিষয়ে মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহিমেনুল ইসলাম জানান, স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির সদস্যরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
৩ সপ্তাহ আগে
মুন্সীগঞ্জে স্পিডবোট-বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিহত ২
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীতে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কালিপুরা ঘাটের অদূরে মেঘনায় নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ওদুদ ওই উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জামালপুর গ্রামের মামুন বেপারির ছেলে এবং নিহত বাবুলের নাম জানা গেলেও তার ঠিকানা এখনও পাওয়া যায়নি। এছাড়া আহত হালিম গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ জামালপুর গ্রামের বাচ্চু প্রধানের ছেলে।
ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওদুদ ও বাবুলকে মৃত
ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত হালিমকে ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আরও লোক নিখোঁজ বা মারা গেছেন বলে শোনা গেলেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে- হতাহতদের মধ্যে মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন এবং নৌপথে দস্যুতার সঙ্গে জড়িতরাও রয়েছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে গেছে।’
নিহতদের লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানান ওসি।
৩ সপ্তাহ আগে