সংঘর্ষ
ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামায়াতের এক পক্ষের শীর্ষ মুরুব্বী মাওলানা সাদ ও তাদের অনুসারীদের জোর ইজতেমাকে ঘিরে গত কয়েকদিনের অব্যাহত বিরোধের জেরে ২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সংঘর্ষে ইজতেমা ময়দানে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমা: প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে সাদপন্থিদের মিছিল
তাবলীগের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী শুরায়ে নেজামের পক্ষের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, ভোরে ইজতেমার প্রস্তুতি কাজে পাহারায় নিয়োজিত ঘুমন্ত তাবলীগের সাথীদের উপর হামলা চালায় কর্তৃপক্ষের লোকজন। এতে দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বাচ্চু।
অন্যদিকে, মাওলানা সাদ কান্দলভির অনুসারী তাবলীগের নিজামুদ্দিন পক্ষের সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানে প্রবেশ করার সময় গতরাতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তাবলীগের সাথী বগুড়ার তাইজুল ইসলাম নিহত ও বহু সাথী আহত হয়েছেন।
তবে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান দুজন নিহতের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি
১ ঘণ্টা আগে
নাটোরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২
নাটোরের নলডাঙ্গায় সমাবেশে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোমিপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- মোমিনপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মোহম্মদ আলী (৩০), মুসলেম উদ্দিনের ছেলে রানা (২৩), মফিজ উদ্দিনের ছেলে লালু (৪০), আসকান আলরি ছেলে রিগ্যাল (৩০), রবিউল (৪০) ও আশিক আলী (২৭), লেদু প্রামানিকের ছেলে মুস্তাহাব (৬৫) এবং জামাল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৭)।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপি নেতার বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি
আসামপাড়া গ্রামের নাজমুলের ছেলে শাওন (১৮), শাহীন হোসেনের ছেলে ইয়াছিন আলী (২২), মুসলেম উদ্দিনের ছেলে জীবন (১৭) ও আজিজ মিয়ার ছেলে স্থানীয় উইপ সদস্য জাহাঙ্গির মিয়া (৪৫)।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশারকাজীপুর স্কুল মাঠে বিএনপির বিজয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে যাওয়া নিয়ে উপজেলার মোমিনপুর গ্রামের জাকির সমর্থকদের সঙ্গে আসামপাড়া গ্রামের খলিলের বিরোধ বাধে। এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে উভয় পক্ষ মোমিপুর বাজারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহতরা সবাই বিএনপির কর্মী। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে নিচে পড়ে নিহত ১
১ ঘণ্টা আগে
মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৩ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
সিলেটে কোম্পানীগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত থেকে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
জানা যায়, শনিবার বিকালে উপজেলার বর্ণি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়া নিয়ে কাঠাঁলবাড়ি গ্রামের এক ব্যক্তির তর্কাতর্কি হয়। এ ঘটনায় এক পক্ষের লোকজন বর্ণি এলাকায় সড়কে গাড়ি আটক করে। পরে উপজেলা সদরে কোম্পানীগঞ্জ, বর্ণি ও কাঁঠালবাড়ি- তিন গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংষর্ঘে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকাল থেকে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে উপজেলার বর্ণি ও কাঠালবাড়ি গ্রামের লোকজন। এ সময় তারা অটেরিকশায় মাইক বেঁধে গ্রামের লোকজনকে সংঘর্ষের জন্য বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। এতে করে পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট ও বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান, দালাল আটক
এরপর বেলা ১১টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন থানা বাজার পয়েন্টে এসে সংঘর্ষে জড়ায়। দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। পরে উপজেলার বাসিন্দারা বড় সংঘাত ঠেকাতে ফেসবুক লাইভে এসে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাইতে থাকেন। এরপর বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি দেখে সব পক্ষই সরে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, ‘সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় বেশকিছু দোকান ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জে এখন পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
২ দিন আগে
কোম্পানীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দোকান ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় উপজেলার সদর পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় আহতদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বর্ণি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল চার্জ নিয়ে কাঠাঁলবাড়ী গ্রামের এক ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় এক পক্ষের লোকজন বর্ণি এলাকায় সড়কে অবরোধ করে। পরে থানা সদরে কোম্পানীগঞ্জ, বর্ণি ও কাঁঠালবাড়ী ৩ গ্রামের লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে এটি সংষর্ঘে রূপ নেয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
২ দিন আগে
নওগাঁয় ট্রাক-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত
নওগাঁর মান্দায় ড্রামট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুইজন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মান্দা উপজেলা নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের মোহাম্মদপুর নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁর সাপাহারা চৌধুরীপাড়ার এনামুল হকের ছেলে আলভী রাব্বানী জিহান ও আব্দুল জব্বারের ছেলে মাহিন আহমেদ সাগর।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
স্থানীয়রা জানায়, প্রাইভেটকারটি রাজশাহী থেকে নওগাঁর দিকে আসার সময় দ্রুতগামী একটি ড্রামট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পাশে পিলারে আটকে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের দুই যাত্রী নিহত হয়। এসময় প্রাইভেটকারের পেছনে থাকা একটি বাসকেও ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় ড্রাম ট্রাকটি।
তবে বাসে থাকা কোনো যাত্রীর হতাহত হয়নি। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করা করা হয়েছে।
এছাড়া আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি মনসুর রহমান।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০
১ সপ্তাহ আগে
হবিগঞ্জে টমটম ভাড়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
টমটম (অটোরিকশা) ভাড়া পাঁচ টাকা কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এ সময় ৭টি দোকানে আগুন দেওয়াসহ ১৫টি দোকান লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মৌচাক এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে প্রায় চার ঘণ্টার জন্য মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বাহুবল থানা পুলিশ জানায়, টমটমের ভাড়া নিয়ে চালক সালমান মিয়া ও যাত্রী সাজিদ মিয়ার মধ্যে শুরুতে কথা কাটাকাটি হয়। এর মধ্যে উভয় গ্রামের লোকজন হাতাহাতিতে জড়িয়ে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সংঘর্ষে দুই ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০
সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাগবিতণ্ডার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এমনকি ৭ রাউন্ড টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করে। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ওসি জানান, পরিস্থতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে দোকানপাটে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট এসে আগুন নেভায়। তবে অগ্নিসংযোগে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে এখনও জানা যায়নি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
বাহুবল উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুমাইয়া খাতুন বলেন, মোট ৫৯ জন হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪
১ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রবাসীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে সেকান্দর মামুন নামের এক প্রবাসী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ইত্যাদি চত্বর এলাকায় সংঘর্ষটি হয়।
মামুন সরফভাটার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ৩০ নভেম্বর সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই এলাকার লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় মামুনের ওপর হামলা হলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি।
আহতদের মধ্যে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শাহেদ বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মামুনের মৃত্যু হয়েছে।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রের আঘাতে মামুনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান চালছে। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে লাটাহাম্বারের চাপায় প্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
২ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আলিফ (৩৫) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের জানান, দিদার নামের এক যুবক ওই আইনজীবীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশ ঘরে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতের নিচতলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গল সিনেমা লেনে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর কুপিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর: চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ রণক্ষেত্র
৩ সপ্তাহ আগে
ডেমরায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ৫০, কবি নজরুল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
ঢাকার ডেমরায় কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
এমনি প্রেক্ষাপটে কবি নজরুল কলেজকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কলেজের নোটিশ বোর্ডে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়েছে।
এর আগে রবিবার ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিন সকালে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে এবং বেলা ১২টার দিকে ভাঙচুর চালায়। তারা কলেজ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়।
দুপুর ১টার দিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরে তারা একে অপরের ওপর হামলা চালালে অর্ধশতাধিক আহত হয়। সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ৩০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ ফারুক।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
এছাড়া সংঘর্ষের পর যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ছয় প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবারের সংঘর্ষের পর সকাল ৭টা থেকে সূত্রাপুর থেকে ডেমরা পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে এমন আশঙ্কায় পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এরপরও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, হামলা ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়ে।
এতে ওই এলাকায় কয়েক দফার সংঘর্ষে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি।
হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারের ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গত ১৬ নভেম্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ডেমরার ডাক্তার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এইচএসসির ছাত্র অভিজিৎ হালদার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। ১৮ নভেম্বর তিনি মারা যান।
এরপরই রবিবার হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালায় শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সমর্থন জানিয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্ররা তাদের ওপর হামলা চালায়।
পরে রবিবার কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও দুই কলেজের সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন।
কলেজগুলো হলো- ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা আইডিয়াল কলেজ, সিটি কলেজ, গিয়াসউদ্দিন কলেজ, সরকারি তোলারাম কলেজ, ইম্পেরিয়াল কলেজ, বোরহানউদ্দিন কলেজ, বিজ্ঞান কলেজ, দনিয়া কলেজ, লালবাগ সরকারি কলেজ, উদয়ন কলেজ, আদমজী, নটরডেম, রাজারবাগ কলেজ, নূর মোহাম্মদ, মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, গ্রিন লাইন পলিটেকনিক, ঢাকা পলিটেকনিক, মাহবুবুর রহমান সাইন্স অ্যান্ড টিকনোলজী ইনস্টিটিউট, সহ রাজধানীর অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তবে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্র, এবং আমরা ছাত্রদের সমর্থন করি। আমরা কাউকে আক্রমণ করিনি।’
ভাঙচুরের বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি প্রথমে তাদের ফেরত পাঠাই। পরে তারা দলবল নিয়ে আসে। তারা অনেক কম্পিউটার লুট করে ধ্বংস করেছে, এমনকি এনসিসির কাছ থেকে রাইফেলও নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘তারা ১৭টি বিভাগ ভাঙচুর করে এবং শিক্ষকদের ব্যক্তিগত চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।’
সোহরাওয়ার্দী কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, 'অধ্যক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে কিছুই হবে না, কিন্তু হামলা হয়েছে। পুরো কলেজে হামলা হয়েছে, এমনকি আমার কক্ষও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
৩ সপ্তাহ আগে
ঝিনাইদহে ২ ট্রাকের সংঘর্ষে এক চালক নিহত
ঝিনাইদহ সদরে ২ ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৩ জন।
ঝিনাইদহ সদরে নতুনবাড়ি এলাকায় শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আল আমিন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার আজিজুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পোশাক কর্মী নিহত
আরাপপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘চট্রগ্রাম বন্দর থেকে সার বোঝাই একটি ট্রাক ঝিনাইদহ বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় আসার পথে নতুনবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক আসা বালু বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সার বোঝাই ট্রাকের চালকের মৃত্যু হয়। এরপর আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
তবে অপর একজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
নিহতের লাশ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘দুর্ঘটনার ফলে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কে যানজট তৈরি হলে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।’
৩ সপ্তাহ আগে