আটক
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আরও ৯ জন গ্রেপ্তার
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) তালেবুর রহমান মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত হিসেবে ৩১ জনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৯ জনকে গতকাল গ্রেপ্তার করার কথা পুলিশ জানায়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জন লুটপাট এবং ৪ জন হামলার সঙ্গে জড়িত বলে জানায় পুলিশ। বাকিদের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আজ আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এক দল দুর্বৃত্ত হামলা চালায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে। দীর্ঘ সময় ধরে এই হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় তারা। আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও বাধা দেয় তারা। ওই রাতে ছায়ানট ভবনেও হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
গত রবিবার রাতে প্রথম আলো এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করেছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, হত্যাচেষ্টাসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
১ দিন আগে
জাবির ভর্তি পরীক্ষায় মুঠোফোন ব্যবহার করে নকল, পরীক্ষার্থী আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকল করার অভিযোগে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের (৫৫তম ব্যাচ) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের দ্বিতীয় শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের ২ নম্বর কক্ষ থেকে ওই পরীক্ষার্থীকে আটক করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
আটকের পর তাকে প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয় এবং সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার নাম সাদিয়া আমির মাহি। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে পরীক্ষার হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শিক্ষক বলেন, পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে ওই পরীক্ষার্থীর আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তাকে পেছনের আসন থেকে সামনের আসনে বসানো হয়। কিন্তু সেখানে বসেও সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করছিল। এ ঘটনা দেখার পর আমরা তাকে হাতেনাতে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট অনুষদের ইউনিট প্রধানকে বিষয়টি জানিয়েছি। ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিলসহ ভবিষ্যতে যেন তিনি আর কখনো জাবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
২ দিন আগে
চাঁপাই সীমান্তে ভারত থেকে আসা ২৭ জন আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চামুশা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশকারী ২৭ জনকে আটক করেছে বিজিবি।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ, ১২ জন নারী, ৫ জন শিশু ও ২ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোর ৪টার দিকে তারা চামুশা সীমান্তের ১৯৬ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় চামুশা বিওপির টহল দল তাদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক দাবি করে তারা জানায়, কাজের জন্য বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল তারা।
তিনি আরও জানান, আটকদের ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও বাংলাদেশি নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ভোলাহাট থানায় তাদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
২ দিন আগে
ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়েছে। এই হত্যাচেষ্টায় জড়িত সন্দেহে মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকেও আটক করেছে র্যাব-২।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে র্যাব সদর দপ্তরের উপপরিচালক (মিডিয়া) মেজর মোহাম্মদ লুৎফুল হাদি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক আবদুল হান্নানকে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রমের জন্য পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করা হয়। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে র্যাব-২-এর একটি বিশেষ দল মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবদুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করে।
মেজর লুৎফুল হাদি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আবদুল হান্নানের মালিকানাধীন মোটরসাইকেলটি ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের শনাক্ত এবং হামলার রহস্য উদ্ঘাটনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেও তিনি জানান।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা।
হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিদের ধরতে এরই মধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাপিড অ্যানকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) যৌথবাহিনী।
১০ দিন আগে
খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, ৩ জন আটক
খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্রের যন্ত্রাংশ জব্দের পাশাপাশি ৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহানগরীর জোড়াগেট এলাকার এইচআরসি ভবনের পাশের গলিতে অবস্থিত ওই কারখানার অভিযান চালায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল।
পুলিশের দাবি, কারখানা থেকে অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, সিসা, ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ প্রায় ৩০-৩৫ টি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন— দোহা আয়রন ফাউন্ডার কারখানার মালিক নজরুল ইসলাম, কর্মচারী শহিদুল ও আকবর আলী।
কেএমপির ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ডিবির কাছে তথ্য ছিল, এখানে একটি অস্ত্রের কারখানা রয়েছে, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যাবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেছে এবং তথ্যের সত্যতাও পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ওই কারখানাটি থেকে অস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র যে ছাঁচের মধ্যে তৈরি করা হয়, সেগুলোও আমরা উদ্ধার করেছি। এই কারখানায় অন্যান্য কাজের পাশাপাশি অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, এসব অস্ত্র যেখানে ফিনিশিং দেওয়া হয়, সেখানেও অভিযান চলছে। এ লক্ষ্যে ডিবির টিম কাজ করছে।
ডিবির এই টিম ভালো কাজ করেছে উল্লেখ করে ডেপুটি কমিশনার বলেন, কেএমপি এলাকায় অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের এত কাছে অস্ত্রের কারখানা রয়েছে, এটি উদ্বেগজনক। মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে এ ধরনের কারখানা থাকবে, আর আমরা কেউ জানব না, এটা হতে পারে না। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম বলেন, আমরা আপাতত এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছি। এই অস্ত্র তৈরির মূল কারিগরকে ঈশ্বরদী থেকে আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখানে অস্ত্রের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ ঢালাই করে যেসব জিনিস বানাতে হয়, সেগুলো এখানে তৈরি হচ্ছিল। এখানে ৩০-৩৫টি অস্ত্রের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। তবে বাটের কাঠের অংশ, স্প্রিং অন্যস্থানে সংযোজন করা হয়। সেখানেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
তিনি বলেন, অনেক আগে থেকে এখানে অস্ত্র তৈরি করা হয় বলে জানতে পেরেছি। এর আগেও এখান থেকে বেশ কয়েকবার খুলনা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
১০ দিন আগে
বাংলাদেশের জলসীমায় ট্রলারসহ আটক ১৪ ভারতীয় জেলে
বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে একটি ট্রলারসহ ১৪ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী।
গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ওই জেলেদের মোংলার দিগরাজ নৌঘাঁটিতে আনা হয়। আজ রোববার আটক জেলেদের বাগেরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় ওই ১৪ জেলেকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরার অপরাধে রাজবাড়ীতে সাড়ে তিন কোটি টাকার জাল ধ্বংস, ১৩০ জেলে দণ্ডিত
মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরের অদূরে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে ‘এফ, বি শুভযাত্রা’ নামক একটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার আটক করে সমুদ্রসীমায় টহলরত নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা শহীদ আক্তার উদ্দিন।
ট্রলারটিতে ১৪ জন ভারতীয় জেলে রয়েছে। তারা বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিলেন। তাদের বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এ সময় ট্রলারটিতে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫০০ কেজি মাছ পাওয়া গেছে বলে জানান মোহাম্মদ জাহিদুল।
তিনি আরও জানান, ওই মাছ আদালতের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হবে। আটক জেলেদের নৌবাহিনীর মাধ্যমে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হবে।
৬৬ দিন আগে
সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভোলার ১৯ জেলে নিখোঁজ
ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের ১৯ জেলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে গত ৯ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এতে করে পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন।
এ ঘটনায় নিখোঁজ এর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবী, নিখোঁজ জেলেদের ভারতে আটক করা হয়েছে।
নিখোঁজদের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন পর সাগরে ঝাঁকের ইলিশ ধরা পড়ছিল। এমন সংবাদ পেয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে ভোলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্ৰামের ১৯ জেলে সাগরে মাছ ধরতে যায়। সবশেষ, গত ১২ সেপ্টেম্বর পরিবারের সঙ্গে জেলেদের ফোনে কথা হয়।
কিন্তু এরপর থেকে জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
স্বজনদের দাবি, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতের সংরক্ষিত সুন্দরবন এলাকার ভারতের সীমানায় প্রবেশ করলে ফিশিং বোট, জাল ও কিছু মাছসহ তাদের আটক করা হয়। পরে আটককৃত জেলেদের ভারতের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বজনরা ভারতীয় একটি ইউটিউব ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানতে পারেন, ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আটক করে জেলেদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন— মোঃ সফিজল বেপারী, মোঃ শাহে আলম, ছিডু মুন্সি, রাজিব চন্দ্র দাশ, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ মিন্টু হাওলাদার, মোঃ ফরিদ, মোঃ আলমগীর, মোঃ ফরিদ, মোঃ ইউনুছ, মোঃ বাবুল সরদার, মোঃ নিরব হোসেন, মোঃ ইসমাইল, মোঃ শাহে আলম হাওলাদার, গৌতম চন্দ্র দাস, মোঃ জাকির, মোঃ ছগির সিকদার, মোঃ টুটুল এবং মোঃ শহিদুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকেই দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত রাবি, উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর অবরুদ্ধ
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জেলেদের স্বজন মোঃ ইব্রাহিম ভোলা সদর থানায় ১৯ জেলে নিঁখোজ উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে নিখোঁজ ১৯ জেলে পরিবারের সদস্যরা ভারতে তাদের আটকের খবরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দিন পার করছেন। দরিদ্র জেলে পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। অনেকে প্রিয় স্বজনদের জন্য আহাজারি করছেন। অসহায় এই পরিবারগুলো সরকারের সহায়তায় প্রিয়জনদের ফিরে পেতে চান।
জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সম্পাদক শেখ আল মামুন জানান, ওই জেলেদের সব তথ্য সংগ্রহ করে, তাদের উদ্ধারের জন্য প্রশাসনকে দেওয়া হবে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ভোলা জেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তার জানান, অধিদপ্তর থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা প্রয়োজন, তা করা হবে।
৯৫ দিন আগে
ছিনতাই করা অটোরিকশা মালিকের গ্যারেজেই বিক্রির চেষ্টা, খুনি আটক
রাজধানীর বাড্ডায় চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ছিনতাই করা অটোরিকশাটি প্রকৃত মালিকের গ্যারেজেই বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েন তারা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বাড্ডা কাঠালদিয়া, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটের বিপরীত পাশ থেকে রিকশাচালক মাসুদ ওরফে কাজলের (৪২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের শ্যালক মো. সেলিম জানান, কাজলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। তিনি ভাটারার ফাসেরটেক এলাকায় বসবাস করতেন; তার স্ত্রী ও তিন সন্তান গ্রামে থাকেন। ঢাকায় ভাড়ায় অটোরিকশা চালাতেন কাজল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
তিনি আরও জানান, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নতুনবাজার এলাকার গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন কাজল, এরপর আর বাসায় ফেরেননি। রাতে দুই যুবক তার রিকশা নিয়ে একই গ্যারেজে বিক্রি করতে গেলে গ্যারেজ মালিক সেটি চিনে ফেলেন। এ সময় মালিকের প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারেননি তারা, বরং রিকশাটিকে নিজেদের বলে দাবি করেন ছিনতাইকারীরা।
পরে গ্যারেজমালিক ও স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কাজলকে খুন করে বাড্ডার কাঠালদিয়ায় মরদেহ ফেলে রেখে এসেছেন ওই দুই যুবক। পরবর্তীতে সোমবার বেলা ১২টার দিকে সেখান থেকে কাজলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, চালককে হত্যার পর রিকশা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন দুই ঘাতক। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
১০৬ দিন আগে
নারী শিক্ষার্থীকে ধাক্কা, জাবিতে রাজধানী পরিবহনের ২৫ বাস আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে রাজধানী পরিবহনের বাসের হেলপারের ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে ওই পরিবহনের ২৫টি বাস আটক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক-সংলগ্ন (ডেইরি গেট) ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে বাসগুলো আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে সাভার থানা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে উঠতে গেলে হেলপার তাকে উঠতে বাধা দেন। পরে জোর করে উঠলেও বাসচালক ও হেলপার তাকে অশোভন গালিগালাজ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নামার সময় হেলপার হালিমাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে আহত হন।
এ ঘটনার পর প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে হালিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর এক সহপাঠী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেইটের মতো কোলাহলপূর্ণ একটা জায়গায় এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিতে পারে— এমনটা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘যে হেলপার আপুকে ধাক্কা দিয়েছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ না করা হয়। পাশাপাশি আমরা হালিমার চিকিৎসার ক্ষতিপূরণও চাই।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নারী শিক্ষার্থীকে 'গণধর্ষণের' হুমকির প্রতিবাদে জাবি ছাত্রদলের 'অবস্থান কর্মসূচি'
রাজধানী পরিবহনের এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের একটি বাসের হেলপারের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস আটকে রেখেছে। আমরা ইতোমধ্যে জড়িত হেলপারকে শনাক্তের চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। একজন মানুষকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া এমন ঘটনা কারো কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ বুধবার) বাস মালিকপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১১২ দিন আগে
রাজধানীতে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত, অভিযুক্ত আটক
রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় দ্বিতীয় স্বামীর ছুরিকাঘাতে আকলিমা আক্তার (৩৩) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেওয়ানবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযুক্ত স্বামী মাসুদকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত আকলিমা আক্তার নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মৃত রফিকুল্লাহর মেয়ে। তিনি দক্ষিণখানের দেওয়ানবাড়ী এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন এবং একটি কাপড়ের শোরুম পরিচালনা করতেন।
নিহতের মেয়ে সাইরী জানান, গতকাল (সোমবার) রাতে মায়ের দ্বিতীয় স্বামী মাসুদ বাসায় এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে আ.লীগ নেতা নিহত
এর আগে, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অভিযুক্ত মাসুদকে আটক করা হয় বলে জানান নিহতের মেয়ে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক মো.ফারুক বলেন, ‘নিহতের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি দক্ষিণখান থানাকে জানানো হয়েছে।’
১১৩ দিন আগে