উপনির্বাচন
হেরে গেলেন হিরো আলম
বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে বহুল আালোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম পরাজিত হয়েছেন। বুধবার ভোট গণনা শেষে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে বগুড়া-৪ আসনে জাসদ (ইনু) প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন।
সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে জানা গেছে, এ আসনের কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে মশাল প্রতীকে তানসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ৩০৮ ভোট।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল উদ্ধার
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪০৪ ভোট। অর্থাৎ, ৯৫১ ভোটে হেরে গেছেন তিনি।
রাত সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেনি।
৬টি আসনের উপনির্বাচনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসির অনুমান
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপির ছেড়ে দেয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে গড় ভোটার উপস্থিতি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে গড় ভোটার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। এটা আমাদের অনুমান, তবে চূড়ান্ত নয়। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও উপনির্বাচনের সময় ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় ছিল।’
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমের কাছ থেকে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। কোনো ব্রেকিং নিউজ প্রকাশিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, তারা এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অনিয়ম বা ভোট কারচুপির তথ্য পাননি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আজকের উপনির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সে দিক থেকে নির্বাচন সফল ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’
তিনি জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন যে তারা এখন পর্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের ওপর নির্ভর করি, কারণ তারা নির্বাচন সফল করতে তারা পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।’
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এমপিদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হয়ে যাওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলে।
যে ছয়টি আসনে ভোট হয়েছে সেগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়নি। ৬টি আসনে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকাল ৯টার দিকে জেলা আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটন ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শহীদ জানান।
তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে একটি অশোধিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রে প্রায় ১১০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম এবং চারটি স্ট্রাইকিং টিম দায়িত্ব পালন করছে।
নির্বাচনী এলাকায় ৮৬৭টি ভোটকেন্দ্রে মোট ২২ লাখ ৫৫ হাজার ২১৭ জন ভোটার রয়েছেন।
এদিকে উপনির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় বুধবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
এর আগে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর এক জনসভায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদ থেকে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরদিন ১১ ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান।
বিএনপির অপর দুই সংসদ সদস্য- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন-অর-রশিদ- পরে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে, তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত।
এদিকে, সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে আসছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। নেই উৎসবমুখর পরিবেশ। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে পারে ভোটারের উপস্থিতি।
নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এরা হলেন- বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি)। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনটিকে উন্মুক্ত ঘোষণা করায় এখানে দলটির কোনো প্রার্থী (দলীয়) নেই।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল উদ্ধার
এছাড়াও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় অফিসারসহ এক হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকার পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও চারটি স্ট্রাইকিং টিম নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করবে তিনজন পুলিশ, অস্ত্রধারী দু’জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও দুইজন গ্রাম পুলিশ।
উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম। কোনো কোনো কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দুই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা আট লাখ ১৬ হাজার ৯৪৫ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৩৫২টি। এবারই প্রথম ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইভিএম কেনার বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছে, বাতিল হয়নি: ইসি সচিব
নির্বাচনে দু’টি আসনে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ছয়জন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে তিনজন।
এদিকে, ৩৫২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২১৯টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে সহিংশতার খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব জানান, শান্তিপুর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুই আসনে আইনশৃংখলা বাহিনীর এক হাজার ৮০০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আইনশৃংখলা রক্ষায় দু’টি আসনে ৩৩ জন ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ হারুন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, ভোলাহাট, নাচোল) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করায় এ আসন দু’টি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বুধবার দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনে বুধবার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূণূভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে প্রিজাইডিং অফিসাররা স্ব স্ব রিটানিং কর্মকর্তার নিকট থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি গ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার
পুলিশ সুপার (এসপি) এএইচএম আবদুর রকিব জানান, নির্বাচন পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং শান্তিপুর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ছয়জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ পাঁচ হাজার ৪৫০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ এক হাজার ১৭০ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ চার হাজার ২৮০ জন। আর ভোট কেন্দ্র ১৮০টি।
অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ১১ হাজার ৪৯৫জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ছয় হাজার ১৪৯জন ও নারী ভোটার দুই লাখ পাঁচ হাজার ৩৪৬ জন। ভোট কেন্দ্র ১৭২টি।উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ হারুন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর, ভোলাহাট, নাচোল) আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করায় এ আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলমের রিট
বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
বগুড়া ৪ ও ৬ আসন থেকে মনোনয়ন (স্বতন্ত্র) প্রত্যাশী মো. আশরাফুল আলম হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) পৃথক দুটি রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিব, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ চারজন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলমের রিট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করেছেন। এর ফলে সে প্রার্থীতা ফিরে পেল। এ আদেশের ফলে নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে কোন বাধা নেই।
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র প্রথমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করেন।
গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
এরপর হিরো আলম মনোনয়ন গ্রহণ ও বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে। সেই আপিলও গত ১২ জানুয়ারি খারিজ করেন নির্বাচন কমিশন। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে গতকাল সোমবার হাইকোর্টে রিট করেন হিরো আলম।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বগুড়ায় দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন সংগ্রহ
উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলমের রিট
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিব এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) হিরো আলমের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াররুল ইসলাম এই রিট আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী।
বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র প্রথমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করেন।
গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
এরপর হিরো আলম মনোনয়ন গ্রহণ ও বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে। সেই আপিলও গত ১২ জানুয়ারি খারিজ করেন নির্বাচন কমিশন। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আজ হাইকোর্টে রিট করলেন হিরো আলম।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন সংগ্রহ
হিরো আলম: আসল ঝামেলাটা কি গান না শ্রেণি?
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন: স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহজাহান আলম সাজু।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের নেতৃত্বে প্রার্থীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা আইনজীবী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ উপনির্বাচনে এখন পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্য চার প্রার্থীরা হলেন: জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্রভাবে জাপা বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু আসিফ।
উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে মো মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিগত কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছি।’
আবদুস সাত্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন ও দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ জানুয়ারি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিএনপি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদসহ দলের অভ্যন্তরীণ সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাত্তার।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদের সাতজন বিএনপি সদস্যের মধ্যে পাঁচজন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশিদ যিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্পিকারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
গত ১০ ডিসেম্বর সংসদ সদস্যরা ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠান।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের পর শূন্য বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা প্রমাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
ওই দুই আসনে মোট ২২জন প্রার্থীর মধ্যে বাতিল হয়েছে বগুড়া-৪ আসনে পাঁচজন এবং বগুড়া-৬ আসনে ছয়জনের।
বগুড়া-৪ আসনের বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা, ইলিয়াস আলী, সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, আব্দুর রশিদ ও আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
বগুড়া-৬ আসনে- বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার বাদল, আব্দুল মান্নান আকন্দ, সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, হিরো আলম ও রাকিব হাসান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন সংগ্রহ
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের দুই আসনেই ১ শতাংশ ভোটার সমর্থক তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। একই রকম গড়মিলের কারণে বাতিল হয়েছে অন্য প্রার্থীদের মনোনয়নও।
সাইফুল ইসলাম জানান, প্রত্যেকের দাখিল করা তথ্যে গড়মিল থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে কারও আপত্তি থাকলে আপিল করতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র বাতিলের পর হিরো আলম বগুড়া ডিসি অফিসে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আমি আপিল করবো। মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনে লড়বো।
এদিকে বগুড়া-৬ আসনে বাতিলের পর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু এবং জাপা ও জাসদসহ সাতজনের। আর বগুড়া-৪ আসনে বৈধ প্রার্থী রয়েছেন ১৪ দলের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন ও জাপাসহ চারজন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী- শূন্য ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আর ‘বিকৃত’ করে গান গাইবেন না হিরো আলম
বউ পেটানোর মামলায় হিরো আলম কারাগারে
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনের উপনির্বাচনের জন্য ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা পর্যন্ত পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা করেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, জাকের পার্টির এমদাদ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সাফি আল আসাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার তকদির আলী সরকার জানান, আগামী ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও ১৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
বিএনপির জাহিদুল ইসলাম জাহিদ পদত্যাগ করায় এ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ২৪ হাজার ৭৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ জন এবং নারী এক লাখ ৫৯ হাজা ৫০৪ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১২৮টি ও বুথ ৮০৮ টি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে