বিশ্ববিদ্যালয়
শাবিপ্রবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার রাতে জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো রাশেদ তালুকদারকে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, এপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম, এগ্রিকালচার অ্যান্ড মিনারেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রোমেল আহমদ, লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন: শাবিপ্রবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন। আমরা চাইবোনা কোনো শিক্ষার্থী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক। তাদের সকল ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বার্তা সংস্থা ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো শিক্ষার্থীর অধিকার খর্ব না হয় সে বিষয়ে আমাদের নজর আছে। আমি শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানাই যে তারা তাদের সমস্যার কথা আমার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। আমরা সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো সিদ্ধান্তই শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বাইরে যাবেনা। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থী বান্ধব হবে।
আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
নারী শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আবাসিক হল নিয়ে যে সমস্যাটা তৈরি হয়েছে এর আগে আমাকে জানানো হয়নি। শুক্রবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান রাখবো তোমরা আবেগ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিবেনা। উপাচার্যের জায়গা থেকে তোমাদের সকল সুযোগ-সুবিধায় আমি পাশে আছি। ইতোমধ্যে আবাসিক হলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা কনক খানকে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়া প্রভোস্ট অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্যই কাজ করবেন। আমরা সকলেই তোমাদের পাশে আছি।
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ইতোমধ্যে নতুন করে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে ১১টি বিধি-নিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সকলকেই এই বিধি-নিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্তও হয়েছে। সবাইকে বলবো সবসময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়ম-নীতিগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী
চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীতে জাকিয়া চৌধুরী (২০) নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা এটি আত্মহত্যা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় মহানগরীর ইপিজেড থানা এলাকার নেভি গেট কলোনি থেকে ওই ছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।মৃত ছাত্রী আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (অনার্স) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই এলাকার এটিএম জোবায়ের চৌধুরীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: নওগাঁর সাবেক ইউপি সদস্যের স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
জানা যায়, রাতে ওই ছাত্রী নিজের রুম ভেতর থেকে বন্ধ করে রাখে। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না দেয়ায় তার বাবা-মা দরজা ভেঙে ভেতরে ফ্যনের সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখে। পরে ইপিজেড থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এই বিষয়ে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোররাতে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে থানায় ফোন দিলে আমরা গিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। আপাতত একটা অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: মাঝে মাঝে উধাও হয়ে যাওয়া ছেলেটির লাশ ঝুলছিল নিম গাছে!
মেডিকেল হোস্টেলের বাথরুম থেকে ভারতীয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার!
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪৫ আসন খালি
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে মেধা তালিকার ভর্তি শেষ হয়েছে। প্রথম মেধা তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষে তিন ইউনিটে এখনও ১৭৪৫টি আসন খালি রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আহসান উল আম্বিয়া।
আরও পড়ুন: করোনার ছুটির মধ্যে পরীক্ষা নেবে ইবি
সূত্র মতে, গত ১১ জানুয়ারি প্রথম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শেষ হয়। এই সময় তিনটি ইউনিটে মোট ২০৯৫টি আসনের মধ্যে ভর্তি হয় ৩৫০ জন। ফলে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ৫০৪টি, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ৮৭৭টি এবং বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৩৬৪টি আসন খালি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইবির এমফিল, পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
খালি আসনগুলোতে ভর্তির জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করবে কর্তৃপক্ষ। এই তালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এরপরও আসন খালি থাকলে ২ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করবে কর্তৃপক্ষ।
শূন্য আসন, ভর্তি ও এ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (iu.ac.bd) থেকে জানা যাবে।
শাবিপ্রবিতে ২৩ শিক্ষককে বিশেষ সম্মাননা
শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২৩ জন শিক্ষককে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেয়া হয়।শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরুসম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবদান ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাদের অবদান অনেক। তাদের অবদানের ফলেই আজকে আমাদের এই অবস্থান। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সদরুউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ড. জাফর ইকবালসহ তাদের দক্ষতা ও সঠিক কর্মপরিকল্পনার কারণেই শুরুতে শাবিপ্রবির ভিত্তিটা সুন্দরভাবে তৈরি হয়েছে।তিনি বলেন, আমার এখানে আসার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম। শিক্ষা, গবেষণা ও কর্মক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে শাবিপ্রবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেক সুনাম রয়েছে।তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করে সরকারের কাছ থেকে মেগা প্রকল্পের বাজেট নিয়ে এসেছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের মধ্যে অন্যতম সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন বিশ্ববিদ্যালয় হবে শাবিপ্রবি। দূর হবে অনেক সংকট। শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ সবদিক থেকে শাবিপ্রবি হবে রোল মডেল। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ১৪ জন শিক্ষক।তারা হলেন- অধ্যাপক ড. মিরাজ উদ্দিন মন্ডল, অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমাদ উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক নাজমুল আসহাব, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই চৌধুরী, অধ্যাপক ড. রেজাই করিম খন্দকার, অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হক, অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার দাস, অধ্যাপক ড. এম হাবিবুল আহসান, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আতী উল্লাহ ও অধ্যাপক ড. আবদুল আউয়াল বিশ্বাস।এছাড়া বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন ৯ জন শিক্ষক।তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ড. সদরুউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক, অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, অধ্যাপক ড. বজলুল মুবিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. গৌরাঙ্গ দেব রায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড. এমএ রকীব, অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও অধ্যাপক ড. মাকসুদুল বারী।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থীঅনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ও মরনোত্তর সম্মাননা পাওয়া শিক্ষকদের পক্ষে তাদের স্বজনরা স্মারক গ্রহণ করেন।শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাসের সভাপত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- শাবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিলেট নর্থ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক উদ্দিন ও সোনালী ব্যাংকের জিএম জামান উদ্দিন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যৌথভাবে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মহিবুল আলম।
যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
এক যুগ আগে শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের সব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও আইনজীবী শাহীনুজ্জামান। আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন জানান, ২০০৯ সালে শিক্ষাঙ্গনসহ কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি গাইডলাইন দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু সেটার আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে আসকের পক্ষ থেকে একটি রিট করা হয়। হাইকোর্ট রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে ২০০৯ সালে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের আলোকে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তিন মাসের মধ্যে কেবিনেট সচিব, আইন সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও পরিবার পরিকল্পনা সচিবকে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮৪ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার: বিএনডব্লিউএলএ
২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিক নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে রায় দেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
কিন্তু এক যুগেও এ রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত বছরের ২১ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করে আইন ও সালিস কেন্দ্র। রিটে জনপ্রশাসনসহ ৪০ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বার কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অপমান সইতে না পেরে জয়পুরহাটে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
প্রথম হয়েও মিলছে না স্বর্ণপদক!
অনুষদে প্রথম হয়েও প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী। সময়মতো সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো ফল প্রকাশে ব্যর্থ হওয়ায় এমনটি ঘটেছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ’মেধার মূল্যায়নে আমরা অনুষদে প্রথম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক আমাদের প্রাপ্য। কিন্তু সেশনজট ও ফলাফল প্রকাশে বিভাগের ব্যর্থতায় আমরা এ পদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যা কাম্য নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুষদে সর্বোচ রেজাল্টধারীদের প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক দেয়া হয়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইউজিসি। সেই বিজ্ঞপ্তির আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শেষ বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা ২০১৮ সালে। কিন্তু বিভাগগুলো সেই ফলাফল প্রকাশ করে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে। এদিকে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালের শেষের দিকে। একই বছরে দুই শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় পদকের তালিকা থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বাদ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয়দের হামলায় ইবির সাত শিক্ষার্থী আহত, প্রতিবাদে বিক্ষাভ
৪ জানুয়ারী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে পদকের জন্য ইউজিসি বরাবর চূড়ান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি শাখা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, এবছরে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে আইন অনুষদ থেকে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন আইন বিভাগের রুবাইয়া ইয়াসমিন। ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রকাশিত ফলাফলে তার সিজিপিএ ৩.৫৯। অপরদিকে একই অনুষদের আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল ইসলামের ফলাফল প্রকাশিত হয় একই বছরের শুরুর দিকে। তার মোট সিজিপিত্র ৩.৫৯। ফলাফল একই হলেও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আশরাফুল।
একইভাবে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ইলিয়াস আলমগীরের প্রাপ্ত সিজিপিত্র ৩.৬২। কিন্তু তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালে। যা প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিলো ২০১৯ সালে। বিভাগের ভুলে তিনিও পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একইভাবে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের একজন, জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজনসহ ধর্মতত্ত্ব অনুষদের একজন শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে মোট পাঁচজন শিক্ষার্থী পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ’শিক্ষা জীবনের সবথেকে বড় অর্জন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক। সেশনজটের কবলে পড়ে আমরা মেধাবী হয়েও এই পদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিভাগকে অভিহিত করেছি। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আমাদের মেধার মূল্যায়ন করা হোক।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি শাখার কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, ’ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী আমরা প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের তালিকা পাঠিয়েছি। নীতিমালা অনুযায়ী, একই বর্ষে একাধিক ফলাফল প্রকাশিত হলে সর্বোচ্চ রেজাল্টধারীকে মনোনীত করা হয়। সেই হিসেবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম বাদ গেছে।’
এ বিষয়ে আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি আনোয়ারুল ওহাব বলেন, ’করোনাকালীন সময়ে পরীক্ষা গ্রহণের কারনে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ’প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে তাতে কোনোরকম ভুল নেই। বিভাগুলোকে যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের জন্য আমরা বলেছি। যাতে সেশনজট না হয়।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
দেশে একদিনে শনাক্ত ১১৪০, মৃত্যু ৭
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ১৪০ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৪৭ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৪৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৪ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে ‘শান’এর মুক্তি পেছাল
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ কোটি ৭৫ লাখ চার হাজার ২৫০ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৪৯ হাজার ১৩১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৩২ হাজার ৬১ জন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ ২৮ হাজার ২৫২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৪ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮২ হাজার ৫৫১ জনে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে করোনা পজিটিভ নিয়ে দেশে ফিরলেন ২ বাংলাদেশি
সৌরভ গাঙ্গুলির পর তার মেয়েও করোনায় আক্রান্ত
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ চার শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ জন ছাত্রকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ চারজনকে কুয়েট থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান ভূঞা এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শিকক্ষ সেলিম হোসেনকে বাসায় যেতে না দিয়ে অফিসে বসতে বাধ্য করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বা আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও কুয়েটে ছাত্র রাজনীতির ওপর কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির মূলতবি সভায় শাস্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল কমিটি
কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান ভূঞা জানান, পাচঁটি ধাপে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে আজীবন বহিষ্কৃতদের মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, হাসান আব্দুল কাইয়ূম, মো. কামরুজ্জামান ও রিয়াজ খান নিলয়।
দ্বিতীয় ধাপে সাতজন শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষাবর্ষ এবং আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- তাহমিদুল হক রিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, সাদমান সাকিব, মাহিম মুনতাসির, এএসএম রাগিব আহসান, মীর জামিউর রহমান ও রুদ্রনীল সিংহ শুভ।
তৃতীয় ধাপে একজন শিক্ষার্থীকে এক শিক্ষাবর্ষ এবং আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম আনিকুর রহমান।
চতুর্থ ধাপে ২২ জনকে এক শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পঞ্চম ধাপে আরও ১০জন ছাত্রকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা তবে, এই শাস্তি এখন কার্যকর হবে না। ভবিষ্যতে কোন ধরণের নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই শাস্তি কার্যকর করা হবে বলেও উল্লেখ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান ভূঞা।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে মারা যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ড. সেলিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিমকে জেরা শুরু করেন। পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
ব্যক্তিগত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ড. সেলিম দুপুরের খাবার খেতে ক্যাম্পাস থেকে নিজ বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ ওঠে, দাপ্তরিক কক্ষে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে ড. সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে দুই দফায় কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
ড. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২ ডিসেম্বর দুপুরে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষকরা।
ড. সেলিমের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। নতুন করে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হলেও ওই সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি কমিটি।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পাঁচ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ওই সভায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) হল ৭ জানুয়ারি খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ কোটি ৫১ লাখ
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ কোটি ৫১ লাখ ২৪ হাজার ৩১১ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা পাচঁ কোটি ৭০ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৩০ হাজার ৭১ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ ২৮ হাজার ২৫২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ২৬১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮২ হাজার ১৭ জনে।
আরও পড়ুন: করোনায় কমেছে সুস্থতার হার
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদের মধ্যে চার জন পুরুষ ও দু’জন নারী। এই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৮৭ জনে।
এদিকে, আগের দিনের তুলনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার কমেছে।
মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭৫ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৫ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৮৫২ পরীক্ষাগারে ১৯ হাজার ৭৪০ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১৯ হাজার ৮৩৮ নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ৯১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমকি ৬১ শতাংশ। এর আগের দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন এবং সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসি করোনায় আক্রান্ত
করোনার সংক্রমণ বাড়লে লকডাউন দেয়া হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী