এক যুগ আগে শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের সব সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও আইনজীবী শাহীনুজ্জামান। আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন জানান, ২০০৯ সালে শিক্ষাঙ্গনসহ কর্মস্থলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি গাইডলাইন দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু সেটার আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে আসকের পক্ষ থেকে একটি রিট করা হয়। হাইকোর্ট রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে ২০০৯ সালে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের আলোকে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তিন মাসের মধ্যে কেবিনেট সচিব, আইন সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও পরিবার পরিকল্পনা সচিবকে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮৪ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার: বিএনডব্লিউএলএ
২০০৮ সালের ৭ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী কর্মস্থল এবং শিক্ষাঙ্গনে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য দিক নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট বিভাগে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২০০৯ সালের ১৪ মে রায় দেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ রায়ে হাইকোর্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে অভিযোগ গ্রহণের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
কিন্তু এক যুগেও এ রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত বছরের ২১ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করে আইন ও সালিস কেন্দ্র। রিটে জনপ্রশাসনসহ ৪০ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, বার কাউন্সিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অপমান সইতে না পেরে জয়পুরহাটে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা