শামীম ওসমান
২০১৪ সালেই জিয়ার ম্যুরাল ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়েছিল: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ শহরের জিয়া হলে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙা নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ২০১৪ সালেই এটা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজউক এটাকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ কারণেই এটা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চার তারিখে মিটিং হবে সেখানে এমনি এটা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিন তারিখ কেন ভাঙতে যাব! ওরাই হয়ত এটাকে ভেঙেছে অথবা ভেঙে পড়েছে। ওরা এটা নিয়ে ইস্যু তৈরি করতে চায়।’
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এখন আর আমি রাজনৈতিক দল মনে করি না: শামীম ওসমান
শামীম ওসমান বলেন, ‘গতকাল সাংবাদিকের ফোন পেয়ে আমি জেনেছি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে বিএনপির কিছু নেতা আমাকে দায়ী করেছে। আমি তাদের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙতে চাইলে বহু আগেই ভাঙতাম। দিনের বেলা ভাঙতাম। এর আগেও তো ১৯৮৯ সালে জিয়াউর রহমানকে আটকে দিয়েছি। জীবিত অবস্থায়ই তাকে আটকে দিয়েছি। সুতরাং রাতের বেলা ভাঙার প্রশ্ন আসে না। ওরা এটা করে একটা ইস্যু তৈরি করতে চায় যেন এ কাজটা না হয়।’
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা বলেছি এখানে একটি মঞ্চ হবে। এখানে ১৯৪৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সব ইতিহাস ধারণ করা হবে।
এ সংসদ সদস্য বলেন, এটা আমাদের কর্তব্য স্মৃতি রক্ষা করা। এখানে কেউ বাধা দিলে আমরা তাদের প্রতিহত করব, মানুষ প্রতিহত করবে।
৬ দফা মঞ্চ তৈরির বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, এ কাজটা হলে নারায়ণগঞ্জে একটা খোলামেলা জায়গা হবে। আশা করি আগামী ১৫ আগস্ট এ মঞ্চ আমরা ওপেনিং করব। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতা-কর্মীদের নিয়েই এটা ওপেনিং করব।
আরও পড়ুন: ওরা আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়: শামীম ওসমান
বিএনপিকে এখন আর আমি রাজনৈতিক দল মনে করি না: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপিকে এখন আর আমি রাজনৈতিক দল মনে করি না। জামায়াত ১৯৭১ সালে সময় আমাদের মা-বোনের সম্মান নিয়েছে এবং স্বাধীনতার যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। বিএনপি এবার জনগনের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৩/১৪ সালে বিএনপি মানুষ পুড়িয়েছে, যানবাহন পুড়িয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে; ওরা এখনো সংশোধন হয়নি। বিএনপিকে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন বলা যেতে পারে। অলরেডি কানাডিয়ান আদালতসহ বিভিন্ন জায়গায় বলা হয়েছে। আমার মনে হয় না এই সন্ত্রাসীদের ডাকে কেউ সাড়া দেবে।
আরও পড়ুন: ওরা আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়: শামীম ওসমান
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে ফতুল্লায় নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে- কেউ কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবে না। তবে, আমরা দেখছি বিএনপি নারায়ণগঞ্জে কর্মসূচি পালন করছে। যদি এর চেয়ে বাড়াবাড়ি তারা করার চেষ্টা করে, তাহলে মানুষ কিন্তু জবাব দিয়ে দেবে। বিশেষ করে ট্রেনে আগুন দিয়ে বাচ্চাটাকে মেরে ফেলাটাকে মানুষ স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারেনি। মানুষের মাঝে একটা ঘৃণা জমে গেছে। এই ঘৃণার যদি বহিঃপ্রকাশ ঘটে যায়, বিএনপির জন্য খুব ভয়ানক হবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: শামীম ওসমান
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যে বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে, আমাদের এদের জন্য মায়া হচ্ছে। কিছুদিন পর তাদের আদালতে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। তখন কাঁদবে কিন্তু তার পরিবারের লোকরা, লন্ডনে বসে তারেক রহমান কাদবে না। আমরা কারো সঙ্গে প্রতিহিংসা করতে চাই না, আমরা চাই সবাই ভালো থাকুক।
এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, এমপি শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত সহকারী হাফিজুর রহমান মান্নাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
ওরা আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দেশে অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে আখড়া করতে চাচ্ছে। যেমনটা ফিলিস্তিনে আখড়া করেছিল। ওরা আমাদের দেশের জায়গা চায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়। শেখ হাসিনা একা এগুলোকে মোকাবিলা করছেন। আমাদের সবাইকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নয়তো এর আগে ব্রিটিশদের গোলামি করেছি ২০০ বছর। এবার গোলামি থেকে মুক্তি পাবেন না, দেশ ঝাঁঝরা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের আগে সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি গণসংযোগে অংশ নেন।
তিনি বলেন, আমি গতবারও ভোট চাইনি, এবারও চাইব না। আমি মনে করি আপনার জ্ঞান আমার চেয়ে বেশি। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ আপনি জানেন। আমার কাজ আমি করে যাব, কবুল করবেন আল্লাহ। পৃথিবীর সব মানুষ আমার পক্ষে থাকলেও আল্লাহ বিপক্ষে থাকলে আমি কিছুই করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি এই এলাকায়। আমি কিছু করিনি। আল্লাহর হুকুমে শেখ হাসিনার উসিলায় আমরা এগুলো করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: শামীম ওসমান
হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, ‘হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন। নির্বাচন করার ইচ্ছা আমার নাই, অন্য কেউ আসুক।’
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে কাশীপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে, আমি জানি। আমার জন্য একটাই দোয়া করবেন, আপনাদের ভালোবাসার প্রতিদান যাতে দিতে পারি। মা-বোনেরা আমাকে যেভাবে আজ আদর করেছে, আমি ভুলব না। আমি কখনো ভোট চাই না। কারণে আপনি আমার থেকে কম বুঝেন না। আমি নাটক করতে পারি না, আমি ভন্ডামি করি না। রাজনীতিকে আমি ইবাদত হিসেবে দেখি।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা ফতুল্লা অঞ্চলে ৬৫০ কোটি টাকার রাস্তা করেছি। ২৬০০শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে পঞ্চবটী-মুন্সিগঞ্জ সড়ক হচ্ছে, ১৩০০শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ চলমান আছে হয়তো জুন মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ১২-১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ আমরা শেষ করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্বাচনী প্রচারে নামেনি ৬ জাপা প্রার্থী
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে ভোট চাই না, কেন? কারণ আপনি ঠিক করবেন আপনি কি চান। সিদ্ধান্ত আপনার।’
তিনি আরও বলেন ‘যত বড় শক্তি বিদেশ থেকে আসুক না কেন, কিচ্ছু করতে পারবে না। আগামী ৭ তারিখে নির্বাচন হবেই। তারা আমাদের মানচিত্রে আঘাত করেছে। সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো দেশ বানাতে না চাইলে ভোট দিতে আইসেন। ভোট আমাকে দিয়েন না, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়েন; তবে ভোটটা দিয়েন।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘তাদের কোনো সুযোগ দিয়েন না। এবারের ভোটটা দেওয়া আপনাদের খুব দরকার। বিএনপি-টিএনপি কিচ্ছু থাকবে না, ছুড়ে ফেলে দিবে। লন্ডন থেকে বসে হুকুম দেয় বাসে আগুন দিতে, ওরা বলে জ্বি ভাইয়া।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর আমার প্রথম কাজ মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি; এগুলো বন্ধ করব। আপনারা জিজ্ঞেস করতে পারেন, কেন করবেন এগুলো? কারণ আমি আল্লাহকে খুশি করে মরতে চাই।’
কাশীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির আলম ফাতুর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদল, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কার্মীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আজকে স্লোগান দেওয়ার সময় এসেছে যে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ রক্ষা কর।’
তিনি বলেন, ‘আজ এমন একটি পরিস্থিতি এসেছে, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আমার মনে হচ্ছে সামনে আমাদের সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সে ব্যাপারে আমি আপনাদের নির্দেশনা চাই।’
আরও পড়ুন: শামীম ওসমানের স্ত্রী, পুত্রবধূ ও নাতি করোনায় আক্রান্ত
রবিবার (২০ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ সদরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শামীম ওসমান বলেন, এ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সূতিকাগার। বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে বার বার নারায়ণগঞ্জের কথা বলেছেন। প্রতিটি আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের মানুষ রক্ত দিয়েছে। পঁচাত্তরের পরেও নারায়ণগঞ্জের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, আপনারা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। তার চেয়ে বড় কিছু তো আর করার থাকে না। তারপরেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ রক্ষার জন্য কথা বলতে হয় এটা দুর্ভাগ্যজনক।
আমরা আপনাদের যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারিনি সেজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
তিনি মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আমি প্রস্তাব রাখছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৃতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করুন।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ভোট শুরু
ভালোবাসা দিবসে টেলিভিশনের পর্দায় ওসমান দম্পতি
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এটিএন বাংলায় ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘ভালোবাসার সারাবেলা’। এতে অতিথি হিসেবে দেখা যাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শামীম ওসমান ও তার সহধর্মিনী সালমা ওসমান লিপি।
আয়োজনটি থেকে দর্শকরা যা জানতে পারবেন- এই দম্পতি তাদের ব্যক্তি জীবনে ভালোবাসার জন্য সংগ্রাম করেছেন, প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাদের ভালোবাসার জীবন। যারা রাজনীতি করেন তাদেরও একটা ভালোবাসার হৃদয় রয়েছে। সেখানে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে থাকে হাজারো স্বপ্ন।
সেই স্বপ্ন পূরণে থাকে নানা গল্প। সেই ভালোবাসার নানা অজানা গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে আরও থাকবে অতিথি যুগলের পরিবেশনায় কবিতা আবৃত্তি ও গান।
নীল হুরের জাহানের উপস্থাপনা ও সেলিম দৌলা খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে।
আরও পড়ুন: অপূর্ব’র ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ হইচই-এ আসছে ফেব্রুয়ারিতে
চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি: ‘গুটি’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন
নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়াকে একটি বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
রবিবার বিকাল ৩টার দিকে ভোট দেয়ার পর শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এমনকি প্রার্থীরা বলেছেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। তাই তারা সন্তুষ্ট।
নির্বাচনী বিধিমালা অনুসরণ করে রিকশায় করে আদর্শ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
এই সাংসদ বলেন, ‘নির্বাচনকে সংঘাতময় বলা গণমাধ্যমের ফ্যাশন হয়ে পড়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, ‘সারা জীবন আমি আওয়ামী লীগের প্রতীকের জন্য কাজ করেছি; প্রার্থীর জন্য নয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমি শেখ হাসিনার যোদ্ধা এবং তিনি আমার আদর্শ। আমি তার মতো সব দুঃখ সহ্য করতে পারব। তবে এটা আমি প্রতিবার করতে পারব না। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হবে।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ভোট শুরু
নাসিক নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোট
টানা ১৮ দিনের প্রচার-প্রচারণার পর রবিবার (১৬ জানুয়ারি) তৃতীয়বারের মতো বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মোট সাতজন মেয়র প্রার্থী, ২৭ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতেই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
নির্বাচনে সাতজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের (হাতি প্রতীক) মধ্যে।
গত দুই সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার আগে ২০০৩ সালে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
২০১১ সালে প্রথম নাসিক নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে দেশের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এরপর ২০১৬ সালে বিএনপির দলীয় প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের ব্যানারে দ্বিতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হন আইভী। টানা ১০ বছর নগরমাতার দায়িত্ব পালন করে নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজ এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ২০১১ সালে যাকে ভোট গ্রহণের কয়েক ঘন্টা আগে বসিয়ে দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: সবার নজর নারায়ণগঞ্জে
সবার নজর নারায়ণগঞ্জে
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের (নাসিক) আর মাত্র একদিন বাকি থাকায়, সবার আগ্রহ এখন বাংলাদেশের ড্যান্ডি– নারায়ণগঞ্জের দিকে।
আগামী রবিবার (১৬ জানুয়ারি) তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে কোনো নির্বাচনী প্রচারণার অনুমতি দেয়া হবে না।
প্রথম নাসিক নির্বাচনে ২০১১ সালে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমানকে এক লাখেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেন। এটাই ছিল নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই দলের মধ্যে চিরস্থায়ী দ্বন্দ্বের সূচনা।
২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আইভী আবার জয়ী হন। এর আগে ২০১৪ সালে শামীম ওসমান সংসদ সদস্য হন। তিনি আইভীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় কমান্ড তার নারায়ণগঞ্জ ইউনিটের সুপারিশকে পাশ কাটিয়ে আবারও আইভীকে মনোনয়ন দেয়।
এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে রাজনীতিবিদ ও তাদের সমর্থকরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনে জয়ের জন্য জোর প্রচারণা চালাতে দেখা যায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের।
এবারের নাসিক নির্বাচনের মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নেমেছেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তৈমুর একজন প্রবীণ বিএনপি নেতা, যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, কারণ বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন বর্জন করছে।
দুই প্রার্থীর সমর্থকরাই নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। দুই প্রধান মেয়র প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
এছাড়া মেয়র পদে ব্যালটে সাতজনের নাম থাকলেও, শামীম ওসমান কী করেন বা কোন দিকে ঝুঁকেছেন, এই প্রশ্নকে ঘিরেও আলোচনার জন্ম হয়েছে। সব মিলিয়ে তাকেও নির্বাচনের হিসেব-নিকেশের বাইরে রাখা যাচ্ছে না।
চলতি সপ্তাহে আইভী অভিযোগ আনেন,তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তৈমুর আসলে শামীম ওসমানের ভাই এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম ওসমানের প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
তার এই অভিযোগের পর থেকে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে আইভীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
সোমবার শামীম বলেন, খেলা হবে এবং আমরা ১৬ জানুয়ারি জিতব।
তবে আইভী ওই দিনই বলেন, তৈমুরের কর্মকাণ্ড থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, যে তিনি শামীম ওসমানের মনোনীত প্রার্থী।
এই একই দাবি আইভী এর আগেও করেছিলেন, যার ফলে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে শামীম ওসমানকে নির্বাচনের আগে তার অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার শামীম ওসমানের সমর্থন প্রসঙ্গে আইভী বলেন, আমি বলিনি তার সমর্থন লাগবে না। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে এবং দলের নেতা-কর্মী ও ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন। দু-একজন ভোট না দিলেও কোনো কিছু হবে না।
অন্যদিকে তৈমুর বলেন, নির্দিষ্ট কিছু লোক আমাকে সমর্থন করছে বলে আমার প্রতিপক্ষ সন্দেহ করছে এবং তারা আমার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমার সমর্থক ও দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তৈমুরের সমন্বয়ক ও প্রচারণা ইনচার্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে তার হিরাঝিলের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন
ব্যালটে অন্য ছয় প্রার্থীর উপস্থিতি সত্ত্বেও, আইভী যে নাসিক মেয়র হিসাবে ফেভারিট তাতে কোন সন্দেহ নেই। তিনি ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন তার সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা যখন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন জনগণের কষ্টার্জিত ভোটে জনপ্রিয়তা ও নীতি উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একজন সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন আইভী।
শামীম ওসমানের স্ত্রী, পুত্রবধূ ও নাতি করোনায় আক্রান্ত
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপিসহ তার পুত্রবধূ এবং শিশু নাতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।