টানা ১৮ দিনের প্রচার-প্রচারণার পর রবিবার (১৬ জানুয়ারি) তৃতীয়বারের মতো বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মোট সাতজন মেয়র প্রার্থী, ২৭ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতেই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
নির্বাচনে সাতজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা প্রতীক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের (হাতি প্রতীক) মধ্যে।
গত দুই সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার আগে ২০০৩ সালে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।
২০১১ সালে প্রথম নাসিক নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে দেশের প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এরপর ২০১৬ সালে বিএনপির দলীয় প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের ব্যানারে দ্বিতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হন আইভী। টানা ১০ বছর নগরমাতার দায়িত্ব পালন করে নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজ এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে, তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ২০১১ সালে যাকে ভোট গ্রহণের কয়েক ঘন্টা আগে বসিয়ে দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: সবার নজর নারায়ণগঞ্জে