মিয়ানমার
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই প্রত্যাবাসন হওয়া উচিত। এটি একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা। দক্ষিণ কোরিয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।’
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ইস্যুটি শুধু মানবিক নয়, মানবাধিকারও বটে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) কর্তৃক আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ. কোরিয়ার ‘আরও উদ্যোগ’ চায় বাংলাদেশ
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে। তিনি বলেন, ‘আগামী বছরকে আমাদের সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য একটি অর্থবহ বছর করার লক্ষ্যে আমি বিভিন্ন পরিকল্পনা ও চেষ্টা করছি। ৫০ বছরের বন্ধুত্ব নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হচ্ছে তাঁর অন্যতম একটি প্রস্তুতি।’
তিনি বলেন, এই উদযাপন ও প্রচেষ্টায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২১ সালে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার অতিক্রম করে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। তাঁর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে ২০২১ সালে রপ্তানি করেছে ১৬৩ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ছে। অপরদিকে ২০২১ বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রপ্তানি করেছে, যা গতবছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত অর্থবহ উন্নয়ন। কারণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থবির হয়েছিল। ২০১১ সালে এটি ১৮০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল।’ তিনি আরও যোগ করেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশ।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে ১৫ কোটি ডলার নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম অবস্থানে আছে। যা প্রমাণ করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘আমি নিশ্চিত যে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করতে মিডিয়া ও সাংবাদিকরাও ভূমিকা রেখেছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও গভীর করাই আমার দায়িত্ব। বাংলাদেশে আমার দায়িত্বের শুরুতে এ বিষয়ে বলেছি, এখানে আমি আমার মেয়াদে কাজের তিনটি প্রধান উদ্দেশ উপস্থাপন করেছি। যেগুলো হল-বৈচিত্র্যতা, উচ্চতা ও প্রজন্ম।’
আরও পড়ুন: ডিকাবের নতুন সভাপতি পান্থ, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাল ঢাকা
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টারশেল ছোড়ার একদিন পর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াউ মো কে তলব করে প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, ‘আমরা মিয়ানমারের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি যাতে এ ধরনের ঘটনা না আর ঘটে।
রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি মৌখিক সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রথমত এটি তদন্ত করা হবে যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এটি নিক্ষেপ দুর্ঘটনাবশত ছিল, না ইচ্ছাকৃত ছিল।
রবিবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের দুটি মর্টার শেল পতিত হওয়ার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
অবিস্ফোরিত মর্টার শেল দেখে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার প্রতিবাদ জানাবে ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল
মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার প্রতিবাদ জানাবে ঢাকা: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার কঠোর প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রবিবার বিকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমার দুটি মর্টার ছুঁড়ে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ‘এডজাস্ট’ করা কঠিন: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা এরকম ঘটনার স্বাভাবিক প্রতিবাদ করি। কিছুদিন আগে আমরা একই রকম ঘটনার খবর পেয়েছিলাম। আমরা আবারও মিয়ানমারের প্রতি কঠোর প্রতিবাদ জানাবো।’
তিনি বলেন, প্রথমত এটি তদন্ত করা হবে যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এটি নিক্ষেপ দুর্ঘটনাবশত ছিল, না ইচ্ছাকৃত ছিল।
রবিবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের দুটি মর্টার শেল পতিত হওয়ার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)।
অবিস্ফোরিত মর্টার শেল দেখে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
আইসিজে’র রায়ে মিয়ানমারের আবেদন খারিজ, গতি পাবে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ: ওআইসি
আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থা (ওআইসি) বলেছে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত কর্তৃক মিয়ানমারের আপত্তিকে খারিজ করে দেয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে।
মুসলিম বিশ্বের সমন্বিত স্বরের সংগঠনটি বলছে, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের এই রায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ক্রমাগত কষ্ট লাঘবের সমাধানে আরো বেশি অবদান রাখবে। ওআইসির মহাসচিব রোহিঙ্গাদের দুর্দিনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংগঠনটির মহাসচিব হোসেইন ইব্রাহিম ত্বহা শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন শনিবার ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং রাজধানীর একটি হোটেলে তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বর্বর অভিযান চালায়। এসময় তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে লাখ লাখ মানুষকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে।
ওআইসি বলছে, পাঁচ বছর পরও রাখাইনের রোহিঙ্গারা স্বাধীনভাবে চলাফেরা, মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগের ঘাটতি রয়েছে।
আরও বলা হয়, ‘এই বর্ষপূর্তি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে বসবাসকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য, নিরাপত্তা, আতিথেয়তা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানায় ওআইসি।
পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ওআইসি মহাসচিবের
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা প্রশংসাযোগ্য।
ওআইসির মহাসচিব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সহযোগিতার দৃঢ় আশ্বাস পুর্নব্যক্ত করেন।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দুর্দশাগ্রস্থতের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার প্রচেষ্ঠাকে দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান। এর মধ্যে- তাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব প্রদান, তাদের পক্ষে নিরাপত্তার শর্ত নিশ্চিত, ত্রাণকার্যক্রম, সম্মান, স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং আভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের তাদের নিজভূমিতে ফেরত নেয়া।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ওআইসির অব্যাহত সমর্থন চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা সঙ্কট: আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ওআইসি
সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের
মিয়ানমারের জনগণের বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান বন্ধ করতে সেনাবাহিনীর ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে বেসামরিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতার জন্য জোর দেয়ার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাচেলেট বলেন, ‘আমরা সেখানে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন নথিভুক্ত করছি, যার মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণ যা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের সমান হতে পারে।’
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। এরপর প্রায় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী, শিশু এবং পুরুষ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশে আসার পাঁচ বছর পূর্তি পালিত হয়েছে।
মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, গ্রাম ও আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা ও কামানের ব্যবহার তীব্র হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, ‘সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে যে, দেশের শেষ মোটামুটি স্থিতিশীল এলাকায় সশস্ত্র সংঘাত চলছে।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রায়ই তাতমাদও এবং আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের মধ্যে ধরা পড়েছে বা সরাসরি অভিযানে তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা: মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সমর্থনে আইনি পদক্ষেপ
রোহিঙ্গা সংকট: তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন বিবেচনা করছে জাপান
রোহিঙ্গা সংকট: তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন বিবেচনা করছে জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য ‘তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার’।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের গ্রহণ করা একটি স্থায়ী সমাধান। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শরণার্থী সংকটের বোঝা ভাগ করে নেয়ার একটি উপায়।’
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাপান এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে তৃতীয়-দেশে পুনর্বাসনের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে শরণার্থীদের গ্রহণ করার জন্য একটি পাইলট কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাসহ ৫৪টি পরিবার ও ২০০ জনকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, তারা ইউএনএইচসিআর-এর নির্দেশনায় জাপানে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের আরও সম্ভাবনা বিবেচনা করতে পারে।
নাওকি বলেন, জাপান, বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একসঙ্গে মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ তৈরি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদার প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে সক্রিয়ভাবে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট: প্রত্যাবাসনের পথ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলিন হাইজার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকার ইউএস দূতাবাসের আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমন্বয়কারী ম্যাকেঞ্জি রো এবং ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের মৌলিক সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত থাকবে। আমরা দ্বিপাক্ষিক সংলাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। আমি দ্রুত প্রত্যাবাসনের জরুরি প্রয়োজন দেখছি।
মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় যে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ গত পাঁচ বছরে মানবিক অবস্থান দেখিয়েছে এবং উদারভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, জাপান অব্যাহতভাবে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে মিয়ানমার সরকারের ওপর বিভিন্ন দেশের চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর পৌরসভায় শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিকসন বলেন, ‘আজ রোহিঙ্গা ট্রাজেডির পঞ্চম বর্ষপূর্তি। রোহিঙ্গারা অনেক ভাগ্যবান, যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল, তখন এদেশের সরকারের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সহযোগিতা পেয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক জীবনের অপেক্ষায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা
তিনি বলেন, ‘এটি খুব সহজ নয় যে এত তাড়াতাড়ি বিষয়টি সমাধান হবে। এজন্য আমাদের সঙ্গে অন্যান্য দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। রোহিঙ্গারা যদি চায়, তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে দিতে চাই। এছাড়া আমরা যখনই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবো, তখনই তাদের দেশে ফিরে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যদি এদেশেই থাকতে চায় তাহলে স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে ক্যাম্পে অবশ্যই তাদের স্বাভাবিক জীবনমান, রোহিঙ্গা শিশুদের লেখাপড়া ও সার্বিক বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
এর আগে তিনি দুই দিনের সফরে চাঁদপুরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প এর বাস্তবায়কৃত কাজ মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করেন।
এসময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল, ইউএনডিপির ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি বেন গুয়েন, এলজিডির যুগ্ম সচিব মো. মাসুম পাটওয়ারীসহ চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারে থাকবে: ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থাকা অবশিষ্ট কয়েক লাখ রোহিঙ্গার সংকট এবং নির্যাতনের শিকার হওয়ার কারণগুলোর সমাধান আন্তর্জাতিকভাবে অবশ্যই সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে।
রোহিঙ্গা সংকটের পঞ্চম বর্ষপূর্তিতে ইইউ কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বোরেল, কমিশনার লেনারসিক এবং কমিশনার উরপিলাইনেন বলেন, ‘ইইউ আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারিক কার্যক্রমকে পূর্ণ সমর্থন করে।’
ইইউ শরণার্থী রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে নিরাপদে, স্থায়ীভাবে ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরিয়ে আনার পক্ষে কাজ চালিয়ে যাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউরোপীয় কমিশন রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত অপরাধের সম্পূর্ণ দায় মিয়ানমারের নিশ্চিত করতে স্বাধীন তদন্ত কৌশলের কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন করে রাখাইন রাজ্য থেকে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করে দেশ ত্যাগ হতে বাধ্য করে, যার প্রত্যক্ষদর্শী হয় বিশ্ববাসী।
যারা সেখান থেকে বিতারিত হয়েছিল তাদের বিপুল সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অস্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাঁচ বছর পরও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ও তাদেরকে নিজভূমিতে ফেরার শর্ত তৈরি করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হলেও রোহিঙ্গাদের ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের কয়েক দশক ধরে আশ্রয় দিয়ে আসছে। যা ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীর নিরাপত্তা এবং মৌলিক মানবিক চাহিদা সরবরাহ
নিশ্চিত করার হার বৃদ্ধি পেয়ে দশ লাখে দাঁড়িয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইইউ আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে মানবিক ও সংকটকালীন সহযোগিতা করতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে। পাঁচ বছর পর এককভাবে মানবিক সহযোগিতা করার সীমাবদ্ধতায় এসে পৌঁছেছে।’
এতে বলা হয়, তাদের প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত এই সংকটের মাত্রাগুলিকে চিহ্নিত করা, মানবিক, উন্নয়ন এবং শান্তির জন্য আরও টেকসই অন্তবর্তীকালীন সমাধানগুলো চিহ্নিত করা ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
এই প্রক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তি ও পুণর্মিলনের আন্তর্জাতিক সংলাপে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
মিয়ানমার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষদের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ ভয়ঙ্কর সব অপরাধ করেছে।
পড়ুন: স্বাভাবিক জীবনের অপেক্ষায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এসব অপরাধের জবাবদিহি প্রয়োজন। আজকের সামরিক নেতৃত্বাধীন
মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সাধারণ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করার তীব্র নিন্দা পুর্নব্যক্ত করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ মিয়ানমারের সকল মানুষ, অন্যান্য সংখ্যালুঘু এবং তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্খার প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন জ্ঞাপন করে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনামানের উন্নয়ন ঘটাতে পারে তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও বেশি বিনিয়োগ আহ্বান করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, এর মাধ্যমে শরণার্থীরা বাংলাদেশে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে এবং স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর তাদের সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে এবং সর্বোপরি তাদের জীবন পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।
ইউএনএইচসিআর বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই তহবিল প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
২০২০ এর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ৮৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা চাওয়া হয়। এখন পর্যন্ত যার মাত্র ৪৯ শতাংশ তথা ৪২৬.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
একইসঙ্গে ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গারা যাতে বাস্তুচ্যুত হয়ে না থাকে। এবং স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি করতে রাজনৈতিক সংলাপ ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য দ্বিগুণ প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বেশি কিছু করতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
রোহিঙ্গাদের ত্যাগ করবেন না, সহযোগিতা বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাচেলেট
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজতে চীন আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত দেশটির স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মিয়ানমার একটি কঠিন দেশ, আমরা সঙ্কট সমাধানে আন্তরিকভাবে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।‘
এর আগে শনিবার বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
রাজ্জাক ওয়াংকে জানান, দেশে সম্পদ সীমিত থাকায় বাংলাদেশ এত বড় বোঝা বহন করতে পারছে না।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা থাকার কারণে দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, এটা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘নতুন স্তরে’ উন্নীত করার আশা নিয়ে আজ (রবিবার) বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
বিমানবন্দর থেকে মন্ত্রী ওয়াং ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছেন, ‘আমরা আশা করি এই সফরটি দুই দেশের নেতাদের মধ্যে সাধারণ বোঝাপড়াকে আরও কার্যকর করার, পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতাকে আরও গভীর করার এবং সম্পর্ককে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করার সুযোগ দেবে।’
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত মূল্যবান’ বলে মনে করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের আমন্ত্রণে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন।
পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন