লাশ উদ্ধার
খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
খুলনায় ডোবা থেকে এক বছর সাত মাস বয়সের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শিশুর নাম মোমিন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলার ফুলতলা উপজেলার আলকা গ্রামে সুপার জুট মিলের পেছন দিকের একটি ইটের মাটি তোলার ডোবা থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পুলিশ শিশুর পিতা মো. আরিফ সরদারসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মায়ের পাশে ঘুমন্ত যমজ শিশুর লাশ মিলল পুকুরে
আরিফ সরদারের স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জ এবং আলকা গ্রামের মোস্তফা কাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া। সে বেশ কিছুদিন যাবত উক্ত এলাকায় ইলেকট্রিকের কাজ করে আসছে।
এলাকাবাসী জানান, শনিবার সন্ধ্যায় সুপার জুট মিলের পেছন দিকের এলাকার লোকজন ডোবার ভেতরে এক বছর সাত মাস বয়সের একটি ছেলে শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হক জানান, এ ব্যাপারে ফুলতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুটির মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
পিরোজপুরে নিখোঁজের ৩৭ ঘন্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামির লাশ উদ্ধার
রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলম আস্তুল (৫৭) চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামাণিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চাতাল ঘর থেকে ট্রাকচালকের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে আজিজুল আলম আস্তুল তার স্ত্রী পারুল বেগমকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই হত্যা মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। করোনাকালীন সময়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সরকার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মুক্তি দেয়।
সে সময় তিনি মুক্তি পেয়ে বছর দুয়েক আগে বাড়িতে আসেন। তারপর তিনি পাগলের মতো এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন এবং মানুষের কাছে টাকা-পয়সা চাইতে শুরু করেন। চক্ষু লজ্জায় একপর্যায়ে দুই ছেলে ফারুক হোসেন ও সনি হোসেনকে বাড়িতে আটকে রাখেন। মাসখানেক আগে ঘরের জানালা ভেঙ্গে আলম আস্তুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।
শুক্রবার সকালে একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে খায়রুল ইসলাম পুকুরের পাড় দিয়ে যাওয়ার পথে তার লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে।
পরে স্থানীয়রা গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এছাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর পুকুর পাড়ে আম গাছের নিচে তিনি থাকতেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আজিজুল আলম আস্তুলের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি ইউডি মামলা করেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, লাশের মাথা, মুখ, চোখ, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ণ রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। এছাড়া তার ছেলে সনি হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাথরুম থেকে অধ্যক্ষের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে ভুট্টাখেত থেকে মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি ভুট্টাখেত থেকে এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. মুরাদ হোসেন (১১) সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি গ্রামের দারুল ইসলামের ছেলে এবংমাদারগঞ্জ হাফেজিয়া মাদরাসা ‘খররা’ এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের ছাত্র ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানায়, মুরাদ ওই মাদরাসার আবাসিক শাখার ছাত্র। বুধবার আসরের নামাজ আদায় করে সে। এরপর আর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা। মাদরাসার লোকজন তার বাড়িতে খবর দেয় এবং সকলে মিলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার লোকজন ভুট্টাখেতে কাজ করার সময় তার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন আলামত সংগ্রহ করে।
মাদরাসার পাশের একটি বাঁশঝাড়ে তার পরনের রক্তাক্ত কাপড়-চোপর পড়ে ছিল। সেখানেই তাকে হত্যা করে পাশের ভুট্টাখেতে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তদন্ত চলছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে আকদ এর ১৫ দিনের মাথায় তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!
তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ৪১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার
তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ৪১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার
তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে শুক্রবার ৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষীরা। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর আরও বাড়ল।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায় যে দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত দশ দিনে প্রায় ২০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বুলগেরিয়ায় পরিত্যক্ত ট্রাকে ১৮ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার
সার্বিয়ায় ট্রাকের অ্যালুমিনিয়াম রোলের ভিতর থেকে ৯ অভিবাসী উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, তিউনিসিয়ার মর্গগুলোতে জায়গা নেই এবং কর্মকর্তারা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বন্দর শহর স্ফ্যাক্সের বিচার কর্মকর্তা ফৌজি মাসমুদি বলেছেন, মঙ্গলবার আমাদের কাছে হাসপাতালের ধারণক্ষমতার বাইরে ২০০ টিরও বেশি লাশ ছিল। যা একটি স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় এক মিলিয়ন মানুষের জন্য তাদের একটি কেন্দ্রীয় মর্গ আছে।
মাসমুদি বলেন, প্রচুর লাশ তীরে আসায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা জানি না তারা কারা বা কোন জাহাজ থেকে তারা এসেছে; তাই ক্রমেই মর্গে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা বাড়ছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার মতে, গত দেড় সপ্তাহে মোট প্রায় ৩০০ জন মারা গেছেন এবং চলতি বছর ৮২৪ জন মারা গেছে।
ন্যাশনাল গার্ডের হাউসেম এডদিন জেবালি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশগুলোর পচনশীল অবস্থা দেখে বোঝা যায় যে তারা টানা কয়েকদিন পানিতে ডুবে ছিল।
তার মতে, এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক মৃত্যু নজিরবিহীন।
সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে তিউনিসিয়া একটি ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের মিসিং মাইগ্রেন্ট প্রজেক্টের তথ্যানুসারে, শুধুমাত্র গত ১০ দিনে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরে ৩০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ইতালীয় উপকূলে অভিবাসী নৌকা বিধ্বস্তে নিহত ৬০
পানামায় বাস দুর্ঘটনায় ৩৯ অভিবাসী নিহত
কানাডায় বাংলাদেশি ছাত্রের লাশ উদ্ধার
কানাডার মন্ট্রিলে তার ভাড়া বাসা থেকে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার স্থানীয় পুলিশ ইয়েসিন মোহাম্মদ খান ফাহিমের লাশ মন্ট্রিলের ডাউনটাউনে তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার তার মামা সৈয়দ মোস্তাক আহমেদ ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ফাহিম উচ্চশিক্ষার জন্য তিন বছর ধরে মন্ট্রিলে বসবাস করছিলেন।
মোস্তাক জানান, বাংলাদেশ সময় রবিবার সন্ধ্যায় ফাহিমের মা তার ছেলের সঙ্গে শেষ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে আমার বোন ফোনে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন। তিনি তাকে বারবার ফোন করেন এবং তার টেক্সট বার্তা পাঠান। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো জবাব আসেনি। পরে, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে নিখোঁজের ৩৭ ঘন্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
ডেইলি নিউজ মেইলের বিশেষ প্রতিবেদক মোস্তাক বলেন, তারা পরে মন্ট্রিলে ফাহিমের অন্যতম বন্ধু আরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাকে ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে যেতে অনুরোধ করেন।
ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্ট ভেতর থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে আরিফুল স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
মোস্তাক বলেন, স্বজন এবং স্থানীয় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সদস্যরা ফাহিমের লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং আগামী সপ্তাহে তা দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:খুলনার বিএল কলেজের পুকুর থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার
পিরোজপুরে নিখোঁজের ৩৭ ঘন্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় মায়ের সঙ্গে শিশুপার্কে ঘুরতে এসে সেতু থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজের ৩৭ ঘন্টা পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্যাপারী বাড়ির পাশে খালের চর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পূর্বধলায় রাস্তার পাশ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
নিহত সিন্থিয়া আক্তার (৪) জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের কাউসার খান ও হাফসা দম্পতির একমাত্র কন্যা।
ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার পারভেজ আহম্মেদ পলাশ বলেন, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে সকালে আমরা ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্যাপারী বাড়ির পাশে খালের চর থেকে সিন্থিয়ার লাশ উদ্ধার করেছি।
তিনি আরও বলেন, লাশ ভান্ডারিয়া থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে শিশুটি সেতু থেকে পোনা নদীতে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই উদ্ধার কাজ শুরু করেছিলাম।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান জানান, ফায়ার সার্ভিস লাশ উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা শিশুটির পরিবারকে খবর দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কীর্তনখোলা নদীতে নিখোঁজ সেই শিশুর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবনের লিফট থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
কীর্তনখোলা নদীতে নিখোঁজ সেই শিশুর লাশ উদ্ধার
কীর্তনখোলা নদীতে গোসল করতে নেমে মঙ্গলবার দুপুরে নিখোঁজ হওয়া শিশু ইয়াসিন মোল্লার (১১) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে নগরীর মোহাম্মদপুর চর সংলগ্ন নদীতে লাশটি ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
ইয়াসিন নগরীর পলাশপুর ৮ নম্বর গুচ্ছগ্রামের বেল্লাল মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদী থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল।
এই ঘটনায় বরিশাল সদর নৌ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল।
নিহতের বাবা বেল্লাল জানান, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তাই নিহতের বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে আইন অনুযায়ী ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
ওসি মুকুল আরও জানান, গুচ্ছগ্রামের ঘেরের পাড় থেকে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হয়েছিল ইয়াসিন।
লাশটি ভেসে উঠলে তা দেখে আবুল প্যাদা নামে এক জেলে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবনের লিফট থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
খুলনার বিএল কলেজের পুকুর থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার
খুলনা নগরীর দৌলতপুরের সরকারি বিএল কলেজের পুকুর থেকে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ওই ছাত্র নাইমুল হোসেন তন্ময় দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং খালিশপুর নয়াবাটি এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল বলেন, মঙ্গলবার সকালে লাশটি উদ্ধারের পর সিআইডি’র ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে দুপুরে আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। পরবর্তীতে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি।
তিনি আরও বলেন, নিহত ওই যুবক খুলনা দৌলতপুর দিবা নৈশ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি গানবাজনা করতেন। পরিবারের মাধ্যমে আমারা আরও জানতে পেরেছি ওই যুবক নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
তবে তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবু জাফর বলেন, তন্ময় ঈদের আগের দিন দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন, আর ফিরে আসেনি।
তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে সব পরিস্কার হবে।
আরও পড়ুন: সখিপুরে কিশোরের অর্ধঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএল কলেজের পুকুর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
খুলনা বিএল কলেজের পুকুর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত যুবকের এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল বলেন, সকাল ১০টার দিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ লাশটি দেখে থানায় ফোন দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, যুবকটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার পরণে খাকি রঙের একটি হাফপ্যান্ট ছিল। তার পরিচয় নিশ্চিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে নারীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, লাশের পরিচয় শনাক্তে সিআইডি টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে তার পরিচয় নিশ্চিত করবেন। গোসল করতে নেমে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
এদিকে খুলনা বিএল কলেজ অধ্যক্ষ শরীফ আতিকুজ্জামান বলেন যে সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। মৃত যুবক তার কলেজের কেউ নন। তাছাড়া তার পরিচয় নিশ্চিতে পুলিশ সিআইডিসহ একাধিক কর্মকর্তা কলেজে অবস্থান করছেন। কলেজের আশপাশের কেউ তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু মৃত যুবক হাফপ্যান্ট পরা ছিল। তিনি হয়ত গোসল করতেই পুকুরে নেমেছিল। পুকুরে নেমেই শারীরিক সমস্যার কারণেই হয়তো তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার: পুলিশ বলছে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার: পুলিশ বলছে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
কক্সবাজারে একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ জেলের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
রবিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, মৃত ১০ জেলে শামসুল আলম (২৩) সাইফুল ইসলাম (১৮) সওকত উল্লাহ (১৮) ওসমান গণি (১৭) সাইফুল্লাহ (২৩) পারভেজ মোশাররফ (১৪) নুরুল কবির, (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৪) মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) এবং তারেক জিয়া (২৫) সবাই চকরিয়া ও মহেশখালীর বাসিন্দা।
ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রলারের বরফ রাখার কক্ষ থেকে ১০ জেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের হাত-পা রশি দিয়ে বাধা ছিল। কয়েকজনের শরীরে জাল প্যাঁচানো ছিল। একটি লাশের গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ছিল। আরেকটি লাশের হাত বিচ্ছিন্ন পাওয়া গেছে। লাশগুলো ট্রলারের যে কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই কক্ষের ঢাকনাও পেরেক দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া ট্রলারের জাল ও ইঞ্জিনও ছিল। এ কারণে সন্দেহ হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া ট্রলারটি আরেকটি মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়েছিল। ওই ট্রলারের জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন।
রবিবার বেলা দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক (বিমানবন্দরের পশ্চিমে) চ্যানেলে পৌঁছালে মৃত ব্যক্তিদের হাত-পা ভেসে উঠতে দেখা যায়। তাতে ভয় পেয়ে যান টেনে আনা ট্রলারের জেলেরা। ডুবন্ত ট্রলারটি রেখে পালিয়ে যান তারা।
স্থানীয় লোকজন লাশবোঝাই ডুবন্ত ট্রলার ভেসে আসার খবর জানালে বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বেলা ৩টা পর্যন্ত ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন।
এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার