খুলনা
খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
খুলনা নগরীতে চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন গিলাতলা ২নং কলোনীর সবুজ পল্লী ঈদগাহ বটতলা সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- গিলাতলা এলাকার রহমান দফাদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম লাল্টু(৪০), মৃত হামিদ সরদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম টেনা(৩৮), মো. আশরাফ ওরফে রুস্তমের ছেলে সাগর(৩৫)।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রী দগ্ধ
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৯টায় জুয়েলের চায়ের দোকানে তিনজন চা খাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয়রা বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক এসে তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান জানান, গিলাতলায় বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আহত তিনজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি আরও বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
খুলনায় অনলাইন বেটিং এর মূলহোতাসহ ৫ জন আটক: র্যাব
খুলনায় অনলাইন বেটিংয়ের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন চক্রের হোতাসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল। বৃহস্পতিবার রাতে রূপসা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-মো. রাজিব, মো. এনামুল গাজী, মো. মেহেদী হাসান, মো. ইদ্রিস মোল্লা ও মো. মামুন হোসেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো র্যাবের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রূপসা উপজেলার একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ওয়ানএক্সবেট, ভেলকি লিভ সহ বিভিন্ন বেটিং ওয়েব সাইটের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে আসছে। এ চক্রটি অনলাইনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অবৈধভাবে ডলার ক্রয়-বিক্রয় এবং বিকাশ/নগদ/রকেট/ইউপে অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে থাকে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের ৮ মাসের শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা আটক
এরই প্রেক্ষিতে খুলনার র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল খুলনা রূপসা থানাধীন পূর্ব রূপসা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনলাইন বেটিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেনকারী চক্রের হোতাসহ পাঁচজনকে আটক করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে অনলাইন বেটিংয়ের কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
উদ্ধার করা মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে বিকাশ/নগদ/উপায়/রকেট ছাড়াও অনুমোদনহীন বিদেশি অ্যাপস মোবিক্যাশের সাহায্যে ওয়ানএক্সবেটসহ অন্যান্য অবৈধ বেটিং এ আয় ও ব্যয়কৃত ডলার এবং দেশিয় অর্থ অবৈধ উপায়ে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাস থেকে ২০ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ, আটক ২
রাঙ্গামাটিতে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, আটক ১
খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলা: কর্মবিরতির ২য় দিনে চিকিৎসা না পেয়ে ভোগান্তিতে রোগীরা
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ-এর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন চিকিৎকরা।
বৃহস্পতিবার সকালেও হাসপাতালে যাননি কোনো চিকিৎসক। টানা দুই দিন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসক না থাকায় অবর্ণীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীরা।
এদিকে বুধবার রাতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলার জরুরি সভা শেষে হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।
সভা শেষে বিএমএ’র জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়া না পর্যন্ত চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে বলে জানান। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টায় শেখ আবু নাসের হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি
প্রসঙ্গত, ডা. নিশাত আবদুল্লাহ’র ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা। এতে করে সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা নিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরাও সেবা পাচ্ছেন না।
খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলা: কর্মবিরতির ২য় দিনে চিকিৎসা না পেয়ে ভোগান্তিতে রোগীরা
আরও পড়ুন: হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু, টুঙ্গিপাড়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলা: সেবা বন্ধের আল্টিমেটাম
খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহ’র ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনায় চিকিৎসকরা ২৪ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করছেন।
বুধবার (১ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনা জেলার স্বাস্থ্য সকল প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকরা পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করছেন। সকাল থেকেই সরকারি হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন) ভবন খুলনার কাজী আজহারুল হক মিলনায়তনে সাংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি আনসার আল-ইসলামের
তিনি বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলাকারী ও তার সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনা হলে বুধবার (১ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনা জেলার স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত) সকল প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকরা পূর্ণকর্ম বিরতি পালন করা হবে। শুধুমাত্র মানবিক কারণে জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। এছাড়া বুধবার সকাল ১০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের বহি:বিভাগ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগরীর শেখপাড়ায় অবস্থিত হক নার্সিং হোমে অপারেশন চলাকালীন হামলা করে রোগীর স্বজন শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ নিশাত আব্দুল্লাহকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
খুলনায় আজিজ হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন
খুলনার খালিশপুর থানা এলাকার শেখ আজিজুল ইসলাম হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এসিড নিক্ষেপ মামলায় ১৩ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ।
আসামিরা হলো- শেখ মশিউর ওরফে মশি, মো. আসলাম হোসেন লিটন, মো. সুইট, আশ্রাফুল ওরফে গাজা আশ্রাব, মো. সহিদ ও মো. মিন্টু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আজিজুল ইসলামকে খালিশপুর নয়াবটিস্থ তৈয়েবের মোড়ে একা পেয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে পরেরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই শেখ জালাল উদ্দিন রাজু বাদী হয়ে থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আ. রহমান আসামি ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যার ১০ বছর পর ৫ জনের যাবজ্জীবন
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাইবার মামলায় খুলনার ২ সাংবাদিক বেকসুর খালাস
দীর্ঘ ছয় বছর পর সাইবার মামলায় খুলনা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সময়ের খবর’- এর নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ান ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবুকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কণিকা বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হলো।
আসামিপক্ষের আইনজীবী চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, ‘বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালের এ রায় যুগান্তকারী। সিএমএম আদালতের নির্দেশেই মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছিল। এখানে সাংবাদিকদের সংবাদ যে সঠিক ছিল সেটাই প্রমাণিত হলো।’
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
অপর আইনজীবী অচিন্ত কুমার বলেন, ‘সংবাদপত্রের কাজ সত্য তুলে ধরা। যে সংবাদের কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল, সেটি অতিউৎসাহী হয়ে করা হয়েছিল। এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ছিলেন পিপি এম সাজ্জাদ হোসেন ও এপিপি রোকেয়া খানম।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান বলেন, ‘বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালের রায়ে আমরা খুশি। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।’
উল্লেখ্য, মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে ২০১৭ সালের ১৮ মে কর্মচারী নিয়োগে জটিলতা সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় ‘দৈনিক সময়ের খবর’- পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বোর্ড সভাপতি অতিরিক্ত সিএমএম পদত্যাগপত্র জমা দিলে ১৯ মে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেন মহানগর দায়রা জজ। এছাড়া সিএমএম আদালতে একটি চেকের মামলার রায়ের সংবাদ ২২মে একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এই দু’টি সংবাদকে মিথ্যা ও ভুল আখ্যা দিয়ে খুলনার (সিএমএম) আদালতের তৎকালীন বিচারক এমএলবি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ’র নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা বাদী হয়ে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৬৬ ধারায় ২০১৭ সালের ১৪ জুন ‘দৈনিক সময়ের খবর’- এর নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ান ও তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান বাবু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র পরিদর্শক মো. আফাজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মোট ১২জন সাক্ষীর ১২ জনই আদালতে তাদের সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে ট্রাইব্যুনাল অব্যহতি প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: সাইবার মামলায় সিলেটে ফটোসাংবাদিক গ্রেপ্তার
খুলনায় দুই ভোল মাছ সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি!
সুন্দরবনের দুবলার চরে বৃহস্পতিবার রাতে ফারুক নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে সাড়ে ৬৩ কেজির দুটি ভোল মাছ। সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় মাছ দুটি কিনেছেন মোংলার ব্যবসায়ী আল-আমিন।
এর মধ্যে একটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, আরেকটির ওজন ২৭ কেজি।
ভালো দামে বিক্রির জন্য প্রক্রিয়াজাতের পর ভোল মাছ দুটি চট্টগ্রামে পাঠিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এ সময় মাছ দু’টি দেখতে ভিড় জমান উৎসুক লোকজন।
এ মাছের বিভিন্ন অংশ ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়ে বলেও দাম অনেক বেশি বলে জানান স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
তারা জানান, বিগত ১০ বছরেও এত বড় মাছ ওঠেনি মোংলার বাজারে। প্রায় বিলুপ্তির পথে এ ভোল প্রজাতির মাছ। তবে মাঝে মধ্যে দুবলার চরের দু-এক জেলের জালে ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাকার মাছ নিষিদ্ধ করেছে সরকার
মোংলার মাছ বাজারের আড়তদার মেসার্স জয়মনি ফিশের মালিক আল-আমিন বলেন, বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চরে জেলে ফারুক হোসেনের জালে বৃহস্পতিবার রাতে বড় দুটি ভোল মাছ ধরা পড়ে। এর মধ্যে বড়টির ওজন সাড়ে ৩৬ কেজি আর ছোটটির ওজন ২৭ কেজি। মাছ দুটি শুক্রবার সকালে দুবলার চরের আড়তে নিলামে বিক্রির জন্য ওঠানো হয়। এ সময় ২৫ ব্যবসায়ী অংশ নেন।
আল-আমিন আরও বলেন, নিলাম ডাকে সর্বোচ্চ দামে মাছ দুটি আমি কিনে নিই। বড়টি ১১ লাখ ও ছোটটি সাড়ে সাত লাখ টাকা দাম পড়েছে। এরপর মাছ দুটি চর থেকে আমার মোংলার আড়তে নিয়ে আসি। বরফ ও পলিথিনে মুড়িয়ে শনিবার বিকালে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আফজাল ফারাজী বলেন, ভোল মাছ এই অঞ্চলে খুব কম পাওয়া যায়। পশুর নদী বা সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে আগে পাওয়া গেলেও এখন দুর্বৃত্তরা বিষ দিয়ে মাছ ধরায় পাওয়া যায় না। এ জন্য আমাদের আড়তেও আসে না। দুবলার চরে পাওয়া মাছ দুটি আড়তে এসেছে। সেগুলো চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আরও বেশি দাম পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, ভোল মাছের ফুলকি ও পটকার দাম প্রচুর। এই মাছের পটকা ও বালিশ রফতানি হয়। শুনেছি এসব দিয়ে মেডিসিন তৈরি করা হয়।
সামুদ্রিক ভোল মাছ খুবই দামি উল্লেখ করে মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই মাছের বায়ুথলি দিয়ে এক ধরনের সুতা তৈরি করা হয়। এই সুতা বিদেশে ওপেন হার্ট সার্জারির কাজে লাগে। এছাড়া বিয়ার তৈরির কাজেও ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: ২৮ কেজির ভোল মাছ বিক্রি হলো সাড়ে ৮ লাখ টাকায়!
ব্রহ্মপুত্র নদে বর্শিতে ধরা পড়লো ৬২ কেজির বাঘাইর মাছ!
চুইঝালের হালিম বদলে দিয়েছে খুলনার রাশেদের জীবন
খুলনার চুইঝালের কথা কে না জানে! বৃহত্তর খুলনায় চুইঝাল দিয়ে রান্না গরু বা খাসির মাংস দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।
চুকনগরের আব্বাস হোটেলতো চুইঝালের রান্না মাংস বিক্রি করে এমন নাম কুড়িয়েছে যে তার দেখাদেখি জেলার জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন জায়গায় এমনকি ঢাকার কয়েকটি হোটেলেও চুইঝালের মাংস বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু চুইঝাল দিয়ে খাসির হালিম একমাত্র পাওয়া যায় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার থুকড়া গ্রামে। যার একমাত্র কারিগর ঐ গ্রামের সন্তান রাশেদুল। সবাই তাকে রাশেদ নামেই ডাকে। তিনি প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার হালিম বিক্রি করেন। তার দোকানে গেলেই দেখা যাবে লিখ আছে- ‘রাশেদের ঘুগনি অ্যান্ড খাসির নলার হালিম’। প্রতি বাটি হালিমের দাম ৬০ টাকা। তবে নলার হালিমের দাম ৮০ টাকা।
খুলনাসহ দেশের সবত্রই হোটেল গুলোতে হালিম পাওয়া গেলেও রাশেদুলের বানানো হালিমের সঙ্গে অন্য হালিমের পার্থক্য করে খুলনার বিখ্যাত চুইঝাল। অন্যান্য হালিমের মতো রাশেদুলের হালিমে সবধরনের মসলার উপাদান থাকলেও চুইঝাল এই হালিমকে অনন্য করেছে। তাছাড়া নলা বরাবরই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাল্টা ও কমলা চাষে লাভবান চাষিরা
রাশেদুল (৩৫) জানান যে গ্রামের স্কুলে অল্প-স্বল্প লেখাপড়া করে চাকরির পেছনে না ছুটে বা অপরের কাছে কাজের জন্য না যেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। প্রথমে ছোলা ঘুগনি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। যা পাঁচ বছর আগের কথা। তখন তিনি ছোলা ঘুগনির মধ্যে চুইঝাল দিতেন। ফলে এই খাবারও জনপ্রিয়তা পায় এবং ব্যবসায় লাভ হতে থাকে। এখনও তিনি চুইঝালের ঘুগনি বিক্রি করেন।
এই অনুপ্রেরণায় তিনি চুইঝালের তৈরি হালিম শুরু করেন দুই বছর আগে। ইতোমধ্যে এই হালিম খেতে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এমনকি যশোর থেকেও আসেন ভোজন রসিকরা। বিকাল ৪টা থেকে শুরু করে রাত ৮-৯টা অবধি এই হালিমের বিক্রি চলে। প্রতিদিন মোটামুটি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ বাটি হালিম বিক্রি হয়।
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত, চালক আটক
খুলনা নগরীর বৈকালি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনগণ ‘এনা পরিবহন’-এর এসি বাসটিতে ভাঙচুর করেছে। এসময় বাসের চালককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর আদ-দ্বীন হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত জুবায়ের হোসেন প্রিয় নগরীর ছোট বয়রা মার্কেট রোডের জাকির হোসেনের ছেলে এবং বয়রা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত প্রিয় ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে রাস্তায় দৌড়াদৌড়ি করছিল। দুপুর পৌনে ২ টার দিকে নতুন রাস্তাগামী একটি সিএনজির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রিয় রাস্তার ওপর পড়ে যায়। তখন খুলনা থেকে ফুলতলাগামী বাস এনা পরিবহন তাকে চাপা দেয়। এতেই ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর গিয়াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পরিবহনের চালককে আটক করা হয়েছে। গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খুলনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেলো কিশোরের
খুলনায় সুন্দরবন দিবস পালিত
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে কেবল মানুষকে নয়; প্রকৃতিকে ভালোবাসুন, সুন্দরবনকে ভালোবাসুন- এ আহ্বান জানিয়ে খুলনায় সুন্দরবন দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০১ সাল থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় বেসরকারিভাবে সুন্দরবন দিবস পালিত হচ্ছে।
তারা বলেন, সুন্দরবন নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনকে টিকিয়ে না রাখতে পারলে পরিবেশের বিপর্যয় নেমে আসবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবনের ওপর প্রভাব পড়ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র্যাবের বিশেষ অভিযান
এছাড়া বিষ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে রেনু ও পোনা পর্যন্ত মারা যাচ্ছে। এছাড়া সুন্দরবনে রাস উৎসব, মাছ, গোলপাতা, মধু সংগ্রহ এবং হরিণ ও বাঘ শিকার করা হচ্ছে। কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। এছাড়া, সুন্দরবনের রোগাক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন গাছ মারা যাচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
তারা বলেন, সুন্দরবন আমাদের রক্ষাকবজ। এটি আমাদের মায়ের মতো। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে আসছে। এজন্য সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে হবে।
সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে 'সুন্দরবন দিবস' পালন করা জরুরি।
কিন্তু গত ২১ বছরেও দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পায়নি। অনেক দিবস পালন করা হয়। সভায় সুন্দরবন দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলী।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত।
জানা গেছে, সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার।
বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির, বানর ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল সুন্দরবন।
এই বনভূমিতে বিখ্যাত সুন্দরী ও গোলপাতা গাছও পাওয়া যায়। ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনে রয়েছে পাঁচ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সুন্দরবন দিবস উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে খুলনায় ‘সুন্দরবন দিবস’ পালিত