মাগুরা
আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় এসি ল্যান্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর আদেশ
মাগুরার শ্রীপুরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে দোসতিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জমির সীমানা নির্ধারণের চেষ্টার অভিযোগে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুন্ডু ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনকে শোকজ করেছে আদালত।
বুধবার বিকেলে মাগুরা জজ আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী বিচারক রোমনা রোজী এই আদেশ দেন।
মাগুরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার সুষমা দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রায়ের আলোকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে,অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কেন জারি হবে না এ বিষয়ে জানতে এসিল্যান্ড ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শনোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি বুধবার মামলার বাদী মো.আব্দুল হালিম মাগুরার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুন্ডু ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, দোসতিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লুর রহমান ও সভাপতি লাভলু মোল্লাকে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানির জন্য হাহাকার
জানা যায়, শর্ত সাপেক্ষে ২০১৪ সালে দোসতিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ২৪ শতাংশ জমি নিয়ে মাগুরা জজ আদালতে মামলা হয়। আর এস ৩ খতিয়ান অনুযায়ী ৯২৯ দাগের ৩৩ শতাংশ জমির মালিক বিদ্যালয়টি। সেখানে ভুলক্রমে ৪৩ শতাংশ ম্যাপ হওয়ায় জোরপূর্বক জমিটি দখলের অভিযোগ করেছে বাদী নিজেই। গত ২০১৬ সালে এ জমি মামলাটি নিষ্পত্তি ও বাদীর পক্ষেই রায় হয়। সেখানে আর এস তিন খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারে পক্ষে শিক্ষা বিভাগের নামে রেকর্ড হয় ৩৩ শতাংশ জমি। উক্ত জমি যাতে বিবাদীরা অবৈধভাবে দখল করতে না পারে, এজন্য বাদী আদালতে পুনরায় মামলা করে। এখনও আদালতে মামলাটি চলমান। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের স্থিতিবস্থায় থাকার আদেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের রায়ের এ আদেশ অমান্য করে গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে উপজেলা কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে সীমানা নির্ধারণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, জমিটি বাদীর বাবা-দাদারা বিদ্যালয়কে অনেক আগেই দান করে গেছেন, জমির দলিল বিদ্যালয়ের নামে। ম্যাপ অনুযায়ী বিদ্যালয়ের জমি ৪৩ শতাংশ। বিদ্যালয়ের জমি অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. আব্দুল হালিম বলেন, জমিটি আমাদের কেনা সম্পত্তি। আদালতে সরকারের সঙ্গে এ জমি সংক্রান্ত মামলা হয়। আদালত মামলার রায় আমাদের পক্ষে দেন। কিন্তু জমিটি বারবার অবৈধ দখলের চেষ্টা চলছে। গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার এসিল্যান্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সীমানা নির্ধারণ করেন। এসিল্যান্ড আমাকে মোবাইলে দেখে নেয়ার হুমকিও দেন।
তিনি আরও বলেন, এমনকি আমাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে তার অফিসে যেতে বলেন। ভয়ে যাইনি, তবুও বারবার ফোন করেছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন আচারণে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে মিস্ত্রী আমাকে ফোন করে দেয়াল নির্মাণ কাজের বিষয় জানান।
আরও পড়ুন: শীতে মাগুরায় পিঠা খাওয়ার ধুম
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুন্ডু বলেন, আদালতের শোকজের কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। শোকজের জবাব দিব। আমি বাদীকে কোনো হুমকি দেইনি। সে যা বলছে সব মিথ্যা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, কোনো অনিয়মের চেষ্টা হয়নি বরং এতদিন অনিয়ম হয়ে এসেছে। আমরা সঠিক নিয়মের মধ্যেই আছি। সেটা নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে। আর তাই মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালতের কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। শোকজের জবাব দেয়া হবে যথা সময়েই।
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা কৃষক লীগ নেতার মৃত্যু
মাগুরায় মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষে মাগুরা জেলা কৃষক লীগের নেতার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জেলার যশোর সড়কে ভায়নামোড় নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিসরুল হক মনু (৫২) মাগুরা জেলা কৃষকলীগের মৎস্য ও প্রাণি বিষয়ক সম্পাদক। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, একটি ভেটেরিনারি ঔষধ কোম্পানীতে চাকরিরত মিসরুল হক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শালিখার আড়পাড়া এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে মাগুরা শহরে ফিরছিলেন। পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাগুরা শহরের ভায়না টিএন্ডটি অফিসের সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, পুলিশ ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে। তবে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
শীতে মাগুরায় পিঠা খাওয়ার ধুম
মাগুরায় শীতের ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো ভাপা, চিতই পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার ঘ্রাণ সর্বত্র বয়ে যাচ্ছে। সকালের কুয়াশা ভেদ করে মিষ্টি রোদের ছোঁয়া পাশাপাশি এই সব পিঠা মানবকুলে বৈচিত্র আনে।
শীতকালে মুখরোচক খাদ্য হিসেবে পিঠা বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এই সময় প্রতিটি ঘরে নানা রকমের পিঠা তৈরি করা হয়। তবে ভাপা পিঠা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা, যা প্রধানত শীতকালে খাওয়া হয়ে থাকে। আর এ শীতকালকে ঘিরেই মাগুরায় বিভিন্ন বাজারে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পিঠা, গরম কাপড়সহ নানা ধরনের ব্যবসাও করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ধোঁয়া-ওঠা গরম গরম পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে খুলনায়
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শীতের শুরুতেই জেলার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে স্কুল-কলেজের মাঠে এমনকি ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রধানত চালের গুঁড়ার মধ্যে কিছু খেজুরের অথবা আখের গুড় দিয়ে তার ওপর আবার চালের গুঁড়া দিয়ে গরম পানির ভাপে তৈরি করা হয় এ মজাদার পিঠা। স্বাদ বাড়ানোর জন্য দেয়া হয় নারিকেল।
সারা দিনের কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে ফুটপাথে গড়ে তোলা পিঠাপুলির দোকানে এসে ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতা। ক্রেতাদের জন্য দোকানে দুই পাশে রাখা হয়েছে লম্বা বেঞ্চ। দোকানে বেচাকেনা হয় ভালো, যা আজকাল পিঠা উৎসবে পরিণত হয়েছে।
পিঠা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে অনেক নারী ও পুরুষ বিক্রেতারা। তাদেরই একজন মো. আবদুল আলিম (৩৫)। চার সন্তানের বাবা আলিম পিঠার ব্যবসা করেই সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ বহন করছেন। তবে তার এ ব্যবসায় পুরোপুরি সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী।
আলিম বলেন, ‘পিঠা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে আমার সংসার চলে। দুই ছেলে, দুই মেয়ে নিয়ে আমার সংসারে তেমন অভাব নেই।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি
তিনি জানান, শীত এলেই তিনি পিঠা বিক্রি করেন। কারণ এ সময় পিঠার ব্যবসা ভালো হয়। ভাপা পিঠা তৈরিতে খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। সব সময় ভিড় থাকে দোকানে। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করেই ৪০০ টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।’
এদিকে ফুটপাথে এই পিঠা ব্যবসাকে ঘিরে সারা দিনই চলে লোকজনের আসা-যাওয়া। এক কথায়, হরহামেশা ভিড় লেগে থাকে জেলার এসব দোকানে। সর্বস্তরের মানুষ ফুটপাথে তৈরি করা এ পিঠা ক্রয় করে ফুটপাথে বসেই খান। অনেকেই আবার পরিবারের জন্য পার্সেল করে নিয়ে যান। এতে করে এক শ্রেণির দরিদ্র মানুষ এই পিঠার ব্যবসা করে সংসার নির্বাহ করছে।
মাগুরায় টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার অভিযোগ
মাগুরা জেলায় টাকার বিনিময়ে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। জেলার শ্রীপুর উপজেলার কালিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানিয়েছে, শিশুটি গত বুধবার বিকালে প্রতিবেশী আরেকটি শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের পূর্ণচন্দ্র মণ্ডলের ছেলে সনত মণ্ডল (৪৮) বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে গ্রামের মেম্বার জয়ন্তসহ স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিষয়টি জানালে তারা ভুক্তভোগীর পরিবারকে থানা-পুলিশ করতে নিষেধ করে নিজেরাই সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন।
এলাকাবাসীরা জানান, ওই সালিশে সনত মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে মুচলেকা নেয়া হয়, যাতে সে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর না করে, কিন্তু তাকে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: পথ হারিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৫
বৈঠক শেষে মেয়েটির পরিবারকে স্থানীয় মাতব্বররা ১০ হাজার টাকা দিতে চাইলে সেটি ফিরিয়ে দেয়ায় তারা ভুক্তভোগীর আরেক নিকটাত্মীয়ের কাছে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি চেপে যাওয়ার কথা বলেন।
এদিকে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানতে পেরে ওই গ্রামের মেম্বার জয়ন্ত সাংবাদিককে ফোন করে এই বিষয়ে কৈফিয়ত চান। তিনি বলেন, মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি, তারপরও কেন এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন?
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, শিশু নির্যাতন কিংবা সালিশ বৈঠকের কোনো খবর থানায় পাওয়া যায়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের এমন ঘটনায় কোনো সালিশ দরবারে মীমাংসার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৪
মাগুরায় প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা!
মাগুরা সদর উপজেলায় সুমন ও এনি নামের দুই প্রেমিক যুগল আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবার দাবি করেছে।
মৃত সুমন সদর উপজেলার বরুণাতৈল গ্রামের মহম্মদ আলি’র ছেলে এবং এনি পাশের গ্রামের হিরক মোল্যার মেয়ে।
সুমন মাগুরা সরকারি কারিগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং এনি মাগুরা দুধ মল্লিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রতিবেশিরা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমন নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুমনের মা রূপালী বেগম ছেলের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ঘরে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পাশের গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে সুমন আত্মহত্যা করতে পারে বলে তার সহপাঠীরা ধারণা করছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে ছাত্রীর আত্মহত্যা!
এদিকে ওই ঘটনার পর বুধবার সকালে পাশের গ্রাম বারাশিয়ার হিরক মোল্যার মেয়ে এনিও নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এদিন বেলা ১১টার দিকে এনির মা মেয়ের ঘরের দরজা বন্ধ এবং কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে মেয়েকে ডাকতে গিয়ে ওড়নায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান। ঘটনার পর তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম ওই দুই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় সদর থানায় পৃথক পৃথক অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
পাহাড়তলীতে ঋণগ্রস্ত গার্মেন্টস মালিকের আত্মহত্যা!
মাগুরায় বাস খাদে: নিহত ১, আহত ৪০
মাগুরায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে ইয়াকুব আলী (৫৫) নামে এক বাইসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকাল ৩ টায় সরুইডাঙ্গা আমতলা এলাকায় যশোর-মাগুরা সড়কে এ দুর্ঘটনায় ৪০ বাসযাত্রী আহত হয়েছেন।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক নাথ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ইয়াকুব আলী উপজেলার জোত রহিমপুর গ্রামের হেরমত আলীর ছেলে।
আহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় মিলেছে তারা হলেন-জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার ধর্মগাতী গ্রামের সুধীর কুমারের স্ত্রী সুমনা রানী (৪০), খানপুর গ্রামের বিশ্বজিৎ ঘোষের মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ (২২) ও একই গ্রামের দিনিশ চন্দ্র ঘোষের মেয়ে অনুপমা ঘোষ (২২)।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসের চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইয়াকুব আলী বাড়ি থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে মনোহরপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় যশোর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লোকাল বাস মাগুরার দিকে যাচ্ছিল। বিকেল তিনটার দিকে ইয়াকুব আলী সংযোগ সড়ক থেকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কে উঠলে তাকে বাঁচাতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ইয়াকুব মারা যান এবং বাসের অন্তত ৪০ জন যাত্রী আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মনোহরপুর বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত যাত্রীদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।পুলিশের জব্দ করা বাসের চাপায় ২ পথচারী নিহত
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আজিজুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর বাসের নিচ থেকে বাইসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সদরের ইছালী পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোর্কারম হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। তবে ঘাতক বাস ও নিহতের লাশ এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নারীসহ নিহত ৪
পুলিশের জব্দ করা বাসের চাপায় ২ পথচারী নিহত
জাওয়াদ’র ক্ষতি পোষাতে বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত মাগুরার কৃষকরা
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাগুরার কৃষকরা পাকা আমন ধান সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাই সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো মৌসুমে ভালো ফসল উৎপাদনে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা নিয়ে বীজতলা তৈরি করছেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার আট ইউনিয়নের কৃষকেরা। পাঁকা আমন ধানের ক্ষতি হওয়ায় কৃষি অফিসের পরামর্শে আবারও ধান রোপন করেছেন তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ছয় হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। দুই হাজার হেক্টর হাইব্রিড ও চার হাজার হেক্টর উফশী ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কৃষকদের আদর্শ বীজতলা তৈরির জন্য কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিচ্ছে। তবে এ বছর এলাকার বেশির ভাগ কৃষক উফশী ব্রি- ২৮, হাইব্রিড এ এসএল ৮ এইস জাতের ধান চাষের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে উফশী অন্য জাতের মধ্যে ব্রি- ২৯ ব্রি- ৮১, ব্রি-৮৪ ব্রি- ৮৯ ব্রি- ৯২ ইত্যাদি জাতের ধান চাষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলে যেসব কারণে বোরোর আশানুরূপ ফলন হয়নি
সরেজমিনে দেখা গেছে, আট ইউনিয়নের বাবুখালী, দীঘা, বিনোদপুর, রাজাপুর, নহাটা, বালিদিয়া, পলাশবাড়ীয়া ও মহম্মদপুর সদরের কৃষকদের আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে। নিচু জমিতে বীজতলা তৈরি করে বোরোর চারা তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেক কৃষক।
উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের চালিমিয়া গ্রামের কৃষক জিবলু মোল্যা বলেন,ভালো ফলন হওয়ায় এই বছর ব্রি-২৮ রোপন করেছি। তবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের সময় প্রচুর বৃষ্টিতে আমার ৫০ শতক জমির ধান পানিতে ডুবে যায়। বোরো ধান চাষ দ্রুত করার চেষ্টা করছি।
কৃষক আকিদুল মোল্যা বলেন, আমার নিজের জমি নেই। তাই বর্গাচাষ করি। চারা তৈরি করতে বীজতলা করেছি। আশা করছি কয়েক সপ্তাহ পরে রোপন শুরু করতে পারব। এবার ডিজেলের দাম বেশি হওয়াতে গত বছরের তুলনায় বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ বাড়বে সাত হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: যশোরাঞ্চলে বোরো ধানের মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক-কৃষাণি
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রণব কুমার বলেন, আমার ব্লকে কৃষকদের সুষম মাত্রার সার ব্যবহার, জৈব, অজৈব ও গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ এবং পোকামাকড় দমনসহ কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি।
মহম্মদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের অনেকের আমনের ফলন ভালো হয়নি। বোরোর আবাদে তারা যেন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সে বিষয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিচ্ছেন।
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় পেঁয়াজ চারা সঙ্কটের আশঙ্কা
চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ছয় জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে ৪০ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক কর্মকর্তা জাহেদুল আমিন। তবে এ মৌসুমে দু’দফা বৃষ্টিতে পেঁয়াজের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এতে পেঁয়াজের চারা সঙ্কট হওয়ায় বাজারে চড়াদামে পেঁয়াজ চারা বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ন্যায্যমূল্য ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবি ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিদের
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা, মাগুরার শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও সদর উপজেলা, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। আর মেহেরপুর জেলায় সুখসাগার নামে একটি ভারতীয় জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। এ জাতটির ফলন বেশি হয়।
মাগুরার শালিখা উপজেলার শ্রীহট্র গ্রামের শাহাদৎ মোল্লা জানান, তাদের এলাকায় সুখসাগর পেঁয়াজ বীজ ছিটিয়ে বোনা হয়। বোনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ পেঁয়াজ বিঘা প্রতি দেড়শো মন ফলন হয়। কোনো কোনো জমিতে ১৮০ মন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা গোবিন্দপুর গ্রামের এবাদত আলী জানান, এবার ২২ কাঠা জমিতে মুড়িকাটি পেঁয়াজ চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ৮০ মন ফলন হবে। দামও ভালো। আর হালি পেঁয়াজের চাষ সবে শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজ ফরিদপুরের চাষিদের কাছে ‘কালো সোনা ’
একই উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন, এবার পেঁয়াজের চারার দাম চড়া। প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ চারার অভাব আবাদ ব্যাহত হতে পারে।
কৃষি কর্মকর্তা জাহেদুল আমিন বলেন, পেঁয়াজের চারা রোপণ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় চাষি পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছে। বৃষ্টিতে পেঁয়াজের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। চারার অভাব দেখা দিতে পারে।
শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, গৃহকর্তী আটক
মাগুরার শিশু গৃহকর্মী আকলিমাকে নির্যাতনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার লিপি খাতুন নামে এক গৃহকর্তীকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশু আকলিমা মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ গ্রামের কুবাদ শেখের মেয়ে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, আকলিমার এক প্রতিবেশি ঢাকায় বাসায় কাজ করতে পাঠায়। ওই বাসায় প্রায় ১৮ মাস তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়।
মাগুরা সদর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তার ওপর নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন নির্যাতনের শিকার শিশু আকলিমা। সারা গায়ে আঘাতের ক্ষত আর কঙ্কালসার শরীর নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সে।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিআইডি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
আকলিমার দাদি মনোয়ারা বেগম জানান, প্রতিবেশি বাবু বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি তার শিশু সন্তানকে দেখাশোনার কাজের কথা বলে আকলিমাকে ঢাকার মিরপুর ২ এর বাসায় নিয়ে যান। বিনিময়ে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা ও তার ভরণপোষণ দেয়ার কথা বলে তারা। দীর্ঘ ১৮ মাস ঢাকাতে থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝে ফোনে কথা হলেও আকলিমা ভালো আছে বলে জানানো হয়। এ অবস্থায় গত বুধবার তাকে মাগুরাতে নিয়ে আসে গৃহকর্তা বাবু শেখ। এরপর তার শরীরের কঙ্কালসার অবস্থা দেখেন তারা।
হাসপাতালের বেডে নির্যাতনের শিকার শিশু আকলিমা জানায়, তাকে কাজে নেয়ার পর থেকে গৃহকর্তার স্ত্রী লিপি খাতুন সামান্য কারণে হাতের কাছে যখন যা পেয়েছে তায় দিয়েই তাকে মারধর করত। এমনকি নজর দেয়ার অপবাদে তাকে শিশুর বমি করা ভাতও রুটির সঙ্গে জোর করে খাইয়ে দেয় তারা। বিভিন্ন সময়ে শিশুটির প্রসাবও জোর করে খাওয়ানোসহ মাঝে মাঝে তাকে বাথরুমে আটকে রাখা হতো বলে জানায় সে।
মাগুরা২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে শিশুটি ভর্তি হয়। এ সময় তার শরীরে দীর্ঘ ধরে নির্যাতনের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। শিশুটি অভুক্ত থাকায় পুষ্টিহীনতায় ভুগছে বলেও জানালেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লিপির স্বামী বাবু বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে।
শিশুটির দাদার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে শিশুটির খোঁজখবর নেন মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে কলেজ শিক্ষিকা গ্রেপ্তার
পরে রাতেই অভিযুক্ত মাসুদুর রহমান বাবু শেখের মাগুরা কলেজ পাড়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাবু বিশ্বাসের স্ত্রী লিপি বেগমকে আটক করে পুলিশ। বাবু বিশ্বাস মৃত মশিউর রহমান বকুলের ছেলে।
বাবু শেখ মিরপুর-২ এর একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বাবুকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।
মাগুরায় ইয়াবা জব্দ, আটক ১
মাগুরার মহম্মদপুর সদর থেকে একজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় তার কাছ থেকে ২৫ পিস ইয়াবা ও নগদ সাড়ে ১২ হাজার টাকা জব্দের দাবি করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে জাল নোটসহ ২ যুবক আটক
আটক বাবুল শিকদার জাঙ্গালিয়া বিশ্বাস পাড়ার মৃত আজহার শিকদারের ছেলে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মাদক সংরক্ষণ আছে এমন খবরের ভিত্তিতে মহম্মদপুর থানা পুলিশের এসআই নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে এএসআই কামরুল ও লিয়াকত সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে মহম্মদপুর সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে অভিযান চালায় এবং বাবুল শিকদারকে আটক করেন। এই সময় তার কাছ থেকে ২৫ পিস ইয়াবা ও নগদ ১২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী আটক
ওসি জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।