মাগুরা জেলায় টাকার বিনিময়ে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। জেলার শ্রীপুর উপজেলার কালিনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানিয়েছে, শিশুটি গত বুধবার বিকালে প্রতিবেশী আরেকটি শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের পূর্ণচন্দ্র মণ্ডলের ছেলে সনত মণ্ডল (৪৮) বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে গ্রামের মেম্বার জয়ন্তসহ স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিষয়টি জানালে তারা ভুক্তভোগীর পরিবারকে থানা-পুলিশ করতে নিষেধ করে নিজেরাই সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন।
এলাকাবাসীরা জানান, ওই সালিশে সনত মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে মুচলেকা নেয়া হয়, যাতে সে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর না করে, কিন্তু তাকে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: পথ হারিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক ৫
বৈঠক শেষে মেয়েটির পরিবারকে স্থানীয় মাতব্বররা ১০ হাজার টাকা দিতে চাইলে সেটি ফিরিয়ে দেয়ায় তারা ভুক্তভোগীর আরেক নিকটাত্মীয়ের কাছে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি চেপে যাওয়ার কথা বলেন।
এদিকে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানতে পেরে ওই গ্রামের মেম্বার জয়ন্ত সাংবাদিককে ফোন করে এই বিষয়ে কৈফিয়ত চান। তিনি বলেন, মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি, তারপরও কেন এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন?
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, শিশু নির্যাতন কিংবা সালিশ বৈঠকের কোনো খবর থানায় পাওয়া যায়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের এমন ঘটনায় কোনো সালিশ দরবারে মীমাংসার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।