তাপমাত্রা
বাগেরহাটের তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি
বাগেরহাটের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাগেরহাটে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে তীব্র গরম, তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
এদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের প্রভাব পড়েছে প্রাণীদের উপরও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপও বাড়তে থাকে।
শনিবার দুপুরে শহরের পুরাতন বাজার, লোকালবোর্ড ঘাট, নাগের বাজার, মেইন রোড, কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে রোদের মধ্যে দিনমজুর, শ্রমিকরা কাজ করছে। আর রিকশা চলকরা ঘাম ঝরিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে। এসময় শরবত, পানি, ডাব, আইসক্রিমের দোকানে তৃষ্ণার্ত মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ বলছে, বাগেরহাটের উপর দিয়ে আরও কয়েকদিন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বাগেরহাটে তীব্র তাপপ্রবাহ বেড়ে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার বাগেরহাটে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরের তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রি
টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মেহেরপুরের তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রি
কয়েকদিন ধরে মেহেরপুরের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থা আরও বেগতিক হয়ে তাপমাত্রা আগের বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যা এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
এদিকে তীব্র তাপদাহে এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন এবং তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন।
এছাড়া মেহেরপুর জেলা ও গাংনী উপজেলায় তীব্র তাপপ্রবাহে পিপাসা মেটাতে শরবতের দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা যায় মানুষকে।
দোকানে বিক্রি হচ্ছে বেলের শরবত, আবার কোথাও লেবুর শরবত। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ডাব ও আখের রস।
এছাড়াও পিপাসা নিবারণে মানুষকে রাস্তার দোকান থেকে বিভিন্ন কোম্পানির পানীয় ও মিনারেল ওয়াটার কিনে পান করতে দেখা গেছে।
এদিকে গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার এলাকার লেবুর শরবত ও আখের রসের দোকানে দেখা গেছে ভিড়।
গাংনী উপজেলা শহরের বড়বাজার এলাকার শরবত বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, যত গরম বাড়ছে তত শরবত বিক্রি বাড়ছে। কয়েকদিন ধরে খুব গরম পড়ছে। প্রতিদিন ৮/৯ হাজার টাকার শরবত বিক্রি হয়।
তিনি আরও বলেন, শরবতে লেবু, চিনি, তুকমা দানা, ইসপগুলের ভুসি ব্যবহার করে থাকি। এর মধ্যে খারাপ কিছু নেই।
গাংনী উপজেলা শহরের আখের রস বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বেড়েছে। প্রতিদিন ৭/৮ হাজার টাকার রস বিক্রি করে থাকি।
এদিকে ডাব বিক্রেতা সাবান আলী বলেন, ডাবের প্রচুর চাহিদা। এই গরমের হাত থেকে বাঁচতে ডাবের প্রতি ঝুঁকছেন মানুষ।
এদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রোগ বালাই। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি।
মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, এই গরমে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
পিপাসা মেটাতে ফুটপাতের শরবত, পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, মেহেরপুর জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এ জেলায় শুক্রবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৫ শতাংশ। দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমান ছিল ১৯ শতাংশ। এরপর তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ১৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।
আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস জানায়, এটিই দেশে এই মৌসুমেরও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। দীর্ঘদিন জেলায় বৃষ্টিপাত না থাকার কারণে গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এধারা আরও কিছুদিন অব্যহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মেহেরপুরে তীব্র গরম, তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
মেহেরপুরে তীব্র গরম, তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
মেহেরপুরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে বৈশাখের আগমন। ভয়াবহ তাপপ্রবাহে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষ ও পশু-পাখিদের।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য এমন দাপট দেখাচ্ছে যে, মানুষের পাশাপাশি ভুগছে প্রাণপ্রকৃতিও। বৈরী আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে জলাশয়ের মাছ মরে যাচ্ছে
এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয়েছে এই তাপপ্রবাহ। জীবন-জীবিকার প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না কোনো মানুষ।
এদিকে তাপমাত্রার ওঠানামায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন প্রায় সব বয়সী মানুষ। ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এ অবস্থায় তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২০ শতাংশ। এর আগে গত ১ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গ-মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। রবিবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩২ শতাংশ এবং বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, গত ১০ এপ্রিল থেকে পরবর্তী সাতদিন মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং দিনে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এই এলাকায় বয়ে চলেছে। আরও বেশ কিছু দিন এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় গরম কম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: তাপ, দাবানল ও বন্যা গ্রীষ্মকে ‘তীব্র গরম’ করে তুলেছে
তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জের জনজীবন
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, হিট অ্যালার্ট জারি
চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই তাপপ্রবাহ টানা পাঁচ দিন ধরে বয়ে যাচ্ছে।
বুধবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চুয়াডাঙ্গাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, গত কয়েকদিন থেকে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। গত সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার যৌথভাবে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র রোদ আর গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে দিনমজুররা। রাস্তাঘাটে, বাজারে লোকজনের চলাচল খুবই কম। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে। তারা এই তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাইরে অবস্থান করছেন।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বৃদ্ধ রিকশাচালক সমীর আলী বলেন, 'কী আর বলব, এই রোদ-গরমে রোজা থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার বসেও থাকতে পারছি না। বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না।’
সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এখনো অব্যাহত। আগামী ৩দিন এই তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়বে। এ সময় তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের বিষয়ে আগে থেকে বোঝা যায় না। দুই-এক ঘণ্টা আগে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই
গ্রীষ্মকাল শুরু না হতেই চুয়াডাঙ্গায় সোমবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
সোমবার (১ এপ্রিল) জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কাঠফাটা রোদে জনজীবন অতিষ্ঠ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কর্মজীবীরা, বিশেষ করে দিনমজুররা। পাকা রাস্তায় হাঁটার সময় তীব্র গরমে নাক-মুখ জ্বলছে। গতকাল বৃষ্টিপাত হলেও অসহ্য গরম থেকে মুক্তি পায়নি জেলাবাসী। ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়েছে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাতে
সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হলেও, তা রোদ উঠলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি করছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম বাতাস অনুভূত হচ্ছে। রাস্তায় চলাফেরা কমে গেছে মানুষের এবং মাথার উপর কোনো আচ্ছাদন দেওয়া ছাড়া হাঁটা সম্ভব হচ্ছে না।
চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে রয়েছে দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও কৃষকেরা। তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছেন না কৃষক ও দিনমজুরেরা।
রিকশাচালক রহিম আলী বলেন, গরম পড়ায় রিকশা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এই কারণে সংসার খরচ মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে আবার রোজার মাস। মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় ভাড়া নেই বললেই চলে।
আখের রস বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, বছর জুড়ে আখের রস বিক্রি হলেও রোজা আসার পর তাপমাত্রা বাড়ায় এর চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। এমনিতেই পাড়া মহল্লায় আখের রসের ভালো চাহিদা রয়েছে। তার ওপর রোজা আসায় বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
শরবত বিক্রেতা জাফর মল্লিক বলেন, রোজার মাসে স্বাভাবিকভাবে অন্য সময়ের মতো শরবত বিক্রি হয় না। ইফতারির সময় সারাদিনের বিক্রি একবারে হয়ে যায়। তারপরও তাপমাত্রা বাড়ায় বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, এ সময়ে দেশের সর্বত্র মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু কয়েক দিন থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহ কমে গেছে। গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হলেও তা রোদে শুকিয়ে গিয়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এতে করে ভ্যাপসা গরমের সৃষ্টি করছে।
রকিবুল হাসান বলেন, সোমবার বিকালে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৫ বিভাগে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
অস্তিত্ব রক্ষায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শীত বেড়েছে, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে।
আরও পড়ুন: মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট।
শহরের মুরগি বিক্রেতা ইয়ারুল আলি বলেন, কয়েকদিন পর শুক্রবার সকালে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রাম থেকে খুব সকালে শহরে মুরগি বিক্রি করতে হয়। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লোকজনের দেখা মিলছে না।
দিনমজুরেরা বলেন, কনকনে শীত পড়ছে সঙ্গে বাতাসে আরও শীতের তিব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভোরে কৃষি কাজের জন্য মাঠে এসেছি। ঠান্ডায় হাত চলছে না।
এদিকে, শীতজনিত কারণে রোটাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু ডায়রিয়া রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া নিউমোনিয়ার রোগীও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানিয়েছেন, প্রতিদিন শীতজনিত কারণে ৭০০-৮০০ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও জানান, এছাড়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাছে। শনিবারও একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
তিনি জানান, আগামী ১৫-১৬ তারিখের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়েছে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাতে
চুয়াডাঙ্গায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে একদিকে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা এবং অন্যদিকে কমছে শীতের তীব্রতা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দেখা গিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (২৮ জানুয়ারি) এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে আজ বুধবার তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া রাতে শূন্য দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে তিনি আরও জানান, আজসহ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মেঘলা কেটে গেলে আবারও শীত অনুভূত হবে। তবে আগামী সপ্তাহের শেষে আবারও একটি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রোগে। জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন থাকতে বলছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি যত্ন নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শীতের এমন পরিস্থিতিতে সব পেশা ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। একদিকে কাজের অভাব, অন্য দিকে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে
কুড়িগ্রামের হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, গত ৮ থেকে ১০ বছরে কুড়িগ্রামে এমন পরিস্থিতি দেখিনি। শীতের সঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস।
তিনি আরও বলেন, এ বছর শীতের চিত্রটা ভিন্ন। আজও শুক্রবার সেই কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে, আমরা বয়স্ক মানুষ আমাদের হাঁটতে চলতে খুব সমস্যা হয়।
কাঁঠালবাড়ি সিনাই গ্রামের মোজা মিয়া বলেন, কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা পড়ায় কাজ করা খুব কষ্টকর হয়ে উঠেছে। আজ শুক্রবারও ঠান্ডা খুব বেশি।
আরও পড়ুন: চলমান মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে ঢাকায় কবে বৃষ্টি হবে?
তিনি আরও বলেন, হাত বরফ হয়ে যাচ্ছে। পানি, ইট, সিমেন্টের কাজ করা খুবই কষ্টের। নেই গরম কাপড়। কেউ একটা কম্বলও দিল না।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি পর্যবেক্ষনাগার ও আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অফিসটি।
কুড়িগ্রামে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, কমেনি শীতের দাপট
টানা শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। এর প্রভাব পড়েছে জেলার কৃষি ক্ষেত্রেও।
তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও কমেনি শীতের দাপট। কনকনে ঠান্ডায় যবুথবু হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুর্যের দেখা মিলছে না। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে মেঘাচ্ছন্ন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে শীত কাতর মানুষগুলো। ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখিরাও।
শীত ও কনকনে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগ।
সরেজমিনে এসব চিত্র দেখতে পান ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।
গত ১ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০ জন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র ঠান্ডায় বীজতলা ও ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
বরিশালে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। শনিবার বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
তীব্র শীতে বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে।
আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
এদিকে বরিশালে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গত কয়েক দিন ধরে ধারণ ক্ষমতার ৭ থেকে ১০ গুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও। শয্যা সংকট থাকায় তাদের মেঝেতে শুইয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
এমন বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পরেছেন শ্রমজীবীসহ ছিন্নমূলরা। বিকাল পর্যন্ত সূর্যের দেখা না পাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হয়নি। ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় দোকানপাট কম খুলেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
স্বাভাবিকভাবে জনসাধারণের উপস্থিতিও ছিল সীমিত। এদিকে শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে শেবাচিম হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার ধারণ ক্ষমতার সাত গুণ বেশি শিশু চিকিৎসাধীন ছিল। এরপর শুক্র ও শনিবারও বেড়েছে শিশু ওয়ার্ডের রোগীর সংখ্যা। এর বাইরে বহির্বিভাগেও প্রতিদিন সেবা নিচ্ছেন দুই থেকে তিন শতাধিক শিশু।
বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার নদী তীরের বাসিন্দা রিপন বলেন, নদী তীর এলাকায় কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাস বইছে। এ কারণে ঘরের মধ্যে টিকে থাকা দায় হয়ে গিয়েছে। আগুন বা রুম হিটার ছাড়া নদী তীরের ঘরে থাকা যায় না। আমরা এ শীতে খুবই বিপদে রয়েছি।
পথশিশু ইয়াসিন জানায়, দিনরাত তীব্র শীতের মধ্যে টার্মিনালেই থাকতে হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে খুবই শীত পড়ছে। এ শীতের মধ্যে কাজ বাদ দিয়ে সারাদিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
নগরীর লঞ্চটার্মিনালের শ্রমিক আবদুর রহমান বলেন, তীব্র শীত আর বাতাসে টিকে থাকাই দায়। সংসার চালানোর তাগিদে বাইরে বের হয়েছি। তা না হলে ঘর থেকেই বের হতাম না।
রিকশাচালক লোকমান মিয়া বলেন, ঠান্ডা বাতাসের মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। শীতের কারণে রাস্তায় লোকজন কম থাকায় আয়ও অনেক কমেছে।
গৌরনদীর মাজেদা বেগম বলেন, জ্বর-সর্দিতে আমার ছেলে আক্রান্ত হওয়ায় শেবাচিমে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এখানে এসেও সেবা পাইনি।
আরও পড়ুন: ২ দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থান সংকটের কারণে শয্যা কম। তাই বাধ্য হয়ে শিশুদের মেঝেতে বিছানা দিয়ে সেবা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার অধিক রোগী থাকার পাশাপাশি রোগীর স্বজনরাও প্রতিনিয়ত মেঝে নোংরা করে। তারপরও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করছি আমরা।
এসময় শিশুদের সুস্থ রাখতে গরম কাপড়ে শিশুদের আবৃত রাখাসহ অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, একই সঙ্গে সকালে ২ নটিক্যাল মাইল বেগে বাতাস বয়ে গেছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ অনুভব হয়।
তিনি আরও জানান, এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে না গেলেও শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। এমন শীত আগামী তিন থেকে চার দিন অব্যাহত থাকবে। তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বরিশালে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি