মেহেরপুরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে বৈশাখের আগমন। ভয়াবহ তাপপ্রবাহে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষ ও পশু-পাখিদের।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য এমন দাপট দেখাচ্ছে যে, মানুষের পাশাপাশি ভুগছে প্রাণপ্রকৃতিও। বৈরী আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তীব্র গরমে জলাশয়ের মাছ মরে যাচ্ছে
এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয়েছে এই তাপপ্রবাহ। জীবন-জীবিকার প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না কোনো মানুষ।
এদিকে তাপমাত্রার ওঠানামায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন প্রায় সব বয়সী মানুষ। ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এ অবস্থায় তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২০ শতাংশ। এর আগে গত ১ এপ্রিল এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গ-মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। রবিবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩২ শতাংশ এবং বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, গত ১০ এপ্রিল থেকে পরবর্তী সাতদিন মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং দিনে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ এই এলাকায় বয়ে চলেছে। আরও বেশ কিছু দিন এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় গরম কম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: তাপ, দাবানল ও বন্যা গ্রীষ্মকে ‘তীব্র গরম’ করে তুলেছে