গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বাড়ায় ৬০ট স্কুল বন্ধ
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতীরবর্তী নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় পানি উঠেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপরে
এছাড়া ওই সব এলাকার ফসলি জমি, আমন বীজতলা এবং নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে কয়েক হাজার পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
পানি ওঠার ফলে ১৬৫ চরাঞ্চলের ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে কড়াইবাড়ি, খারজানি, পারদিয়ারা ও কুন্দেরপাড়া গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ওইসব গ্রামের মানুষরা ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদীর ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান।
এছাড়া তিস্তা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুন্দরগঞ্জ, সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৭৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দে্ওয়া হয়েছে।
এছাড়া ওই চার উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ফুলছড়ি উপজেলার জন্য বিশেষ বরাদ্দ হিসেবে ৫০টি শুকনা খাবার প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে বলে জেলা ত্রাণ দপ্তর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে
গাইবান্ধায় বিএনপির ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির ৩৬জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ মোট ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকারিয়া বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা, বিস্ফোরক ব্যবহার ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. ময়নুল হাসান সাদিক জানায়, সারাদেশের মতো গাইবান্ধায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নেয়। সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুযায়ী বিকালে গাইবান্ধা শহরের জেলা বিএনপি অফিস থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পৌর শহীদ মিনার এলাকায় পুলিশ তাদের মিছিল করতে বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও শটগানের গুলি বর্ষণ করে।
এসময় গাইবান্ধা জেলা বিএনপির অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস, কাঁদানে গ্যাস, শটগানের গুলিসহ মোট ২৮ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত, গ্রেপ্তার ৩
গাইবান্ধা ট্রাকের চাপায় ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য নিহতের ঘটনায় ট্রাক চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন- ট্রাক চালক রংপুরের মাহিগঞ্জ থানার সঙ্গীর টারী গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে জামাল মিয়া, সহযোগী একই এলাকার ক্ষুদ্র রংপুর গ্রামের আজিজ মিয়ার ছেলে মশিউর রহমান (২৯) ও ট্রাক মালিক জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আনিছুর রহমান (৪৪)।
আরও পড়ুন: সাঈদীর চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
শনিবার (২৬ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) কালাম হোসেন জানান, রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছেন।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট গাইবান্ধার জিরো পয়েন্ট এলাকায় ট্রাকচাপায় ট্রাফিক পুলিশ বিপ্লবের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ট্রাকের ধাক্কায় ট্রাফিক পুলিশের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ দুর্ঘটনায় জড়িত ট্রাকটিও জব্দ করেছে বলে জানান এসপি।
আরও পড়ুন: পাবিপ্রবিতে ২ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পিডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১
পিরোজপুরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাতারপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলেন- ওই গ্রামের সুলতান মিয়ার মেয়ে রুম্পা (৭) ও রায়হান মিয়ার মেয়ে রাফিয়া (৪)। তারা দু’জন সম্পর্কে চাচাতো বোন ছিল।
বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুরে মসজিদে তখন জুমার নামাজ চলছিল।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পুকুর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
এ সময় ওই দুই শিশু বাড়ির পাশের পুকুর পারের একটি পেয়ারা গাছে ওঠে পেয়ারা পারার জন্য। একপর্যায়ে গাছের ডাল ভেঙে শিশু দু’টি পুকুরে পরে ডুবে যায়। সাঁতার জানা না থাকায় তাদের পক্ষে পারে উঠে আসা সম্ভব হয়নি। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর পুকুর থেকে তাদের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে স্বজনরা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধায় নদীতে গোসলে নেমে কলেজছাত্র নিখোঁজ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নদীতে গোসল করতে নেমে এক কলেজছাত্র নিখোঁজ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) উপজেলার পানিতলা গ্রামে গাংনাই নদীতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নদীতে গোসল করতে নেমে কলেজছাত্রের মৃত্যু
নিখোঁজ কলেজছাত্র শিহাব সরকার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের সিহিপুর গ্রামের বাসিন্দা খাজা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বাড়ির পাশের গাংনাই নদীতে গোসল করতে যায় শিহাব। কিছু বুঝে ওঠার আগেই নদীর শ্রোতে পানিতে তলিয়ে যায় সে। দীর্ঘ সময় পরেও বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা নদীতে খোঁজাখুঁজি শুরু করে ব্যর্থ হয়।
এদিকে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ও রংপুরের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আরিফ আনোয়ার জানান, প্রায় দুই ঘন্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নদীর গভীরতা ও শ্রোতের কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে নদীতে গোসল করতে নেমে ২ মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী রায়হান মিয়া (১৩) ওই ইউনিয়নের ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে। সে স্থানীয় ফকিরহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ফ্যান মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিক্ষকের
স্থানীয়রা জানায়, রাতে রায়হান তার বাবার সঙ্গে চৌরাস্তা বাজারে পান-সিগারেটের দোকানে ছিল। সন্ধ্যার পর থেকেই এলাকায় টানা বৃষ্টি পড়ায় বাবা-ছেলে বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করেছিলেন।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৃষ্টি থামলে দোকান বন্ধ করার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আটকে যায় রায়হান।
পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্র নিহত
কুড়িগ্রামে সেচ পাম্প চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
পানির জন্য হাহাকার, গাইবান্ধায় পাটচাষিরা বিপাকে
গাইবান্ধার পাটচাষিদের অবস্থা এখন অনেকটাই তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন পানির জন্য।
পানির অভাবে জাগ (পানিতে ডুবিয়ে পচানো) দিতে পারছেন না কেটে রাখা পাট। বাধ্য হয়ে জমিতে স্তূপ করে রেখে অপেক্ষা করছেন পানির জন্য। আবার কেউ কেউ পানি নেই বলে না পাট কাটছেন না।
পাটচাষি ও মোল্লার চরের ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সরকার জানান, তোষা পাটের ব্যাপক চাষ হয় গাইবান্ধার ১৬৫টি চরাঞ্চলে। কিন্তু এবছর অনাবৃষ্টি, খরা ও তাপপ্রবাহের কারণে বিপাকে পড়েছে পাটচাষিরা।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, পলাশবাড়ি, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধা সদর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা এবং নিচু জলাশয় শুকিয়ে গেছে। তাই কারণে এই ভরা মৌসুমে পাট পচানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
গুনভরি এলাকার পাটচাষি মহিউদ্দিন বলেন, ‘বৃষ্টির আশায় পাট কেটে জমিতে স্তূপ করে রেখেছি অনেকদিন ধরে। দিনের পর দিন অপেক্ষা করছি; কিন্তু বন্যা বা বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে স্তুপ করে রাখা পাট শুকিয়ে যাচ্ছে। মূল্যবান এই পাট পচানোর ব্যবস্থা করতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে এলাকার নিচু জলাশয়ে ও পুকুরে সেচ দিয়ে পাট পচানোর ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু জলাশয় ও পুকুরে সেচ দেওয়া পানিও থাকছে না। দু-তিন দিনের মধ্যেই সেই পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে।’
গাইবান্ধা জেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে সাঘাটা উপজেলায় ৩ হাজার ২ হেক্টর, গাইবান্ধা সদরে ৯৪৫, সাদুল্লাপুরে ৪৮০, গোবিন্দগঞ্জে ৬৪১, ফুলছড়ি উপজেলায় ৪ হাজার ৩৯০, পলাশবাড়িতে ২৯০ এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। ভরা মৌসুম হওয়ায় ইতোমধ্যে পাট কাটা শুরু হয়েছে।
পাট পচানোর জন্য ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগে। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ থেকে ৯ মণ পাট উৎপাদন হয়। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়।
চর কাপাসিয়া ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা রেজা মেম্বার জানান, তিনি ২০ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন। বাধ্য হয়ে কিছু পাট তিস্তা নদীতে পচাতে দিয়েছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের শাহিন মিয়া জানান, তার বাড়ির আশেপাশের পুকুরে পানি নেই। ১০দিন হল পাট কেটে জমিতে স্তুপ করে রেখেছেন। পানি না থাকায় পচানোর জন্য জাগ দিতে পারছেন না। ইতোমধ্যে জমিতে তার পাট শুকিয়ে গেছে। সেচ দিয়ে পানি ভর্তি করে পচানোর ব্যবস্থা করা হলেও পানি দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে করে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে, তারপরও পাটের রং নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের নদীর পানিতে ডুবে বর্গাচাষির মৃত্যু
গাইবান্ধায় বাস-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে ২ জন নিহত
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কেও উপজেলার পান্থপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- প্রাইভেটকারের যাত্রী ফেনির ফুলগাছি থানার দামুড়া গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল মান্নানের পুত্র আবুল বাশার (৬০) ও প্রাইভেটকার চালক ঢাকার শ্যামপুর দনিয়া এলাকার হক মিয়ার পুত্র মো. মিজান।
গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেট কার থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের হস্তান্তর করেছে।
গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আরিফ আনোয়ার জানান, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সময় রংপুরগামী প্রাইভেটকার রংপুর মহাসড়কের পান্তাপাড়া নামক স্থানে পৌঁছলে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে কারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রাইভেটকারে থাকা দুই যাত্রী গাড়িতেই আটকা পড়েন চালক ও আরোহী মারা যায়। তাদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতদের লাশ থানায় রয়েছে। তাদের পরিবারের কাছে খবর দেয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দু’টি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কনস্টেবলসহ নিহত ৩
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক নিহত
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও একজন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার মাঠের হাট নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
নিহত মেহেদী হাসান নয়ন উপজেলার ঢোল ভাংগা এলাকার বাসিন্দা। তবে আহতের নাম জানাযায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেদী হাসান নয়ন তার পুত্রকে নিয়ে মোটরসাইকেলের পেট্রোল নিতে আসেন মাঠেরহাটে একটি পাম্পে।
পেট্রোল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পলাশবাড়ীগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে দুজনেই ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় মেহেদী হাসান নয়নসহ দুজনকে প্রথমে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেহেদী হাসান নয়ন মারা যায়। আহত ব্যক্তিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে একজন। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে জব্দ করার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক নিহত
মুন্সীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কনস্টেবলসহ নিহত ৩
গাইবান্ধায় মায়ের বিরুদ্ধে নবজাতককে হত্যার অভিযোগ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক নারীর বিরুদ্ধে নিজের নবজাতককে শ্বাসরোধে হত্যা করে ড্রেনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ জুন) গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত কল্পনা রানী (৪০) ওই উপজেলার দরবস্ত গ্রামের দেবেন্দ্র নাথ বর্মণের (৪৫) স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
আরও পড়ুন: নাটোরে সদর হাসপাতাল থেকে অভিনব কায়দায় নবজাতক চুরি
গ্রেপ্তারের পর কল্পনা রানী গোবিন্দগঞ্জের চৌকি আদলতের বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় নবজাতককে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে শুক্রবার ওই নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে ওই গ্রামের মৃত রামতনু চন্দ্র বর্মণের ছেলে দেবেন্দ্র নাথ বর্মণের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। আট বছর আগে দেবেন্দ্র নাথ বর্মণ স্ত্রীর আচার-আচরণে সন্দেহ পোষণ করেন। বিষয়টি তিনি শাশুড়িকে জানালে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেবেন্দ্র নাথ নিজের বাড়ি ছেড়ে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া এলাকায় আলাদাভাবে বসবাস করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রলয় কুমার বর্মা বলেন, স্থানীয়দের খবরে গত বুধবার (২১ জুন) বিকালে দরবস্ত গ্রামের মনোরঞ্জনের বাঁশের ঝার থেকে একদিনের নবজাতক ছেলের লাশ উদ্ধার করে। পরে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে আদলতে নেওয়া হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, কোনো অবৈধ সম্পর্কের কারণে কল্পনার সন্তানকে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কল্পনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। ১৬৪ ধারার জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা
সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের