মামলা
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাসুদ করিম লাল্টু নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে বাবা ও ছেলেসহ ছয়জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম চার আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে অপর এক হত্যা মামলায় আদালত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তারউজ্জামান বিশ্বাস (৫২), তার ছেলে মাহামুদুল হাসান (৩০) এবং চেয়ারম্যানের দুই ভাই হাবিল উদ্দিন বিশ্বাস (৪৯) ও বাবলু বিশ্বাস (৪৬)।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কামরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে রাশেদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩৪) ও মৃত জলিল গাইনের ছেলে মাসুদ গাইন (৩৮)।
যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত মাসুদ গাইন ও বিদ্যুৎ বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
এ মামলায় অপর তিন আসামিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার পরপরই আসামিদের পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে এই মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৫ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের কর্মী মোল্লা মাসুদ করিম লাল্টুকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা।
এই ঘটনায় পরের দিন নিহতের ভাই মাহবুবুল করিম মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। নিহত মোল্লা মাসুদ করিম লাল্টু দহকুলা গ্রামের সোহরাব উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির এ আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক দ্বন্দ্ব ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল।
দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদী সাজার এ আদেশ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা: নারায়ণগঞ্জে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরেক পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, বিএনপির ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যার জেরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় দলটির অজ্ঞাত ২৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদ সারওয়ার সবুজ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।
মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করে বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের আগেই চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ, ধর্মঘটে অনড় সিলেটের পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা
সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দিনে তাদের আটকের পর মঙ্গলবার বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এখন এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তার ইশতিয়াক আহমদ রাজু, বদরুল ইসলাম নজরুল, মিলাদ আহমদ ও রাজীব আহমদ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী জাহিদ সারোয়ার সবুজ বলেন, বিএনপির একটি মিছিল থেকে ছয় নভেম্বর রবিবার রাতে নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করা হয়।
বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপক্ষের মাঝে বেশ কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এসময়।
খবর পেয়ে দ্রুত কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
এদিকে কামাল হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তার ভাই ময়নুল হক বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে নগরের বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে কামাল হত্যা: ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে নগরের জালালাবাদ থানায় নিহতের ভাই মইনুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, মামলায় আসামি হিসেবে আজিজুর রহমান সম্রাটসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের নাম বলতে চাননি তিনি।
মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান আজবাহার।
এরআগে রবিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে সিলেট নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং সিলেট ল’কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি আ ফ ম কামাল।
কামালের বাড়ি সিলেট শহরতলীর জালালাবাদ ইউনিয়নের আলীর গাঁওয়ে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মহানগরের সুবিদবাজারে বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
ব্যবসায়িক বিরোধে কামাল খুন হতে পারেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িকে অনুসরণ করছিল দু’টি মোটরসাইকেল।
বড়বাজার ১১৮ নং বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে বাইক আরোহীরা। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা কামালকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই কামাল মারা যান জানিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামছুল ইসলাম বলেন, কামালের দেহে ২৫টি ছুরিকাঘাত করা হয়। তার বাঁ হাতে ১৬টি, বাম বগলের নিচে দুইটি, বুকের বামপাশে একটি ও বাম পায়ে ছয়টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আ ফ কামাল খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় পাঁচজন। এরমেধ্য আজিজুর রহমান সম্রাট, শাকিল ও রাজু নামের তিনজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে এই সূত্র।
এদের মধ্যে সম্রাট ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আ ফ ম কামাল রাজনীতির পাশাপাশি পাথর ব্যবসা এবং নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি তার ট্রাভেল এজেন্সি থেকে আজিজুর রহমান সম্রাটের আত্মীয়কে সৌদি আরবে পাঠানো নিয়ে দ ‘জনের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সম্রাট গত ২১ অক্টোবর আ ফ ম কামালসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
এরই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, আ ফ ম কামাল হত্যার জেরে সিলেটে ছাত্রদলের মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ও মঙ্গলবার দিনে কতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের আটকের পর মঙ্গলবার বিকেলে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ইশতিয়াক আহমদ রাজু, বদরুল ইসলাম নজরুল, মিলাদ আহমদ ও রাজীব আহমদ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে।
তবে এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তাই ৫৪ ধারায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও মারপিটের ঘটনায় তিন পুলিশ আহত হয়েছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় রবিবার (৬ নভেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ফুলছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন জানান, ৬ নভেম্বর রাতে একদল পুলিশ ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়রে শাপলা বাজারে আসামি আফসার মেম্বারের ছেলে আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তার করতে যায়।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
পুলিশ তাকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে নদী পার হয়ে থানায় আসতে ধরলে স্থানীয় আব্দুল মালেকসহ তার লোকজন বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং আব্দুল মালেককে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়।
তারা লোকজন নিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং পুলিশকে মারপিট করে। এতে তিন পুলিশ আহত হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশ থানায় ফিরে আসে।
এই ব্যাপারে আহত উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বাদী হয়ে ৭ অক্টোবর রাতে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার অপরাধে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ্যাপারে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল আজিজ বলেন, পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশকে মারপিটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনার সোনাডাঙ্গায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেয়া হয়েছে। এছাড়া চারজনকে আট বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ।
মত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), মো. রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম (পলাতক) ও মো. মিম হোসেন।
এছাড়া এ মামলার অপর চারজন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
তারা হলেন- নুরুন্নবী আহমেদ, মঈন হোসেন হৃদয়, মো. সৌরব শেখ ও মো. জিহাদুল কবির দিহান।
এছাড়া পর্ণগ্রাফী আইনে আসামি নুরুন্নবী আহমেদকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার এজহারে জানা গেছে, ঘটনার দুইদিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্ত’র সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। ওই সূত্র ধরে আসামি ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকালে মোবাইলে ভুক্তভোগীকে সাহেবের কবর খানায় দেখা করার কথা বলে শান্ত। সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে নেয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানার বিহারী কলোনির ভাড়া বাড়িতে। পরে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে শান্ত। ধর্ষণের ভিডিওটি ধারণ করে উপস্থিত অন্যান্যরা। ওই ভিডিও দেখিয়ে ও ভয়ভীতি দিয়ে অন্যান্যরা ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর আসামিরা ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি ভুক্তভোগী বড়বোনকে খুলে বলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরের দিন বড় বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ মামলা করেন।
একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ৩০ জনের মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড
বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের (গাসিক) সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে করা মানহানি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার মামলাটি বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। এর আগে এ মামলায় গত ৫ সেপ্টেম্বর জামিন নিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এ মামলায় গত ৩১ আগস্ট ফরিদপুরের ৩ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেন মেয়র জাহাঙ্গীর।
এরপর গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীরকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে এই মামলা হয়। মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একই অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
মাগুরায় ছেলের মামলায় মৃত্যুর একমাস পর কবর থেকে বাবার লাশ তুলে ময়নাতদন্ত!
মাগুরার মহম্মদপুরে নিহত আবু বক্কারের লাশ মৃত্যুর একমাস ৬ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, মৃত্যুর ১০ দিন পর ছেলে বাদী হয়ে তার মা-মামাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। মামলায় আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি করেছেন মাগুরার মহম্মদপুরের বড়রিয়া গ্রামের সদ্য প্রয়াত আবু বক্কার শেখের ছেলে সিজান মাহমুদ সাগর।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
বাবা মারা যাওয়ার ১০ দিন পর ১৩ অক্টোবর মাগুরা আদালতে তিনি মামলাটি করেন। আদালতের বিচারিক হাকিম মু. হাবীবুর রহমান দরখাস্তটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। মামলার খবর পেয়ে আসামিরা আত্মগোপন করেছেন।
মামলার আরজি মতে, গত ২ অক্টোবর ভোরে মারা যান আবু বক্কার শেখ। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর সৌদিতে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী স্থানীয় জনৈক রকিবুল ইসলাম হিরকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২ অক্টোবর ভোররাতে আবু বক্কারকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং আসামিরা তড়িঘড়ি করে বক্কার শেখের লাশ দাফন করে দেয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গড়াই নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
দরজা ভেঙে শিক্ষিকার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার!
ওসির বিরুদ্ধে করা তাবিথের মামলা খারিজ
মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা না করায় হেফাজত আইনে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়ার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
ওই মামলায় মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকালে তাবিথ আউয়াল মামলাটি করেন ।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমান রাখেন। এরপর সন্ধ্যায় আদালত থেকে জানানো হয়, মঙ্গলবার আদালত এ বিষয়ে আদেশ দিবেন।
মঙ্গলবার সকালে আদালত মামলাটি খারিজের আদেশ দেন বলে জানান আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
আরও পড়ুন: বনানীতে বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, তাবিথসহ আহত ১০
তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন।
মামলার আবেদনে আরও যাদের আসামি করা হয়- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির, শ্রমিক লীগ কর্মী বাবু, শফিক, বনানী থানার যুবলীগ কর্মী শ্যামল, দোলন, রনি, ববি, সাগর, মামুন ও ফারুক। এছাড়াও আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত করে আসামি করা হয়। এছাড়া, বনানী থানার আরও ২০ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্যকেও অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির আমান, তাবিথসহ ৭০ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
মামলারসূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ গ্যাস, ডিজেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ দলীয় তিন নেতার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গত ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান ২ এর গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এসময় কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে। এসময় বাদী বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি নিশ্চিতের জন্য বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এরপর হামলায় তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির অনেকে গুরুতর আহত হন। তাই এ অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচন বাতিল চেয়ে তাবিথের মামলা
রাণীশংকৈলে শিক্ষক হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে চাঞ্চল্যকর শিক্ষক হোসেন হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে থানা ও উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেছে।
এর আগে উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়কে প্রায় আধাঘন্টা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে মহাসড়কে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, যুবলীগ নেতা রমজান আলী ও মোস্তাফিজুর রহমান, আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল, মুক্তিযোদ্ধা হবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও শেফালী বেগম ও নিহতের বাবা নুরুল হক ও মা হোসনা খাতুন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে শাকিল হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
বক্তারা হোসাইন হত্যার ১২ দিনেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করা এবং ইতোমধ্যে সন্দেহজনক ৭ জনকে থানায় ধরে এনে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা আসামিদের আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে তারা এনিয়ে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরকে একটি স্মারকলিপি দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর সকালে ভরনিয়া বাজারের পাশে রাস্তা সংলগ্ন ধান ক্ষেত থেকে কোচিং শিক্ষক হোসেন আলীর (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিবার এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেন।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, ৭২ ঘন্টা নয় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:ঠাকুরগাঁওয়ে ছাগলের অদ্ভুত ২ বাচ্চা!
গয়েশ্বরের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ; দ্রুত বিচার শেষ করার নির্দেশ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মামলা বাতিলের রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ মামলার বিচারের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে আদালত বিচারিক আদালতকে দ্রুত বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিভেদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ হবে: গয়েশ্বর
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, এ রায়ের ফলে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করতে কোন বাধা রইলো না।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি মামলা দায়ের করে। রাজধানীর রমনা থানায় করা এ মামলাটিতে দুই কোটি ৮৬ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
একই বছরের ৫ জুলাই এ মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে দুদক। পরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পক্ষ থেকে মামলা বাতিলের আবেদন জানালে হাইকোর্ট ২০১০ সালে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেই থেকে মামলাটির বিচার বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
সরকার বিএনপির সংবেদনশীল জায়গায় আঘাত করছে: গয়েশ্বর