খুলনার সোনাডাঙ্গায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেয়া হয়েছে। এছাড়া চারজনকে আট বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল (পিপি) ফরিদ আহমেদ।
মত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), মো. রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম (পলাতক) ও মো. মিম হোসেন।
এছাড়া এ মামলার অপর চারজন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ১জনের মৃত্যুদণ্ড, আরেকজনের যাবজ্জীবন
তারা হলেন- নুরুন্নবী আহমেদ, মঈন হোসেন হৃদয়, মো. সৌরব শেখ ও মো. জিহাদুল কবির দিহান।
এছাড়া পর্ণগ্রাফী আইনে আসামি নুরুন্নবী আহমেদকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার এজহারে জানা গেছে, ঘটনার দুইদিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্ত’র সঙ্গে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। ওই সূত্র ধরে আসামি ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকালে মোবাইলে ভুক্তভোগীকে সাহেবের কবর খানায় দেখা করার কথা বলে শান্ত। সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে নেয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানার বিহারী কলোনির ভাড়া বাড়িতে। পরে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে শান্ত। ধর্ষণের ভিডিওটি ধারণ করে উপস্থিত অন্যান্যরা। ওই ভিডিও দেখিয়ে ও ভয়ভীতি দিয়ে অন্যান্যরা ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর আসামিরা ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়। পরে ঘটনাটি ভুক্তভোগী বড়বোনকে খুলে বলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরের দিন বড় বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ জন আসামির নাম উল্লেখ মামলা করেন।
একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ৩০ জনের মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড