আটক
সেপটিক ট্যাংক থেকে বাবার লাশ উদ্ধার, ছেলেসহ আটক ২
খুলনার রূপসায় বাবাকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার প্রায় সাত মাস পর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আইচগাতীর শোলপুর গ্রাম থেকে নিহতের ছেলেসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত এনামুল হক এন্তে (৫০) ওই এলাকার বাসিন্দা। আটক ব্যক্তিরা হলেন- নিহত এনামুল হক এন্তের ছেলে নিয়ামুল ইসলাম তানভির (১৮) ও তানভিরের সহযোগী জুম্মান (৪০)।
আরও পড়ুন: জমি লিখে না দেয়ায় কুড়িগ্রামে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে হত্যা
জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর নিয়ামুল ইসলাম তানভির তার ছোট ভাই নাঈমকে (১১) মারধর করলে এক পর্যায়ে নাঈম চিৎকার করে তার বাবার হত্যার কথা বলতে থাকে। বিষয়টি এলাকাবাসী জেনে গেলে নিয়ামুল দিঘলিয়ার একটি গ্রামে আত্মগোপন করে। পরে পুলিশ পলাতক আসামিদের আটক করে এবং এনামুল হক এন্তের গলিত লাশ উদ্ধার করে।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নিয়ামুল নিজের হাতে বাবাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। স্বীকারোক্তিতে নিয়ামুল জানায়, প্রায় সাত মাস আগে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিয়ামুল তার সহযোগী জুম্মানকে নিয়ে শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাবা এনামুল হক এন্তেকে হত্যা করে। পরবর্তীতে ওই রাতেই লাশ নিয়ামুল তাদের বাড়ির পায়খানার সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
নিহত এনামুল হক এন্তে মৃগীরোগী ছিল। যে কারণে এলাকায় প্রচার হয় যে ভিকটিম মৃগী রোগে মারা গেছে।
ওসি জানান, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনায় ইয়াবাসহ পুলিশ আটক
খুলনার রূপসায় অভিযান চালিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করা হয়েছে। এই সময় তার কাছ থেকে ৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানিক দল। উপজেলা নবপল্লী আইচগাতী গ্রামে থেকে বুধবার দুপুর ২টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে মাদক জব্দ, ‘ভুয়া পুলিশ’ আটক
আটক মো. নাজমুল খান (২১) টাঙ্গাইল জেলার মো. নায়েব আলী খানের ছেলে ও রূপসা এলাকার বাসিন্দা। তিনি বয়রা পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।
খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ‘ক’ সার্কেলের পরিদর্শক হাওলাদার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রূপসা উপজেলা নবপল্লী আইচগাতী গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এই সময় কনস্টেবল মো. নাজমুল খানকে ৮০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। নাজমুল স্বীকার করেন সে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে চাকরি করেন। বয়রা পুলিশ লাইনে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ৬ লাখ ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা যুবক আটক
সিলেটে দুই শিবিরকর্মীসহ ৩ জন আটক
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার পাঠাগারে গোপন বৈঠক চলাকালে ছাত্র শিবিরের দুই কর্মীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মহানগর পুলিশের একটি দল সিলেট নগরের চৌহাট্টাস্থ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- সিলেট শহরতলীর জালালাবাদ থানাধীন আটগাঁও গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আমিনুর রহমান ও দক্ষিণ সুরমা থানাধীন সিলামের আসাদ মিয়ার ছেলে শাহার আহমদ। এছাড়া তানভির আহমদ নামের আরও এক যুবককে আটক করা হয়।
অভিযানকালে পুলিশ ব্যানার, ডায়েরি, ডেলিগেট কার্ড, বই ও বেশ কিছু সরকারবিরোধী লিফলেট উদ্ধার করেছে। এসময় দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার, আটক ১
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। তিনি জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবির কর্মীদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে অভিযান চালান তারা। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাঠাগারে কিভাবে শিবিরকর্মীরা গোপন বৈঠকের সুযোগ পেয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই জন শিবির কর্মীকে আটক করেছে। সেই সঙ্গে সন্দেহভাজন হিসেবে আরও এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, যতটুকু জেনেছি মাদ্রাসায় শিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মেলন চলছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘কিশোর গ্যাং’র ৫ সদস্য আটক
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে সিলেটে আটক ১
ইউপি নির্বাচন: ঝিনাইদহে সংঘর্ষে আহত ৭, আটক ৫
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের বড়কামারকুন্ডু গ্রামে বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় শার্শায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, ৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে কালীচরণপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে নির্বাচিত শাহীদুল ইসলাম। মঙ্গলবার সকালে বড়কামারকুন্ডু গ্রামে শাহীদুলের সমর্থক লিটন হোসেনকে মারধর করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ইকবালের লোকজন। এরই জের ধরে দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে সাতজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার জন্য ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বকে দায়ী করলেন আইনমন্ত্রী
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। উত্তেজনা বিরাজ করায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জে মাদক জব্দ, ‘ভুয়া পুলিশ’ আটক
সুনামগঞ্জের একটি আবাসিক এলাকা থেকে আব্দুল জব্বার নামে এক ভুয়া পুলিশকে আটক করা হয়েছে। এই সময় তার কাছ থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা, ১৫০ গ্রাম গাঁজা, পুলিশের জ্যাকেট ও নেমপ্লেট উদ্ধারের দাবি করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের জামতলা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক শিপলু পাবেল (২৮) সুনামগঞ্জ সদর থানার আরপিনগর গ্রামের মৃত সরাব মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তানিয়া হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
জানা গেছে, র্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকরামুল আহাদের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল তাকে আটক করে।
র্যাব-৯ মেজর মাহফুজুর রহমান জানান, শিপলু পাবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে সুনামগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি ভুয়া পুলিশ হয়ে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
ওসমানী বিমানবন্দরে ৭ কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৪ যাত্রী আটক
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার সকালে দুবাই থেকে আসা চার যাত্রীর কাছ থেকে ১১ কেজি ২২০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে। এ সময় ওই চার জনকে আটক করে কাস্টমসের কর্মকর্তারা। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের মূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি
আটকরা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার কায়স্থ গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে মকবুল আলী, কেউরিয়া হাওরের মনতাজ আলীর ছেলে বশির উদ্দিন ও বাঁশবাড়ি এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার শেখ মো. জাহিদ।
আরও পড়ুন: ওসমানী বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল, শাহজালালে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমসের উপকমিশনার মো. আল আমিন জানান, সকাল ৯টার দিকে দুবাই থেকে আসা ফ্লাইট বিজি ২৪৮ ওসমানীতে অবতরণ করে। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চার যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ১১ কেজি ২২০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।
শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, গৃহকর্তী আটক
মাগুরার শিশু গৃহকর্মী আকলিমাকে নির্যাতনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার লিপি খাতুন নামে এক গৃহকর্তীকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশু আকলিমা মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ গ্রামের কুবাদ শেখের মেয়ে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, আকলিমার এক প্রতিবেশি ঢাকায় বাসায় কাজ করতে পাঠায়। ওই বাসায় প্রায় ১৮ মাস তাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়।
মাগুরা সদর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তার ওপর নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন নির্যাতনের শিকার শিশু আকলিমা। সারা গায়ে আঘাতের ক্ষত আর কঙ্কালসার শরীর নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সে।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিআইডি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
আকলিমার দাদি মনোয়ারা বেগম জানান, প্রতিবেশি বাবু বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি তার শিশু সন্তানকে দেখাশোনার কাজের কথা বলে আকলিমাকে ঢাকার মিরপুর ২ এর বাসায় নিয়ে যান। বিনিময়ে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা ও তার ভরণপোষণ দেয়ার কথা বলে তারা। দীর্ঘ ১৮ মাস ঢাকাতে থাকা অবস্থায় মাঝে মাঝে ফোনে কথা হলেও আকলিমা ভালো আছে বলে জানানো হয়। এ অবস্থায় গত বুধবার তাকে মাগুরাতে নিয়ে আসে গৃহকর্তা বাবু শেখ। এরপর তার শরীরের কঙ্কালসার অবস্থা দেখেন তারা।
হাসপাতালের বেডে নির্যাতনের শিকার শিশু আকলিমা জানায়, তাকে কাজে নেয়ার পর থেকে গৃহকর্তার স্ত্রী লিপি খাতুন সামান্য কারণে হাতের কাছে যখন যা পেয়েছে তায় দিয়েই তাকে মারধর করত। এমনকি নজর দেয়ার অপবাদে তাকে শিশুর বমি করা ভাতও রুটির সঙ্গে জোর করে খাইয়ে দেয় তারা। বিভিন্ন সময়ে শিশুটির প্রসাবও জোর করে খাওয়ানোসহ মাঝে মাঝে তাকে বাথরুমে আটকে রাখা হতো বলে জানায় সে।
মাগুরা২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে শিশুটি ভর্তি হয়। এ সময় তার শরীরে দীর্ঘ ধরে নির্যাতনের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। শিশুটি অভুক্ত থাকায় পুষ্টিহীনতায় ভুগছে বলেও জানালেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লিপির স্বামী বাবু বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে।
শিশুটির দাদার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে শিশুটির খোঁজখবর নেন মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে কলেজ শিক্ষিকা গ্রেপ্তার
পরে রাতেই অভিযুক্ত মাসুদুর রহমান বাবু শেখের মাগুরা কলেজ পাড়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাবু বিশ্বাসের স্ত্রী লিপি বেগমকে আটক করে পুলিশ। বাবু বিশ্বাস মৃত মশিউর রহমান বকুলের ছেলে।
বাবু শেখ মিরপুর-২ এর একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বাবুকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০০ টাকার জন্য ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা, আটক ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনাদারের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শহরের কাজীপাড়া দরগা মহল্লার একটি রেস্টুরেন্টে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রুমান মিয়া (২৯) কাজীপাড়া মৌলভীহাটী এলাকার ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, কাজীপাড়া এলাকার দরগা মহল্লার শিশু মিয়ার ছেলে হুসাইন রুমানের কাছে ৪০০ টাকা পাওনা ছিল। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে কাজীপাড়া এলাকা থেকে আটক করে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চালককে হত্যা পর অটোরিকশা ছিনতাই
১ বছর আগে অপহৃত রোহিঙ্গা মাঝির লাশ উদ্ধার, আটক ৩
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এক বছর আগে অপহৃত রোহিঙ্গা মাঝির লাশ পরিত্যক্ত একজনের বাড়ির মেঝে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার সিহাব কায়সার খান।
আটকরা হলেন- উখিয়া হাকিমপাড়া ক্যাম্প-১৪, ব্লক-ই/৩ এর মো. সালামের ছেলে মো. ইসলাম (২২), একই এলাকার কাশেমের ছেলে আবদুল মোন্নাফ (২৬) এবং মো. সালামের ছেলে মো. ইলিয়াস (২৮)।
আরও পড়ুন: অষ্টম ধাপে ভাসানচর পৌঁছেছে ৫৫২ রোহিঙ্গা
এসপি সিহাব কায়সার জানান, উখিয়ার হাকিমপাড়া ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে ব্লক রেইড পরিচালনা করে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে- এ বছর জানুয়ারি মাসে চাকমারকুল ক্যাম্প-২১, সি/৪ ব্লক এর মৃত মোছা আলীর ছেলে ও (সাবেক এম ব্লক) এর সাব-মাঝি সৈয়দ আমীনকে (৪০) আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অপহরণ করে ক্যাম্প-১৪ তে নিয়ে আসে তারা। অপহরণের পর ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ২০/২৫ জন রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারী মিলে তাকে হত্যা করে ক্যাম্প-১৪ এর প্রাক্তন মাঝি ইয়াকুকের পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখে।
তিনি আরও জানান, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্প-১৪ এর সিআইসিসহ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ইয়াকুব মাঝির ঘর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশের পরনে থাকা কাপড়, বেল্ট ও মাথার চুল দেখে অপহৃত মৃত সৈয়দ আমীনের স্ত্রী হাসান বশর 'তার স্বামীর লাশ বলে' শনাক্ত করেন।
টেকনাফ থানায় এ সংক্রান্ত আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ৮ এপিবিএন এর এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ৩ সন্তানসহ রোহিঙ্গা বাবার বিষপান, দুই জনের মৃত্যু
কক্সবাজারে অপহৃত আরেক ছাত্র উদ্ধার, আটক আরও ২ রোহিঙ্গা
ফরিদপুরে হাইওয়ে থানায় হামলা: ৭ আসামি কারাগারে
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানায় হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত যুবককে আটক করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। শনিবার বিকালে তাদের ফরিদপুরের আমলী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন, সজীব বেপারী (২২), রাফি মোল্যা (১৮), পারভেজ (২১), আকাশ শেখ (২২), সোহেল (১৮), রাকিব মাতুব্বর (২০) ও সাজ্জাদ (২৫)। তাদের সবার বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে থানায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ১
তিনি জানান, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় নির্মাণাধীন আমজাদ সরদারের জুট মিল মাঠ এলাকায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয়রা। ওই মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে আবু ত্বহা ওয়াজ করবেন বলে মাইকিং করা হয়। মাইকিং শুনে কোতয়ালি থানার অফিসার আয়োজকদের আবু ত্বহাকে মাহফিলে না আনার জন্য অনুরোধ করে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়ে বলে জানানো হয়।
পুলিশ সুপার জানান, রবিবার রাতে বিভিন্ন বক্তাদের দিয়ে ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়। এক পর্যায়ে মঞ্চ থেকে বলা হয় আবু ত্বহাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আসতে দেয় নাই, এমন কথা শোনার পর উপস্থিত জনতা ও স্থানীয়রা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, লোহার রড নিয়ে হাইওয়ে থানায় হামলা চালায়। এবং থানার বিভিন্ন মালামাল, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুন: গলাচিপায় সরকারি বই উদ্ধার, আটক ২
এই ঘটনার পরদিন ওই হাইওয়ে থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন শাহ ও থানার ভবনের মালিক নান্নু শেখ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, মামলা দায়েরের পর কোতয়ালি থানার পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের আটকে অভিযান চালাতে থাকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সবাইকে হামলার ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। এছাড়া অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।