আত্মহত্যা
কুষ্টিয়ায় এসএসসিতে ফেল করে ছাত্রীর আত্মহত্যা!
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় লিমা আক্তার (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী বাজারপাড়া গ্রামে তার নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে সে আত্মহত্যা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত লিমা আক্তার বাজারপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে।
দৌলতপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে লিমা আক্তার ফেল করে। পরীক্ষায় ফেল করার অপমান সহ্য করতে না পেরে ক্ষোভ ও দুঃখে বাড়ির নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়। বাড়ির লোকজন জানতে পেরে লিমাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
নিহত স্কুলছাত্রী লিমা আক্তার দৌলতপুর পাইলট গার্লস হাইস্কুল থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার বাবা একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় কোন আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে কলেজছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক প্রধান শিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রেজাউল ইসলাম (৫৬) ওই ইউনিয়নের কেশবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত আনছার উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, রেজাউল ইসলাম ১৯৯০ সাল থেকে কেশবপুরের নিদেনতলায় ঘরজামাই থাকতেন। সোমবার বিকালে জন্মস্থান শালঘর মধুয়াতে যান। সেখানে তিনি বলেন, দুই লাখ টাকা না দিলে তাকে আর পাওয়া যাবে না। পরে তাঁর ভাইয়েরা এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন। তিনি টাকা নিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং অন্যান্য দিনের মত ঘুমিয়ে পড়েন।
এরপর ভোর রাতে নিজের বাড়ির সামনের পাশের গ্রিলে রশির সাথে ঝুলতে দেখেন তাঁর স্ত্রী। এ সময় স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে তাঁকে নিচে নামিয়ে ডাক্তারকে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় ডাক্তার এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাহাড়তলীতে ঋণগ্রস্ত গার্মেন্টস মালিকের আত্মহত্যা!
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল করে কিন্তু কোন পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
পাহাড়তলীতে ঋণগ্রস্ত গার্মেন্টস মালিকের আত্মহত্যা!
ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে চট্টগ্রামে নাছির উদ্দিন (৪৩) নামে এক গার্মেন্টস মালিক আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানা এলাকায় জেএনকে ফ্যাশন নামে নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর ‘আত্মহত্যা’
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ প্রতিষ্ঠানে এক গার্মেন্টস মালিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: টিভি দেখতে না করায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে শিশুর আত্মহত্যা!
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আশেপাশে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞেস করে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি তিনি প্রচুর পরিমাণে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন। সে টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবুও আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিহতের আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলব।’
৩ সন্তানসহ রোহিঙ্গা বাবার বিষপান, দুই জনের মৃত্যু
কক্সবাজারের টেকনাফে তিন সন্তানসহ এক রোহিঙ্গা বাবা বিষপান করেছেন। এরমধ্যে বাবা ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ভোরে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত দুজন হলো, মো. আনোয়ার ও সোমাইয়া (৭)। জীবিত উদ্ধার মাহিয়া (৪)ও ছেলে জাবেদকে (২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে কুপিয়ে স্বামীর বিষপানে আত্মহত্যা!
শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মো. আনোয়ার গত প্রায় দশ বছর আগে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। পরে তিনি শাহ পরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়া এলাকায় বসতি করে মাছধরার পেশায় নিয়োজিত হন এবং আট বছর আগে একই এলাকার ইমাম শরীফ কানপ্রুর মেয়ে রেহেনা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তবে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো।
সাবরাং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস সালাম জানান, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারি, গত শনিবার দুপুরে আনোয়ার ও তার স্ত্রী রেহেনার মধ্যে পারিবারিক কলহে ঝগড়াঝাটি হলে রেহেনা তার তিন সন্তানকে স্বামীর কাছে রেখে বাপের বাড়ি চলে যান। এসময় আনোয়ার স্ত্রীকে আত্মহত্যার হুমকিও দেন। পরে রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে উঁকি দিয়ে সবাইকে প্রায় মৃত ভেবে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে আনোয়ার ও তার শিশু সন্তান সোমাইয়াকে মৃত এবং অপর দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় গ্রেপ্তার এড়াতে ২ নারী আসামির বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা!
শাহপরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান জানান, নিহত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় অপর দুই শিশুকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর ‘আত্মহত্যা’
পারিবারিক কলহের জের দিনাজপুর শহরের ষস্টিতলা এলাকায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিহত মনোয়ারা বেগম বিলকিস (২৫) ওই এলাকার আলমের স্ত্রী।
দিনাজপুরের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূঁইয়া জানান, রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ষস্টিতলা মহল্লার বাসিন্দা মনিরের সাবেক স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বিলকিস। একই এলাকার আলম নামে আরেক ব্যক্তির সাথে পালিয়ে গিয়ে ঢাকায় সংসার পেতে তৈরি পোষাক কারখানায় কাজ করতেন। সাংসারিক অশান্তি দেখা দেয়ায় সপ্তাহখানেক আগে দিনাজপুরে ফিরে আসে তারা। গেল শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে বিরাজমান সমস্যার নিষ্পত্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন স্বজনরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারী শ্রমিক নিহত
এর জেরে শনিবার সকালে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী কাঞ্চন এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহনন করে বিলকিস বেগম। সকালে তার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার দ্বিতীয় স্বামী আলমকে আটক করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: আত্মহত্যা চেষ্টাকারী নারীকে উদ্ধার করল পুলিশ
দুই কন্যাশিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
গাজীপুরে দুই কন্যাশিশুকে হত্যা করে এক মা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় মহানগরের মোক্তার টেক এলাকায় একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলো- তাসফিয়া জাহান তাবিহা (৪) ও তাসনিম জাহান বুশরা (৯ মাস)। তারা ওই এলাকার শামসুল হকের বাড়ির ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেনের কন্যা সন্তান। বিল্লাল হোসেনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বিল্লাল হোসেন সন্তানদের জন্য নাস্তা কিনতে বাসার নিচে যান। কিছুক্ষণ পর মুড়ি, কলা এবং কেক নিয়ে বাসায় উঠে দেখতে পান শ্বাসরোধ করে দুই কন্যাসন্তানকে হত্যার পর তার স্ত্রী লিজা আক্তার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছেন। তখন বিল্লাল হোসেনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে লিজাকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠায়।
বিল্লাল হোসেন জানান, তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২৩) কয়েক মাস ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসান জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্ত করাতে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর তাদের মা লিজা আক্তার পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক মা
সাতক্ষীরার ২ শিশু সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
প্রেমিকাকে দায়ী করে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা!
মৃত্যুর জন্য প্রেমিকা ও প্রেমিকার মাকে দায়ী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এক কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
নিহত নাঈম হোসেন (২২) উপজেলার রূদ্রপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় লক্ষীকোলা বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগিশ সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আত্মহত্যার কিছুক্ষণ আগে তার মৃত্যুর জন্য প্রেমিকা অনন্যা ও প্রেমিকার মাকে দায়ী করে ফেসবুকে প্রেমিকার ছবিসহ একটি পোস্ট শেয়ার করে নাঈম।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নাঈম খাবার খেয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। এরপর শুক্রবার সকালে বাড়ির লোকজন তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও জানান, একই গ্রামের অনন্যা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও কয়েক মাস আগে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসটি নাঈম নাকি অন্য কেউ দিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ঘটনার প্রকৃত রহস্যও তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করা হবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।
এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রুমমেটের ফেসবুক পোস্টে মানসিক চাপে কুবি ছাত্রীর আত্মহত্যাচেষ্টা
পাঁচ তারকা হোটেলে খেতে গিয়ে ২০তলা থেকে লাফ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
‘ব্যক্তিগত হতাশা’: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
যৌন হয়রানির অপমান সইতে না পেরে জয়পুরহাটে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
জয়পুরহাটে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বাঘাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবারের দাবি, নিহত শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।
কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বাঘাপাড়া গ্রামের মামনুল ইসলামের ছেলে রফিকুল দীর্ঘদিন থেকে ওই শিক্ষার্থীকে বিরক্ত করে আসছিল।গত ৭ নভেম্বর বড়তারা হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সাথে নিহত শিক্ষার্থী ও উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেল ৫টার দিকে সে বাড়ি ফেরার সময় শাহিনুর নামে একজন তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে ভিন্ন পথ ঘুরিয়ে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে নামিয়ে দেয়। ওই সময় রফিকুল এসে ওই কিশোরীকে যৌন হয়রানি করলে সে কাঁন্নাকাটি শুরু করে। তার কান্না শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে রফিকুল পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পাঁচ তারকা হোটেলে খেতে গিয়ে ২০তলা থেকে লাফ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
এ ঘটনার পরদিন (৮নভেম্বর) রফিকুল ও শাহিনুরকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় যৌন হয়রানির মামলা হলেও এখন পর্যন্ত আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, আসামিরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় উল্টো তারাই হুমকি দিচ্ছিলো। ওই ঘটনার পর থেকে মেয়েটি স্বাভাবিক হতে পারেনি বলে লোকলজ্জায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, পূর্বের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ আত্মহত্যার ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে কিশোরীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিষয়টি প্রমানিত হলে ওই ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা হবে।
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত হতাশা’: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
বিয়ানীবাজারে নার্সের রহস্যজনক মৃত্যু: স্বামী কারাগারে
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স নবনীতা দাসের (২৮)‘আত্মহত্যা’ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। নবনীতার স্বামীর দাবি তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন, অন্যদিকে তার বাবার দাবি তার মেয়েকে স্বামী সৌমেন দাশ (২৯) হত্যা করেছে।
নবনীতার বাবার করা আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় শনিবার নবনীতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নবনীতা সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সাউদেরশ্রী গ্রামের সুব্রত কুমার দাশের মেয়ে।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর নবনীতার স্বামী সৌমেন দাশ পুলিশকে জানান, তিনি অনার্সে পড়ছেন, এখনও তার কোনও চাকরি হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই মনোমালিন্য হত। নবনীতা এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার আত্মহত্যার দিনই তিনি এ কথা জানতে পারেন।
তার স্বামী আরও জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তারা যে ভাড়া বাসায় থাকেন, তারই একটি ঘরে তিনি নবনীতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি নবনীতাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, নিহতের স্বামীর দাবি,নবনীতা আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে, নবনীতার বাবা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা দায়ের করেছেন। আমাদের তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নবনীতার সহকর্মীরা জানান, নবনীতা আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে হত্যা করেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত চান তারা।
অন্যদিকে, সৌমেনের পরিবারের বলছে তাদের ছেলের বৌ অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় তার ছেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে থেকেই নবনীতা চাকরি সূত্রে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন নয়াগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রায় চার মাস আগে প্রেম করে একই গ্রামের সৌমেন দাশকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর সৌমেনের পরিবার তাদের মেনে নিলেও নবনীতার পরিবার এই বিয়ে মেনে নেয়নি। বিয়ের পর থেকে তারা নয়াগ্রামেই থাকতেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
‘ব্যক্তিগত হতাশা’: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী রবিবার রাতে ঝিনাইদহের নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত চঞ্চল চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার মাধবপুর গ্রামে। সোমবার ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'চঞ্চল চক্রবর্তী তার নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।'
আরও পড়ুন: ক্যান্সারে মারা গেলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীএদিকে ব্যক্তিগত হতাশার কারণেই চঞ্চল আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় তার বাবা শিবপ্রদীপ কুমার চক্রবর্তী।তিনি বলেন, 'রবিবার রাত ১২টায় খেলা দেখে চঞ্চল ক্লাস নাইনে পড়ুয়া তার ছোটভাই চয়নকে নিয়ে ঘুমাতে যায়। সকাল ৭ টায় চয়ন উঠে দেখে গলায় গামছাবাঁধা অবস্থায় ঝুলে আছে চঞ্চল।'বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আজহারুল আরাফাত বলেন, 'রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন চঞ্চল। যতটুকু জেনেছি তার বন্ধু-বান্ধব পাশ করে বের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী হলেও ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের সাথে অধয়নরত ছিলেন তিনি। তার পড়াশোনা এখনও চলমান রয়েছে। তাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন চঞ্চল।'
আরও পড়ুন: ওরা আর কখনো শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ফিরবে নাবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবীর বলেন, 'ঘটনা জেনেছি। খুবই দুঃখজনক। চঞ্চলের এমন সিদ্ধান্তে আমরা শোকাহত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের প্রতি এমন ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।'