জয়পুরহাটে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বাঘাপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবারের দাবি, নিহত শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।
কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বাঘাপাড়া গ্রামের মামনুল ইসলামের ছেলে রফিকুল দীর্ঘদিন থেকে ওই শিক্ষার্থীকে বিরক্ত করে আসছিল।গত ৭ নভেম্বর বড়তারা হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সাথে নিহত শিক্ষার্থী ও উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেল ৫টার দিকে সে বাড়ি ফেরার সময় শাহিনুর নামে একজন তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে ভিন্ন পথ ঘুরিয়ে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে নামিয়ে দেয়। ওই সময় রফিকুল এসে ওই কিশোরীকে যৌন হয়রানি করলে সে কাঁন্নাকাটি শুরু করে। তার কান্না শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে রফিকুল পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পাঁচ তারকা হোটেলে খেতে গিয়ে ২০তলা থেকে লাফ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
এ ঘটনার পরদিন (৮নভেম্বর) রফিকুল ও শাহিনুরকে আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় যৌন হয়রানির মামলা হলেও এখন পর্যন্ত আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, আসামিরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় উল্টো তারাই হুমকি দিচ্ছিলো। ওই ঘটনার পর থেকে মেয়েটি স্বাভাবিক হতে পারেনি বলে লোকলজ্জায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, পূর্বের ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ আত্মহত্যার ঘটনাটি বিশেষ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে কিশোরীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার বিষয়টি প্রমানিত হলে ওই ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা হবে।
আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত হতাশা’: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা