হাইকোর্ট
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৬ সালের পাস করা এসএসসি শিক্ষার্থীদের বাদ দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
২০১৬ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ আবির হাসানসহ ১২ জন শিক্ষার্থীর করা এক রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডিএজি ও এএজি নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নের রুল শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট
শিক্ষা সচিব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ ২৪ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম সোহেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মসনদসহ নথিপত্র হাইকোর্টে তলব
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় চলতি বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
প্রথমে ৩ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, ২০১৬ হতে ২০১৮ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০১৯ ও ২০২০ সালের এইচএসসি/সমমান ডিপ্লোমা-ইন কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ভোকেশনাল, এ লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে। পরবর্তীতে গত ৩১ মার্চ পৃথক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এবারের বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৬ সাল বাদ দিয়ে ২০১৭ সাল উল্লেখ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালে এসএসসি পাস করা আবির হাসানসহ ১২ জন শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে তা হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ত্রিশাল ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর)।
৪ শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা: ওসিসহ ৭ পুলিশ বরখাস্তের রায় স্থগিত
বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানায় চার শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের এবং অভিযুক্তদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল কালামসহ ৭ পুলিশ সদস্য ও সমাজসেবা অফিসারকে বরখাস্তের আদেশসহ গত ১৩ জুন দেয়া হাইকোর্টের পুরো রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
একই সাথে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (২০ জুন) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে পুলিশের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট জামিউল হক ও ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী।
আরও পড়ুন: ডিএজি ও এএজি নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নের রুল শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট
গত ১৩ জুন বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানায় চার শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ও শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরণের ঘটনায় মামলা বাতিল এবং বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল কালামসহ ৭ পুলিশ সদস্য ও সমাজসেবা অফিসারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সাথে শিশুদের যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ প্রদানকারী বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনায়েত উল্লাহর ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করে তাকে দেওয়ানি মামলার দায়িত্ব দিতে বলা হয়। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন।
পরে ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ওপর আজ (২০ জুন) শুনানি নিয়ে আগের পুরো রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেন চেম্বার আদালত।
১৩ জুনের হাইকোর্টের রায় নিয়ে ব্যারিস্টার হালিম জানিয়েছিলেন, চার শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ও জেলে প্রেরণের ঘটনায় হাইকোর্ট ৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. চার শিশুকে গ্রেপ্তার ও থানা হেফাজতে আটক রাখাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
২. চার শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা বাতিল ঘোষণা করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
৩. বাকেরগঞ্জ থানার ওই সময়ের ওসিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা।
৪. সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা।
৫. চার শিশুকে আটক করে প্রিজনভ্যানে করে আনা চার পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করতে বলা হয়েছে।
৬. বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনায়েত উল্লাহর ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করে তাকে দেওয়ানি মামলার দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে।
৭. শিশু আইন অনুযায়ী পুলিশের দায়িত্ব কর্তব্য গাইডলাইন আকারে প্রকাশ করে প্রত্যেক থানায় সার্কুলেট করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মসনদসহ নথিপত্র হাইকোর্টে তলব
জানা যায়, ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে চার শিশুকে আসামি করে গত বছরের ৬ অক্টোবর মামলা করা হয়। ওইদিনই চার শিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৭ অক্টোবর তাদের যশোর পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনায়েত উল্লাহ। এ নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়।
এই সংবাদ বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে এলে তারা ৮ অক্টোবর রাতে ভার্চুয়ালি আদালত বসান। সেই আদালতে ওই ৪ শিশুর জামিনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বরিশাল আদালতকে নির্দেশ দিয়ে রাতেই শিশুদের এসি মাইক্রোবাসে করে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই আদেশ অবহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশালের বিচারক চার শিশুকে জামিন দেন। এরপর ১১ অক্টোবর চার শিশুর বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলা স্থগিত করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। পাশাপাশি এ বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত। পরে গত ১৩ জুন ওই মামলা বাতিল করে সাত দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
আবুধাবি বিমানবন্দরে হয়রানি: মেয়েসহ অ্যাডভোকেট যুথীকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
১০ বছর আগে আবুধাবি বিমানবন্দরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী ও তার মেয়ে তানজিন বৃষ্টিকে হয়রানি করায় দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে ইত্তেহাদ এয়ার লাইন্স কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ সম্বলিত হাইকোর্টের পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরের মাস থেকে সমান ২০টি মাসিক কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজারে ৩ ফসলি জমি ভরাট, বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ
কক্সবাজার সদরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর মুহুরিপাড়ার তিন ফসলি প্রায় ৬০ একর উর্বর জমি অবৈধভাবে দখল ও ভরাটের অভিযোগের বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬০ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ভরাট কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মুজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
রুলে মুহুরিপাড়ায় জমি অবৈধ দখলকারীদের প্রতিরোধে সরকারের বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, অবৈধ দখলকারীদের থেকে উদ্ধার করে জমির মালিকদের ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং অবৈধ দখলকারীদের থেকে উদ্ধার করে জমির মালিকদের ফিরিয়ে দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ভূমিসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কক্সবাজার সদরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর থানার ওসি, কক্সবাজার পরিবেশ অফিসের সহকারী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. সৈয়দা নাসরিন, সঙ্গে ছিলেন মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ডিএজি ও এএজি নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নের রুল শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট
চলতি বছরের ১৪ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে ‘কক্সবাজার অবৈধভাবে ভরাট হচ্ছে ৬০ একর ফসলি জমি, জমির মালিকরা অসহায়, প্রশাসন নীরব’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করে আসক।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজার সদরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর মুহুরিপাড়ার তিন ফসলি প্রায় ৬০ একর উর্বর জমি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। দুই কিলোমিটার দূরত্বে গড়ে ওঠা রেলস্টেশনকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যিক চিন্তায় আবাসন প্রকল্প গড়তেই আইন উপেক্ষা করে রাত-দিনে এসব জমি ভরাট করছে ভূমিদস্যু চক্র। শতাধিক কৃষক পরিবারের ‘অন্ধের যষ্টি’ তিন ফসলি জমি ভরাট থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন দিয়েও কোন সুরাহা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। অথচ ‘কৃষি জমি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার’ আইনে ফসলি জমি ভরাট করে কোনো স্থাপনা বা আবাসন প্রকল্প বা শিল্পকারখানা গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই। কক্সবাজার কৃষি বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন মাটি ভরাট রদে উপযুক্ত আইন পাচ্ছে না বলে দাবি করলেও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জনিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মসনদসহ নথিপত্র হাইকোর্টে তলব
কক্সবাজার সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রমতে, মধ্য ঝিলংজা ব্লকের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী প্রায় ৬০ একর জমি পলি দোআঁশ বেষ্টিত অতি উর্বর ভূমি। এসব জমিতে আমন ও বোরোর মৌসুমে প্রায় ১০ হাজার মণ ধান উৎপাধন হতো এসব ধানের বিক্রি মূল্য দাঁড়াত প্রায় ১ কোটি টাকা। পাশাপাশি আমন মৌসুমে ধানের পাশাপাশি শাকসবজি চাষ হতো।
ডিএজি ও এএজি নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নের রুল শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট
২০১৯ সালের জুলাইতে নিয়োগ পাওয়া দু’জন ডিএজি ও এএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) পদে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট মামলার শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ডিএজি ও এএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল)
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন।
আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া শুনানিতে ছিলেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং এক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মসনদসহ নথিপত্র হাইকোর্টে তলব
আইন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর, বার কাউন্সিল সচিব ও সংশ্লিষ্ট তিন ডিএজি ও এএজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়া আরও ছয় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের বিষয়ে যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বার কাউন্সিল সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ওই রুলের জবাব দাখিল না করায় এবং বার কাউন্সিল থেকে কোনো পদক্ষেপ না পেয়ে রুল শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়।
আজ মামলাটি উক্ত বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে। শুনানি করার সময় বলা হয়, একজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করছেন। এরপর আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে ড্রপ আউট করে দেন।
তিনি আরও বলেন, এখন নিয়ম অনুসারে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি এ মামলা শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
২০১৯ সালের ৭ জুলাই ১০৫ জন আইনজীবীকে এএজি ও ২১ জুলাই ৭০ জন আইনজীবীকে ডিএজি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া।
রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার-১৯৭২ এর ৩(৩) নম্বর আর্টিকেল-এর সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন। এ আর্টিকেল অনুযায়ী এএজি নিয়োগ পেতে হলে সুপ্রিম কোর্টে ৫ বছর আইনজীবী হিসেবে পেশায় থাকতে হবে। কিন্তু নিয়োগে আইনের এ শর্ত মানা হয়নি।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
ওই সময় ফরহাদ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, আইন অনুযায়ী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে হলে সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ৬৭ বছর। কিন্তু এ দু’জন যখন নিয়োগ পান তাদের সময় তখন ৬৭ বছরের বেশি ছিল। এছাড়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হতে হলে আইন পেশায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়, কিন্তু নিয়োগের সময় আল মামুনের অভিজ্ঞতা ছিল চার বছর দুই মাস। এ কারণে তিন আইন কর্মকর্তার ব্যাপারে রুল দেন হাইকোর্ট।
মামলার ২৭ বছর পর আপিলে খালাস পেলেন ১৬ আসামি
সাতাশ বছর আগে নওগাঁর বদলগাছীর কেশাইল গ্রামের হাশেম রেজা ওরফে টগর চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৬ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তাদের মধ্যে যারা কারাবন্দি আছেন তাদের মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিল মঞ্জুর করে এ রায় দেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আশরাফুল, আবুল কাশেম, আকবর আলী, তসলিম উদ্দিন, ইয়াকুব আলী, নুরুল আলম খোকন, নুরুল হুদা, নুরুজ্জামান, পিন্টু ওরফে পিটু, মঞ্জু, বাচ্চু, মোয়াজ্জেম, আয়নাল হক, লাজাব, এনামুল ও খাজামুদ্দিন। এদের মধ্যে নুরুল আলম খোকন, নুরুল হুদা, নুরুজ্জামান, আবুল কাশেম ও ইয়াকুব আলী এরইমধ্যে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
রায়ের পর অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ জানান, এই মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ১৬ জন আপিল বিভাগে আপিল করেছিল। আপিল বিভাগ এদের সকলকেই খালাস দিয়েছেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ জানান, ১৬ জনের আপিলের ওপর বিচার হয়েছে। আদালত তাদের আপিল মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বদলগাছীর কেশাইলের শ্যামহার দিঘীতে মাছের পোনা ছাড়া ও দিঘীর পাড়ে কলা গাছ লাগানো নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩ জুন টগর চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ভাই আবুল হাসনাত চৌধুরী বদলগাছী থানায় মামলা করেন। বিচার শেষে নওগাঁ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ২০০৫ সালের ১০ জুলাই এক রায়ে ডা. নুরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে নুরুল ইসলামসহ ১৮ আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট নুরুলের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন। অপর ১৭ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নিয়ে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ কারাগার থেকে মুক্তি পান ডা. নুরুল ইসলাম। যদিও তিনি গত ১৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। বাকি ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জন আপিল বিভাগে আপিল করেন। আপিলকারী সকলকেই খালাস দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
ঢাবির অধ্যাপক মোর্শেদ হাসানকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
পত্রিকায় কলাম লেখার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসাথে তাকে চাকরিতে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ওই অধ্যাপকের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়।
পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অপসারণ করে গত বছরের ৬ অক্টোবর চিঠি দেন। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যান্সেললের কাছে ১১ অক্টোবর আপিল করা হয়। কিন্তু আপিল দায়ের করার সাত মাস পরও কোনো ফল না পেয়ে অবশেষে তিনি রিট করেছেন। ওই রিটের শুনানি শেষে উচ্চ আদালত গত ৬ অক্টোবর অপসারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে এবং কেন তাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় তার লেখা ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে এক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ওই নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর অবমাননা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগ তোলে ছাত্রলীগ। এরপর একই বছরের ২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়ে উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
পরে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়। সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে গত বছরের ৬ অক্টোবর জানায়। পরে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১১ অক্টোবর আপিল করেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান। কিন্তু আপিলের রেজাল্ট না পেয়ে রিট করেন।
ডিআইজি মিজানের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের করা পৃথক দুই মামলায় কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার তার পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আারও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মিজানুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদক অবৈধভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপন করার অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকেও আসামি করা হয়।
এ মামলায় মিজানের জামিন আবেদন ২০১৯ সালের পহেলা জুলাই হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন পর আবার জামিনের আবেদন করা হয়েছে।
এ মামলায় দুদকের আবেদনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ডিআইজি মিজানসহ আসামিদের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দেন। এছাড়া ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করে দুদক।
এছাড়া ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান থাকাবস্থায় অপর এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতন এবং অপর এক নারী সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এসব অভিযোগের পর তাঁকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
পাপুলের এমপি পদ বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের ওপর আদেশ মঙ্গলবার
অর্থ ও মানব পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শুন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনের শুনানি হয়। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী জানান, পাপুলের আসন শুন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে রিট করেন। এ রিটের ওপর সোমবার শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন।
জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কুয়েতের একটি আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় পাপুলকে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন তিনি।
আরও পড়ুন: এমপি পাপুলের সাজা: রায়ের কপি পেয়েছে সরকার
এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে আসন শুন্য ঘোষণা করা হয়। সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম কুয়েতের ফৌজদারি আদলতে গত ২৮ জানুয়ারি তারিখে ৪ চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। সে কারণে সংবিধানের ৭(১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ থেকে তার আসন (২৫লক্ষ্মীপুর-২) শূন্য হয়েছে। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮(৪) বিধি অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের আসন শূন্য সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো। এরপর আগামী ২১ জুন সেখানে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় তার স্ত্রী হাইকোর্টে রিট করেন।
৪৯ ‘গায়েবী’ মামলার বাদীকে খুঁজতে হাইকোর্টে রিট
রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দাখিল করা ৪৯টি মামলার বাদীকে খুঁজে বের করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশনা দিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
ওই সব মামলায় একরামুল আহসান কাঞ্চন ৪ বছরের বেশি দিন কারাভোগ করায় ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির এ রিট আবেদন দাখিল করেছেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
রিট আবেদনে একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে করা সব মামলাই গায়েবী ও ভুয়া দাবি করা হয়েছে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, সিআইডি ও এসির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, র্যাব মহাপরিচালক, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহত: আরও ৫ সংগঠনের রিট
রিট আবেদনের বিষয়ে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির জানান, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা করা হয়। কিন্তু একটি মামলারও বাদি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় একরামুল আহসান কাঞ্চন অনেক মামলায় নিম্ন আদালত থেকেই খালাস পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
সব মিলে ওইসব মামলায় ১ হাজার ৪৬৫ দিন কারাভোগ করেছেন একরামুল আহসান কাঞ্চন। এভাবে গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানি করায় তার মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে। এ কারণে একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে যারা মামলা করেছেন সেসব বাদীকে খুঁজে বের করা এবং একরামুল আহসান কাঞ্চনকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।