অর্থ ও মানব পাচারের দায়ে কুয়েতের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি পদ বাতিল ও আসন শুন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনের শুনানি হয়। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী জানান, পাপুলের আসন শুন্য ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে রিট করেন। এ রিটের ওপর সোমবার শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার আদালত আদেশের জন্য রেখেছেন।
জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কুয়েতের একটি আদালত। পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল বা ৫৩ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় পাপুলকে। আটকের সাড়ে সাত মাস আর বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সাড়ে তিন মাসের মাথায় দণ্ডিত হন তিনি।
আরও পড়ুন: এমপি পাপুলের সাজা: রায়ের কপি পেয়েছে সরকার
এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে আসন শুন্য ঘোষণা করা হয়। সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম কুয়েতের ফৌজদারি আদলতে গত ২৮ জানুয়ারি তারিখে ৪ চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। সে কারণে সংবিধানের ৭(১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ থেকে তার আসন (২৫লক্ষ্মীপুর-২) শূন্য হয়েছে। জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮(৪) বিধি অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের আসন শূন্য সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো। এরপর আগামী ২১ জুন সেখানে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় তার স্ত্রী হাইকোর্টে রিট করেন।