সিলেট
সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার বাদী ও রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী সাক্ষ্য প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার আরও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমেদ চৌধুরী জানান, আজকে বাদীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা প্রস্তুতি নেই মর্মে সময় চেয়েছেন। আদালত তাদেরকে একদিন সময় দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা জেরা করবেন। জেরা শেষ হওয়ার পর আরও দুজন সাক্ষী স্ট্যান্ডবাই আছেন, তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিচার শুরু
তারা হলেন, রায়হানের মা সালমা বেগম ও তার চাচা।
এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রায়হান হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পিটিশন দিয়েছেন। তারা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে আদালতে আবেদন জানান।
এ প্রসঙ্গে পিপি নওশাদ চৌধুরী বলেন, ‘আসামিপক্ষ যে হাইকোর্টে গিয়েছেন, সেটার ওপর দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। আমি বলেছি, এই মুহূর্তে এটা স্থগিত রাখার কোনো আইন নাই। হাইকোর্ট থেকে তারা যদি স্টে অর্ডার আনতেন, তাহলে আমরা সবাই মানতে বাধ্য। এটাতে তো আমরা অহেতুল বিলম্ব করতে পারি না। যদি হাইকোর্ট কোনো আদেশ দেন, উনারা (আসামিপক্ষ) কিছু যদি নিয়ে আসেন, তাহলে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ রাখা হবে। মূলত এরপর আজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।’
তিনি জানান, এই মামলায় ৬৯ জন সাক্ষী রয়েছেন।
এদিকে, রায়হান হত্যা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ‘স্টেট ডিফেন্স’ করবে বলে জানিয়েছেন পিপি নওশাদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বুধবার দুপুরে রায়হান হত্যা মামলার আসামি বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছে
সিলেটে কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ২
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা থেকে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
তারা হলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের মৃত ইরফান আলী ছেলে আব্দুল আলী (৪০), পার্শ্ববর্তী ছবদলপুর গ্রামের মৃত আফতাব আলীর ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৩২)।
মঙ্গলবার (১০ মে) র্যাব-৯ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান মিডিয়া ইউংয়ের সহকারী পরিচালক সোমেন মজুমদার।
এতে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে অজ্ঞাত স্থানে ১০ দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন অপহরণকারীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এমএমপির মোগলাবাজার থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ ও র্যারের একটি দল।
ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গত ৮ মে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর বাজার সংলগ্ন জিতু মিয়ার কলোনির একটি বাসা থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ওই তরুণী র্যাবকে জানিয়েছেন, তার মুখে গামছা বেঁধে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে আটক দুজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪ থেকে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামিসহ দুজনকে আটকের পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ, থানায় মামলা
লাইনে সংস্কারের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লাইনম্যানের মৃত্যু
সিলেট শহরতলীর খাদিমপাড়ায় বিদ্যুতের লাইনে সংস্কার কাজের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে খাদিমপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়ার ৪ নম্বর রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত সুজন (৪০) মেসার্স আবুল কালাম মন্ডল প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ লাইনের সংস্কার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফছর আহমদ জানান, ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনে মেরামত কাজ করতে গিয়ে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্র নিহত
পিডিবি ডিভিশন-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অনিক সরকার জানান, শাটডাউন ছাড়াই ওই ব্যক্তি লাইন সংস্কারের কাজে নামেন। যে কারণে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
কৈলাশটিলায় নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু
সোমবার থেকে সিলেটের কৈলাশটিলা ক্ষেত্র থেকে নতুন উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ইউএনবিকে বলেন, ‘সোমবার থেকে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে আসতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, একটি স্থায়ী ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে মঙ্গলবার থেকে নিয়মিতভাবে জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।’
পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল) ২ মে কৈলাশটিলা ফিল্ডের একটি পরিত্যক্ত কূপ থেকে এই নতুন গ্যাস আবিষ্কার করে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছে, কূপটি নিয়মিতভাবে প্রতিদিন প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত ২ মে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নতুন গ্যাস আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।
মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, ১০ মে থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৭-১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, আশা করা হচ্ছে গ্যাসক্ষেত্রের বর্তমান জোনটি থেকে পরবর্তী কয়েক বছর ধরে উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্র: ১০ মে থেকে আসবে ১৭-১৯ এমএমসিএফডি গ্যাস
এতে আরও বলা হয়, কৈলাশটিলা ক্ষেত্রে অবশিষ্ট পুনরুদ্ধারযোগ্য গ্যাসের মজুদ ৭৫৮ বিলিয়ন ঘনফুট, যা ধীরে ধীরে বিভিন্ন কূপের মাধ্যমে উৎপাদন করা যেতে পারে।
কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রে এ পর্যন্ত সাতটি কূপ খনন করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি এখন প্রায় ২৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছে।
জ্বালানি শিল্পের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা বলেছেন, নতুন তবে ছোট এই জোনটি আবিষ্কার সরকারকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। কারণ দেশে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট এরও বেশি গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে।
মোট তিন হাজার ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে দেশে মোট গ্যাস সরবরাহ দুই হাজার ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট।
এর মধ্যে দেশের ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র দুই হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে এবং বাকি ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দ্বারা পূরণ করা হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেনের সাম্প্রতিক যুদ্ধ বিশ্ব আমদানি বাজারকে অস্থির করে তুলেছে এবং গ্যাসের দাম প্রতি এমএমবিটিইউ প্রতি ১০ থেকে ৩৭ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ফলে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে বলে গ্যাস শিল্প সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু
শিল্প কারখানায় ৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব -১৭) ২০২২ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব - ১৭) ২০২২ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ রাসেল। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমদ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরের ব্যাপারে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জাফলংয়ে প্রবেশ ফি: ৭ মাসে আয় ৪০ লাখ টাকা
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন জাফলংয়ের জনপ্রিয় ও প্রাকৃতিক নৈসর্গিক পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ ফি থেকে গত সাত মাসে ৪০ লাখ টাকা আয় করেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে জাফলংয়ে প্রবেশে চালু করা হয় ফি। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে জনপ্রতি এখন ১০ টাকা ফি দিয়ে টিকিটের মাধ্যমে পর্যটকদের প্রবেশ করতে হয় জাফলংয়ে।
এদিকে, ফি চালুর পর থেকে অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। জাফলংয়ের টিকিট কাউন্টারে বৃহস্পতিবার (৫ মে) পর্যটকদের মারধরের ঘটনার পর আবারও টিকিটের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
আগে পর্যটকরা জাফলং জিরো পয়েন্টে যেতেন বল্লাঘাট এলাকা দিয়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন গুচ্ছগ্রাম এলাকা দিয়ে পর্যটক প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকদের ওঠানামার সুবিধার জন্য বানানো হয়েছে সিঁড়ি। আর গুচ্ছগ্রামে বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই বসানো হয়েছে টিকিট কাউন্টার।
প্রবেশ ফি চালুর বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘গত বছর জেলা পর্যটন কমিটির সভায় ফি চালুর সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। এটি কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। চুক্তিভিত্তিক কিছু কর্মীর মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ফি আদায় করে।’
তিনি বলেন, ‘জাফলং পরিষ্কার রাখাসহ পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য কিছু অস্থায়ী কর্মী রাখা হয়েছে। এই টাকায় ঘণ্টাপ্রতি ৫০ টাকা হিসাবে তাদের বেতন দেয়া হয়। কর্মীর সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। সর্বনিম্ন পাঁচ-ছয়জন থেকে সর্বোচ্চ ৩০ জন কাজ করেন।’
পর্যটকদের ওপর হামলাকারীদের সম্পর্কে তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক বলা হলেও আসলে তারা স্বেচ্ছাসেবক নন। সম্মানির বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। অন্যদের থেকে তাদের আলাদা করার জন্য অ্যাপ্রোন দেয়া হয়েছে।’
পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘১০ টাকার বিনিময়ে আমরা পর্যটকদের কয়েকটি সেবা দেই। পর্যটন এলাকায় ড্রেস চেঞ্জ করার রুম ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যটকরা এগুলো বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবস্থা। এ ছাড়া প্রবেশ ফি দিয়ে পর্যটন এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখারও কাজ করা হয়। টিকিট দেখালে পর্যটকরা সহজে ও নির্ধারিত দামে ফটোগ্রাফার, ট্যুর গাইড ও নৌকার মাঝি পান।’
জমা হওয়া টাকার বিষয়ে ইউএনও বলেন, ‘টিকিট ফি থেকে প্রতিদিন সমান টাকা ওঠে না। একেক দিন একেক রকম হয়। আমি দিনে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা আদায় হতে দেখেছি। উপজেলা পর্যটন কমিটি নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। এই অ্যাকাউন্টে প্রবেশ ফি জমা হয়। ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন। এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ টাকা জমা হয়েছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার গোয়াইনঘাট প্রশাসনের নিয়োগকৃত স্বেচ্ছাসেবকরা জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে নারী ও শিশুসহ একদল পর্যটককে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুপুর ২টার দিকে টিকিট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টারে নিযুক্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক।
পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৫
প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও জাফলং সাব জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক ঘটনাস্থলে যান। পরে হামলাকারী পাঁচ স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তার করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। হামলার ঘটনায় আহত সুমন নামের এক পর্যটক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখা চন্দ্রের ছেলে লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১), ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম আহমেদ (২১), নয়াবস্তি এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন ও ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন। তাদেরকে শুক্রবার দুপুরে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার (৬ মে) সকাল থেকে আগামী সাত দিন পর্যটকদের কাছ থেকে কোনো ধরনের টিকিট বাবদ টাকা আদায় করা হবে না। জাফলং সবার জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও (ইউএনও) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পর্যটকদের জন্য আগামী সাত দিন জাফলং উন্মুক্ত থাকবে।
পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের ওপর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলা, আহত ৬
জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ৫
সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুই স্বেচ্ছাসেবকসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, গোয়াইঘাটের পন্নগ্রামের মৃত রাখা চন্দ্রের পুত্র লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস, ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সেলিম আহমেদ, নয়াবস্তি এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে সোহেল রানা, পশ্চিম কালীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে নাজিম উদ্দিন, ইসলামপুর রাধানগর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীনের ছেলে জয়নাল আবেদীন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তাহমিলুর রহমান জানান, মূল হামলাকারী দুই স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ে পর্যটকের ওপর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলা, আহত ৬
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা প্রশাসনের টোল কাউন্টারে নিযুক্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং টোল কাউন্টারে নিযুক্ত থাকা দুই স্বেচ্ছাসেবককে সাথে সাথে বরখাস্ত করা হয়। একইসাথে তাদের আটক করে থানায় নেয়া হয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, 'পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।'
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতোমধ্যেই তিন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
জাফলংয়ে পর্যটকের ওপর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলা, আহত ৬
সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালিয়েছে টোল কাউন্টারের স্বেচ্ছাসেবীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে লাঠি নিয়ে শিশু, নারী ও পুরুষসহ ছয় পর্যটকের ওপর হামলা চালায় তারা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে একটি পরিবার জাফলংয়ে বেড়াতে যান। টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সঙ্গে কাউন্টারের লোকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে শিশু, নারী ও পুরুষসহ কমপক্ষে ছয় পর্যটকের ওপর হামলা চালায় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, 'পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের ওপর হামলা চালায়।'
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতোমধ্যেই তিন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা হামলাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের চিহ্নিত করেছি, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে'।
আরও পড়ুন: জাফলংয়ের ডাউকি নদী থেকে ভারতীয় নাগরিকের লাশ উদ্ধার
ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে আনন্দ ভাগাভাগি করতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। ঈদের পরদিন বুধবার সকাল দেশের অন্যতম এ পর্যটন কেন্দ্র জনস্রোতে মুখর হয়ে উঠে।
পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদুল ফিতরের আনন্দ কাটাতে জাফলংয়ে ভিড় করেছেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো জাফলং যেন লোকে লোকারণ্য। পিকআপ, প্রাইভেট কার, বাস ও ট্রাকযোগে যে যেভাবে পেরেছে পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছেছে। পুরো এলাকা ছিল পর্যটকবাহী যানবাহনের সারি। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের গুচ্ছগ্রাম থেকে তামাবিল পর্যন্ত দীর্ঘকায় যানযট ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে প্রচণ্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটকরা।
অপরদিকে পর্যটক স্বেচ্ছাসেবক ও জাফলংয়ে নিযুক্ত টুরিস্ট পুলিশদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যটন স্পটের গুরুত্বপূর্ণ সবকটি পয়েন্টে সার্বক্ষনিক পর্যটক নিরাপত্তায় থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এমরুল, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমানের সমন্বয়ে একাধিক টিমের টহল চোখে পড়ে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বেডে ঈদ
পর্যটন পুলিশের ইন্সপেক্টর রতন শেখকে সাঁতার না জানা পর্যটকের উদ্দেশে হ্যাণ্ড মাইকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়।
এমনকি লাইফ জ্যাকেট জরুরি উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন।
পর্যটক দম্পতি সোহেল মাহমুদ ও তামান্না ইসলাম বলেন, সারা দেশ এমনকি বহিঃবিশ্বেও জাফলং পর্যটন কেন্দ্রের আলাদা পরিচিতি রয়েছে। খুব ভালো এখানকার পরিবেশ প্রকৃতি। পাহাড় টিলা সবুজের সমারোহ, স্বচ্ছ জলারাশি, দিগন্ত জুড়ে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলী হৃদয়ে বাড়তি আনন্দের খোরাক জোগায়।
সিলেটে হকার্স মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে
সিলেট সিলেট নগরীর লালদীঘিরপার এলাকার হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সোমাবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সিলেট ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মামুন পারভেজ বলেন, রবিবার রাত সোয়া ৩টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
আরও পড়ুন: স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ সাদিয়ার মৃত্যু
তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
মার্কেটের সেক্রেটারি আব্দুস ছুবহান জানান, মার্কেটের ৫নং গলির বিসমিল্লাহ স্টোর নামের রেডিমেইড কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর পরই অন্যান্য দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে একটি সিগারেটের গুদামসহ মার্কেটের ৩, ৪ ও ৫ নং গলিতে ২০টি কাপড়ের দোকান পুড়ে গেছে। অনেকের দোকানের মালামাল লুটপাটও হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিজয়নগরে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন
প্রসঙ্গত, টিন দিয়ে নির্মিত মার্কেটটিতে অন্তত তিন হাজারেরও বেশি দোকান রয়েছে। মার্কেটের ৯০ ভাগই শাড়ি-লুঙ্গি ও রেডিমেইড কাপড়ের দোকান। এসব দোকানে পাইকারি ও খুচরা কাপড় বিক্রি হয়।