কারাদণ্ড
কোকেন উদ্ধার: পেরুর নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার ওয়েস্টার্ন হোটেল থেকে তিন কেজি কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ান পাবলোররাফেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার আরেক আসামি মোহাম্মদ মোস্তফা আশরাফ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন- মো. মোস্তফা, শামসুল হক, হালিমা খান সাদিয়া, সাবরিনা নাসরিন তানিয়া ও মো. আশরাফ নাসিম।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার সাজার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ জুন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ওয়েস্টার্ন হোটেলের সপ্তম তলায় ৭০৭ নম্বর রুমে তল্লাশি চালান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ানের কাছে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর থেকে তিন কেজি কোকেন জব্দ করা হয়।
চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বাদী মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ওবায়দুল করীম ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৫ সালের ১৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালেহ মোহাম্মদকে হত্যার দায়ে ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস আলী এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি হলেন- হাদিউজ্জামান , আরিফুল, আবু নাছের, শাহজাহান আলী, আশরাফ আলী, লাল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আলী, জহির, শাসছুল আলম, সায়েম উদ্দিন, ওবাইদুল, সইম, রহিম, আবু সাঈদ, আবু বক্কর, রানু বেগম ও সাহেরা বেগম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এ মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন পাঁচ আসামি। তারা হলেন- অমিছা বেগম, শহিদুল ইসলাম, বেলছি বেগম, হাফেজা ফকির ও সবদুল ফকির। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এদের মধ্যে দুইজন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৯ সালের ২ মে সকাল ৮টার দিকে সালেহ মোহাম্মদকে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে আসামিরা। স্বজন ও এলাকাবাসী আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পাঁচবিবি থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজিজুল হক। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন।
জয়পুরহাটের জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবিরকে দুই বছর তিন মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশপাশি এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছর তিন মাস কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
এর আগে মামলাটি দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম অফিস।
দণ্ডিত মো. ইফতেখারুল কবির ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম ও আর নিজাম রোড শাখার সাবেক ব্যাংকিং প্রায়োরিটি ম্যানেজার ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
দুদকের আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাদী-বিবাদী পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে আদালত সাজার রায় ঘোষণা করেছে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ও.আর. নিজাম রোড শাখার ফজিলাতুন্নেসার নামে এক গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকার ভুয়া এফডিএ দেখিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল একই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবিরের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে দুদকের দায়ের করা এক বিশেষ মামলায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে দুইজনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ মিরপুর ও ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ অফিসে দালালদের দ্বারা গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুদক এ অভিযান পরিচালনা করে।
সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে এবং সহকারী পরিচালক আল-আমিন, মো. জাকিউল আলম ও মো. মেহেদী মুসা জেবিনের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
গোপন অভিযানের সময় দলটি সাধারণ গ্রাহক সেজে বিআরটিএ কার্যালয়ে দালালদের উপস্থিতি উদঘাটন করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুদক দল একজন দালাল, দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্য এবং বিআরটিএ-র সঙ্গে যুক্ত একজন সিএনএস কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
অধিকতর যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত বিভিন্ন সেবা গ্রহীতার সঙ্গে অনিয়মিত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আটকদের পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র কাছে হাজির করা হলে দালাল ও সিএনএস কর্মীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে জড়িত দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
বিআরটিএ অফিসে অধিকতর গ্রাহকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
পোস্ট অফিসের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কুড়িগ্রামের সহকারী পোস্ট মাস্টারসহ ছয়জনের ৯ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলার রায় দেন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ, হাবিবর রহমান, আব্দুল মালেক, মতিউল ইসলাম, মওদুদ হাসান ও শ্রী অশোক কুমার নাথ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের সহকারী পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর হাবিবুর রহমান, অশোক কুমার নাথ, আব্দুল মালেক, কাউন্টার অপারেটর মতিউল ইসলাম ও মওদুদ হাসান একে অপরের যোগসাজশে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ মে কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিস পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান বাদী হয়ে ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
সেই সঙ্গে জরিমানার পুরো অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।
পলাতক দুই আসামি মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
সরকারের কৌঁসুলি (পিপি) হারুনর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন হলেও সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, মক্কেলরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-৩ আসন: জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
মেহেরপুর-১: ভোটারদের বাধা দেওয়ায় ৪ জনের কারাদণ্ড
ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগে মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের চার সমর্থককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার(৭ জানুয়ারি) ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এই কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ১০ জনের কারাদণ্ড
সদর উপজেলার বড়দী ইউনিয়নের কালাইডাঙ্গা ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের প্রবেশে বাধা দেওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নৌকা প্রার্থীর তিন সমর্থককে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এছাড়া মুজিবনগর উপজেলার কাঁঠালপোতা কেন্দ্রের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক নৌকা সমর্থককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-৩ আসন: জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মান্নান ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী: ভোট দেওয়ার পর সাকিব
সিরাজগঞ্জে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার বাসুদেবকোল শ্রীরামের পাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) এই কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বাসুদেবকোল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আছের আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন সরকার ও একই গ্রামের নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মোবারক হোসেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে দণ্ডপ্রাপ্তরা ভোটারদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জাল ভোট: ৪ জনের ৬ মাসের কারাদণ্ড
নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের সন্দেহ হওয়ায় দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা জাল ভোট দিতে এসেছিলেন বলে স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ১৭১ (চ) ধারায় তাদের ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আরও পড়ুন: নরসিংদী-৪ আসনে ভোট কারচুপির অভিযোগে আ.লীগ প্রার্থীর ছেলেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ ইসির
খাগড়াছড়িতে জাল ভোট: ৪ জনের ৬ মাসের কারাদণ্ড
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার বড় পানছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেওয়ার দায়ে চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার সকালে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হাসানের ভ্রাম্যমাণ আদালত এই সাজা দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহিদ হোসেন, শওকত মিয়া, ফুল মিয়া ও হালিম।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরিস্থিতি পরিদর্শনে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন দাস জানান, তারা সবাই পানছড়ির ফাতেমা নগর এলাকার বাসিন্দা।
বড় পানছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
বিএনপির ১৮ নেতা-কর্মীর ৩ বছরের কারাদণ্ড
২০১৯ সালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ বাদলসহ ১৮ নেতা-কর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমী পৃথক দুই ধারায় এ কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডবিধির ১৪৭ ধারায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
দণ্ডবিধি ৩৩২ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
পাশাপাশি ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার কারাদণ্ড একসঙ্গে চলায় তাদের দুই বছর কারাভোগ করতে হবে।
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, চকবাজার থানার যুবদলের আহ্বায়ক সাভা করিম লাকি শাহ, ৫৯ ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি সাইদ হোসেন সোহেল, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাসাদ্দেক হোসেন বাবলু, বিএনপির নেতা শফিউদ্দিন আহম্মেদ সেন্টু, বিএনপির নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, আরমান আহম্মেদ, ফরহাদ হোসেন বান্টি, রিয়াজউদ্দিন বাদশা, রফিকুল ইসলাম রাসেল, নাজিমউদ্দিন নাজু, মনিউর রহমান মনির, টিপু সুলতান, রফিকুর ইসলাম, মো. লিটন ও মুহিন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি মীর আশরাফ আলী আজমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর চকবাজার থানা এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল বের করে বিএনপি। এসময় পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ।
এ ঘটনায় চকবাজার মডেল থানায় বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন এসআই মো. গিয়াস উদ্দিন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এসআই মুন্সী আব্দুল লোকমান।
এরপর ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী। মামলার বিচার চলাকালে ৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে ড. ইউনূস আদালতে পৌঁছান।
২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: মস্কোর ফাইন্যান্সিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইউনূস
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ জুন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের সিইও আশরাফুল হাসান, ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসসহ তিনজন এ মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। এরপর গত বছরের ২৩ জুলাই চারজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গত ৩ আগস্ট ড. ইউনূসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে অভিযোগ গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গিয়ে অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা দেখতে পান, ১০১ জন শ্রমিক ও কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।
এ ছাড়া তাদের জন্য কোনো অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির মুনাফার পাঁচ শতাংশ আইন মেনে শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রম আইনের ৪, ৭, ৮, ১১৭, ২৩৪ ধারায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস