ব্যবসা-বাণিজ্য
ইডেন কলেজের সকল ফি বিকাশে পরিশোধ করা যাচ্ছে
ইডেন মহিলা কলেজের সব ধরনের ফি বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা।
এর ফলে শতাব্দী প্রাচীন কলেজেটির ২০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের সুবিধাজনক সময়ে যেকোন স্থান থেকে মাসিক বেতনসহ সব ধরনের ফি সহজে, নিরাপদে বিকাশে পরিশোধ করতে পারছেন। বিশেষ করে করোনার এই সময়ে সেবাটি আরও উপযোগী হল এবং শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষের বেতন ব্যবস্থাপনাকেও আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী করল।
আরও পড়ুন: বিকাশ পে-রোল সল্যুশন ব্যবহার করবে সেবা প্ল্যাটফর্ম
শিক্ষার্থীরা এখন বিকাশ অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে কলেজ ফি ও অন্যান্য ফি পরিশোধ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন:করোনা টিকার নিবন্ধন এখন বিকাশ অ্যাপে
ফি পরিশোধ করতে বিকাশ অ্যাপের পে বিল আইকন থেকে এডুকেশনে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে ইডেন কলেজ নির্বাচন করে শিক্ষার্থীর তথ্য, টাকার পরিমান ও পিন দিয়ে বেতন পরিশোধ সম্পন্ন করা যাচ্ছে। ফি দেয়া হয়ে গেলে ডিজিটাল রিসিটও ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, ভবিষ্যৎ ফি পরিশোধ সহজ করার জন্য ফি পরিশোধের প্রয়োজনীয় তথ্য অ্যাপে সেভ করে রাখার সুযোগও পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, কর্মদিবসে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকের বিল পরিশোধের ঝামেলা দূর করে সময় ও খরচ সাশ্রয় করতে সারাদেশের ৬০০ প্রতিষ্ঠানকে ফি পরিশোধ সেবা দিয়ে আসছে বিকাশ। এই ডিজিটাল ফি পরিশোধ ব্যবস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেতন ব্যবস্থাপনায়ও বাড়তি গতিশীলতা নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন:পাঁচটি বিকাশ নম্বরে সেন্ড মানি করা যাবে কোন খরচ ছাড়াই
বাংলাদেশে ইফাদের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর নিয়োগ
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) বাংলাদেশের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. আর্নো হ্যামেলিয়ার্স।
ডাচ নাগরিক ড. হ্যামেলিয়ার্স গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচার সিস্টেমস বিষয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রিধারী। তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং নেদারল্যান্ডসের ট্রপিকাল এগ্রিকালচারাল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
হ্যামেলিয়ার্স বলেন, ‘বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং সামজিক অন্তর্ভুক্তিকরণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশের ৮৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ প্রত্যক্ষভাবে কৃষিতে জড়িত: গবেষণা
তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটি সময়ে কাজ শুরু করছি যখন বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি এবং মানুষের জীবনে এর প্রভাব মোকাবিলায় ব্যস্ত।’
‘বৈশ্বিক মহামারির কারণে সৃষ্ট খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে ইফাদ থাকবে এবং তাদের জীবিকার নতুন সুযোগ তৈরিতে কাজ করে যাবে। একই সাথে ইফাদ গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে জাতীয় প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে যাবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কৃষি নিয়ে জানতে পারেন সামাজিক মাধ্যম থেকে
বাংলাদেশে কাজ শুরুর আগে হ্যামেলিয়ার্স বলিভিয়া এবং হন্ডুরাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ড্যানিডা’র কৃষি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসুচীর সিনিয়র টেকনিক্যাল এ্যডভাইজার হিসেবে বলিভিয়াতে কাজ করেছেন।
এছাড়াও তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের কৃষি মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র ডেইরি সায়েন্টিস্ট পদে এবং স্কটল্যান্ডের স্কটিশ এগ্রিকালচারাল কলেজের ডেইরী রিসার্চ প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি তৈরি, কৃষি গবেষণায় নেতৃত্ব প্রদান এবং গ্রামীন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে হ্যামেলিয়ার্সের রয়েছে ব্যাপক অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বাংলাদেশকে ইফাদের অতিরিক্ত ১৮.০৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
ইফাদ বাংলাদেশে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে এবং এ পর্যন্ত ৩৪টিরও বেশি প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। এই প্রকল্পগুলোর ক্রমসঞ্চিত বিনিয়োগের পরিমান ২.৩১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ইফাদের অর্থায়ন ৯১৩.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।এই প্রকল্পগুলো থেকে সরাসরি উপকৃত হয়েছে ৫২.৭৮ মিলিয়ন লোক।
ইফাদের বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনে সাহায্য করা, বাজারে ক্ষুদ্র উৎপাদক এবং উদ্যোক্তাদের অভিগম্যতা বাড়ানো এবং ভ্যালু চেইন শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে তাদের উপকার করা এবং দরিদ্র গ্রামীণ নারীসহ অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে।
বিশ্বে কৃষি, গ্রামীণ অর্থনীতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা রুপান্তরে ইফাদ একমাত্র নিবেদিত বিশেষায়িত বৈশ্বিক উন্নয়ন সংস্থা।
করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে নগদ টাকার প্রবাহ আবশ্যক
করোনাকালে ব্যবসা-বাণিজ্যকে সচল রাখতে ঋণ নয় মানুষের হাতে নগদ টাকা পৌঁছে দিতে হবে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে অভিমত দেন আলোচকরা।
কানাডার টিভি মেট্রো মেইল (টিএমএম) আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ অভিমত দেন আলোচকরা।
আলোচকরা আরও বলেন, বৈশ্বিকভাবে করোনা মহামারি দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তিগুলোকে প্রভাবিত করছে। এ জন্যে আনুষ্ঠানিক ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক খাতকে গুরুত্ব দিয়ে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দামে কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না: ক্যাব
টিভি মেট্রো মেইল কানাডার নির্বাহী পরিচালক ইমামুল হকের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন, এপেক্স ফুটওয়্যার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী নাসিম মনজুর, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি'র (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম এবং জি টিভির প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা।
'করোনাকালে বাংলাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্য কেমন চলছে' শীর্ষক এক আলোচনায় বর্তমান মহামারির ফলে বিরাজমান সংকট ও আসন্ন সংকটের বিভিন্ন আঙ্গিক ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বক্তারা কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্যাবের
টিএমএম এর চিটচ্যাট অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ মহামারি বর্তমানে কতটুকু প্রভাব ফেলছে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কিনা বা দাঁড়ালেও নিকট ভবিষ্যতে এ অর্থনীতির চেহারা কেমন হবে, ভারত ও চীনের সাথে ঋণচুক্তি এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অর্থিনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন বাংলাদেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো নেই বলে মনে করেন এবং বলেন, "উৎপাদনশীল কাজের কারণে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু তা কীভাবে হচ্ছে? তা কি অন্তর্ভুক্তিমূলক? প্রবৃদ্ধির গুণগত মান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। নিম্ন আয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এই সময়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, নতুন দরিদ্র জনগোষ্ঠী সৃষ্টি হচ্ছে, এর ফলে আমাদের অর্থনীতির উপর চাপ পড়ছে।"
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিলো প্রাণ-আরএফএল
করোনার প্রভাব বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছরে মহামারির প্রথম পর্যায়ে আমাদের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাত চাঙ্গা হয়ে উঠছিল, ঘুরে দাড়াচ্ছিল যখন অনেক বড় অর্থনীতিতে ও ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ছিল কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে নাসিম মনজুর বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান, আয়, দারিদ্র্য, অসাম্যের বিষয়টিকে এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিতে হবে। সংখ্যাগত প্রবৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য না রেখে অন্তর্ভুক্তির দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করতে হবে। প্রবৃদ্ধি ছাড়াও অন্যান্য সূচক, যা দেশের মানুষের প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরে, সেগুলো বিবেচনায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, "কর কতটা আদায় করতে পারল এমন অসুস্থ মানসিকতা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বেরিয়ে আসতে হবে, তাদের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। কর্মসংস্থান তৈরি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতেও তাদের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।"
তিনি আরও মনে করেন যে শিল্পের বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং রপ্তানি খাতের পণ্যে বর্তমানের বৈষম্যমূলক কর ব্যবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন।
মহামারিকালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, "মহামারিকালেও বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, নতুন বিনিয়োগে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি আমরা। এমন বিনিয়োগ আমাদের অর্থনীতিকে করোনা পরবর্তীকালে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।"
বিশ্ব বিনিয়োগের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ যখন হ্ৰাস পেয়েছে ৪২% তখন বাংলাদেশে হ্রাস পেয়েছে মাত্র ১৯.৫%, এই বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো পর্যায়ে আছে।
সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বাংলাদেশ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কৃষি খাত, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স, ও ব্যক্তি খাতের রেসিলিয়েন্স বা সহনশীলতার প্রশংসা করে বলেন, "কর কাঠামো যদি অতিমাত্রায় নিবর্তনমূলক হয় এবং ব্যবসায়ীদের গলায় চাপ দিয়ে যদি কর আদায়ের টার্গেট পূরণ করতে হয় তাহলে একসময় বড় ব্যবসায়ীরাও মুখ থুবড়ে পড়বে।"
চলতি আয় যখন কমাতে পারছে না সরকার তখন সরকার বিষয়ে তিনি বলেন, "আয়ের সাথে সঙ্গতি না রেখে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।"
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টির সাথে সাথে সামাজিক পুনরুদ্ধারের বিষয়টিকেও সমান্তরালভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, "আমাদের সক্ষমতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। অতিমারীর সময় সাধারণত বাজেটে ভর্তুকির পরামর্শ দেয়া হয়, কিন্তু আমরা দেখছি বরাদ্দকৃত বাজেটই আমরা খরচ করতে পারছি না। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের হাতে নগত অর্থ প্রয়োজন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ প্রয়োজন।"
করোনা পরবর্তীকালে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে নগদ প্রণোদনার পাশাপাশি অন্য বিকল্পগুলোও ভাবা প্রয়োজন বলে বক্তারা মনে করেন।
করোনাকালে অনলাইনে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ ‘সহজ হেলথে’
করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা সবার হাতের নাগালে আনতে ১৫০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ২০ জনের বেশি স্পেশালাইজেশন বা ক্যাটাগরি নিয়ে ‘সহজ হেলথ’ সেবা নিয়ে কাজ করছে সহজ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে ডাক্তার-রোগী আনুপাতিক গড় হচ্ছে প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য ডাক্তার রয়েছে মাত্র ৫ দশমিক ২৬ জন, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিলো প্রাণ-আরএফএল
কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী যেভাবে ছড়িয়েছে, বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। আর এ সময়ে করোনার প্রভাব থেকে বাঁচতে ডাক্তারদের পরামর্শ একটাই-স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে বাসায় থাকুন। আর সরকারও সংক্রমণের হার কমাতে লকডাউনের মতো সিদ্ধান্ত নিতেও বাধ্য হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যসেবা সবার হাতের নাগালে আনতে ‘সহজ হেলথ’ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ব্র্যান্ড সার্ভিস অফার নিয়ে এলো অপো
সহজ-এর বিশ্বমানের ডিজিটাল হেলথকেয়ার অ্যাপে ব্যবহারকারীরা দেশের যেকোনো স্থান থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে পরামর্শ নিতে পারবেন। এ ফিচারটি ব্যবহার করতে হলে প্রথমেই সহজ অ্যাপে লগ-ইনের পর ‘হেলথ’ অপশনে গিয়ে স্পেশালাইজেশন বা ক্যাটাগরি নির্বাচন করে নির্দিষ্ট ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। সহজ হেলথ-এ নিয়োজিত কমিউনিটি এনগেজমেন্টের কর্মীরা ডাক্তারদের সঙ্গে ভিডিও কলে পরামর্শ গ্রহণের প্রতিটি পদক্ষেপ ব্যবহারকারীদের বুঝিয়ে দিবে।
আরও পড়ুন: বাজারে আসছে নতুন অপো এফ১৯ প্রো
এছাড়া, সহজ সুপারঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বাসায় বসেই স্থানীয় ফার্মেসীগুলো থেকে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ ডেলিভারি পেয়ে যাবেন খুব সহজে। কোভিড-১৯ এর এই সময়ে ডাক্তারদের পরামর্শের জন্য এখন আর ঝুঁকি নিয়ে চেম্বারে যেতে হবে না।
উপরোক্ত সেবাসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেশালাইজেশনের শতাধিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণের পাশাপাশি ঘরে বসে প্রয়োজনীয় ঔষধ ডেলিভারি সুবিধা পাওয়া যাবে ‘সহজ হেলথ’ থেকে।
লকডাউনে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক
দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
করোনার প্রার্দুভাব বৃদ্ধিতে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম স্বাভাবিক রাখতে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও কাচাঁমাল সরবরাহ ঠিক রাখতে মোংলা বন্দরে ২৪ ঘণ্টা স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।
লকডাউনে এক সপ্তাহে বন্দরে জাহাজ আগমন করে ২১টি, গত বছর সমসাময়িক সময়ে জাহাজ আগমন করেছে ১৮টি। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৭ মেট্রিক টন, গত বছর সমসাময়িক সময়ে ছিল ২ লাখ ৩ মেট্রিক টন। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩৭৩টি হাউজে এবং ৭ হাজার ১১৭ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
এছাড়াও এ সময়ে বন্দর থেকে ২৭২টি গাড়ি ডেলিভারি করা হয়েছে। জাহাজ, কার্গো, গাড়ি ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে সকল সূচক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ফলে বন্দরের আয় স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ
বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের মধ্যে মোংলা বন্দরের যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে-ডাল, ছোলা, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, কয়লা, হোয়াইট ক্লিংকার, পাথর, গ্যাস, কিচেন সিংক, ডাটা কেবল, ফেব্রিক্সস, এলইডি লাইট, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, অ্যালুমিনিয়াম সীট, এমএসি স্টীল, লেনটাইলস, মেশিনারিজ, চাল ও গাড়ি।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ইতোমধ্যে মোংলা বন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চালের প্রথম চালান জানুয়ারিতে মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের ফলে সর্তকতা হিসেবে মোংলা বন্দর নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী প্রবেশ (সীমিত আকারে), অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা পরীক্ষা, বন্দরের অফিসগুলোতে এবং বন্দর এলাকায় করোনার সতর্কতামূলক বিভিন্ন ধরনের ব্যানার স্থাপন, বন্দরের মসজিদ গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় ইত্যাদি।
মোহাম্মদ মুসা বলেন, লকডাউনের মধ্যে বন্দর কার্যক্রম সচল রাখতে মোংলা বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, সিএনএফ এজেন্ট, স্টিভের্ডস ও অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীর সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যেহেতু আমরা বন্দরের সকল স্টক হোল্ডারদের সমন্বয়ে কাজ করছি ফলে করোনার মধ্যে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চলমান থাকবে।
প্রথমবার এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করল সরকার
ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে দিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হিসেবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৭৫ টাকা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস কোম্পানি লি. এর সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৯১ টাকা নির্ধারণ করে বিইআরসি।
সোমবার বিইআরসি চেয়ারম্যান মো আব্দুল জলিল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সৌদির চুক্তি মূল্যের (সিপি) ওপর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত মূল্য আজ থেকেই কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে নকল-ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : শিল্পমন্ত্রী
এতদিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সিলিন্ডার প্রতি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিলিন্ডার প্রতি ৭০০ টাকার অধিক গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করছিল।
আরও পড়ুন: রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর
জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে নিজেদের অফিস এবং কার্যক্রম না থাকায় এই মূল্য নির্ধারণ নিশ্চিত করা কঠিন হবে বলে জানান বিইআরসি প্রধান।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী
ডেইলি শপিংয়ে বেশি কেনাকাটায় মিলবে আকর্ষণীয় পুরস্কার
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জনপ্রিয় রিটেইল চেইনশপ ‘ডেইলি শপিংয়ে শুরু হয়েছে ‘কাস্টমার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২১’ ক্যাম্পেইন। এর আওতায় ক্রেতারা ক্যাম্পেইন চলাকালীন তিন মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কেনাকাটা করলে পাবেন নিশ্চিত পুরস্কার।
১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনটি চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: হিরো বাংলাদেশ এখন দারাজে
পুরস্কার হিসাবে আড়াই লাখ টাকার কেনাকাটার জন্য থাকছে ভিশন ৩২ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন, দুই লাখ টাকার জন্য ভিশন হট এন্ড ওয়ার্ম ওয়াটার পিউরিফায়ার, দেড় লাখ টাকার জন্য ভিশন ইলেকট্রিক ওভেন, ৯০ ও ৭৫ হাজার টাকার জন্য যথাক্রমে তিন হাজার ৬০০ টাকা ও তিন হাজার টাকার ক্যাশ ভাউচার।
যতজন ক্রেতা উল্লেখিত পরিমাণ পণ্য কিনবেন, ততজনই পুরস্কার পাবেন। একজন ক্রেতা একাধিক পুরস্কারও পেতে পারেন।
ডেইলি শপিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার গালিব ফাররোখ বখত্ বলেন, ‘আমাদের ডেইলি শপিংয়ের শোরুমগুলো অধিকাংশই আবাসিক এলাকার কাছাকাছি যেন ক্রেতারা হাতের নাগালে সব ধরনের পণ্য ন্যায্যমূল্যে ক্রয়ের সুযোগ পান। আমাদের প্রচুর ক্রেতা রয়েছেন যারা পুরো মাসের বাজারসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্যই ডেইলি শপিং থেকে কিনে থাকেন। আমরা মনে করি, এই ক্যাম্পেইনের ফলে সেসকল ক্রেতার পাশাপাশি নতুন ক্রেতারাও ডেইলি শপিং থেকে কেনাকাটা করতে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।’
আরও পড়ুন:সুপার স্টারের পণ্য যাবে পেপারফ্লাইয়ে
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে সাত দিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্য সরকার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ডেইলি শপিং খোলা থাকছে। এছাড়া আমরা ক্রেতাদের সুবিধার জন্য হোম ডেলিভারির পরিসরও বাড়িয়েছে। ক্রেতারা নিজ নিজ এলাকায় থাকা ডেইলি শপিংয়ের শোরুমে ফোন দিয়ে পণ্যের অর্ডার করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়
ডেইলি শপিংয়ের ব্র্যান্ড ম্যানেজার ওমর ফারুক জানান, বর্তমানে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ডেইলি শপিং এর ৪৯টি শোরুম চালু রয়েছে। এসব শোরুম থেকে চাল, ডাল, চিনি, দুধ, ঘি, মসলা, টয়লেট্রিজ পণ্য, শিশু খাদ্য, বেভারেজ, পার্সোনাল কেয়ার, ইলেকট্রনিকস ও হাউজওয়্যার পণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
নববর্ষ উদযাপন: দারাজের ‘বৈশাখী মেলা’ ক্যাম্পেইন
পহেলা বৈশাখের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে টানা পঞ্চমবারের মতো দারাজ আয়োজন করেছে ‘বৈশাখী মেলা’ ক্যাম্পেইন। ‘জাগো বাঙালি বর্ষবরণের আনন্দে’ শীর্ষক শ্লোগান নিয়ে ৪ এপ্রিল দারাজ প্ল্যাটফর্মে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনটি চলবে চলতি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রাহকদের চাহিদার সাথে মিল রেখে ফ্যাশন ও বিউটি এবং স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে গ্রোসারি, টেলিভিশন এবং স্মার্টফোন পর্যন্ত একাধিক ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অসধারণ ডিল দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পেইনটি। বৈশাখী কালেকশন যেমন- শাড়ি, পাঞ্জাবি ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলোর উপর থাকা বিশেষ ছাড় ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ক্রেতাদের সর্বাধিক সন্তুষ্টির জন্য এই ক্যাম্পেইনে রয়েছে অসংখ্য আকর্ষণীয় ডিল। এর মধ্যে আছে ব্র্যান্ড ডাবল টাকা ভাউচার, মেগা ডিলস, গেস অ্যান্ড গেট ইট ফ্রি, ১৪২৮ টাকা ডিলস, ব্র্যান্ড ফ্রি শিপিং এবং মেগা ভাউচার।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দারাজের ‘রোড শো’
এছাড়াও দারাজের নতুন গ্রাহকরা তাদের অর্ডারের উপর পাচ্ছেন বিশেষ ছাড়।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ৫টি সেরা ডিল হচ্ছে- স্যামসাং ৪৩″ আরইউ৭১০০ ৪কে ইউএইচডি স্মার্ট এলইডি টিভি (৪১,৮৫০ টাকা); শার্প ইলেকট্রিক ওভেন, ইও-৬০এনকে (১১,৮৩৯ টাকা); উইমেন’স রেড কালার হাফ সিল্ক শাড়ি (৮০০ টাকা); ড্যানিয়েল ক্লেইন ডিকে১২১৩৪-৫ রিস্ট ওয়াচ ফর মেন (৩,৯০৬ টাকা); ও শাওমি এমআই রেডমি এয়ারডটস ট্রু ওয়্যারলেস ইয়োথ থ্রিডি স্টেরিও ব্লুটুথ ইয়ারফোন (৯৫৪ টাকা)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দারাজের আকর্ষণীয় অফার
ক্যাম্পেইনটির কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বাটা, ডেটল, লাইজল, স্টুডিওএক্স, সানসিল্ক ও শাওমি। ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে রয়েছে ইমামি, ফোকালিউর, হারপিক, লিভিংটেক্স, প্যারাসুট ন্যাচারাল শ্যাম্পু, রিবানা, শেভারশপ বাংলাদেশ ও টিপিলিংক। দারাজের এই বৈশাখী মেলা ক্যাম্পেইনটির ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে আছে বিঞ্জ, এক্সট্রা গিফট কার্ড, ঘুড়ি লার্নিং এবং লিংক থ্রি।
ক্রেতাদের কেনাকাটার সুবিধার কথা মাথায় রেখে দারাজ অফার করছে বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পার্টনারদের মাধ্যমে ডিস্কাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার। পেমেন্ট পার্টনারের মধ্যে রয়েছে বিকাশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক।
আরও পড়ুন: হিরো বাংলাদেশ এখন দারাজে
এর আগে, চলতি বছর ৩১ মার্চ দারাজ এক সংবাদ সম্মেলনে এই ক্যাম্পেইনটি ঘোষণা করে। দারাজের ক্যাম্পেইন অ্যাম্বাসেডর তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল-হাসান দারাজ ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইনটি উন্মোচন করেন।
দেশব্যাপী ‘সাজগোজ’ এর প্রসাধন সামগ্রী ডেলিভারি করবে ‘পেপারফ্লাই’
প্রত্যেকেই চায় সুন্দর হতে। বিশেষত, নারীরা একটু বেশিই সোন্দর্য পিয়াসী। সৌন্দর্যের প্রতি তাদের এই আকর্ষণ ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নানারকম পণ্যের উপর তাদের নির্ভরশীলতা বাজারে প্রসাধন সামগ্রীর একটি বড় চাহিদা তৈরি করেছে।
‘সাজগোজ’ একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যা নানারকম জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের নির্ভরযোগ্য প্রসাধন সামগ্রী বিপণন করে। এখন থেকে ‘পেপারফ্লাই’, বাংলাদেশে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ডেলিভারি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে এসকল প্রসাধন সামগ্রী পৌঁছে দেবে।
আরও পড়ুন:স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দারাজের ‘রোড শো’
সম্প্রতি ‘সাজগোজ’ এর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা মিল্কি মাহমুদ এবং ‘পেপারফ্লাই’ - এর পক্ষ থেকে মহাব্যবস্থাপক বিপণন, রিয়াজ উদ্দিন খান ও মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম ফাহমি এই সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ‘পেপারফ্লাই’ ।
এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘সাজগোজ’ এর সিআরএম ও রিটেইল পরিচালনা প্রধান আজমেরি বিনতে রাজ্জাক, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হিসাবরক্ষক অপূর্ব মন্ডল, ভারপ্রাপ্ত ফুলফিলমেন্ট কর্মকর্তা নাইম এবং ‘পেপারফ্লাই’এর সহকারী ব্যবস্থাপক ওলি উর রেজা, সহকারি ব্যবস্থাপক মাকসুদা আকতার তন্নি।
আরও পড়ুন: সুপার স্টারের পণ্য যাবে পেপারফ্লাইয়ে
কেশ পরিচর্যার প্রসাধনী থেকে শুরু করে, ব্যক্তিগত পরিচর্যা ও ত্বক পরিচর্যা সামগ্রী, মেক-আপ সামগ্রী সবকিছুই ‘সাজগোজ’ এ পাওয়া যায়। পন্ডস, নিউট্রেজেনা, ট্রেসেমি, বডিশপসহ নানা ব্র্যান্ডের প্রসাধনী রয়েছে তাদের ওয়েবসাইটে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাদের প্রতিটি পণ্যই আসল এবং নির্ভরযোগ্য।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ফেয়ার মার্ট এর পণ্য পৌঁছে দেবে পেপারফ্লাই
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ‘পেপারফ্লাই’ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় লজিস্টিক সলিউশন সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান। গত ৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট রিটার্ন, স্মার্ট চেক, স্মার্ট লগ, ইন-অ্যাপ কল এবং ক্যাশলেস পে ফিচার চালু করেছে। এছাড়াও সম্প্রতি তারা তাদের সেলারওয়ান প্যাকেজের মাধ্যমে ফেসবুকভিত্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য ১ ঘণ্টায় মার্চেন্ট পেমেন্ট সুবিধা প্রদান করছে।
ভোমরা স্থলবন্দরে ট্রাক থেকে পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীরা দু’বার লেবার বিল দিতে রাজী না হওয়ায় ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাসে লেবারদের না ডাকায় এ অচলাবস্থা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ট্রাক প্রতি লেবার ঠিকাদাররা তাদের বিল দেন ৩৮০ টাকা। প্রায় ৪০ টন পণ্য খালাসে এই টাকা তাদের কাছে কিছুই না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় শ্রমিকদের। এতদিন ট্রাক প্রতি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বকশিস দিতেন ব্যবসায়ীরা। এই বখশিসের টাকা বন্ধ করে দেয়াতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া সকাল থেকে তাদের কোনো দলকে কাজে ডাকাও হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ২ দিন ধরে ভোমরা বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ
এব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, প্রতি টন পণ্য খালাসে ৭২ টাকা করে পরিশোধ করতে হয় ব্যবসায়ীদের। এর সাথে লেবারদের ট্রাক প্রতি বকশিস দিতে হয় ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। বাড়তি এই বকশিসের টাকা দেয়া সম্ভব নয় বিধায় তারা লেবার ডাকা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভোমরা বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পেঁয়াজের ১৫০ ট্রাক