আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) বাংলাদেশের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. আর্নো হ্যামেলিয়ার্স।
ডাচ নাগরিক ড. হ্যামেলিয়ার্স গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচার সিস্টেমস বিষয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রিধারী। তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং নেদারল্যান্ডসের ট্রপিকাল এগ্রিকালচারাল কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
হ্যামেলিয়ার্স বলেন, ‘বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং সামজিক অন্তর্ভুক্তিকরণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশের ৮৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ প্রত্যক্ষভাবে কৃষিতে জড়িত: গবেষণা
তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটি সময়ে কাজ শুরু করছি যখন বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি এবং মানুষের জীবনে এর প্রভাব মোকাবিলায় ব্যস্ত।’
‘বৈশ্বিক মহামারির কারণে সৃষ্ট খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে ইফাদ থাকবে এবং তাদের জীবিকার নতুন সুযোগ তৈরিতে কাজ করে যাবে। একই সাথে ইফাদ গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে জাতীয় প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে যাবে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কৃষি নিয়ে জানতে পারেন সামাজিক মাধ্যম থেকে
বাংলাদেশে কাজ শুরুর আগে হ্যামেলিয়ার্স বলিভিয়া এবং হন্ডুরাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ড্যানিডা’র কৃষি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসুচীর সিনিয়র টেকনিক্যাল এ্যডভাইজার হিসেবে বলিভিয়াতে কাজ করেছেন।
এছাড়াও তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের কৃষি মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র ডেইরি সায়েন্টিস্ট পদে এবং স্কটল্যান্ডের স্কটিশ এগ্রিকালচারাল কলেজের ডেইরী রিসার্চ প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি তৈরি, কৃষি গবেষণায় নেতৃত্ব প্রদান এবং গ্রামীন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে হ্যামেলিয়ার্সের রয়েছে ব্যাপক অভিজ্ঞতা।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বাংলাদেশকে ইফাদের অতিরিক্ত ১৮.০৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
ইফাদ বাংলাদেশে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে এবং এ পর্যন্ত ৩৪টিরও বেশি প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। এই প্রকল্পগুলোর ক্রমসঞ্চিত বিনিয়োগের পরিমান ২.৩১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে ইফাদের অর্থায়ন ৯১৩.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।এই প্রকল্পগুলো থেকে সরাসরি উপকৃত হয়েছে ৫২.৭৮ মিলিয়ন লোক।
ইফাদের বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনে সাহায্য করা, বাজারে ক্ষুদ্র উৎপাদক এবং উদ্যোক্তাদের অভিগম্যতা বাড়ানো এবং ভ্যালু চেইন শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে তাদের উপকার করা এবং দরিদ্র গ্রামীণ নারীসহ অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে।
বিশ্বে কৃষি, গ্রামীণ অর্থনীতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা রুপান্তরে ইফাদ একমাত্র নিবেদিত বিশেষায়িত বৈশ্বিক উন্নয়ন সংস্থা।