%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9F
সিনিয়র ছাড়া খেলোয়ার নেই ভুল প্রমাণ হয়েছে: সাকিব
কয়েকজন সিনিয়র ছাড়া আর কোন খেলোয়াড় নেই এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
শুক্রবার (০৭ জানুয়ারি) ঢাকায় একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, ‘মিডিয়া সব সময় মনে করে চার-পাঁচজন ছাড়া আর কোনো খেলোয়াড় নেই, আমার মনে হয় এটা এখন ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তরুণ খেলোয়োড়েরা ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আরও ভালো খেলবে।’
সম্প্রতি ইতিহাস গড়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে আট উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এটাই মুমিনুল হকদের প্রথম জয়। এছাড়া এটি ছিল ২০১৩ সালের পর নিউজিল্যান্ডে কোনো এশিয়ান দলের প্রথম টেস্ট জয়।
‘আমরা যেভাবে নতুন বছরটা শুরু করেছি তা অবিশ্বাস্য। আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ সবাইকে কৃতিত্ব দিতে হবে। আমরা গত বছর ভালো করতে পারিনি এবং এই বছরে আমাদের জন্য বড় কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে,’ বলেন সাকিব।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট আগামী ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে শুরু হবে।
আরও পড়ুন: বোলিং অনুশীলনে মাশরাফি
লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো: এবাদত
বোলিং অনুশীলনে মাশরাফি
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ৫০ ওভারের সংস্করণের আগে বৃহস্পতিবার মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
৩৮ বছর বয়সী এই পেসার ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন। সংসদ সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির কারণে তিনি ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন।
একটি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মাশরাফি গণমাধ্যমকে বলেন, শুধুমাত্র অল্প রান আপে কয়েকটি বল করেছি।
তিনি বলেন, ‘আমি কিছুটা পিঠের ব্যথায় ভুগছি। সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। আমি ধীরে ধীরে শুরু করছি।’
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো: এবাদত
এসময় আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পুরো রান-আপ নিয়ে বোলিং শুরু করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মাশরাফি।
২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন আসরে ঢাকা দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন এই অভিজ্ঞ বোলার।
চলতি সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য টেস্ট দলের প্রশংসা করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয় বলে অভিহিত করেন মাশরাফি।
তিনি বলেন,‘আমি এটাকে 'সেরা জয়ের একটি' বলতে পছন্দ করি না, এটি আসলে আমার কাছে সেরা জয়।’
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়
মাশরাফি আরও বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। আমাদের সেরা খেলোয়াড়রা এই সিরিজে নেই। আপনি যদি এই বিষয়গুলো মনে রাখেন তবে এটি ছিল আমাদের জন্য সেরা জয়।’
মাশরাফির মতে, বাংলাদেশের পেস বোলাররা প্রতিটি ফরম্যাটেই ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে এবাদত হোসেন যা করেছে তা তার দীর্ঘ পরিশ্রমের ফল।
তিনি বলেন, আপনি যদি আমাদের টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান দেখেন, আমাদের পেসাররা সেখানে ভালো করেছে। টেস্ট এমন একটি ফরম্যাট যেখানে আমাদের পেসাররা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছে। এর জন্য আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। তাসকিনের (আহমেদ) দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, সে ভালো করতে শুরু করেছে। এবাদত ইতোমধ্যে সে কি করতে পারে তার প্রমাণ দিয়েছে। আর রাহিও (আবু জায়েদ) ভালো করছে। তাদের ওপর আমাদের আরও বিশ্বাস করতে হবে এবং এটি শেষ পর্যন্ত তাদের টেস্টে আরও ভালো করতে সাহায্য করবে।
ইতিহাস গড়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে প্রথম টেস্টে আট উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এটাই মুমিনুল হকদের প্রথম জয়। এটি ছিল ২০১৩ সালের পর নিউজিল্যান্ডে কোনো এশিয়ান দলের প্রথম টেস্ট জয়। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট আগামী ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে শুরু হবে।
আরও পড়ুন: হাতে ৩ সেলাই, দ্বিতীয় টেস্টেও অনিশ্চিত মাহমুদুল হাসান
লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো: এবাদত
গত এক দশকে প্রথম এশিয়ান দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে হারানোর পর বাংলাদেশের ম্যাচজয়ী পেসার এবাদত হোসেন বলেছেন, সিরিজের শুরু থেকে তাদের লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো।
ম্যাচ-পরবর্তী সাক্ষাৎকারে এবাদত বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে আসার পর আমরা লক্ষ ঠিক করেছিলাম যে, তাদের মাটিতে আমরা হারাতে চাই। নিউজিল্যান্ডে অনেক ম্যাচ খেলেছি, কিন্তু একটাও জিততে পারিনি। আশা করি ভবিষ্যত প্রজন্ম এই জয়ে অনুপ্রাণিত হবে।’
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে এবাদত ক্যারিয়ার সেরা ৪৬ রানে ছয় উইকেট নিয়েছেন।
ইতিহাস গড়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে আট উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এটাই মুমিনুল হকদের প্রথম জয়।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়
এবাদতের পাশাপাশি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন শরিফুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়ের মতো তরুণ খেলোয়াড়রাও। এই ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডে সব ফরম্যাটে মোট ৩২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।
ঐতিহাসিক এ জয়ের বিষয়ে মুমিনুল হক বলেছেন, ‘এটা একটা দলীয় সাফল্য। সবাই জিততে মুখিয়ে ছিল। তিন বিভাগেই সবাই এগিয়ে এসেছে। বোলারদের কারণে আমরা জিতেছি। তারা প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় ইনিংসে দুর্দান্ত ছিল। তারা ঠিক জায়গায় বল করেছে। এবাদাত অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে।’
দুই ম্যাচ এ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ আগামী ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: এবাদত তোপে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে টাইগারদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে টাইগারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে আট উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের এ জয়ে কিউদের ঘরের মাঠে টানা ১৭ টেস্ট অপরাজিত থাকার ধারাও ভাঙলো।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়
এছাড়া এ জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো জয় পেল টাইগাররা। একইসঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও এটাই মুমিনুল হকদের প্রথম জয়।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়
ইতিহাস গড়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে আট উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো জয় পেল টাইগাররা। এছাড়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও এটাই মুমিনুল হকদের প্রথম জয়।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান করে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে কিউরা। বুধবার পঞ্চম ও শেষ দিনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ১০ ওভার ৪ বলে তুলে মাত্র ২২ রান। এতে তাদের ১৬৯ রানে আটকে রাখতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। আর এতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় মাত্র ৪০ রান।
এ ইনিংসে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখার কাজটা করেছেন বোলার ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। ইবাদত নিয়েছেন ছয়টি ও তাসকিন নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
আরও পড়ুন: এবাদত তোপে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে সাদমান ইসলামকে হারায় বাংলাদেশ। পরে নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের দিকে পাড়ি দিতে থাকেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ১৭ রান করে নাজমুল আউট হলেও মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল।
হাতে ৩ সেলাই, দ্বিতীয় টেস্টেও অনিশ্চিত মাহমুদুল হাসান
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচের চতুর্থ দিনে হাতে আঘাত পেয়ে ম্যাচের বাকি সময় এবং দ্বিতীয় টেস্ট খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ের।
চতুর্থ দিনে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করার সময় হাতে চোট পান মাহমুদুল। তার ডান হাতে তিনটি সেলাই লেগেছে।
প্রথম টেস্ট শেষ হবে ৫ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট: জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম নিউজিল্যান্ড থেকে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তার চোট তৃতীয় এবং চতুর্থ আঙুলের মাঝখানে, এতে তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। মাহমুদুল এখন সাত থেকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন। ইতোমধ্যেই তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হয়েছে।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে চলমান টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল ৭৮ রান করেন। এটি তার দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম টেস্ট ফিফটি।
ঘরের মাঠে সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটারের অভিষেক হয়।
আরও পড়ুন: মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট: শান্ত-জয়ের অর্ধশতকে কড়া জবাব বাংলাদেশের
এবাদত তোপে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টেরর চতুর্থ দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৭ রানে এগিয়ে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ৩২৮ রানে।
চতুর্থ দিনে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল এবাদত হোসেন। টেস্টে কমপক্ষে ১০ উইকেট নেয়া বোলারদের মধ্যে ৮০ এর বেশি গড় এবাদত চতুর্থ দিনের বিকালে টানা দুই ওভারে তিন উইকেট নিয়ে নিউজিলান্ডের টপ অর্ডারে ধস নামান। তার বোলিং তোপে স্বাগতিকরা ১৩৬ রানে দুই উইকেট থেকে এক পর্যায়ে পাঁচ উইকেটে হয়ে যায় ১৩৬। ৩৯ রানে চার উইকেট নিয়েছেন এবাদত যা এখন পর্যন্ত তার টেস্ট ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং ফিগার।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের দলীয় ২৯ রানে টম ল্যাথামকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আর ৬৩ রানের মাথায় প্রথম ইনিংসের সেঞ্চরি করা ডেভেন কনওয়েকে আউট করেন এবাদত।
চতুর্থ দিন শেষে কিউইদের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ১৪৭ রান। রস টেলর ৩৭ এবং রাচিন রবিন্দ্র ৭ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।
আরও পড়ুন: হাতে ৩ সেলাই, দ্বিতীয় টেস্টেও অনিশ্চিত মাহমুদুল হাসান
এর আগে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ১৭৬. ২ ওভারে ৪৫৮ রানে শেষ করে। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৩.২ ওভারে পর যেকোন দলের বিপক্ষে টাইগারদের এটি সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং করার রেকর্ড।
নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৩০ রানের লিড পায়।
প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের পক্ষে সেঞ্চুরি করেন কনওয়ে। আর বাংলাদেশের পক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক এবং লিটন দাস হাফ সেঞ্চুরি ফিফটি করেন। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ৪৭ রান।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচের চতুর্থ দিনে হাতে আঘাত পেয়ে ম্যাচের বাকি সময় এবং দ্বিতীয় টেস্ট খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ের।
চতুর্থ দিনে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করার সময় হাতে চোট পান মাহমুদুল। তার ডান হাতে তিনটি সেলাই লেগেছে।
আরও পড়ুন: মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট: শান্ত-জয়ের অর্ধশতকে কড়া জবাব বাংলাদেশের
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট: শান্ত-জয়ের অর্ধশতকে কড়া জবাব বাংলাদেশের
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল জয়ের অর্ধশতকে ভর করে দ্বিতীয় দিন শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করেছে টাইগাররা।
রবিবার মাউন্ট মঙ্গানুইতে দ্বিতীয় দিন শেষে জয় ২১১ বলে ৭০ রান ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ৮ রান করে অপরাজিত আছেন।
প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক কিউদের ৩৫০ রানের নিচে অলআউট করে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে জয় ও সাদমান ইসলাম ৪৩ রান যোগ করেন। পরে ৫৫ বলে ২২ রান করে আউট হন সাদমান। পরে তৃতীয় উইকেটে জয় ও শান্ত ১০৪ রান যোগ করেন। শান্ত ১০৯ বলে ৬৪ রান করে ওয়াগনারের বলে আউট হন।
পরে জয় ও মুমিনুল দু’জনে দিনের বাকি ৯ ওভার কোনো উইকেট না হারিয়ে শেষ করেন।
এর আগে প্রথম দিনে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ২৫৮ রানে স্বাগতিকদের আটকে রাখে টাইগাররা। আর দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৭০ রানে বাকি পাঁচ উইকেটও তুলে নেয় মুমিনুল হকের দল। আর এতে ৩২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউরা।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ডেভন কনওয়ে সর্বোচ্চ ১২২ রান করেন। এছাড়া নিকোলাস ৭৫ রান ও উইল ইয়ং ৫২ রান করেন।
এছাড়া বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান। এছাড়া মুমিনুল হক দুটি ও এবাদত হোসেন একটি উইকেট নেন।
কনওয়ের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের ২৫৮
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম দিন শেষে কিউ ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৮৭.৩ ওভারে শেষে ৫ উইকেটে ২৫৮ রানে দিন করেছে স্বাগতিকরা।
শনিবার মাউন্ট মাউঙ্গানুইতে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
প্রথম দিন শেষে কনওয়ে ১২২ রানে করে টেস্টে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন বোলার শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ: অতীত ভুলে নতুন শুরুর প্রত্যাশায় মুমিনুল
টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুলের পারফর্মেন্সকে ছাপিয়ে গেছেন কনওয়ে। প্রথম দিনে দুর্দান্ত বোলিং করলেও উইকেট নিতে ব্যর্থ হন তাসকিন।
এই ম্যাচে প্রথম দিনে ৫৫.৩ ওভার বোলিং করেছেন বাংলাদেশি পেসাররা। এছাড়া স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ২৭ ওভার এবং শান্ত ও মুমিনুল একসঙ্গে করেন পাঁচ ওভার।
এই টেস্টের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়ার জন্য আগামীকাল ভালো শুরু করতে হবে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন: আইসিসির ওয়ানডে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন পেলেন সাকিব
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ: অতীত ভুলে নতুন শুরুর প্রত্যাশায় মুমিনুল
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক বলেছেন, নিউজিল্যান্ডে অতীতে যা ঘটেছে তা নিয়ে তারা খুব একটা চিন্তিত নন। শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচের টেস্টে ব্ল্যাকক্যাপদের বিপক্ষে টাইগার অধিনায়ক নতুন শুরুর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ফরম্যাটে মোট ৩২টি ম্যাচ খেলেও জয়ের পাল্লা শূন্য বাংলাদেশের।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘অতীতে কী হয়েছে তা নিয়ে আমরা বেশি ভাবছি না। আমরা নতুন বছরে ভালো করার কথা ভাবছি।’
আরও পড়ুন: আইসিসির ওয়ানডে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন পেলেন সাকিব
নিউজিল্যান্ডে পৌঁছানোর পর বাংলাদেশ ১১ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে। দুই দিনের অনুশীলন ম্যাচ দিয়ে সিরিজের আগে প্রস্তুতির জন্য তারা মাত্র ১০ দিনের সময় পেয়েছে।
সিরিজের প্রস্তুতির জন্য অনুশীলনের সময়গুলো যথেষ্ট উল্লেখ করে মুমিনুল বলেন, ‘আমরা ভালো পর্যায়ে আছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে আমাদের ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। আমরা জানি নিউজিল্যান্ডে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু সেটা নিয়ে বেশি চিন্তা করলে আমাদের স্বাভাবিক খেলার ক্ষতি হবে। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ আপনাকে নিতে হবে।’
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ স্বাগতিকদের পেস বোলিং মোকাবিলা করা। এ প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন, আমরা এ বিষয়ে সচেতন এবং কিউই পেস আক্রমণের চ্যালেঞ্জ নিতে আত্মবিশ্বাসী।
আরও পড়ুন: বিপিএল-২০২২: একই দলে তামিম-মাশরাফি-রিয়াদ
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘কিউইদের দুর্দান্ত পেস-বোলিং আক্রমণ রয়েছে এবং আমরা সবাই জানি যে তাদের বিরুদ্ধে খেলতে হলে আমাদের এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। নিউজিল্যান্ডের উইকেট সব সময়ই পেসারদের জন্য সহায়ক এবং এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
বাংলাদেশ দলের পেসারদের নিয়েও মুমিনুল আশাবাদী। তিনি বলেন, তাসকিন সর্বশেষ ম্যাচে অনেক ভালো বল করেছে। এবাদত ও রাহিও ভালো করেছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে তাদের ভালো করতে দেখে আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত। এই সিরিজে তাদের অনেক কাজ করতে হবে।
মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মুমিনুল। ডানহাতি এই ব্যাটার এখন পর্যন্ত মাত্র নয়টি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে দুটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে ফিরছেন জেমি সিডন্স
মুমিনুল বলেন, মাহমুদুল আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সম্ভাবনা। আমি বিশ্বাস করি তার বড় খেলোয়াড় হওয়ার ক্ষমতা আছে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সময় যখন প্রথমবার দেখেছিলাম, তখনই খুব দারুণ মনে হয়েছে তাকে। অঅমার বিশ্বাস সে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরবর্তী সুপারস্টার হতে পারে।
এই সিরিজে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে মিস করছে বাংলাদেশ। তামিম ইনজুরি কাটিয়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় এবং সাকিব আল হাসান পারিবারিক কারণে দলের বাইরে রয়েছেন।