%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE
ছেলেদের যেন অক্ষত ফিরে পাই সেই ব্যবস্থা করুন: এমভি আবদুল্লাহ’র সিও আতিকের মা
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র প্রধান কর্মকর্তা (সিও) মো. আতিক উল্লাহ খানের স্ত্রী মিনা আজমিন স্বামীর পাঠানো ভয়েস শুনে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। স্বামীর চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়া এই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন স্বজনরা।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ইফতারের পর আতিক উল্লাহ তার স্ত্রীর কাছে একটি অডিও বার্তাটা পাঠান।
সে বার্তায় আতিক উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিও।’
জিম্মি নাবিক আতিকের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায়। মা, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে তিনি থাকেন শহরের নন্দনকানন এলাকায়।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের চট্টগ্রাম অফিসে স্বজনদের ভিড়, উদ্ধারের আশ্বাস মালিকপক্ষের
গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননের রথেরপুকুর পাড় এলাকার সুবর্ণ ফরিদ টাওয়ারের আতিক উল্লাহ খানের বাসায় গিয়ে জানতে চাইলে তার বৃদ্ধ মা ও সন্তানরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ছেলেকে জলদস্যুরা জিম্মি করে সোমালিয়ায় নিয়ে গেছে এ খবর পাওয়ার পর থেকে পরিবারে সদস্যদের মধ্যে চলছে কান্নার রোল আর আর্তনাদ।
জিম্মি মো. আতিক উল্লাহ খানের মা শাহনুর বেগম সারাক্ষণ ক্রেস্টে বাঁধানো ছেলের হাস্যোজ্জ্বল ছবি বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন। সত্তরোর্ধ্ব এই নারীর একদিকে বয়সের ধকল, অন্যদিকে নানান রোগ। কিন্তু মায়ের সব শারীরিক যন্ত্রণা যেন আজ চাপা পড়ে গেছে ছেলেকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তার অতলে।
কান্না একটু থামিয়ে তিনি বলতে শুরু করেন, ‘আমার কাছে একটা দিন এখন এক বছরের মতো লাগছে! ছেলেকে সুস্থ ফিরে পেতে হলে নাকি কয়েকমাস অপেক্ষা করতে হবে। এই দুঃখ সয়ে ততদিন কি আমি বাঁচব!’
দাদির কান্না দেখে পাশে বসা ৭ বছরের নাতনি উনাইজা মাহবিন তার চোখের জল মুছে দেয়। ছোট্ট মাহবিনের হাত ছুঁয়ে দাদির চোখের জল গড়িয়ে পড়ে বাবার ছবির ওপর।
ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ, অন্যদিকে ছেলের স্ত্রীও অসুস্থ। এমন পরিস্থিতিতে সামনের দিন নিয়ে খুবই উৎকণ্ঠায় আছেন শাহনুর বেগম। তিনি বলেন, ‘ছেলে সর্বশেষ ভয়েস মেসেজে আমার পুত্রবধূকে জানিয়েছিল- ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের মেরে ফেলবে। সেই বার্তা পাওয়ার পর থেকেই সে অসুস্থ। এমনিতেই ও অন্তঃসত্ত্বা। তার ওপর স্বামীর এমন অবস্থা শুনে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে কয়েকবার জ্ঞান হারানোর পর আমরা তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসার পর মাঝরাতে নিয়ে আসি। এখনো সে অসুস্থ।’
বৃদ্ধা শাহানা বেগম বলেন, ‘তিন মেয়ের জন্মের পর জম্মেছিল আমার ছেলে আতিক উল্লাহ। সে ছেলে বড় হয়ে নিয়েছে পুরো পরিবারের দায়িত্ব। ২০০৭ সাল থেকে জাহাজে কর্মরত আছে। তারপর থেকে পরিবারটি টেনে নিয়ে চলেছে। এখন ছেলের ভয়ঙ্কর বিপদ। ছেলের এমন দুঃসময়ে আমরা কীভাবে ভালো থাকি! জানি না আমার ছেলে কেমন আছে, কী খাচ্ছে। আমাদের আর খাওয়া নেই, ঘুম নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম রোজায় ইফতার করতে বসেছিলাম। খেজুরটা মুখে দিলাম মাত্র। ওই সময়েই ছেলের ফোন। জানালো, তাদের জাহাজে সোমালিয়ার জলদস্যুরা আক্রমণ করেছে। জাহাজ এখন জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে।’
ছেলেসহ জলদস্যুদের হাতে অবরুদ্ধ ২৩ নাবিককে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে শাহনুর বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেটা যেমন আমাদের একমাত্র অবলম্বন, অন্যারাও তাদের পরিবারের কাছেও তেমন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন মা, তিনি মায়ের যন্ত্রণা বুঝবেন। তিনি যেন এই বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেন। আমাদের ছেলেদের যেন সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাই, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
বাসায় আসা আতিক উল্লাহের বন্ধু জুলকার নাইম বলেন, মঙ্গবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আমাকে ভয়েস মেসেজ পাঠায় আতিক। সে বলে, ‘আমার জন্য দোয়া করিস, আমাদের পরিবারের দেখাশোনা করিস।’এরপর আর যোগাযোগ হয়নি।’
আরও পড়ুন: জলদস্যুর কবলে জাহাজ: ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের
জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের চট্টগ্রাম অফিসে স্বজনদের ভিড়, উদ্ধারের আশ্বাস মালিকপক্ষের
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’কে সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত জানা গেছে, জাহাজটি এখনও উপকূল থেকে প্রায় ২৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে এবং সোমালিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
তবে ২৩ নাবিকের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর আগে জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিকউল্লাহ খান একাধিকবার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। জানিয়েছেন সেখানের সর্বশেষ পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: জিম্মি নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এদিকে জাহাজে জিম্মি হওয়া কয়েকজন নাবিকের পরিবারের সদস্যরা আজ সকাল থেকে জাহাজ মালিকের প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের গোসাইডাঙ্গাস্থ কেএসআরএম অফিসে জড়ো হয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ এবং জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারের জন্য দ্রুত পদক্ষপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় জিম্মি নাবিক আব্দুর রশিদ ও আতিকুল্লাহ’র স্ত্রী-সন্তানরা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিমের সঙ্গে দেখা করে তাদের উৎকণ্ঠার কথা জানান। এ সময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর জাহাজটির গতি ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার ছিল। কিন্তু রাত ১১টায় জাহাজটি ট্র্যাকিং অর্থাৎ নজরদারির বাইরে চলে যায়। জাহাজের ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের নিরাপত্তা শঙ্কার মধ্যে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সব ক্রু সদস্যকে মুক্ত করতে জরুরি পদক্ষেপ চায় নাবিক জয়ের পরিবার
কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি পুরোপুরি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কোম্পানির কাছে বার্তা পাঠানো হয়। এছাড়া নাবিকদের একাধিক অডিও বার্তায় অস্ত্রসহ জলস্যুদের জাহাজ দখলের কথা জানা যায়।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এনাম বলেন, ‘জাহাজে থাকা নাবিকদের সঙ্গে সর্বশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কথা হয়েছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন। জলদস্যুরা নাবিকদের জাহাজের কেবিনে রেখেছেন। এরপর আর কোনো কথা হয়নি।’
জলদস্যু নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর জাহাজ থেকে মঙ্গলবার অডিও বার্তায় মো. আতিকউল্লাহ খান মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের কাছে অবশিষ্ট খাবারের পরিমাণের উল্লেখ করে জানান, তাদের জাহাজে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ও ২০ থেকে ২৫ দিন খাওয়া যাবে এই পরিমাণ খাবার রয়েছে। দ্রুত যাতে খাবার শেষ না হয় সেজন্য অপ্রয়োজনী ব্যবহার না করতেও জাহাজের সবাইকে জানানো হয়েছে।
এছাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে সর্বশেষ স্ত্রীর কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় জিম্মি আতিক বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। ফাইনাল কথা হচ্ছে, এখানে যদি টাকা না দেয়, আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবাইকে পৌঁছে দিও।’
আরও পড়ুন: জলদস্যুর কবলে জাহাজ: ২৩ নাবিকের ১১ জনই চট্টগ্রামের
লক্ষ্মীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে
লক্ষ্মীপুরের রামগতি বাজার ও চরগাজীর জয়নাল মিয়ার তেমুহানীতে অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোরে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফার্মেসি, মুদি দোকান, ইলিকট্রনিক ও মনোহারি দোকান।
আরও পড়ুন: এস আলম সুগার মিলে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ
ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, জয়নাল মিয়ার তেমুহানীতে হঠাৎ আগুনের শিখা দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপর আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ২০টি দোকানের সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এর আগে রামগতি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫টি দোকান।
এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চরগাজী ইউপির চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম সুমন জানান, দুইটি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ২৫টি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। এতে করে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জয়নাল মিয়ার তেমুহানীর ব্যবসায়ীরা। সেখানে ২০টি দোকান পুড়ে যায়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মন্নান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনের ভয়াবহতা ছিল বেশি। তারপরও সময় মতো আসাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে। বৈদ্যৎুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে কর্তৃপক্ষকে দায়ী করতে হবে: দোকান মালিক সমিতি
চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ড: ১৪ পরিবারের ১৭ বসতঘর পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামে খামারে আগুন লেগে ১১ গরুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় বৈলতলী বুড়ির দোকান এলাকায় একটি খামারে আগুন লেগে ১১টি গরু মারা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টায় আবদুল গফুর নামে এক খামারির গরুর খামারে আগুন লাগে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবদুল গফুরের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খামারে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে গোয়াল ঘরে আগুন: ৪টি গরুর মৃত্যু
তবে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্টিক থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। খামারের দরজা বন্ধ ও গরুগুলো বাঁধা থাকায় খামারের ভেতরেই গরুগুলো ছটফট করতে করতে মারা যায়।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার জুনায়েদ বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে।
তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা এ আগুন বেশিক্ষণ স্থায়ী না হলেও ধোঁয়ার কারণে সব গরু মারা গেছে। পুড়ে যাওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: উত্তরার কাঁচাবাজারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
বগুড়ায় বস্তিতে আগুনে পুড়ল ১৪টি বসতঘর
চট্টগ্রামে রোজার প্রথম দিনেই ওয়াসার পানির সংকট
চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই পানি সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে নগরবাসী।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন কমে যাওয়ায় নগরীতে এই সংকট দেখা দিয়েছে।
নগরীর অনেক এলাকায় সারা দিনই পানি মিলছে না। উঁচু এলাকায় পানির সংকট আরও বেশি দেখা দিয়েছে।
মহানগরীর চকবাজার, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, হালিশহর, পতেঙ্গা, কাট্টলী, আগ্রাবাদ, দেওয়ান বাজার ও মুরাদপুর এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দারা গত কয়েকদিন ধরে ওয়াসার পানি পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। অনেকের অভিযোগ, মাঝরাতে সেহরির সময়ও তারা পানি পাননি। এত রাতে দোকানপাটও বন্ধ ছিল। এতে প্রথম সেহরিতেই তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
বহদ্দার হাটের মর্জিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘সোমবার রাত থেকে বাড়িতে পানি নেই। সেহরিতে বোতলজাত পানি কিনে খেয়েছি, কিন্তু ওজু-গোসল কীভাবে করব বুঝতে পারছি না। প্রতি বছর শুনি ওয়াসার নতুন নতুন প্রকল্প হয়, কিন্তু গ্রীষ্মকাল এলেই তাদের সব জারিজুরি শেষ হয়ে যায়। রমজানে পানির সংকটের বিষয়টি আগে থেকেই ভাবা উচিত ছিল। অথচ মাসে মাসে ঠিকই ওয়াসাকে পানির বিল নিচ্ছে।’
ওয়াসার কর্তৃপক্ষ জানান, উৎসগুলো থেকে লবণ পানি উঠে আসায় ওয়াসার পানি পরিশোধন কমে গেছে। তাতে নগরজুড়ে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। আবার রোজায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি থেকে ওয়াসার প্রতি লিটার পানিতে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ২১০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লবণ পাওয়া যাচ্ছে। মূলত কাপ্তাই লেকে পানি কমে যাওয়া এবং হালদার বিভিন্ন শাখা খালে বাঁধ দেওয়ায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘আমরা এখন রেশনিং করে পানি সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এলাকা ভাগ করে একদিন পরপর পানি সরবরাহ দেওয়া হবে। পানির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ৪৫টি গভীর নলকূপ আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণেও পানির উৎপাদন ও সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, কাপ্তাই লেকে স্বাভাবিক অবস্থায় সর্বোচ্চ পানি থাকে ১০৯ ফুট। কিন্তু বর্তমানে পানির স্তর কমে ৮৩ ফুটে নেমে এসেছে। লেকে পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। কাপ্তাই লেক থেকে পানি না ছাড়ার কারণে হালদায় লবণাক্ততা বেড়ে গেছে।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির উৎস হালদা ও কর্ণফুলী নদী। পানির উচ্চতা নিচে নেমে যাওয়ায় ভাটার সময় নদী থেকে পানি নেওয়া যাচ্ছে না। আবার জোয়ারের সময় লবণাক্ততা বেড়ে যায়। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য ওয়াসার থেকে বিকল্প কোনো সোর্স নেই। এখন দৈনিক প্রায় ৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন কমে গেছে। নগরীতে রেশনিং করে পানি সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়াসা মদুনাঘাটে শেখ রাসেল ও মোহরা পানি শোধনাগারের জন্য হালদা নদী থেকে এবং রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত কর্ণফুলী শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার ১ ও ২ এর জন্য কর্ণফুলী নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে। কিন্তু এখন দুটি নদীতে পানির উচ্চতা কমে গেছে। কাপ্তাই লেকে পানির স্তর কমে যাওয়ায় পানি ছাড়া হচ্ছে না। এতে জোয়ারের সময় হালদার অনেক ভেতরে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ছে।
নদীর পানিতে লবণাক্ততা বিষয়ে ওয়াসা পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লবণাক্ততার মাত্রাটা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। লবণাক্ততা দূরীকরণে শোধনাগারের জন্য নদীর যেখান থেকে পানি সংগ্রহ করা হয় সেখানে ‘রিভার্জ অসনোসিস সিস্টেম’ বসানো যেতে পারে। তখন গ্রাহক পর্যায়ে সরবরাহ করা পানিতে লবণের মাত্রা থাকবে না।
চট্টগ্রাম ওয়াসা বর্তমানে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-১ থেকে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার, মোহরা পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার, শেখ রাসেল পানি শোধনাগার থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার ও গভীর নলকূপ থেকে দৈনিক ৪ কোটি লিটার নিয়ে দৈনিক মোট ৪৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। নগরে বর্তমানে পানির চাহিদা প্রায় ৫৫ কোটি লিটার। কিন্তু লবণাক্ততার কারণে উৎপাদন আরও কমিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি।
আরও পড়ুন: সুপেয় পানির সংকট নিরসনের দাবিতে খালি কলসি মিছিল!
কুমিল্লায় মাছবাহী ট্রাক উল্টে নিহত ৪, আহত ৩
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় মাছবাহী একটি ট্রাক উল্টে ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টায় চান্দিনার বেলাসর এলাকার আর এন আর পাম্পের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
নিহতরা হলেন- ভোলা মনপুরার মনির হোসেন, হাবিবুর রহমান, আক্তার হোসেন এবং সাতক্ষীরা জেলার সদর থানার রফিকুল ইসলাম।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম মোল্লাজানান, নোয়াখালী থেকে ঢাকামুখী মাছবাহী ট্রাক চান্দিনার বেলাসর এলাকায় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়।
এতে ট্রাকের উপরে থাকা ৪ শ্রমিক মাছের চাপায় ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ৩ জন।
তিনি বলেন, তাদের প্রথমে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন আহত
লক্ষ্মীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত, আহত ২
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ১৭৯
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জেরে সোমবার ১৭৯ জন সশস্ত্র বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশে।
গতকাল সকালে ৪৬নং পিলার ও বিকালে ৪৫ নম্বর পিলারের জামছড়ি গ্রামে পালিয়ে আসেন তারা। নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের রাখা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক মুজাহিদ উদ্দিন।
তিনি জনান, সকালে আশ্রিত ২৯ জন বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হযেছে। পরে বাকি ১৫০ জনকেও একই স্থানে রাখা হয়। তবে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত হয় এমন কোনো স্থানে না রাখতে তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে বৃহস্পতিবার ফেরত পাঠানো হবে: বিজিবি
তিনি আরও জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (বিজিবি-১১) অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে রেখেছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমে ২৯ জন ও পরে ১৫০ জন বিজিপি সদস্য প্রবেশ করে বাংলাদেশে। বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বেপরোয়া ট্রাকচাপায় ১১ বছর বয়সী এক মাদরাসা শিশু নিহত হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টায় উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের গোহারুয়া বেপারী বাড়ির সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গাড়ির চালক পলাতক।
নিহত শিশু রবিন ভূইয়া গোহারুয়া গ্রামের জামাল ভূইয়ার ছেলে। রবিন মানিকমুড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে রবিন মাদরাসা থেকে এসে তার বাবার কাছে যাচ্ছিল। তার বাবা স্থানীয় মান্দ্রা বাজারের একটি বেসরকারি ব্যাংকের উপশাখার সিকিউরিটি গার্ড। এ সময় গোহারুয়া বেপারী বাড়ির সামনে এলে বেপরোয়া গতির বালিবাহী একটি ট্রাকচাপা দেয়। এতে ট্রাকের চাকার নিচে তার মাথা থেতলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, মানিকমুড়া-মান্দ্রা সড়কটি এক লেনের। কিন্তু আশপাশের কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে পাশের ইটভাটাগুলোতে নেওয়া হয়। বালি উত্তলন করেও এই সড়ক ব্যবহার করা হয়। বেশি মাটি ও বালি পারাপারের জন্য চালকরা বেপরোয়াভাবে এই সড়কে ট্রাক চালায়। এতে করে দুর্ঘটনাও ঘটে। কিন্তু সব দুর্ঘটনার খবর মানুষ পায় না। প্রভাবশালী মহল টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেয়।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটির বিষয়ে শুনেছি। ওই এলাকা থেকে আগে তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা অভিযোগের অপেক্ষায় থাকি। উপজেলাজুড়ে অভিযান চালাই। অবৈধভাবে মাটি কাটে বেপরোয়া গতির বাহনের বিরুদ্ধে আমরা ওই এলাকায় শিগগিরই অভিযান চালাব।
আরও পড়ুন: নাটোরে গাছের ডাল মাথায় পড়ে শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় যুবক কারাগারে
চট্টগ্রামে ফেসবুকে মানহানিকর তথ্য সম্বলিত পোস্ট ও কমেন্ট করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়ের করা মামলায় মো. জাহেদ নামে এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক আসামি জাহেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় পাট ও বস্ত্রবিষয়ক সম্পাদক তারেক মাহমুদ চৌধুরী এই মামলা করেন।
বাদীর আইনজীবী অঞ্জন জানান, আসামি মোহাম্মদ জাহেদের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনের দায়ের করা মামলায় সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাকে কারগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলা থেকেই অব্যাহতি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা
বাদী তারেক মাহমুদ চৌধুরী তার মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় উপ পাট ও বস্ত্রবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আসামি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে তার বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৬ ও ২৭ মার্চ আফজালুর রহমান বাবু নামে একজনের একটি ফেসবুক আইডির পোস্টে এবং একই আইডির অন্য আরেকটি পোস্টে আসামি জাহেদ বাদীর বিরুদ্ধে মানহানিকর ও আপত্তিকর মিথ্যা তথ্য সম্বলিত কমেন্ট করেন।
এছাড়া আসামি জাহেদ বাদীর নাম ব্যবহার করে ‘পাপ্পু ভাই সমর্থক গোষ্ঠী’ নাম দিয়ে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে বাদীর নাম-ছবি ব্যবহার করে অশালীন তথ্য পোস্ট করে।
এ ব্যাপারে বাদী তারেক মাহমুদ চৌধুরী ৩১ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩ (২)/২৪(১)(ই)/ ২৫ (২)/২৬/২৯(১) ধারায় জাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মহানগরীর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন
ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৯ সদস্য
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৯ সদস্য সোমবার আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি জানান, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিজিপি, সেনা সদস্য ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবককে ‘কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা’ করল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী
২২ দিন পর বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী