%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE
খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে আড়ংঘাটা থানার তেলিগাতি বরইতলা ফকিরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত এনায়েত হোসেন (২৮) খুলনার রুপসা এলাকার বাসিন্দা।
আড়ংঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) লুৎফুল হায়দার এলাকাবাসীদের বরাত দিয়ে জানান, তেলিগাতির নজরুল ইসলামের বাড়িতে শনিবার সকালে বিদ্যুতের তার জড়ানো অবস্থায় এনায়েত হোসেনকে দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন এলাকাবাসী। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে কেসিসি
হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন কর আদায় শাখার প্রধান ও রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান।
কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স ধরার জন্য এখন নতুন ভবন ও বর্ধিত ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্সের বিল নথির সঙ্গে ওই ছবি যুক্ত থাকবে। এতে করে নগরীর সব ভবনের প্রকৃত ধারণা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে থাকবে। এতে করে হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করার সময় যে অনিয়ম হতো তা অনেকাংশে কমবে। বাড়বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং রাজস্ব আয়। একই সঙ্গে এখন ভবন মালিকরা ইচ্ছা করলেই ঘরে বসে হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে জমা দিতে পারেন। এতে করে বাড়ির মালিকদের সময় বাঁচবে আর ঝামেলা মুক্ত থাকবেন।
তিনি বলেন, নগরীতে নতুন করে ১ হাজার ১৫৮টি ভবন হয়েছে। যার বিপরীতে ট্যাক্স ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯ টাকা। এছাড়া ১ হাজার ৪০৩টি ভবনের ট্যাক্স হালনাগাদ করা হয়েছে। এসব ভবনের বিপরীতে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। চলতি বছরে নতুন করে মোট ৬ কোটি ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এ ট্যাক্স আদায়ে কেসিসি নতুন নতুন কৌশল গ্রহণসহ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জয়ী
কেসিসির প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু বলেন, ভবন মালিকদের সহনীয় পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এতে করে ভবন মালিকরা সন্তুষ্টচিত্তে নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন।
এছাড়া এককালীন হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে ভবন মালিকদের ছাড় দেওয়াসহ নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সচেতন হোল্ডিং মালিকরা কেসিসি এ সুবিধা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে খুলনা নগরীতে ৭৬ হাজার ৬২৮টি হোল্ডিং রয়েছে। এর বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কেসিসি প্রায় সাড়ে ৪২ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে। আনাদায়ী রয়েছে প্রায় কোটি টাকার মতো।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
কর আদায় শাখার প্রধান তপন কুমার নন্দী বলেন, অনাদায়ী ১০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্সের বড় অংশ আদায় করা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নৌ বাহিনীর, বন্ধ পাটকল, এজাক্স জুট মিল, দৌলতপুরের কয়েকটি পাটের গোডাউনসহ বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কেসিসির পাওনা ৫০ কোটি টাকার মতো হবে।
তবে বকেয়া টাকা ধারাবাহিকভাবে আদায় করা হচ্ছে। আগের মতো বাড়ির মালামাল ক্রোকসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখন আর ঘটছে না। ভবন মালিকরা অনেক সচেতন, তারা নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন বলে জানান তপন নন্দী।
বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের গতি বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১ হাজার ৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা
ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি যশোর কারাগারের বন্দিরা
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকলেও কোনো বন্দিই ভোট প্রদান করেননি। কারাগারে প্রায় এক হাজার ২৬৫ বন্দির মধ্যে একজনও ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন না।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো বন্দি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদনও করেননি। ফলে, কারাগারে বন্দিদের কেউ তাদের ভোট প্রদান করেননি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
যদিও কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এমনকি তারা বন্দিদের মধ্যেও এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারাগারেই বন্দির সংখ্যা কমাবাড়ার মধ্যেই আছে। বর্তমানে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজার ২৬৫ বন্দি রয়েছেন। তার মধ্যে নারী রয়েছেন ৭৫ জন। বাকি সবাই পুরুষ।
কারা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবারের মতো এবারো কারাগারে আটক বন্দিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়ার সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের জানালেও তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে রাজি হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারাগারে কোনো বন্দি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেননি।
এর আগে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল কারা বন্দিদের।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম ইউএনবিকে জানান, প্রতিনিয়তই কারাগারে বন্দি আসছেন আবার জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। পরিপত্র পাওয়ার পর থেকেই প্রতিদিনই এ বিষয়ে বন্দিদের জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসের পাশ থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে একটি বিশেষ টিমও কাজ করে। তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি জানান, এবিষয়ে কিছু নিয়মকানুন মেনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হয়। এ কারাগার থেকে কোনো বন্দি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়নি।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁর বদলগাছীতে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যৌথভাবে চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁর বদলগাছীতে রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে নওগাঁ জেলার বদলগাছীতেও ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, গত কয়েক দিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির আশপাশে থাকলেও হঠাৎ করে আজ নেমে গেছে। সকাল ৯টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ জেলার ও দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, নওগাঁ জেলার বদলগাছীতেও ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে যৌথভাবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এই দুই জায়গায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
এদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সড়কে কমেছে মানুষের চলাচল। শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
দিনমজুর সাত্তার আলী বলেন, ‘খুব শীত পড়ছে। আজ কাজে যেতে পারিনি। কাজ না করলে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাবে।'
চালক আলামিন বলেন, ‘শীতে মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। তাই যাত্রী কম। আর যে শীত, গাড়ি চালানোও খুব কষ্টের।’
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসে। সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা যায়। যার কারণে রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচল তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ফের বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
১১ জানুয়ারি থেকে চলবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন
রাজধানীর গোপীবাগে 'বেনাপোল এক্সপ্রেস' ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বন্ধ থাকা ট্রেনটি পুনরায় চলাচল শুরু করবে ১১ জানুয়ারি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল স্টেশন মাস্টার শাহিদুজ্জামান বলেন, ট্রেনটি বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ওইদিন রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।
ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই রাতে ঢালারচর ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য
এক দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
তবে সোমবার দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০টি ককটেল উদ্ধার
জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বন্দরের নিরাপওার স্বার্থে বন্ধ ছিল আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় রবিবার স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। সোমবার পুনরায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগে ইআরডিএফবির নিন্দা
বন্দর চালু হওয়ার পর ৮৯টি ট্রাক প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ছিল স্বাভাবিক।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাবন্দ্র সিংহা জানান, বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। তবে বন্দরে যেসব ভারতীয় খালি ট্রাক আটকা ছিল সেগুলো ভারতে ফিরে যেতে অর্ধ দিবস খোলা ছিল কাস্টমস কার্গো শাখা।
আরও পড়ুন: ২ দিন চলবে না বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ২১ ট্রেন
ঝিনাইদহে নির্বাচনের পর ৫০টি বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ, আহত ১০
ঝিনাইদহে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া এসব বাড়িঘরে লুটপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও সুরাপাড়া গ্রামে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে সতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণার পর সদরের ওই তিনটি গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরই জের ধরে সোমবার সকালে মহুলের সমর্থক পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনের অনুসারীরা পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির সমর্থক জেলা যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম খলিল রাজার বাড়িসহ তার অনুসারীদের বাড়িতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও শুরাপাড়া গ্রামের অন্তত ৫০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং বাধা দেওয়ায় তাদের হামলায় আহত হয় অন্তত ১০ জন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টসহ আহত ৪
সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
প্রজনন মৌসুমের কারণে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার উপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই জেলেদের কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমতিপত্র) বন্ধ রাখা হয়েছে।
১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। অবৈধভাবে কেউ যাতে বনে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারেও নেওয়া হয়েছে বন বিভাগের পক্ষে থেকে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ মা কাঁকড়ার প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময়ে প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে সরকারিভাবে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমোদন) বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এই দুই মাসে ডিমওয়ালা মেদী-মায়া কাঁকড়া বিভিন্ন নদী খালে কোটি কোটি বাচ্চা ছাড়ে। আর বনের উপকূলীয় এলাকার হাজারো জেলে এই কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। এ ছাড়া এই কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করে ব্যবসায়ীরাও বছরে কোটি টাকা আয় করেন।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জল ভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গ কিলোমিটার। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
সুন্দরবনের জল ভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। বনের এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এবং মা কাঁকড়ার প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখেন।
আরও পড়ুন: ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
এদিকে এই দুই মাস কীভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো জেলে।
কয়রা উপজেলার ৬ নম্বর কয়রা গ্রামের জেলে শ্যামল কয়াল বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে। বন বিভাগ অনুমোদন বন্ধ করে দিয়েছে তাই সুন্দরবন থেকে তিন দিন আগে কাঁকড়া ধরা বন্ধ করে বাড়ি ফিরে এসেছি। শুধু আমি না আমার মতো সব জেলে নৌকা নিয়ে ফিরে এসেছে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনো লোক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে যায় না। আর যারা যায় তারা অধিকাংশ অতি দরিদ্র পরিবার।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে এই দুই মাস দরিদ্র পরিবারগুলোর খেয়ে না খেয়ে কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। তারপরও সরকারি নিয়ম তো মানতে হবে। তাছাড়া কাঁকড়া ধরা বন্ধের সময়ে সরকারি কোনো ভাতার ব্যবস্থা থাকলে এমন কষ্ট হতো না। তিনি বন্ধের সময়ে সরকারি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে অনুমোদন বন্ধ থাকায় অসহায় জেলেরা অতি কষ্টে জীবনযাপন করে। তাই এই দুই মাস জেলেদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল বলেন, এলাকায় কাঁকড়া ধরা বন্ধের বিষয় মাইকিং করা হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনে কাঁকড়া বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বারের মতো এবারও জেলেদের অনুমোদন বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাঁকড়ার যখন ডিম হয় তখন কাঁকড়া ধরা খুব সহজ। এই সময়ে কাঁকড়া খুব ক্ষুধার্ত থাকে। এদের সামনে যে খাবার দেওয়া হয় তাই খাওয়ার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে। এই সময় যদি কাঁকড়া ধরা না হয় তাহলে পরের বছর বেশি কাঁকড়া উৎপাদন সম্ভব। যে কারণে কাঁকড়ার প্রজননকাল নির্বিঘ্নে রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় নিহত ৩
তিনি বলেন, এখন শুধু মাছের পাস দেওয়া হচ্ছে। মাছের পাস নিয়ে কেউ কাঁকড়া ধরলে বা কোনো নৌকায় কাঁকড়া ধরা সরঞ্জাম পেলে সেসব জেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে বন বিভাগ কঠোর অবস্থা রয়েছে। যাতে করে কেউ কাঁকড়া আহরণ করতে না পারে।
নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী: ভোট দেওয়ার পর সাকিব
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান বলেছেন, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
রবিবার সকাল ৮টা ১ মিনিটে নগরীর দাড়ি মাগুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
শীতের কারণে সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বিকেলে ভোটার সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
মাগুরা-১ আসনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া এই আসনে মোট ৪লাখ ৪৮৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মাগুরার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাসের বেগ বলেন, নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে মাগুরা ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আইনজীবী সাইফুজ্জামান শিখর।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাকিব
অন্যদিকে সকাল ১০টায় মাগুরা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ডক্টর শ্রী বীরেন শিকদার শালিখা উপজেলার সিংড়া স্কুল ভোটকেন্দ্রে তার ভোট দেন।
তিনিও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী বিজিবি, র্যাব ও আনসার বাহিনীর পাঁচ হাজার ৬৮ জন সদস্য এবং এর পাশাপাশি ২৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: জবাবে যা বললেন সাকিব
খুলনায় ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে ককটেল উদ্ধার
খুলনা-৫ আসনের ডুমুরিয়ায় একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৭ জানুয়ারি) সাড়ে ১১টায় ডুমুরিয়া উপজেলার চুগনগর ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে ককটেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পাইলট কুমার গাইন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আনসার সদস্য জীবন সরকার বলেন, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হঠাৎ করে লোকজন একটি বস্তু দেখতে পায়। পরে সেটিকে বালতি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এ সময় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বলেন, ককটেলটি জব্দ করে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কে বা কারা ককটেলটি কেন্দ্রের সামনে রেখেছে সেটি জানা যায়নি বলেও জানান এসআই।