%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95
দক্ষিণ কোরিয়ার কৌশলগত স্বার্থ নেই, পারস্পরিক লাভজনক উপায়ে আরও গভীর করা যেতে পারে ঢাকা-সিউল সম্পর্ক: রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়ই পারস্পরিক লাভজনক উপায়ে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে পারে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) কসমস ডায়ালগে মূল বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, ‘কোরিয়া ভারত, চীন বা যুক্তরাষ্ট্র নয় এবং (বাংলাদেশে) কৌশলগত স্বার্থ নেই।’
গত পাঁচ দশকে উভয় দেশের অর্জনের ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ৫০ বছরকে আরও সমৃদ্ধ করার এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, এ জন্য উভয় দেশকে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
'বাংলাদেশ-সাউথ কোরিয়া রিলেশনস: প্রগনোসিস অব দ্য ফিউচার' শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করেছে কসমস ফাউন্ডেশন। যা তাদের অ্যাম্বাসেডরস লেকচার সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ।
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি, পণ্ডিত-কূটনীতিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী আয়োজনটির সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন।
কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান সমাপনী বক্তব্য দেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ খান।
প্যানেল আলোচনায় ছিলেন- কসমস ফাউন্ডেশনের অনারারি অ্যাডভাইসর ইমেরিটাস সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান, রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ. করিম; মোহাম্মদী গ্রুপের চেয়ারম্যান রুবানা হক; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী।
১৯৭৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশ রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং জনশক্তি বিনিময়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে আসছে। সম্প্রতি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। পুঞ্জীভূত অর্থের দিক থেকে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ পঞ্চম বৃহত্তম।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জুতা ও চামড়া, আইসিটি, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাঙা শিল্প, ব্লু ইকোনমি ও গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ, কৃষি ও কৃষি যন্ত্রপাতি, গ্রিনহাউস ও কার্বন ট্রেডিং স্কিমকে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ৯ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের এক ফাঁকে বৈঠক করেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করার অঙ্গীকার করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণ, দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি, শিক্ষা খাতে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, ফ্যাশন ডিজাইনে সহযোগিতা ও বিদ্যমান বাণিজ্যে মূল্য সংযোজনের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
সংলাপে সাবেক ও বর্তমান কূটনীতিক, পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ সফরে ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ সদস্যের ব্রিটিশ ক্রস-পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল সফরে আসছে।
২৮ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
তাদের আজ (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম সংসদীয় সফর।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ চায় যুক্তরাজ্য
সাবেক কনজারভেটিভ টেক অ্যান্ড ডিজিটাল ইকোনমি মন্ত্রী পল স্কালি এমপির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এই সংসদীয় প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- ৩ জন লেবার দলের সংসদ সদস্য (এমপি)। তারা হলেন- বাংলাদেশবিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশ বিষয়ে এপিপিজির চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপি, ইউকে হাউস অব কমন্সের পররাষ্ট্রবিষয়ক নির্বাচন কমিটির সদস্য নিল কোয়েল এমপি ও হাউস অব কমন্সে বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন এমপি। হাউস অব কমন্সের জ্যৈষ্ঠ সংসদীয় সহকারী ডমিনিক মফিটও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
এছাড়া, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকবেন কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই এবং কানেক্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ইভেলিনা বানিয়ালিয়েভা।
প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়া সফর করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এবারই প্রথম ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ পরিদর্শন করছে।
সফরকালে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করার পর একটি সবুজ পোশাক কারখানা পরিদর্শন করবে।
তারা ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য সিলেট সফর করবেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় প্রদান এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে ৩০ জানুয়ারি প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল এবং কমনওয়েলথ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কানেক্ট এই সফরের সমন্বয় করছে।
প্রতিনিধি দলটির ৩১ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ রয়েছে: জার্মান রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত এক দশকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার।
বিশেষ করে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিকভাবে উপস্থাপনের পরিবর্তে বর্তমানে যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি বাংলাদেশের শক্তিশালী ও স্পন্দনশীল আধুনিক আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সংযুক্ত রয়েছি। জার্মানিতে নতুন বাংলাদেশের অর্জন জোরালোভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন আচিম ট্রস্টার।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ানের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নতুন বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মাধ্যমে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ করে দিচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড.হাসানকে অভিনন্দন জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া জার্মান ফেডারেল মিনিস্টার আনালেনা বেয়ারবকের অভিনন্দন বার্তা হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের শুভেচ্ছা বার্তার হার্ড কপিও হস্তান্তর করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু'দেশের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক আখ্যায়িত করে বলেন, আজকের প্রাণবন্ত বাংলাদেশ-জার্মান সম্পর্কের শিকড় রয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে।
আরও পড়ুন: মর্যাদাপূর্ণ ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
তিনি অসংখ্য যুদ্ধ-শিশুকে পালক পিতামাতা হিসাবে দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে জার্মানি ও এর নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য সহায়তার কথা স্মরণ করেন। স্বাধীনতার পরে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের জার্মান চিকিৎসা সহায়তার প্রশংসাও করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্মৃতিচারণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান জার্মান রাষ্ট্রদূত। ১৯৭২ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্যের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন আচিম ট্রস্টার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জার্মান রাষ্ট্রদূত ইউক্রেন, গাজা ও লোহিত সাগরসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ ও সংঘাত এবং এর ফলে দুই দেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে আরও কৌশলগত সহযোগিতা-অংশীদারিত্ব চায় ফ্রান্স
বাংলাদেশের সঙ্গে আরও কৌশলগত সহযোগিতা-অংশীদারিত্ব চায় ফ্রান্স
জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, সাইবার নিরাপত্তা, আইসিটি, প্রতিরক্ষা, এভিয়েশন, মহাকাশ, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
তিনি দু'দেশের জনগণের মধ্যে সংস্কৃতি, রন্ধনপ্রণালী ও শিল্পকলার মিল তুলে ধরেন এবং প্রত্নতাত্ত্বিক মিশন ও সাংস্কৃতিক দল বিনিময়ে সহযোগিতা বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
আগামী বছর প্যারিসে বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও শিল্পকলা নিয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী একটি উৎসবের আয়োজন করবে ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফ্রান্সের স্বীকৃতির কথা স্মরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া কয়েকটি দেশের মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম। এসময় দু'দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেন হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফর এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানেল ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত সম্পর্কের দিকে রূপান্তরিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় ফরাসি প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন পত্র দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগামী তিন বছরে ১ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক প্রতিশ্রুতিসহ উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য ফরাসি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উত্থাপিত গভীর উদ্বেগের জবাবে ফরাসি রাষ্ট্রদূত তার সরকারের অব্যাহত মানবিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের আশ্বাস দেন।
উভয় পক্ষই গাজার যুদ্ধের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন এবং সঙ্কটের দ্রুত অবসানের প্রত্যাশা করেছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
মর্যাদাপূর্ণ ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
পদ্মশ্রী সম্মাননার জন্য বাংলাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে মনোনীত করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এই ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।
পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী এই তিনটি বিভাগে ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্ম পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শিল্পকলা, সমাজকর্ম, জনসাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, বাণিজ্য ও শিল্প, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শিক্ষা, ক্রীড়া, সিভিল সার্ভিস ইত্যাদি বিভিন্ন শাখায় এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
ব্যতিক্রমী ও বিশিষ্ট সেবার জন্য 'পদ্মবিভূষণ' প্রদান করা হয়; উচ্চপদস্থ সেবার জন্য 'পদ্মভূষণ' এবং যে কোনও ক্ষেত্রে বিশিষ্ট সেবার জন্য 'পদ্মশ্রী'।
প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের চ্যানেল এসের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পেলেন সাঈদা মুনা তাসনীম
এই পুরষ্কারগুলো প্রতি বছর মার্চ বা এপ্রিলের দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রদান করে থাকেন।
২০২৪ সালে ২টি যৌথভাবে ( দ্বৈতভাবে পুরষ্কারটির দেওয়া হয়) সহ ১৩২টি পদ্ম পুরষ্কার প্রদানের অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এই তালিকায় রয়েছে ৫টি পদ্মবিভূষণ, ১৭টি পদ্মভূষণ এবং ১১০টি পদ্মশ্রী পুরস্কার। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩০ জন নারী এবং তালিকায় বিদেশি, এনআরআই, পিআইও এবং ওসিআই বিভাগের ৮ জন এবং মরণোত্তর পুরষ্কার প্রাপকদের মধ্যে ৯ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
স্পিকারের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ানের সাক্ষাৎ
সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সান হাইয়ান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) স্পিকারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্ব, ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা, বঙ্গবন্ধুর চীন সফর, সংসদীয় কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: আবারও শীর্ষ করদাতা বিএটি বাংলাদেশ
স্পিকার বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠন এবং সংসদীয় রীতিনীতি বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক আরও জোরদার করা যেতে পারে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছে উল্লেখ করে স্পিকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহায়তা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
বন্যপ্রাণী পাচার রোধে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাঘ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকলের বাস্তবায়ন এবং সুন্দরবন সংরক্ষণে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা জানান।
এ উপলক্ষে ভারতীয় ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দুই দেশ একযোগে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির
মন্ত্রী বলেন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ও জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাও একই সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ইকো-ট্যুরিজম এবং সক্ষমতা বিনির্মাণেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশ, বন সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চাই।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির
বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এ দুই দেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং বিমান চলাচল ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয় এবং এ বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
ইউরোপীয় এভিয়েশন জায়ান্ট এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন পারমিট করবে তখনই বাংলাদেশ কিনবে।
বিমান কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ক্রয়ের বিষয়ে এ ধরনের 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত' পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হয় না।
দুই রাষ্ট্রদূত নিজ নিজ সরকার প্রধানের অভিনন্দনপত্র হস্তান্তর করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এ দুটি দেশই বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন ও বাণিজ্য অংশীদার। আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই সাংবাদিকদের বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে এরই মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে দুই দেশ এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়।
সাক্ষাৎকালে তারা বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, সংস্কৃতিসহ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
মেরি মাসদুপুই আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর করতে সম্মত হয়েছে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালনের আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
সামনের মাসে জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় নিরাপত্তাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বার্ষিক সংলাপ মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈশ্বিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, সম্মেলনের ফাঁকে যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে তার মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
আরও পড়ুন: অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এর আগে ২০১৯ সালে নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানায়, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেলেও নির্বাচনোত্তর তার প্রথম সরকারি সফর জার্মানি দিয়ে শুরু হতে পারে।
জার্মান নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও সাইডলাইনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।
২০২৪ সালের ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখের হোটেল বেরিসচার হোফে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
আয়োজকরা জানায়, আবারও বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি বিষয় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বিতর্কের জন্য অনন্য সুযোগ দেবে এমএসসি ২০২৪।
১৯৬৩ সালের শরতে প্রতিষ্ঠিত এমএসসি পরবর্তী প্রধান সম্মেলনে ৬০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।
প্রতি বছর নিরাপত্তা সম্মেলনের আগে প্রকাশ করা হয় মিউনিখ নিরাপত্তা প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বর্তমান সুরক্ষা নীতি সম্পর্কিত মৌলিক তথ্য-উপাত্ত এবং গ্রাফিক্স রয়েছে, যা এমএসসির বিখ্যাত অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় সংকলন করা হয়েছে। মিউনিখ নিরাপত্তা প্রতিবেদন মিউনিখের সম্মেলনে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর তথ্য যারা ছড়ায় তাদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাঠামো বিবেচনা করছে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' কোনো বিবৃতির কারণে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, 'ড. ইউনূস ইস্যুতে কিছু লোক বেশ কিছু লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। লবিস্টদের বিবৃতির কারণে বিনিয়োগে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূস গত ১২ বছর ধরে আলোচনায় রয়েছেন। তারপরও বাংলাদেশ এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ পায়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। এর সঙ্গে বিনিয়োগের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি স্রেফ আইনি বিষয়।’
ড. ইউনূসের কর্মচারীরা তাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়ে মামলা করেছেন। সেই মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারে এখানে কোনো পক্ষ নয়।
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তার কর্মচারীরা মামলাটি দায়ের করেছেন। সরকার এখানে কোনো পক্ষ নয়। এটা আদালতের সিদ্ধান্ত। সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফুল হাসান, মো. ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের কিছু শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, সরকারি ছুটি নগদায়ন না করা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
ড. ইউনূস দাবি করেন, তিনি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন যা তিনি করেননি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। আপনি যদি এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চান, বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী