বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে ফ্রান্স ও জার্মানি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে এ দুই দেশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং বিমান চলাচল ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয় এবং এ বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনায় আরও অগ্রগতি হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
ইউরোপীয় এভিয়েশন জায়ান্ট এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন পারমিট করবে তখনই বাংলাদেশ কিনবে।
বিমান কেনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কি না- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ক্রয়ের বিষয়ে এ ধরনের 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত' পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হয় না।
দুই রাষ্ট্রদূত নিজ নিজ সরকার প্রধানের অভিনন্দনপত্র হস্তান্তর করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এ দুটি দেশই বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন ও বাণিজ্য অংশীদার। আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই সাংবাদিকদের বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম শুরু করতে চায়।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে এরই মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে দুই দেশ এই সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়।
সাক্ষাৎকালে তারা বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, সংস্কৃতিসহ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
মেরি মাসদুপুই আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর করতে সম্মত হয়েছে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালনের আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী