গত এক দশকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার।
বিশেষ করে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিকভাবে উপস্থাপনের পরিবর্তে বর্তমানে যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে, তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এই মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি বাংলাদেশের শক্তিশালী ও স্পন্দনশীল আধুনিক আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সংযুক্ত রয়েছি। জার্মানিতে নতুন বাংলাদেশের অর্জন জোরালোভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন আচিম ট্রস্টার।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ানের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নতুন বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মাধ্যমে বিনিয়োগের চমৎকার সুযোগ করে দিচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ড.হাসানকে অভিনন্দন জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া জার্মান ফেডারেল মিনিস্টার আনালেনা বেয়ারবকের অভিনন্দন বার্তা হস্তান্তর করেন রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের শুভেচ্ছা বার্তার হার্ড কপিও হস্তান্তর করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু'দেশের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক আখ্যায়িত করে বলেন, আজকের প্রাণবন্ত বাংলাদেশ-জার্মান সম্পর্কের শিকড় রয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে।
আরও পড়ুন: মর্যাদাপূর্ণ ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
তিনি অসংখ্য যুদ্ধ-শিশুকে পালক পিতামাতা হিসাবে দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে জার্মানি ও এর নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য সহায়তার কথা স্মরণ করেন। স্বাধীনতার পরে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের জার্মান চিকিৎসা সহায়তার প্রশংসাও করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্মৃতিচারণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান জার্মান রাষ্ট্রদূত। ১৯৭২ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সৌহার্দ্যের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন আচিম ট্রস্টার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জার্মান রাষ্ট্রদূত ইউক্রেন, গাজা ও লোহিত সাগরসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ ও সংঘাত এবং এর ফলে দুই দেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে আরও কৌশলগত সহযোগিতা-অংশীদারিত্ব চায় ফ্রান্স