বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশ সফরে আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ
পারস্পরিক স্বার্থ-দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আগামী ৭-৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
বাংলাদেশ সফর শেষে ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
তবে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রুশ দূতাবাস পরিকল্পিত সফরের বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।
তবে মস্কোর একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ তার বাংলাদেশের সমকক্ষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-রাশিয়া অংশীদারিত্ব দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ পূরণ করে: সের্গেই লাভরভ
জন্য গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২২ তম আইওআরএ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে যোগদানের জন্য ২৩ নভেম্বর লাভরভের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এই সফর স্থগিত করা হয়।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও তার রুশ সমকক্ষ সের্গেই লাভরভ টেলিফোনে আলাপ করেন এবং বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এবং এ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
টেলিফোনে আলাপকালে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিডিউল জটিলতার কারণে ঢাকায় আসতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
মোমেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া আলোচনার জন্য এখনও প্রস্তুত: সের্গেই লাভরভ
হাসিনা-শি বৈঠক: বেইজিংয়ের সঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করতে চায় ঢাকা
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা, বর্ধিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং ঋণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চায় বাংলাদেশ।
সোমবার (২২ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ইঙ্গিত দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাইডলাইনে বেশ কয়েকটি বৈঠকের ব্যবস্থা করব। শেষ মুহূর্তে এ ধরনের বৈঠক চূড়ান্ত হয় । এ কারণে এগুলো এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, ২৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে।
এজেন্ডায় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, তিনি যেখানেই যান না কেন তিনি বলেন ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য’ এবং যদি তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকেন, তাহলে তিনি চীনের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকায় আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার সকালে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস সংলাপে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং দুই দেশ বেসরকারি খাতের ১৩ বিলিয়ন ডলারের পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে মোট ২৩ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা গত আট বছরে মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলার পেয়েছি। প্রকল্পগুলো ত্বরান্বিত করা একটি আলোচনার বিষয় হতে পারে।’
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কম সুদে ঋণ চায়, যা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু সমস্যা এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন সমস্যা আলোচনায় থাকবে। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগও চাই।’
আরও পড়ুন: ভারতের মতো পরিপক্ক সরকার আঞ্চলিক স্বার্থে কিছু বলতেই পারে: মোমেন
তিনি বলেন, আমরা তাদের বলব বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে।
চীনের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তাদের বিশেষজ্ঞ, যারা এসব বিষয়ে অধ্যয়ন করেন তারা বলেন, এটা দেশের জন্য ভালো। ‘তবে আমরা এখনও কথা বলিনি। আমরা এখনও এটিতে সই করিনি।’
মোমেন বলেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলে উভয়ের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মূল নীতি হচ্ছে শান্তি ও স্থিতিশীলতা।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোনো দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রধান লক্ষ্য।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে চেয়েছে। কারণ উভয় প্রধানমন্ত্রীর সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মোমেন বলেন, ‘জোহানেসবার্গে সময় খুবই সীমিত এবং শেষ মুহূর্তে সবকিছু নিশ্চিত করা হয়েছে।’
এমিরেটসের একটি নিয়মিত ফ্লাইট ২২ আগস্ট সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ওআর- টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের একজন মিনিস্টার-ইন-ওয়েটিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার অভ্যর্থনা জানাবেন। যেখান থেকে শেখ হাসিনাকে রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটন জোহানেসবার্গে বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতির প্রশংসায় মার্কিন কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি
বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের সন্ত্রাস ও দুর্নীতি ফিরলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে বাংলাদেশে ‘জিহাদি তৎপরতা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি’ যেভাবে প্রসারিত হয়েছিল সেটি ফিরে আসলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আফগানিস্তানের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশে যদি জিহাদি (ক্রিয়াকলাপ) থাকে, তাহলে পুরো অঞ্চলের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয় অঞ্চলে উন্নয়নের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মূলনীতি হচ্ছে শান্তি ও স্থিতিশীলতা’।
আরও পড়ুন: ‘হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে’ মার্কিন পদক্ষেপ দ. এশিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়: ওয়াশিংটনকে দিল্লি
তিনি বলেন, ভারতও সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব উপলব্ধি করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রধান কারণ।’
ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি সৌজন্য সাক্ষাত চেয়েছিল কারণ নয়াদিল্লিতে সেপ্টেম্বরে জি-২০ -এর সাইডলাইনে উভয় প্রধানমন্ত্রীর বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি
মোমেন বলেন, ‘জোহানেসবার্গে সময় খুবই সীমিত। এবং সরকারগুলো শেষ মুহূর্তে সবকিছু নিশ্চিত করে।’
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো বৈঠক হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়, পূর্বের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হবে।
মোমেন বলেন, ‘আমরা আরও বিনিয়োগ এবং আরও বাণিজ্য চাই। সাধারণত আমরা এই বিষয়গুলো উত্থাপন করি।’
এমিরেটসের একটি নিয়মিত ফ্লাইট (ইকে ৫৮৩) ২২ আগস্ট সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ফ্লাইটটি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ওআর তাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় ৮টা ৫০ মিনিটে পৌঁছাবে।
প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের একজন মিনিস্টার-ইন-ওয়েটিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার অভ্যর্থনা জানাবেন। এরপর শেখ হাসিনাকে রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটন জোহানেসবার্গে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের মতো পরিপক্ক সরকার আঞ্চলিক স্বার্থে কিছু বলতেই পারে: মোমেন
বাংলাদেশ থেকে ঋণ নেওয়া ২০০ মিলিয়নের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার শোধ করেছে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের সময় বাংলাদেশের থেকে নেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা।
সোমবার (২১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণের মধ্যে আমরা প্রথম কিস্তিতে ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত পেয়েছি। এই মাসের শেষের দিকে তাদের আরেকটি কিস্তি দেওয়ার কথা। আমরা আশা করছি তারা এই বছরের মধ্যে পুরো ঋণ পরিশোধ করবে।’
শ্রীলঙ্কা ২০২১ সালে কারেন্সি সোয়াপ সিস্টেমের অধীনে তিন মাসের মধ্যে পরিশোধের শর্তে ঋণ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
কিন্তু তারা সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় এবং দ্বীপরাষ্ট্রটি অভ্যন্তরীণ আর্থিক অস্থিরতার মধ্যে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার কারণে ঋণ পরিশোধের সময় বাড়াতে চায়। বাংলাদেশ কয়েক দফা সময়সীমা বাড়িয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট প্রথম ধাপে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। এরপর সেই বছরের ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং নভেম্বরে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হয়।
চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের আগস্ট, অক্টোবর ও নভেম্বরের মধ্যে সুদসহ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় দেশটি।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগ না করতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের মিত্র দিনেশ গুণবর্ধন
যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ পলকের
যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণও জানান মন্ত্রী।
শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে হোটেল তাজ ওয়েস্ট এন্ডে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহের ফোরাম জি-২০ সম্মেলন শেষে যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিমন্ত্রী পল স্কুলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পলক।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা বিনির্মাণে দুই দেশ একসাথে কাজ করতে পলকের আহ্বান
এসময় তারা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্যাশলেস ইকোনমি, স্টার্টআপ বিনিময়, বিটুবি ম্যাচমেকিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সবার উপকারে আসে এমন একটি ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চিহ্নিত করার জন্য তারা একমত পোষণ করেন তারা।
এ ছাড়া সিঙ্গাপুরের যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী জোসেফাইন টিও, নেদারল্যান্ডের ইন্টেরিয়র অ্যান্ড কিংডম বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি আলেকজান্দ্রা কার্লা ভ্যান হাফেলেন, ইউএনডিপি-এর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল উলরিকা মোদেরসহ জি-২০ এবং অতিথি দেশসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক পৃথক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, জি-২০ হচ্ছে বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর ফোরাম। ১৯টি দেশ এবং ইইউ নিয়ে গঠিত ফোরামটি বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম এটি।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান পলকের
পলকের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ভারতের মতো পরিপক্ক সরকার আঞ্চলিক স্বার্থে কিছু বলতেই পারে: মোমেন
ভারত সরকারকে ‘অত্যন্ত পরিপক্ক’ হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নয়াদিল্লি তাদের নিজেদের এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে কিছু বলতেই পারে। যদি এ বিষয়ে তারা কিছু বলেন, তবে এটি অবশ্যই এই অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে।
মোমেন বলেন, ভারত একটি অত্যন্ত শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ এবং সেদেশের সরকার অত্যন্ত পরিপক্ক। তারা (ভারত) তাদের জন্য যা ভালো মনে করে তাই করে। এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করার কোনো কারণ নেই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি তাদের একটি পরিপক্ক সরকার ব্যবস্থা রয়েছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনন্দবাজার পত্রিকা ও ডয়চে ভেলে বাংলার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ব্যাপারে সাংবাদিকরা তার মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে, হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের এবং সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয়।
বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত খুশি নয় এবং এই বার্তা ওয়াশিংটনকেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রটি জানিয়েছে।
দুটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরপরই সরকার ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এবং সেখানে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে আগামী মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাইডলাইনে বেশ কয়েকটি বৈঠকের ব্যবস্থা করব। শেষ মুহূর্তে এ ধরনের বৈঠক চূড়ান্ত হয় । এ কারণে এগুলো এখনো চূড়ান্ত রূপ পায়নি। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন: কোনো দেশ কি বন্দিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়: মোমেন
এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সরকার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত উভয় দেশেই বেশ কয়েকটি বৈঠক করার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকায় আমরা সীমিত সময় থাকব, যেগুলো সম্ভব আমরা সেসব বৈঠক (সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে) করার চেষ্টা করব এবং বাকিগুলো নয়াদিল্লিতে হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রায় ২২টি দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। পাঁচটি মূল সদস্য দেশ নতুন সদস্যদের নেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন এবং ঐকমত্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
মোমেন বলেন, আমরা জানি না কবে নতুন সদস্যরা যোগ দেবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে তারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অবস্থান করবেন।
নাম উল্লেখ না করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোদি জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে সারা বছর ধরে অনুষ্ঠিত সব জি-২০ প্রক্রিয়া ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এর আগে বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য নয়াদিল্লি জোহানেসবার্গের চেয়ে ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
কোনো দেশ কি বন্দিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য’ কোনো দেশ বন্দিদের বিদেশে পাঠানোর কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে রবিবার (২০ আগস্ট)সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানলে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সংবাদ সম্মেলনে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দেশে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাবিদকে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘কোনো দেশ কি বন্দিদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায়? আমি জানি না কোনো দেশ তাদের বন্দিদের ‘ভালো’ চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায় কি না। যদি কোনো দেশ করে, আমাদের জানান। এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতির প্রশংসায় মার্কিন কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু গারবারিনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন।
শুক্রবার রাতে (১৮ আগস্ট) নিউইয়র্কে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ১৪ বছরে দেশের অগ্রগতি ও সাফল্য দেখেছে এ জাতি।
তিনি আরও জানান, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে যোগ্য করে গড়ে তুলেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যও কাজ করেছে।
কংগ্রেসম্যান আরও বলেন, ‘আমি মনে করি অর্থনীতি, জ্বালানি খাত ও অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের উন্নতি এবং সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় এর ভূমিকা অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি শক্তি: প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করবে জাতিসংঘ
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভারত-বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের জাতি গঠন ও স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ দুই দেশ তাদের জনগণের জন্য উজ্জ্বল ও আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি’র (বিআইএফএস) মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন হাইকমিশনার।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির পক্ষ থেকে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
সেপ্টেম্বরে ভারতের সহায়তাপুষ্ট ৩ মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন: হাইকমিশনার
বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকার দেশটিতে চলতি সপ্তাহে সফরে যাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই নেতা।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে নেতারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ সফর করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি জোহানেসবার্গে উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তবে কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তা স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন-২০২৩: মডার্ন ডিপ্লোমেসি
এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ১৮তম জি-২০ ভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে চলতি বছরের জি-২০’র সব কার্যক্রম ও বৈঠকের সমাপ্তি হবে।
নয়াদিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তিতে জি-২০ নেতরা একটি ঘোষণা দেবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের প্রধান আলোচিত বিষয় এবং সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর নেতাদের প্রতিশ্রুতিগুলো উল্লেখ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলন ২০২৩: নতুন সদস্য হচ্ছে কোন কোন দেশ সেদিকেই সবার নজর
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য জোহানেসবার্গের চেয়ে নয়াদিল্লি ভালো হবে। বৈঠকের বিষয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে।
মোমেন আরও বলেন, আফ্রিকা একটি ‘উদীয়মান রাষ্ট্র’ এবং বাংলাদেশ এ মহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটা শক্তিশালী নয়। আমরা সেখানে দু’টি মিশন খুলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দেবেন (বৃহত্তর প্রচেষ্টা করার জন্য)।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সাইডলাইন বৈঠক এখনো নিশ্চিত হয়নি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
২০১৯ সালের পর এটিই হবে প্রথম সশরীরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। গ্রুপের গৃহীত উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করার এবং ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার সুযোগ দেবে এই শীর্ষ সম্মেলন ।
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের পরে আয়োজিত একটি বিশেষ ইভেন্ট ‘ব্রিকস – আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ’-এ অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এতে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত অন্যান্য দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।