বৈদেশিক-সম্পর্ক
ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচন: সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকার সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদের জন্য মনোনীত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সোমবার (১৬ অক্টোবর) একটি উচ্চ-পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগদানের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে থাই জনস্বাস্থ্য বিষয়কমন্ত্রী ডা. চোলনান শ্রীকাউয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
এসময় আব্দুল মোমনে ডব্লিউএইচও এসইএআরও -এর আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের প্রার্থী ড. সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থন জানানোর জন্য থাই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
থাই জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের সিদ্ধান্তকে ‘বাংলাদেশের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
ডব্লিউএইচও এসইএআরও -এর পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ডব্লুএইচও মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রেইসাস চলতি বছরের ১৮ আগস্ট সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে পাঠিয়েছিলেন।
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশের মনোনীত সায়মা ওয়াজেদ এবং নেপাল মনোনীত ডা. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
ডব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটি ভারতের নয়াদিল্লিতে ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত একটি বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করার জন্য ভোট দেবে।
তারপরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচও নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং একবার পুনরায় নিয়োগের জন্য যোগ্য হবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বর্তমানে দুইদিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে রয়েছেন। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
এরপর সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ড. মোমেনথাই জনস্বাস্থ্য বিষয়কমন্ত্রী ড. চোলনান শ্রিকাওয়ের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ড. চোলনান শ্রিকাও তার কার্যালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় ড. চোলনান শ্রিকাওকে অভিনন্দন জানান।
রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে বর্তমানে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থান করছেন। আগামী মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এই সম্মেলনটি শুরু হবে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দিতে মোমেন ব্যাংককে পৌঁছেছেন বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামের (জিআরএফ) আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা চাওয়া হবে। একই সঙ্গে আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন চাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডিও বৈঠকে যোগ দিতে থাইল্যান্ড সফর করছেন।
সফরের অংশ হিসেবে গ্র্যান্ডি ১৭ অক্টোবর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকের উদ্বোধন করবেন।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার কথা কে ভাববে?: প্রশ্ন চীনের রাষ্ট্রদূতের
চীন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সংযম প্রদর্শন, বস্তুনিষ্ঠ ও ন্যায়সঙ্গত অবস্থান গ্রহণ, সংঘাত প্রশমনে কাজ করার এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ওপর আরও বড় ধরনের আঘাত এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
'চীন বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা ও হামলার নিন্দা জানায় এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী সব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে।’
সোমবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদানের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব কথা বলেন।
এসময় উভয় পক্ষ ফিলিস্তিন ইস্যুতে গভীর মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও উল্লেখ করেন, সংঘাতের সর্বশেষ পরিস্থিতির আলোকে চীন মনে করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লড়াই বন্ধ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো, এটি অবিরামভাবে ছড়িয়ে পড়া রোধ করা এবং পরিস্থিতির আরও অবনতি এড়াতে একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো, যত দ্রুত সম্ভব মানবিক উদ্ধার ও সহায়তার পথ উন্মুক্ত করা এবং মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় রোধ করা অপরিহার্য।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের যথাযথ ভূমিকা পালন করা উচিত।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারি বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
সশস্ত্র সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে একটি রেড লাইন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থাও নিতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত ইয়াও আরও বলেন, নির্বিচারে বলপ্রয়োগ অগ্রহণযোগ্য এবং ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়। জাতিসংঘের কর্মী ও মানবিক সহায়তা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, চীন সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে চীন সরকারের বিশেষ দূত শিগগিরই এ অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট দেশগুলো সফর করবেন এবং সহিংসতা বন্ধ ও উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাবেন।
ইতোমধ্যে শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে এবং ফিলিস্তিন সমস্যার একটি সমন্বিত, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কাজ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আরও কর্তৃত্বপূর্ণ, প্রভাবশালী ও বিস্তৃত পরিসরে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে চীন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও উল্লেখ করেন যে ফিলিস্তিন প্রশ্নে এটি মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুর কেন্দ্রবিন্দু এবং একটি ক্ষত যা আজকের বিশ্বকে আহত করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'এই প্রশ্নের মূল কারণ হচ্ছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ঐতিহাসিক অবিচারের প্রতিকারে ব্যর্থতা।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'ইসরায়েলের যেমন রাষ্ট্রের অধিকার রয়েছে, তেমনি ফিলিস্তিনেরও রয়েছে। ইসরায়েলিরা বেঁচে থাকার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা অর্জন করেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার বিষয়ে কে চিন্তা করবে? ইহুদি জাতি বিশ্বে আর গৃহহীন নয়, কিন্তু ফিলিস্তিনি জাতি কখন তার বাড়িতে ফিরে আসবে? পৃথিবীতে অন্যায়ের কমতি নেই, কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচার চলছে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে। যে দুর্ভোগগুলো প্রজন্মকে জর্জরিত করে তা চলতে দেওয়া উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে অভিভূত: রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, প্রশ্নটির উত্তর হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘এভাবেই ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল শান্তিতে সহাবস্থান করতে পারে এবং আরব ও ইহুদিরা কীভাবে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে পারে। 'দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলেই মধ্যপ্রাচ্য সত্যিকার অর্থে শান্তি উপভোগ করতে পারবে এবং ইসরায়েল স্থায়ী নিরাপত্তা উপভোগ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সঠিক উপায় হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করা। শান্তির জন্য সকল প্রক্রিয়াকে অবশ্যই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন প্রশ্নে শান্তির পক্ষে চীন, ন্যায়বিচারের পক্ষে, আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে। বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার পক্ষে এবং মানুষের বিবেকের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকবে তার দেশ।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের স্থল হামলার হুমকিতে অনেক ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চল ছেড়েছে
মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিনিধিদলের সুপারিশের বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য করার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা তাদের মতামত দিয়েছে। এটা তাদের মতামত। এগুলো আলাদা কিছু নয়। আমরা এগুলোকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না।’
আরও পড়ুন: আশার আলো ভারত মহাসাগর, কার্যক্রম পরিচালনা নিরাপদ করতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, অনেক বিদেশি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে মজা করে এবং কিছু মিডিয়া তাদের অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, তারা সবসময় সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারা ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে তারা ভোটার চান।
তিনি আরও বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে যান না, বরং বিদেশিরা দ্বিপক্ষীয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসে।
আইআরআই ও এনডিআই'র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক প্রাক-নির্বাচন-পূর্ব প্রতিনিধিদল রবিবার বলেছে, বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্তভাবে তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নির্ধারণ করবে।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে 'সমর্থন ও শক্তিশালী করার চেতনায়' তাদের প্রাক-নির্বাচনী বিবৃতি দেয়।
প্রতিনিধিদল বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির রোডম্যাপ হিসাবে নিচের সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেছে যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সুপারিশগুলো হলো-
· সংযত আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ইস্যুতে উন্মুক্ত ও অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশ নেওয়া
· মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং ভিন্নমতকে সম্মান করা
· অহিংসতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করা
· স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা জোরদার করাসহ সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা এবং
· নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় নির্বাচনী অংশগ্রহণের সংস্কৃতি প্রচার করা।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের নারী ও শিশু হত্যার নিন্দা ঢাকার
গাজায় নারী ও শিশুসহ ক্রমবর্ধমান বেসামরিক হতাহতের পাশাপাশি ইসরাইলের অযৌক্তিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় এড়ানোতে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদান এবং এই অঞ্চলে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এই অঞ্চলে স্থায়ী সমাধান ও শান্তির জন্য ইউএনএসসি রেজুলেশনের ভিত্তিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। এরপরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশিদের আন্তরিক সমর্থনের প্রশংসা করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রামাদান বৃহস্পতিবার বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ইসরাইলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অর্থ চাই না তবে আপনার পূর্ণ সমর্থন ও ভালোবাসা চাই। ফিলিস্তিন চায় বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে থাকুক। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে হবে। এটা (যা ঘটছে) অগ্রহণযোগ্য।’
বৃহস্পতিবার ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রের ১৫ জন রাষ্ট্রদূত ও চার্জি ডি'অ্যাফেয়ার্স ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি ও সমর্থন এবং ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তাদের বৈধ সংগ্রামের প্রতি সংহতি ও সমর্থন ব্যক্ত করেন।
এদিকে এ সময় হাজার হাজার তরুণ বাংলাদেশিও এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের প্রতি সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি ভাই-বোনদের ভালোবাসা, সমর্থন ও শ্রদ্ধা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: গাজায় ‘আকাশ, সমুদ্র ও স্থল’ হামলার প্রস্তুতি চলছে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বাংলাদেশের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার(১৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের শিবের বাজারে জিসি-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক নেই এবং আমরা তাদের স্বীকৃতিও দেইনি। চলমান সংঘাতের কারণে পুরো বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা কিছু সমস্যার কারণ হতে পারে।’
তিনি বলেন, 'আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছি এবং শান্তি চাই। ফিলিস্তিন-ইসরায়েলকে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত না করা পর্যন্ত সেখানে কোনো শান্তি আসবে না।
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারা দেশে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাজার হাজার মুসল্লি।এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ইসরায়েলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অর্থ চাই না তবে আপনার পূর্ণ সমর্থন এবং ভালবাসা চাই। ফিলিস্তিন চায় বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে থাকুক। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
এদিকে গাজায় খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জরুরি সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: জনশক্তি সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে আগ্রহী ওমান
অবরুদ্ধ গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য বাইরে থেকে কোনো সহায়তা আসতে পারে না এবং প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে অভিভূত: রাষ্ট্রদূত
শান্তিরক্ষা মিশনে লেবাননের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে গেলেন নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্য
লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ‘ইউনিফিল’ এ অংশ নিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৭৫ সদস্যের একটি দল চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট ‘ব্যানকন-১৪’ এর আওতায় শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন দলটি।
চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন জামাল উদ্দিন চৌধুরী তাদের বিদায় জানান।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট ‘ব্যানকন-১৪’ এর আওতায় লেবাননে মোতায়েন করা নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ এ এই নৌসদস্যরা দেবেন।
বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী লেবাননগামী নৌসদস্যদের বিদায় জানান।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে ইতালির নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
আগামী নির্বাচনের আগে বড় কোনো বৈশ্বিক উদ্যোগে যোগ দেবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কোনো বড় বৈশ্বিক উদ্যোগে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশ রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে (আরসিইপি) যোগ দেবে কি না জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরসিইপি চীনের নেতৃত্বাধীন বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক মুক্ত-বাণিজ্য ব্লক।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে অভিভূত: রাষ্ট্রদূত
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর শুল্ক সুবিধা বজায় রাখতে রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপে (আরসিইপি) যোগদানের বিষয়ে আলোচনা শুরু করে।
আরও পড়ুন: 'চায়না সলিউশন' নিয়ে বাংলাদেশের পাশে আছে চীন: চীনা রাষ্ট্রদূত
'চায়না সলিউশন' নিয়ে বাংলাদেশের পাশে আছে চীন: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশ প্রচুর সৌর, বায়ু এবং জোয়ার-ভাটা,সমতল সম্পদে সমৃদ্ধ এবং প্রচুর বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশকে 'সোনার বাংলা' স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য চীন তার অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি বিনিময় এবং 'চায়না সলিউশন' সরবরাহ করতে প্রস্তুত। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব একটি নতুন স্তরে নিয়ে আসবে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাষ্ট্রদূত ইয়াও কক্সবাজার বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের 'সফল' কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতার মূল খাত হচ্ছে নতুন জ্বালানি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ চীনের বিআরআই’র আওতায় একটি যুগান্তকারী প্রকল্প: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
গত ২৩ আগস্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
উভয় নেতা প্রতিশ্রুতি দেন যে তারা উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে আরও এগিয়ে নেবেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিপূরকতার সুবিধাগুলেতে পূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এবং নতুন জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদার করবেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বায়ু বিদ্যুতের ঐতিহাসিক প্রবর্তন নতুন জ্বালানি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার একটি মাইলফলক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি থিংক ট্যাংক প্রতিনিধি দলের চীন সফর
রাষ্ট্রদূত ইয়াও উল্লেখ করেন যে একটি সম্পূর্ণ শিল্প শৃঙ্খল, সমৃদ্ধ নির্মাণ এবং অপারেশন অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি, মূলধন এবং প্রতিভায় উল্লেখযোগ্য সুবিধা রয়েছে চীনের।
চীনা উদোক্তাদের বিনিয়োগে কক্সবাজার বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পটি বাংলাদেশে প্রথম বৃহৎ আকারে কেন্দ্রীভূত বায়ু বিদ্যুত কেন্দ্র।
প্রকল্পটি একবা চালু হলে বছরে ১৪৫ গিগাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনুপাত বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে নতুন জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট একটি দেশ নিজেকে বাংলাদেশের বন্ধু দাবি করলেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় : চীনা রাষ্ট্রদূত
ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে অভিভূত: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশিদের আন্তরিক সমর্থনের প্রশংসা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেছেন, তাদের পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতি প্রয়োজন। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ইসরাইলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অর্থ চাই না তবে আপনার পূর্ণ সমর্থন এবং ভালবাসা চাই। ফিলিস্তিন চায় বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে থাকুক। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে হবে। এটা (যা ঘটছে) অগ্রহণযোগ্য।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীরা সতর্ক করেছে যে গাজায় খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জরুরি সরবরাহের অভাব দেখা দিয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য বাইরে থেকে কোনো সহায়তা আসতে পারে না এবং প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
মানবতাবাদীরা গাজার জনগণকে যথাসাধ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএ'র সঙ্গে মিলে তারা বুধবার ৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে তাজা রুটি ও খাবার পৌঁছে দিয়েছে।
ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রের ১৫ জন রাষ্ট্রদূত এবং চার্জি ডি'অ্যাফেয়ার্স উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলে ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনগণ এবং তাদের বৈধ সংগ্রামের প্রতি সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন।
হাজার হাজার তরুণ বাংলাদেশিও সংহতি প্রকাশ করতে সমাবেশে যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিনে বসবাসরত বাংলাদেশি ভাই-বোনদের প্রতি তাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও শ্রদ্ধা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি।
আরও পড়ুন: কেবল সংলাপ ও কূটনীতিই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধান দিতে পারে: বাংলাদেশ