বাংলাদেশিদের আন্তরিক সমর্থনের প্রশংসা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেছেন, তাদের পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতি প্রয়োজন। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ইসরাইলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অর্থ চাই না তবে আপনার পূর্ণ সমর্থন এবং ভালবাসা চাই। ফিলিস্তিন চায় বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে থাকুক। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে হবে। এটা (যা ঘটছে) অগ্রহণযোগ্য।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীরা সতর্ক করেছে যে গাজায় খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জরুরি সরবরাহের অভাব দেখা দিয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য বাইরে থেকে কোনো সহায়তা আসতে পারে না এবং প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
মানবতাবাদীরা গাজার জনগণকে যথাসাধ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএ'র সঙ্গে মিলে তারা বুধবার ৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে তাজা রুটি ও খাবার পৌঁছে দিয়েছে।
ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রের ১৫ জন রাষ্ট্রদূত এবং চার্জি ডি'অ্যাফেয়ার্স উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলে ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের জনগণ এবং তাদের বৈধ সংগ্রামের প্রতি সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন।
হাজার হাজার তরুণ বাংলাদেশিও সংহতি প্রকাশ করতে সমাবেশে যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিস্তিনে বসবাসরত বাংলাদেশি ভাই-বোনদের প্রতি তাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও শ্রদ্ধা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি।
আরও পড়ুন: কেবল সংলাপ ও কূটনীতিই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধান দিতে পারে: বাংলাদেশ