বিএনপি
রাজধানীতে বিএনপির লাঠি মিছিল, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের আহ্বান
সরকারের পদত্যাগ ও রবিবারের 'একদলীয়' নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীতে লাঠি মিছিল করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
তারা নির্বাচন বর্জন এবং ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় মিছিল বের করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
তারা 'অগ্রহণযোগ্য, প্রহসনমূলক ও ডামি' নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ জানুয়ারি চরম পরাজয়ের মুখে পড়বে সরকার: মঈন খান
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘লুটেরাদের এই 'অবৈধ' নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আমরা বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ জনগণকে ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
রিজভী বলেন, ‘আমাদের দল সত্য, ন্যায়বিচার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জনগণের ভোটাধিকারের পক্ষে এবং ক্ষমতাসীন দল লুণ্ঠন, বিদেশে অর্থ পাচার এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পক্ষে। আমরা যারা ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াই তাদের জন্য বিজয় অনিবার্য।’
বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় দলটি। অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলোও নির্বাচনের মাত্র দু'দিন আগে আজ একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক বিএনপির
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি
আগামী ৭ জানুয়ারি চরম পরাজয়ের মুখে পড়বে সরকার: মঈন খান
বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি 'ডামি' নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের চরম পরাজয় হবে।
তিনি বলেন, 'সরকার ৭ জানুয়ারি বিজয়ের কথা ভাবছে। বাস্তবতা হচ্ছে, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চরম পরাজয় হবে।’
সমাবেশে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করা আওয়ামী লীগ ভুল পথে হাঁটছে। ‘তারা যদি ভুল পথে চলতে থাকে তাহলে তারা ইতিহাসের ডাস্টবিনে পড়ে থাকবে। আপনাদের (আওয়ামী লীগ) উচিত এই তিক্ত সত্য উপলব্ধি করা।’
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমজীবী পরিষদ।
পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈনসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা পথচারীদের মাঝে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন।
তিনি নির্বাচন বাতিল করে সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারকে সঠিক পথে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আপনারা বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে দমন করতে পারবেন না। সুতরাং সমঝোতার পথে আসুন, শান্তির পথে আসুন।’
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল উদার, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী হওয়ায় নির্বাচন বর্জন করছে। ‘এজন্য আমি সরকারকে ভুল পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের মানুষের মতামতকে কীভাবে সম্মান করতে হয় তা শেখার চেষ্টা করুন। আপনারা দাবি করেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। যদি তাই হয়, তাহলে আপনারা কেন গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়েছেন?’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও বিদেশি কারোরই আস্থা নেই।
মঈন বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশে কীভাবে তথাকথিত নির্বাচন হচ্ছে তা তুলে ধরতে ঢাকায় এসেছেন।
এদিকে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রবিবার সকালে উত্তরা রাজউক স্কুলের সামনে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকার যে কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, সাধারণ ভোটাররা নয়, শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই রবিবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
তিনি বলেন, 'সরকার ভেবেছিল ডামি প্রার্থী দেখিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে দেখাবে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বাংলাদেশে একটি সাজানো নির্বাচন মঞ্চস্থ হচ্ছে।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ডামি নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিলে এর পরিণতি ভালো হবে না। জনগণ নির্বাচন বয়কট করবে এবং তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক বিএনপির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণার ফলে হরতালের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, হরতাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে সোমবার সকাল ৬টায় শেষ হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মী আটক
এর আগে আরেকটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার সারাদেশে মিছিল ও গণসংযোগ করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের জন্যই তাদের এই কর্মসূচি।
রিজভী বলেন, নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে শুক্রবার সমমনা অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গত সোমবার গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বর্ধিত করার দেওয়া হয়।
গত ২৪ ডিসেম্বর দলটি ২৬ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে এ কর্মসূচি তিনবার বাড়ানো হয়।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল ও কয়েকটি জোট যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেপ্তার হন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে অন্য নেতাদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন এবং চার দফায় পাঁচ দিন দেশব্যাপী হরতাল পালন করে।
সবশেষে ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি
আগামী রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসংযোগ করবে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন বাড়াতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
তিনি বলেন, অন্যান্য সমমনা বিরোধী দলগুলোও নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে শুক্রবার একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, 'বিএনপি ও সমমনা দলগুলো শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে।’
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান রিজভী।
এর আগে গত সোমবার গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বর্ধিত করেছিল দলটি।
গত ২৪ ডিসেম্বর দলটি ২৬ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে এ কর্মসূচির সময় তিনবার বাড়ানো হয়।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধাক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মী আটক
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা গ্রেপ্তার হন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে অন্যান্য নেতাদের অনেকে আত্মগোপনে চলে যান।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন এবং চার দফায় পাঁচ দিন দেশব্যাপী হরতাল পালন করে।
সবশেষে ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন: ‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আব্দুল মঈন খান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাকে জিজ্ঞেস করে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমরা কী করব? আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সরকারকে বুঝতে হবে যে ২০২৪ ও ২০১৪ একই নয়। এবার এমন হবে না যে, তারা (সরকার) ভুয়া ও বিদ্বেষমূলক নির্বাচন করে আবারও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা নিশ্চিত করবে।’
বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তাদের রক্ত দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি রাজপথে বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড মোকাবিলা করে দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন বলেন, প্রার্থীরা যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সেদিনই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘কে কোন আসনে এমপি হবেন তা সরকার এরই মধ্যে ঠিক করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভুয়া নির্বাচনের ভুয়া ফলাফল নিয়ে একদলীয় সংসদ ও সরকার গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে তারা প্রহসন ও নাটক করছে। দেশের বাইরের সব নামকরা গণমাধ্যম এক বাক্যে বলছে, বাংলাদেশে যে নির্বাচন হচ্ছে তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ বর্তমান সরকার এর মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তাদের দল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি লগি-বৈঠা দিয়ে সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা কখনই সংঘাতের রাজনীতি এবং অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশে পরিবর্তন আনুক, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করুক।’
ড. মঈন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের বিএনপির আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
এদিকে সকালে রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনি বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ৭ জানুয়ারি জোরপূর্বক একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
তিনি বলেন, ‘এই একতরফা ডামি নির্বাচনকে না বলার জন্য আমি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ৭ জানুয়ারি কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য আমরা তাদের (আওয়ামী লীগ) প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি।’
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার আরও লুটপাট ও দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নির্বাচন আয়োজন করছে।
যুবদল নেতা আসিফুর রহমান বিপ্লবসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
বরিশালে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মী আটক
বরিশালে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে বিএনপির লিফলেট বিতরণী কর্মসূচি থেকে দলের আটজন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি দলীয় নেতাদের। এসময় বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
বুধবার(৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় নগরীর অশ্বীনি কুমার হল চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে সদর রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে লিফলেট বিতরণের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকে নেতা-কর্মীরা। এতে শুরু থেকেই নেতা-কর্মীদের বাধা দিচ্ছিল পুলিশ।
পরে নেতাদের সমন্বয়ে লিফলেট বিতরণের জন্য কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় বাধা দেওয়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, নির্বিচার লাঠিচার্জের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের ধরে ধরে গাড়িতে তুলতে থাকে পুলিশ।
এ সময় কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ দলের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জের মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুর রহমান বলেন, কোনরকম পূর্বানুমতি ছাড়াই জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো সহিংস আচরণ করেনি পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
শেরপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৯
নির্বাচন বিরোধী লিফলেট ও নির্বাচন ঠেকানোর জন্য লিফলেট বিতরণের অভিযোগে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২ জানুয়রি) বিকালে সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
তবে আটক অন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায, সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিযনের বিভিন্ন গ্রামে চলমান নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য লিফলেট বিতরণ করছিল বিএনপি নেতারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে পরোয়ানাভুক্ত আসামি হযরত আলীকে আটক করা হলে উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
পরে পুলিশ পাল্টা শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
ডিবি’র ওসি আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম জানান, বিকালে পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গেলে পুলিশের উপর ককটেল হামলা চালান বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৭ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি, ৩ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। আটক করা হয় ৯ জনকে।
শেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ যেন ভোট না দেয় সেই প্রচারণার জন্য লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তার আগেই রাস্তায় দলের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী সহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সেখানে ককটেল বিস্ফোরণের কোন ঘটনাই ঘটেনি। নেতাকর্মীদের হাতে লিফলেট ছাড়া আর কোন কিছুই ছিল না বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি
ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়ের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, গণভবনের নির্দেশিত এই রায়ে পুরো জাতি লজ্জিত।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কথিত মামলায় শেখ হাসিনার নির্দেশে ড. ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, 'গণভবনের এই রায়ে সমগ্র জাতি লজ্জিত। আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার ক্রমাগত বিষাক্ত মন্তব্য এবং তাকে বিভিন্ন হুমকি প্রমাণ করেছে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ১৮ মে এক আলোচনা সভার উদ্বৃতি দিয়ে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকারের পতনে বিএনপির সংকল্প অটুট
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি(প্রধানমন্ত্রী) ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা সেতু থেকে পানিতে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেন। তখন থেকেই এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট পাট করে বিদেশে পাচার ও আত্মসাৎ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
রিজভী বলেন, জাতির গর্ব ড. ইউনূসকে সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো রায়ে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আপিলের শর্তে আদালত সবাইকে এক মাসের জামিন দিয়েছেন।
অসন্তোষ প্রকাশ করে ব্যারিস্টার মামুন বলেন, 'আমরা ন্যায়বিচার পাইনি এবং হাইকোর্টে আপিল করব।’
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি
সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে স্থানীয় পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
রবিবার(৩১ ডিসেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সহসভাপতি বাবুল সরকার, সদস্য ইউনুস শিকদার ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম মাস্টার।
আরও পড়ুন: লিফলেট বিতরণ-গণসংযোগ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএনপি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ঈগলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় রাজ্জাক মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের কাঁচি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার করায় চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি
২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি
২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আগামী দিনগুলোতে জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, 'ভুয়া ও সাজানো নির্বাচনের জন্য যে প্রহসন করা হচ্ছে তা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। জনগণের সঙ্গে আমরাও এই একদলীয় সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছি।’আরও পড়ুন: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুরে ৪ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সমর্থনে দিয়ে নয়, বুলেট ও রাষ্ট্রযন্ত্রের শক্তি ব্যবহার করে ক্ষমতায় রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বুলেট, পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার ছাড়াই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। আমরা জনগণের শক্তিতে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় এটা করব।’
বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজপথে থাকবে।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচন করবে।
তিনি বলেন, 'আপনারা দেখেছেন সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে ইতোমধ্যে সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। এমনকি নিজেদের জোট ও পোষা বিরোধী দলের প্রার্থীরাও এই নির্বাচনের সমালোচনা করছেন। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার দরকার নেই।’
ড. মঈন বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ৩০০ আসনে কারা এমপি হবেন তা নির্ধারণ করে নির্বাচন করেছে।
‘সুতরাং এটি একটি ভুয়া নির্বাচন। কোনো জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্য হবেন না কারণ এটি মনোনয়নের নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণা করবে।’ ৭ জানুয়ারির ভোট এখন অর্থহীন হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: উত্তাল বছর শান্তভাবে শেষ হলেও সরকারের পতনে বিএনপির সংকল্প অটুট
এদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ‘তারা এখন ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে কবর দিতে চায়।’
আজ রাজধানীর কাফরুল এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার সরকারের স্বপ্ন এবার বাস্তবায়িত হবে না।
তিনি বলেন, 'দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এই ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী ৭ জানুয়ারি কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রিজভী বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের নেতারাও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লিফলেট বিতরণ-গণসংযোগ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএনপি